বুধবার, ১২ মে, ২০১০

এবার কিলার জীবন নিহত

(দর্শক কল্পনা করুন একই ধরনের ছবি হবে)
আরেকটি লাশ। এটি মিলন ফকির ওরফে জীবন (২৪)এর। পুলিশ বলছে সে গণমুক্তিফৌজের শীর্ষ কিলার। কুষ্টিয়া পুলিশের দাবি চরমপন্থিদের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় সে নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও ককটেল উদ্ধারের দাবি পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, রাত আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা ও সদর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে গণমুক্তিফৌজের শীর্ষ কিলার মিলন ৮/১০ জন সঙ্গী নিয়ে উপজেলার স্বস্তিপুর গ্রামের আমানুল্লাহর বাঁশবাগানে নাশকতা সৃষ্টির ল্েয সশস্ত্র অবস্থায় গোপন বৈঠক করছিল। এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এসময় জীবন ও তার দলবল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি বর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ১৫ মিনিটের বন্দুকযুদ্ধে জীবন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পালিয়ে যায় সহযোগী সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জীবনের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, বন্দুকের ৬ রাউণ্ড গুলি, দু’টি ককটেল উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে জীবনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন থানায় ৪টি হত্যা, ১টি চাঁদাবাজি ও ১টি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে। সে স্বস্তিপুর গ্্রামের দরবেশ ফকিরের ছেলে।

বুধবার, ৫ মে, ২০১০

এবার আব্দুল আলিম নিহত

কুষ্টিয়ার মিরপুরে নিহত হয়েছে আব্দুল আলিম (৩৫)। পুলিশ বলেছে মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার কলাবাড়িয়া এলাকায় তাদের সাথে চরমপন্থীদের বন্দুকযুদ্ধের সময় সে নিহত হয়। নিহত আলিম জাসদ গণবাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও বোমা উদ্ধারের দাবিও করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত দেড়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে জাসদ গণবাহিনীর নেতা আলিম সশস্ত্র অবস্থায় তার দলবল নিয়ে মিরপুর উপজেলার কলাবাড়িয়া জিকে ক্যানেল সংলগ্ন আবু বক্করের কলাবাগানে গোপন বৈঠক করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা ও মিরপুর থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। আলিম ও তার দলবল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধাঘন্টা বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আলিম। পালিয়ে যায় তার সহযোগি অন্য সন্ত্রাসীরা। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৫রাউন্ড গুলি, ৪টি ককটেল ও ছোরা উদ্ধার করে। আলিমের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যাসহ ৭টি মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ জানায়। সে মিরপুর উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের নূরুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।