মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১০

কুষ্টিয়ায় নেশাদ্রব্য পান করে দুই ছাত্রের মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত নেশাদ্রব্য পান করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর দুই ছাত্র নিহত হয়েছে। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে এদের পরিচয় সংক্রান্ত অভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। একজন আহসান উল্লাহ ভূইঞা মেহেদী কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। অন্যজন মোহন কুয়েটের সিভিল বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। মেহেদী কিশোরগঞ্জ জেলার গাইটাল এলাকার আব্দুল্লাহ ভূইঞার ছেলে এবং মোহন খুলনার দৌলতপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গেট এলাকার কলিম উদ্দিন সর্দারের ছেলে। 
২২ নভেম্বর দুপুরে তাদেরকে অসূস্থ অবস্থায় ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহনকে মৃত ঘোষনা করেন। গুরুতর অসুস্থ মেহেদীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী তার কয়েকজন বন্ধু অপর বন্ধু আতিকের বিয়ের দাওয়াতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর আসেন। পরে তারা ওঠেন ভেড়ামারা উপজেলা শহরের হোটেল পূর্বাশা’য়। সেখানেই তারা কোন নেশাদ্রব্য সম্ভবত বিষাক্ত সিইপট পান করে বলে জানান, ভেড়ামারা থানার এসআই ইকবাল। 
নিহতদের লাশ তাদের নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১০

এমপির বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় মামলা, আটক-১০

কুষ্টিয়া-১ আসনের সরকারদলীয় এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদ’র বাড়ীতে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। সে এই হামলায় নিহত যুবলীগ কর্মি সিদ্দিকুর রহমানের চাচাতো ভাই। তার নাম আহাদুল ইসলাম (৪০), বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে। এই বোমা হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে দু’টি। যুবলীগ নেতা জাহিদ হোসেন জাহিদসহ ১০জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দৌলতপুরে এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদ’র বাড়িতে আত্মঘাতি বোমা হামলা চালায় দূর্বত্তরা। বিস্ফোরিত বোমায় সাংসদ আফাজ উদ্দিন আহমেদ অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও নিহত হয়েছে হামলাকারিসহ মোট ৩ জন। নিহতরা হচ্ছেন তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসমত আলী (৪৫), স্থানীয় যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান (৪০) ও তার চাচাতো ভাই হামলাকারি আহাদুল ইসলাম (৪০)। আহত হয়েছেন আরো তিনজন।
ঘটনার সময় বাড়ির ড্রইং রুমে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ ও তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করছিলেন আফাজ উদ্দিন আহমেদ। সেখানে ৩ জন অপরিচিত ব্যক্তিও বসা ছিল। ব্যক্তিগত কাজে পাশের রুমে গিয়ে এমপি আফাজ উদ্দিন আবার ড্রয়িংরুমে ফিরে আসার সময়ই হঠাৎ করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এমপির পাশে বসা তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসমত আলী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত হয় সোফার ওপর বসা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আহাদুল ইসলাম (পরে পরিচয় পাওয়া যায়), তার নিকট থেকেই বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। গুরুতর আহত হন যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান ও তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওবায়দুল হক ওরফে হামজু। আশংকাজনক অবস্থায় তাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান সিদ্দিকুর রহমান। এ ঘটনায় সাংসদ আফাজ উদ্দিনসহ বোমার স্প্রিন্টারে আহত হন অন্ততঃপক্ষে ৩জন।
এই হামলার প্রতিবাদে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ অংগ ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০১০

কুষ্টিয়ায় ৭৩ বিডিআরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

১০ নভেম্বর সকাল থেকে কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিডিআর সেক্টরে বিদ্রোহী জওয়ানদের বিচার কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই তিন দফায় মোট ৭৩ জন জোয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া ৩২ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ৪০ জন, চুয়াডাঙ্গা ৩৫ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ১৮ জন এবং কুষ্টিয়া সেকটরের ১৫ জন রয়েছে। সেকটরের ভেতরে স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ আদালত ১৭। অভিযোগ উত্থাপন করেন, সুবেদার জামাত আলী ও নায়েক সুবেদার আমজাদ হোসেন মন্ডল অভিযোগ উপস্থাপন করেন। আদালত কুষ্টিয়া সেকটরের মেজর সৈয়দ ফজলে হোসেন, লে. কর্ণেল আইনুন জামাল ও মেজর আহসান হাবিবকে মামলার প্রসিকিউটর নিয়োগ করেন। বিচারককে সহযোগীতা করেন ডেপুটি এ্যাটর্নী জেনারেল মোঃ সেলিম, লে. কর্ণেল সালাউদ্দিন ও মেজর আশফাক। শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কর্ণেল নজরুল ইসলাম সরকার ১১ নভেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত আদালত মূলতবি ঘোষনা করেন। 

মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০১০

ভেড়ামারায় অপরিচিত লাশ উদ্ধার

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অপরিচিত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বয়স ২০ বছরের কাছাকাছি। ৯ অক্টোবর দুপুর ১টার দিকে রামকৃষ্ণপুর ব্রীজের নিকট আঁখক্ষেতে   তার লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, লাশে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। গলায় আখের পাতা পেচানো ছিল।

রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১০

মিরপুরে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

নিহতের নাম আনারুল ইসলাম(৩৫)। ৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাকিলাদহ মাঠে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। স্থানীয় সূত্র জানায় আগেরদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে আনারুল মোবাইল ফোনে ডাক পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরিবারের লোকজন রাতভর খোজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি। আনারুল নছিমন (স্থানীয়ভাবে তৈরি ডিজেলচালিত যানবাহন) চালক। সে কাকিলাদহ গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।

রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১০

কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষ: অনেক আহত

সদর উপজেলার বড়িয়া-টাকিমারা গ্রামে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অনেকেই আহত হয়েছে। এদের মধ্যে উকিল(৪০), আব্দুল গফুর(২২), রবিউল(১৭), রাশিদুল ইসলাম(৪০), নূরুল ইসলাম(৩৫), ঝুমুর আলী(৩৬), সোহেল(২৩), জাহিদুল(৩০) ও মিলন(২৬) কে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যান্য আহতরাও অন্যত্র চিকিৎসা নিয়েছে বলে সূত্র দাবি করেছে। ৩১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় জগতি ইউনিয়ন পরিষদ’র চেয়ারম্যান শাহীন সালাউদ্দিন ও প্রামানিক গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০১০

সাধু সঙ্গ সাঙ্গ

সাধু সঙ্গ সাঙ্গ হলো, ভাঙ্গল ভাবের হাট। সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টাকে খুঁজে পেতে আবার আসবেন ফাল্গুনের দোল পূর্ণিমায়। এ বাসনা নিয়ে বাউল সাধকরা ছেড়ে যাচ্ছেন আখড়াবাড়ি, কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়া। 
আখড়াবাড়িতে বসেছিল ৫ দিনের লালন স্মরোনৎসব। ভবের হাটে ঘটে গুরু শিষ্যের মিলন মেলা, ছিল অপার ভালবাসা। শেষ দিন ২০ অক্টোবর ২০১০। শুরু ১৬ অক্টোবর। এ ক’দিনে লালনের আধ্যাত্মিক সুর-মুর্চ্ছনায় মুখর ছিল বাউল আঙ্গিনা। সাঁইজির দর্শন, জাতহীন মানব দর্শন প্রাপ্তির আনন্দ নিয়ে বিদায় নেন বাউল সাধকরা। এসেছিলেন সত্য সুপথের ডাকে সাঁইজির ধামে। তাদের প্রত্যাশা গানের সুরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে লালনের বানী। হিংসা হানাহানি ভূলে একীভূত হবে সমস্ত মানবজাতি। 

বুধবার, ১২ মে, ২০১০

এবার কিলার জীবন নিহত

(দর্শক কল্পনা করুন একই ধরনের ছবি হবে)
আরেকটি লাশ। এটি মিলন ফকির ওরফে জীবন (২৪)এর। পুলিশ বলছে সে গণমুক্তিফৌজের শীর্ষ কিলার। কুষ্টিয়া পুলিশের দাবি চরমপন্থিদের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় সে নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও ককটেল উদ্ধারের দাবি পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, রাত আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা ও সদর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে গণমুক্তিফৌজের শীর্ষ কিলার মিলন ৮/১০ জন সঙ্গী নিয়ে উপজেলার স্বস্তিপুর গ্রামের আমানুল্লাহর বাঁশবাগানে নাশকতা সৃষ্টির ল্েয সশস্ত্র অবস্থায় গোপন বৈঠক করছিল। এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এসময় জীবন ও তার দলবল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি বর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ১৫ মিনিটের বন্দুকযুদ্ধে জীবন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পালিয়ে যায় সহযোগী সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জীবনের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, বন্দুকের ৬ রাউণ্ড গুলি, দু’টি ককটেল উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে জীবনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন থানায় ৪টি হত্যা, ১টি চাঁদাবাজি ও ১টি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে। সে স্বস্তিপুর গ্্রামের দরবেশ ফকিরের ছেলে।

বুধবার, ৫ মে, ২০১০

এবার আব্দুল আলিম নিহত

কুষ্টিয়ার মিরপুরে নিহত হয়েছে আব্দুল আলিম (৩৫)। পুলিশ বলেছে মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার কলাবাড়িয়া এলাকায় তাদের সাথে চরমপন্থীদের বন্দুকযুদ্ধের সময় সে নিহত হয়। নিহত আলিম জাসদ গণবাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও বোমা উদ্ধারের দাবিও করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত দেড়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে জাসদ গণবাহিনীর নেতা আলিম সশস্ত্র অবস্থায় তার দলবল নিয়ে মিরপুর উপজেলার কলাবাড়িয়া জিকে ক্যানেল সংলগ্ন আবু বক্করের কলাবাগানে গোপন বৈঠক করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা ও মিরপুর থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। আলিম ও তার দলবল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধাঘন্টা বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আলিম। পালিয়ে যায় তার সহযোগি অন্য সন্ত্রাসীরা। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৫রাউন্ড গুলি, ৪টি ককটেল ও ছোরা উদ্ধার করে। আলিমের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যাসহ ৭টি মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ জানায়। সে মিরপুর উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের নূরুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।

শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১০

দৌলতপুরে জবাই করা লাশ


কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মাঠ থেকে আজ সকালে এক যুবকের জবাই করা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার বিকেলে হোগলবাড়িয়ার ফারাকপুর গ্রামের বজলা ফকিরের ছেলে সেলিম (২৫) বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে যায়নি। আজ সকালে পাশ্ববর্তি পল্লী বিদ্যুত ষ্টেশনের পাশের মরগাটি মাঠে তার জবাই করা লাশ পাওয়া যায়।

রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১০

শীর্ষ চরমপন্থী শাহিন ভারতে গ্রেফতার...!


কুষ্টিয়া পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী গণমুক্তিফৌজের শীর্ষস্থানীয় নেতা শাহীন (৩৮)কে ভারতে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ থানার পুলিশ তাঁকে গত শনিবার গভীর রাতে আটক করে। সেখানকার পুলিশ বিষয়টি অনানুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করলেও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, বনগাঁ থানার এসডি শ্যামেন্দ্রনাথের নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ একটি দল নদীয়া জেলার শান্তিপুরের পাঁচপোতা গ্রামের মিকাইল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খানও শাহিন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ভারতের ওই স্থানে সে সোহেল আহম্মেদ মন্ডল ওরফে দিপু পরিচয়ে গত কয়েক মাস ধরে বসবাস করে আসছিলো। আটক করার আগে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন বলে জানা গেছে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দুটি মুঠোফোন ও বেশ কয়েকটি সিম জব্দ করা হয়। শাহীন দীর্ঘকাল যাবত তাঁর পরিচয় গোপন করে ‘সোহেল আহমেদ মন্ডল ওরফে দীপু’ নামে সেখানে বাস করে আসছিলেন। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুরে। কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ভারতের বনগাঁ থানার পুলিশ সোহেল আহমেদ ওরফে দীপু নামে এক বাংলাদেশিকে আটক করেছে বলে আমরা জেনেছি। তিনি শাহীন বলেই একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।’ শাহিন দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের শীর্ষ চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের সামরিক শাখা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। সোহেল আহমেদ ওরফে দীপুর নামে বনগ্রাম থানায় দুইটি হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বাংলাদেশে কুষ্টিয়াঞ্চলের বিভিন্ন থানায় শাহিনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ প্রায় দুই ডজন মামলা ও অর্ধশতাধিক জিডি রয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের মোষ্ট ওয়ান্টেড শাহিন কুষ্টিয়ার শহরের কালিশংকরপুরের সুলতান রুমীর পুত্র।
কে এই শাহিন :বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শাহিনের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানা কৃত্তিনগর গ্রামে। তার পিতা কুষ্টিয়া পশু হাসপাতালে চাকুরী করতেন। এই সুবাদে কুষ্টিয়ার শহরের কালিশংকরপুর জামতলা মোড়ে নিজেরা বাড়ি তৈরী করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে শাহিনের পরিবার। এসএসসি পাশ করার পর শাহিন ভর্তি হয় যশোর পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটে। একবছর পর সেখান থেকে বদলী হয়ে আসে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে। পাওয়ার বিভাগের ছাত্র শাহিন ১৯৯৮ সালে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভিপি নির্বাচন করেন। অল্প ভোটের ব্যবধানে পারাজিত হন শাহিন। স্থানীয় সামাজিক দ্বন্দ্ব, তার পরিবারের সদস্যদের ওপর এলাকার সন্ত্রাসীদের নির্মম অত্যাচার শুরু হয়, শাহিনের মায়ের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা, তার বাড়ি ঘর লুটপাটের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ছাত্র থেকে রাতারাতি শীর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে ওঠে শাহিন। এলাকায় গড়ে তোলে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী। একদিকে নসু-শাহিন বাহিনী অপরদিকে সিরাজ বাহিনী। এই দুই বাহিনীর কোন্দলে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটতে হতে থাকে কালিশংকপুর এলাকায়। অল্প দিনের মধ্যে অপরাধ জগতের মুকুটহীন সম্রাট বনে যায় শাহিন। ১৯৯৯ সালে কুষ্টিয়া ষ্টেডিয়ামে তৎকালীন স্বরাষ্টমন্ত্রী নাসিমের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পন করে শাহিন। এরই মধ্যে খুন হয় নসু। নসু খুনের প্রতিশোধ নিতে আবারও মরিয়া হয়ে ওঠে শাহিন রুমী। তাত্ত্বিক কমিউনিষ্ট নেতা মীর ইলিয়াস হোসেন দিলীপের হাত ধরে শাহিন যোগ দেয় শ্রমজীবী মুক্তি আন্দোলনে। কিছুদিনের মধ্যে সামরিক শাখার প্রধান বনে যায়। কালিশংকরপুরের আক্তার, আড়–য়াপাড়ার আল হেলাল মদন, হরিশংকরপুরের রফিক, ভাটা পাড়ার হেরোইন সম্রাজ্ঞী আলেয়া, ঠিকাদার নান্নু, ফয়েজ, জামু, হাবিব, সন্ত্রাসী মানু, সুলতান ,কালিশংকরপুরের শফি, জাসদ নেতা জামাই বাবুসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ খুন হয়েছে শাহিনের নেতৃত্বাধীন গণমুক্তিফৌজ ক্যাডারদের হাতে। অপরাধের তুলনায় শীর্ষ এই চরমপন্থী নেতা নামে মামলার সংখ্যা অনেক কম বলে পুলিশ জানিয়েছে। জামাত বিএনপি জোট সরকারের মাঝামাঝি সময় থেকে এ পর্যন্ত ক্রসফায়ারে শাহিনের প্রায় আাড়াইশ ক্যাডার নিহত হয়েছে। ক্রসফায়ার চালু হলে শাহিন অবস্থা বেগতিক দেখে ভারতে পাড়ি জমায়। সেখান থেকেই তিনি নিয়ন্ত্রন করতেন দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের আন্ডার্রওয়াল্ড। টেন্ডারবাজিকে তিনি একমাত্র অর্থ উপার্জন মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করেন। কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ জেলার সকল সরকারী দপ্তরের টেন্ডার গণমুক্তিফৌজের নিয়ন্ত্রনে। সম্প্রতি গণমুক্তিফৌজের প্রধান আমিনুল ইসলাম মুকুল ভারতে গ্রেফতার হন। বর্তমানে তিনি ভারতের কারাগারে রয়েছেন। মুকুল গ্রেফতারের পর থেকে শাহিন নদীয়া জেলার ওই গ্রামে বসবাস করতো বলে জানা গেছে। এর আগেও গত বছর শাহিনকে ভারতে পশ্চিমবঙ্গের বনগ্রাম থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। অল্পদিনের মধ্যে তিনি সেখান থেকে জামিনে বেরিয়ে যান।

কুষ্টিয়ায় পুলিশের ক্রসফায়ারে একজন নিহত....

শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের পেঁপে ও কলা বাগানে নিহত হয় চরমপন্থি আলমগীর মন্ডল (৩০)। পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় সে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ আরো জানায়, নিহত আলমগীর নিষিদ্ধ ঘোষিত শীর্ষ চরমপন্থী সংগঠন গণ মুক্তিফৌজের দুর্ধর্ষ কিলার। তারা সেখান থেকে একটি বন্দুক, ৫টি ককটেল বোমা, ৫ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ৪ গুলির খালি খোসা ও বেশ কয়েকটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে।পুলিশ বক্তব্য....শনিবার রাত ১১ টায় তারা গোপন সংবাদ পায় শীর্ষ চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের দূর্ধষ কিলার (শুটার) আলমগীর মন্ডল তার সহযোগিদের নিয়ে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির লক্ষে দরবেশপুর গ্রামের বাগানে বৈঠক করছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিকভাবে কুষ্টিয়া সদর থানা ও স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশ সদস্যরা সেখানে পৌছে ঘটনাস্থলের চারিদিক ঘিরে ফেলে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। ২০ মিনিটের এ বন্দুকযুদ্ধে ক্রসফায়ারে পড়ে চরমপন্থী আলমগীর মন্ডল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অপর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, ৫ টি ককটেল বোমা, ৫ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ৪ গুলির খালি খোসা, ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র একটি রাম দা, চাইনিজ কুড়াল ও ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আলমগীর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল মিলপাড়ার মৃত হাসান মন্ডলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর থানায় ৪টি হত্যা ও একটি ডাকাতি, বিষ্ফোরক এবং চাঁদাবাজিসহ ৭টির অধীক মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ জানায়।

বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০১০

কুষ্টিয়ায় ক্রসফায়ারে নিহত চরমপন্থি মান্দার


কুষ্টিয়ায় ক্রসফায়ারে নিহত চরমপন্থি মান্দার

কুষ্টিয়ায় ক্রসফায়ারে গণবাহিনীর প্রধান মান্দার নিহত

গণবাহিনীর প্রধান শীর্ষ চরমপন্থি আশরাফুল ইসলাম ওরফে মান্দার (৪০)কুষ্টিয়ায় নিহত হয়েছে। র‌্যাব জানিয়েছে তাদের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় সে নিহত হয়েছে। এ সময় সেখান থেকে একটি পয়েন্ট টুটু বোর রাইফেল, একটি দেশী তৈরী এলজি, ৪টি হাত বোমা, ১২ রাউন্ড গুলি ও বেশ কয়েকটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে র‌্যাব।
র‌্যাব বক্তব্য এমন...বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানাধীন ঝাউদিয়া ইউনিয়নের মধ্য খোর্দ্দ বাখইল গ্রামে একটি মাঠে চরমপন্থী সংগঠন গণবাহিনীর বর্তমান প্রধান মান্দার তার সহযোগিদের নিয়ে বড় ধরনের অপরাধ সংগঠিত করার জন্য বৈঠক করছিল। এমন সংবাদে র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। র‌্যাব সদস্যরা সেখানে পৌছে ঘটনাস্থলের চারিদিক ঘিরে ফেলে। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে এবং অবস্থা বেগতিক ভেবে চরমপন্থীরা প্রথমে বেশ কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় র‌্যাব সদস্যরা মাটিতে শুয়ে নিজেদের রক্ষা করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালাতে চরমপন্থিরা র‌্যাবকে লক্ষ্য গুলি বর্ষণ শুরু করে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। ২০-২৫ মিনিটের এ বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসীরা টিকতে না পেরে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। গুলি বিনিময় থেমে যাওয়ার পর র‌্যাব সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে ব্যাপক তল্লাশী চালায়। এ সময় সেখানে একজন গুলিবিদ্ধ লাশ পরে থাকতে দেখা যায়, যা স্থানীয়রা গণবাহিনীর প্রধান চরমপন্থী মান্দার বলে সনাক্ত করে বলে ।
সেখান থেকে র‌্যাব সদস্যরা চরমপন্থীদের ফেলে যাওয়া একটি পয়েন্ট টুটু বোর রাইফেল, একটি দেশী তৈরী এলজি, ৪টি হাত বোমা, ১২ রাউন্ড গুলি ও বেশ কয়েকটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে বলে দাবি করে। র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়ার মেজর জাকির হোসেন জানান, নিহত চরমপন্থী মান্দার বাখইল গ্রামের আফজাল মন্ডলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ইবি থানায় ৪টি হত্যাসহ মোট ৭টি মামলা ও ১১টি জিডি রয়েছে। মান্দার তার চাচা জাসদ গণবাহিনীর প্রধান আজিবর চেয়ারম্যান ভারতে নিহত হওয়ার পর দলের প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছিল। শারিরীক গড়নে শক্তিশালী মান্দার ওপারেশন ক্লিনহার্টের সময় সেনাবাহিনীর সাথে কাদার মধ্যে লড়াই করে পালিয়ে গিয়েছিল।

মিরপুরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে একজন নিহত

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের আটিগ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৪ জন। নিহতের নাম আসাদুল ইসলাম (৩৫)। গ্রামবাসীর নিকট থেকে শোনা তথ্যমতে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটিগ্রামে একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে তর্কে লিপ্ত সাইদুল-রহিম গ্রুপ ও আসাদুল গ্রুপ। পরে সাইদুল-রহিম গ্রুপ ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে আসাদুলের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে। এসময় আসাদুল ও তার দুই ভাই মুসা, কালু এবং ভাতিজা রাকিবুলসহ ৫ জন আহত হয়। এদেরকে ভর্তি করা হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসাদুলের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তার ভাই মুসা ও কালু। এদিকে, আসাদুলের মৃত্যুর পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী জানায়, যে কোন সময় আবারও ভয়াবহ সংর্ঘষ হতে পারে।

রবিবার, ২১ মার্চ, ২০১০

কুষ্টিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত: পুলিশ বলছে গণমুক্তিফৌজের কমান্ডার

কুষ্টিয়ায় কুমারখালী উপজেলার বাঁধবাজার কবুরহাট গ্রামে একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে নিহত ব্যাক্তি আব্দুল খালেক ওরফে ঝরু নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের আঞ্চলিক কমান্ডার। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাত আড়াইটার দিকে তাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের সময় সে নিহত হয়। পুলিশের ভাষ্য...কুমারখালী উপজেলার বাঁধবাজার কবুরহাট গ্রামে একদল চরমপন্থী গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধ। নিহত হয় আব্দুল খালেক ওরফে ঝরু। পুলিশ ওই এলাকা থেকে একটি দেশী বন্দুক, ৫ রাউন্ড গুলি, ৪টি গুলির খোসা ও একটি তলোয়ার উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে। ঝরুর নামে ৩টি হত্যাসহ ৭টি মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০১০

কুষ্টিয়ায় শর্টগান উদ্ধার

কুষ্টিয়ার মিরপুরে পুলিশের অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিদেশী শর্টগান উদ্ধার হয়েছে। সোমবার দুপুরে মিরপুর থানা পুলিশ উপজেলার আহম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুপুরে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে আহম্মদপুর এলাকার চরমপন্থী সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর শীর্ষ নেতা ইসমাইল হোসেন পাঞ্জেরের সেকেন্ড ইন কমান্ড কলিমুদ্দিন ওরফে কালু’র বাড়ির আঙিনায় আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সেখানে হানা দেয়। এসময় কলিমুদ্দিন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেলে পুলিশ তার বাড়ির আঙিনা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বিদেশী শর্টগান উদ্ধার করে।

কুষ্টিয়ার ভোটার বেড়েছে ৫১ হাজার ৯৪১

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের দ্বিতীয় দফায় সোমবার কুষ্টিয়ার হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সর্বশেষ হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলায় ভোটার বেড়েছে ৫১ হাজার ৯৪১। এদের নিয়ে বর্তমানে কুষ্টিয়ায় মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়াল ১২ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৬৮। কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভার কার্যালয়ে এ তালিকা পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, ২০০৯ সালের সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকায় কুষ্টিয়ার ভোটার ছিল ১১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৭ জন। খসড়া তালিকায় ৫১ হাজার ৯৪১ জন ভোটার বেড়ে হয়েছে ১২ লাখ ২৩ হাজার ৩৬৮ জন। কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার মতিয়ার রহমান জানান, প্রকাশিত হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকায়ও যদি কেউ বাদ পড়েন বা কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা অফিসে উপস্থিত হয়ে ভোটাররা ৩০ মার্চের মধ্যে দাবি আপত্তি জানাতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ফরমে তালিকায় অন্তর্ভূক্তি হওয়ার সুযোগ পাবে ভোটার হতে ইচ্ছুক যোগ্য নাগরিকরা। আগামী ২২ এপ্রিল জেলার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে।

দৌলতপুরে কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি, দৌলতপুর
দৌলতপুরের ড. মুহাম্মদ গার্লস কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর উপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শনি ও রোববার ক্লাস বর্জন করে কলেজে বিক্ষোভ করেছে। তার নিপীড়নকারি হিসেবে অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারন দাবি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগোয়ানস্থ ড. মুহাম্মদ ফজলুল হক গার্লস কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের জনৈক শিক্ষক পরীক্ষার সাজেশন দেওয়ার নামে ওই কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী জনৈক ছাত্রীকে কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বিজ্ঞানাগারে নিয়ে যায়। এ সময় শিক্ষক কক্ষের দরজা আটকে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে চুম্বনসহ শরীরের হাত দেয়। ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে কলেজের শিক্ষিকা হাবিবা খাতুন ও শিক্ষার্র্থীরা ছুটে গিয়ে ধস্তাধস্তির দৃশ্য দেখে কলেজ কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। কর্তৃপক্ষ তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌছে দেয়। এ খবর কলেজের সকল ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে শনি ও রোববার তাঁরা ক্লাস বর্জন বিক্ষোভ করে অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারনসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। ঘটনার পর ওই শিক্ষক গাঁ ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ নাসরিন আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গৃহবধূ ধর্ষনের অভিযোগে দৌলতপুরে প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি, দৌলতপুর ॥
স্বামীর অনুপস্থিতিতে ঘরে প্রবেশ করে এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে এক প্রধান শিক্ষক। শনিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মাদাপুর গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লম্পট ওই প্রধান শিক্ষককে আটক করে পুলিশে দিলেও পুলিশ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হেফাজতে দিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেয়। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে স্থানীয় জনগনের চাপে পরে ওই প্রধান শিক্ষককে রোববার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, জয়পুরের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাদাপুর গ্রামের এক গ্রহবধুর ঘরে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ওই গ্রহবধুর রূপালীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে লম্পট শিক্ষককে হাতে নাতে আটক করে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে মথুরাপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ হুমায়ুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লম্পট প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে স্থানীয়দের হেফাজতে সোপর্দ করে। পরে রোববার দুপুরে এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্থ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। এর আগে ওই শিক্ষকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, স্থানীয় কিছু লোক আমাকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লম্পট প্রধান শিক্ষকের বিদ্যালয় থেকে অপসারন দাবি করেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিগত দিনে ্এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।

দৌলতপুরে ছেলের হাতে মা খুন

বিশেষ প্রতিনিধি, দৌলতপুর ॥
দৌলতপুরে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ছেলের হাতে খুন হয়েছে মা। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মধুগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মধুগাড়ী গ্রামের আলেফ উদ্দীনের ছেলে সেলিম বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছিল। এটি তার বাবা-মা পছন্দ করত না। এ নিয়ে সেলিমের ও তাঁর পরিবারের লোকজনের সাথে মাঝে মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এসব ঘটনা নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় সেলিমের সাথে তাঁর মা হানিফা খাতুনের (৪৬) মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এর এক পর্যায়ে সেলিম ধারালো হাসুয়া দিয়ে তাঁর মায়ের গলা ও বুকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ রাত ৮ টার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০১০

কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের সম্মেলন

দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ছাত্রদলের কুষ্টিয়া জেলা সম্মেলন। আজ সকাল ১১টায় কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে তিনি বক্তব্য রাখেন। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় ছাত্র নেতাদের মধ্যে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। সম্মেলন উপলৰে শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সোমবার, ৮ মার্চ, ২০১০

কুষ্টিয়ায় পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ একজন নিহত

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে মঞ্জু (২৭) নামের একজন নিহত হয়েছে। আজ সোমবার ভোর রাতে সদর উপজেলার আব্দালপুর ইউনিয়নের পিয়ারপুর নামক স্থান থেকে পুলিশ তারা লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশের দাবি...তাদের সাথে বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে সে নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে, নিহত মঞ্জু চরমপন্থী সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর গলাকাটা কালু গ্রুপের সামরিক কমান্ডার। ঘটনাস্থল থেকে ১টি এলজি ও ৫রাউন্ড গুলি উদ্ধারের দাবিও তাদের। পুলিশের বক্তব্য এমন....জাসদ গণবাহিনীর গলাকাটা গ্রুপের শীর্ষ নেতা কালুর সামরিক কমান্ডার মঞ্জুরুল ইসলাম ৮/১০ জনের একটি সশস্ত্র দল নিয়ে পিয়ারপুর ক্যানেল পাড়ের একটি কলাবাগানে বৈঠক করছিলএ সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা (ডিবি) ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ চরমপন্থীদের অবস্থান নিশ্চিত করে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে। সন্ত্রাসীরা এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ১৫মিনিট ধরে চলে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা। এতে মঞ্জুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পালিয়ে যায় তার সহযোগি সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত মঞ্জুরুলের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত মঞ্জুরুল ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার মাইলমারি গ্রামের কিতাব্দী শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ প্রায় আটটি মামলার রয়েছে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। পুলিশ আরো বলছে সাম্প্রতিককালের কুষ্টিয়ায় আলোচিত তিন মাথা কাটা, ইবির গেটে দুই মাথা কাটার ঘটনা ঘটে এই মঞ্জুরুলের নেতৃত্বেই।

বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

পুলিশ রিমান্ডে কুষ্টিয়ায় দুই মহিলার চাঞ্চল্যকর তথ্য

কুষ্টিয়ায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ২ মহিলা লিপি ও কনার রিমান্ড শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করে দুজনকেই পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। হাকিম হাদীউজ্জামান সদর থানায় দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার আরেকটি অস্ত্র মামলায় ১৬৪ ধারায় মিতার জবানবন্দি নেওয়া হয় এবং কণা চৌধুরীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পুলিশ বলছে, সদর থানায় জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ডের প্রথম দিনই লিপি ওরফে মিতা আমাদেরকে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য দিয়েছে।কুষ্টিয়া সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বলেন, সোমবার ও মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হওয়া দুই নারী চরমপন্থীর রিমান্ড চলছে। তারা ভারত থেকে অস্ত্র চালান ও কুষ্টিয়ার অপহরণ সন্ত্রাসের ব্যাপারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে এসব তথ্য তদন্তের সার্থে গোপন রাখা হয়েছে। এসব তথ্য জানাতে অপরগতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া লিপি বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে ভারত থেকে কুষ্টিয়ায় এসেছিল। এবং তার স্বামী শীর্ষ সন্ত্রাসী মুক্তি শাহীন প্রতিপক্ষের হাতে গত ৯ ফেব্রুয়ারী নিহত হওয়ার পর আরো বে-পরোয়া হয়ে ওঠে লিপি। কুষ্টিয়ারই আরেক সন্ত্রাসী ভারতে অবস্থানকারী বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টির এক নেতার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কুষ্টিয়ার টেন্ডারবাজি, অস্ত্র ব্যবসা ও অপহরনের মাধ্যমে মুক্তিপন আদায়ের নকসা তৈরী করতেই তিনি কুষ্টিয়ায় আসেন। এদিকে আরেকজন গ্রেপ্তার হওয়া নারী চরমপন্থী কনার ব্যাপারে পুলিশের দাবি, কণা চৌধুরী (৩২) পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় নারী সদস্য। তিনি ভারতে পালিয়ে থাকা কুষ্টিয়ার অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী বিপুল চৌধুরীর স্ত্রী।

মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

মিরপুরে র‌্যাব ও পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত


মঙ্গলবার ভোরে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের অঞ্জনগাছী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে লাশ পাওয়া গেছে সাইদুল হক নামের এক যুবকের। পুলিশের দাবি-র‌্যাব ও পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিহত সাইদুল নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার ছিলেন। র‌্যাব বক্তব্যানুযায়ী- একদল চরমপন্থী অঞ্জনগাছী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গোপন বৈঠক করছিল। এ রকম সংবাদ পেয়ে তারা পুলিশকে সাথে নিয়ে ভোর পৌনে ৫টার দিকে সেখানে অভিযান চালায়। সে সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থীরা গুলি বর্ষণ করে। র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ বাধে। এক পর্যায়ে চরমপন্থীরা পিছু হটলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক চরমপন্থীর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ এবং একটি এলজি, ৬ রাউন্ড বন্দুকের গুলি ও ৩টি ককটেল উদ্ধার করে। পরে এলাকাবাসী মৃতদেহটি চরমপন্থী সাইদুল হকের বলে শনাক্ত করে। নিহত সাইদুলের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। সে অঞ্জনগাছী গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে।

সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

বাংলা একাডেমীর সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ড. আবুল আহসান চৌধুরী


বাংলা একাডেমীর সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান ড. আবুল আহসান চৌধুরী। শুক্রবার বিকেলে বাংলা একাডেমী চত্বরে আয়োজিত মাসব্যাপী একুশের বই মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা শেষে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট লোক বিজ্ঞানী অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান এ পুরস্কার ঘোষণা করেন। লালন সাইজির উপর গবেষণার জন্য পাওয়া এ সম্মান ড. আবুল আহসান চৌধুরী বাউল ফকির লালন সাঁইকেই উৎসর্গ করেছেন। প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরী বাংলা একাডেমীর পুরস্কার পাওয়ায় কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের মানুষ আনন্দে-উদ্বেলিত। জানা গেছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমী আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরীর হাতে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুরস্কারটি তিনটি ভাগে বিভক্ত। সম্মাননা পত্র, সম্মাননা প্রতিক ও একটি নির্ধারিত অংকের চেক।

ড. আবুল আহসান চৌধুরী
ড. আবুল আহসান চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকেই লেখা-লেখি শুরু করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তাঙ্গন থেকে প্রকাশিত “স্বাধীন বাংলা” পত্রিকায় তিনি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নানা কবিতা ও গল্প লিখে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করেছেন। এরপর তিনি শিক্ষকতায় আত্মনিয়োগ করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি এপার বাংলা ওপার বাংলার সাহিত্যিক, লেখক ও কবিদের নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তিনি দীর্ঘকাল ধরে অমর কথা সাহিত্যিক বিষাদ সিন্ধু রচয়িতা মীর মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে গবেষণা করে মীর মোশাররফ হোসেন’র সাহিত্য ও শিল্পকর্মের উপর ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। এর পর থেকেই তাঁর গবেষণাধর্মী লেখা-লেখি আরও বৃদ্ধি পায়। তিনি একাধারে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহের জীবন, এই উপমহাদেশের প্রথম গ্রামীণ সাংবাদিকতার প্রবাদ পুরুষ কাঙ্গাল হরিণাথ মজুমদার, জলধর সেন এবং সর্বপরি বাউল সম্রাট লালন ফকিরকে নিয়ে তার গবেষণাধর্মী লেখা বই দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমাদৃত হয়। তাঁর ৫০ বছর পূর্তিতে তাঁকে নিয়ে এপার বাংলা ও ওপার বাংলার প্রখ্যাত লেখক, সাংবাদিক ও গবেষকদের একটি গবেষণাধর্মী ৫শ পৃষ্ঠার বই ‘সুবর্ণ রেখার আল্পনা’ প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরীর বইয়ের সংখ্যা ৭০। এবারও একুশের বই মেলায় ড. চৌধুরীর ৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এ সম্পর্কে ড. আবুল আহসান চৌধুরী মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমীর পুরস্কার পেয়ে আমি বিষ্মিত ও আনন্দিত। বিষ্মিত এ কারণে যে, এতদিন পর বাংলা একাডেমী আমার মত একজন মানুষকে পুরস্কৃত করলো। আর আনন্দিত বাংলা একাডেমী আমাদের ভাষা আন্দোলনের ফসল সেই বাংলা একাডেমী আমাকে পুরস্কৃত করেছে সে জন্য। তিনি আরও জানান, কুষ্টিয়া আমার জেলা আমার এ অর্জণ কুষ্টিয়াবাসীর জন্য তাই এ পুরস্কার আমি বাউল ফকির লালন সাঁইকেই উৎসর্গ করলাম।

৭টি হাত বোমাসহ দুই জন গ্রেপ্তার

নাশকতামূলক কর্মকান্ডের জন্য প্রস্তুত রাখা ৭টি হাত বোমাসহ চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের দু’জন বোমা প্রস্তুতকারীকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াহদ ইউনিয়নের বাবুপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম (৪৮) ও একই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের রহিম (৪৬)। পুলিশ জানিয়েছে এসব তথ্য। কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ফারুক হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারি যে, চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজ তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে নাশকতা সৃষ্টির জন্য বোমা নিয়ে তৈরী হচ্ছে। এবং মহান ২১ শে ফেরুয়ারী রাতে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে। তাৎক্ষনিকভাবে ২১ ফেব্রুয়ারী রাতভর অভিযান চালিয়ে শেষ রাতের দিকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথম গ্রেপ্তারকৃত রহিমের বাড়ি থেকে ৭ টি তাজা শক্তিশালী হাতবোমা উদ্ধার করা হয়। এরপর রহিম দাবী করে এ বোমা তার নয়, বোমাগুলো মনিরুল ইসলাম রেখে গেছে। পরে নিজ বাড়ি থেকে মনিরুলকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে এদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, এরা নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের সক্রিয় সদস্য।

হাবিবুল বাশারের বিদায় কেমন হবে


হাবিবুল বাশার ক্রিকেট থেকে বিদায় নিচ্ছেন। ৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা-চট্টগ্রামের ম্যাচের প্রথম দিন সেঞ্চুরির পর যখন দর্শক অভিনন্দনের জবাব দিতে দিতে বেরিয়ে আসছিল, তখনো হয়তো সিদ্ধান্ত নেননি বিদায়ের। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানান নি। জাতীয় লিগের ওই ম্যাচের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে কথা বলেছেন হাবিবুল। সেখানেই নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। বিসিবি পরিচালক এবং মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন 'সুমন (হাবিবুল বাশার) আমার সঙ্গে কথা বলেছে। জানিয়েছে, সে আর খেলাটি চালিয়ে যেতে চায় না। সে যেহেতু দীর্ঘদিন জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিল, তাকে তাই আমরা মাঠ থেকে বিদায়ের ব্যবস্থা করব। ইংল্যান্ডের সাথে চলতি সিরিজের কোনো একদিন সেই ব্যবস্থা করা হবে।' হাবিবুলও হয়তো অপেক্ষায় আছেন সেই মুহূর্তের। তাই তো এখনই মুখ ফুটে কিছু বলছেন না। তবে আজ থেকে শুরু হওয়া খুলনার ম্যাচটিতে না খেলার কথা ঠিকই জানিয়েছেন তিনি, 'ফিটনেসের কারণে এই ম্যাচটি আমি খেলছি না। আর ক্রিকেটকে বিদায় জানাব কি না, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে ধরে নেয়া হচ্ছে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ১০৩ রান হয়ে থাকছে তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংস। এমন শেষটা আসলে প্রাপ্যই হাবিবুলের। ক্রিকেটকে তো আর কম দেননি তিনি। জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং ব্যাটসম্যান_দুই ভূমিকায়ই দারুণ সফল। ৫০ টেস্টের ৯৯ ইনিংসে করেছেন ৩০২৬ রান। সর্বোচ্চ ১১৩, গড় ৩০.৮৭। সেঞ্চুরি তিনটির পাশাপাশি আছে ২৪টি হাফ সেঞ্চুরি। ফিফটির এই বহরের কারণে তো একসময় হাবিবুলের নামই হয়ে গিয়েছিল 'মিস্টার ফিফটি'। ওয়ানডেতে ১১১ ম্যাচে ২১৬৮ রান করেছেন ২১.৬৮ গড়ে। কোনো সেঞ্চুরি না থাকলেও আছে ১৪টি হাফ সেঞ্চুরি। আর ফার্স্ট কাস ক্রিকেটে ৯১ ম্যাচে সাত সেঞ্চুরি ও ৪১ হাফ সেঞ্চুরির অলংকারে হাবিবুলের রান ৫৫৭১। পরিসংখ্যানে সফল এক ব্যাটসম্যানেরই প্রতিচ্ছবি। একই রকম সফল তিনি অধিনায়কত্বেও। ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের আগে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ পর্যন্ত হাবিবুলের নেতৃত্বে সাকুল্যে ১৮টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে এক জয় ও চার ড্রয়ের বিপরীতে হার ১৩টিতে। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ও সিরিজ জয় এসেছিল হাবিবুলের অধিনায়কত্বেই। ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক তিনি। নেতৃত্ব দেওয়া ৬৯টি ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ২৯টিতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এবড়ো-থেবড়ো পথে চলা একটি দলের জন্য এটি কম তো নয়! শুধু জিম্বাবুয়ে-কেনিয়া নয়, এ সময় ভারত (দুবার), অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও জিতেছে বাংলাদেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপে তো হাবিবুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ উঠে গিয়েছিল সুপার সিক্স পর্বেই! ওই বিশ্বকাপের পর থেকেই আসলে শুরু হয় ব্যাটসম্যান হাবিবুলের অধোগতি। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পর হারান অধিনায়কত্ব। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের পর বাদ পড়েন দল থেকে। একসময় বাংলাদেশের ত্রাণকর্তা ছিলেন যিনি, যাঁর মাঠে নামা মানেই ছিল ফিফটির নিশ্চয়তা, সেই হাবিবুল ৫০ পেরোননি ১৯ ইনিংসে। এসবের সমীকরণে সেই যে বাদ পড়লেন, আর জাতীয় দলে ফিরতে পারেননি।ফিরবেন কী, মাঝে তো নিষিদ্ধ ক্রিকেট লিগ আইসিএলে গিয়ে বনে গিয়েছিলেন খলনায়ক! হয়েছিলেন নিষিদ্ধ। সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে; ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে প্রিমিয়ার লিগে ভালোই রান করেছেন হাবিবুল। আর জাতীয় লিগে তো রীতিমতো দুর্বার। সাত ইনিংসে মাঠে গিয়ে পাঁচটিতেই খেলেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। এই রানের মধ্যে থেকেই বিদায় জানালেন ক্রিকেটকে।ছোটবেলায় ক্রিকেটারই হতে চাননি হাবিবুল। কিভাবে কিভাবে যেন তা হয়ে গেলেন! বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের একাদশে তাঁর থাকার কথা ছিল না। অনেক নাটকের পর সুযোগ পেয়ে খেললেন ৭১ রানের সেই অবিস্মরণীয় ইনিংস। আগে কখনো সেভাবে অধিনায়কত্ব করেননি। জাতীয় দলের নেতৃত্ব পেয়ে হয়ে গেলেন সফলতম অধিনায়ক। কে জানে, দারুণ সফল এক ক্যারিয়ার শেষে নতুন কোনো ভূমিকায় এই সাফল্যকেও ছাড়িয়ে যান কি না হাবিবুল বাশার!

রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের হামলায় দু’সাংবাদিক আহত :এসআই ওবাইদুল ক্লোজড

ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলায় কুষ্টিয়ায় দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি শরীফ বিশ্বাস ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি তৌহিদ হাসান গুরুতর আহত হয়েছে। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনার্স ভর্তিতে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের বাধা প্রদানের খবর পেয়ে এ দুই সাংবাদিক রবিবার বেলা ১১টায় সেখানে পৌছালো বহিরাগত সন্ত্রাসী মীর সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এনামূল বারী সুমন ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ অর্ধশত উচ্ছৃংখল নেতা-কর্মী তাদেরকে লাইব্রেরী ভবনের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে বেধড়ক মারপিট করে। অন্যান্য সাংবাদিকগণ খবর পেয়ে পুলিশের সহায়তায় গুরুতর আহত দু’সাংবাদিককে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ সভা করেছে জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ। প্রেসক্লাবে আয়োজিত প্রতিবাদ সভা শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
সাংবাদিক নির্যাতনের সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বেলা সোয়া ৩টায় পুলিশ সুপার শাহাবু্িদ্দন খানের সাথে বৈঠক করেন সাংবাদিকবৃন্দ। এ বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাযহারুল আলম সুমনসহ বক্তব্য রাখেন দৈনিক আন্দোলনের বাজার পত্রিকার সম্পাদক মনজুর এহসান চৌধুরী, প্রেসক্লাব সভাপতি গাজী মাহবুব রহমান, সাধারন সম্পাদক ও যুগান্তর প্রতিনিধি আল মামুন সাগর, আমাদের সময় প্রতিনিধি সামসুল আলম স্বপন, সমকাল প্রতিনিধি সাজ্জাদ রানা, দেশতথ্য পত্রিকার সম্পাদক এস এম হালিমুজ্জামান। এছাড়াও কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত সকল দৈনিক, সাপ্তাহিক, জাতীয় দৈনিক ও টেলিভিশন চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং কর্তব্যে অবহেলার কারণে ঘটনার সময় কলেজে দায়িত্বরত এসআই ওবাইদুলকে ক্লোজড করা ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাযহারুল আলম সুমন ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বহিস্কার এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন।

শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত

কুষ্টিয়ায় পৃথক দুটি সড়ক দূর্ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের খয়েরপুর নামকস্থানে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় চুয়াডাঙ্গা জেলার জয়রামপুর গ্রামের আব্দুল জলিল (৫৪) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আর বেলা ১১টায় শহরতলীর বারখাদা ত্রিমোহনী বিএলটিসি টোব্যাকোর সামনে ট্রাকের চাপায় নিহত হয় অজ্ঞাতনামা এক পথচারী। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় ক্রসফায়ার: হবি কবিরাজ নিহত


কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চিলমারী চরে র‌্যাব-পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী পান্না বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডার হবি কবিরাজ (৪০) নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৭রাউন্ড রাইফেলের তাজাগুলি ও ৫ রাউন্ড গুলির খোসা, ৯টি বোমা ও ২টি রামদা উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোসেনাবাদ র‌্যাব ক্যাম্প ও দৌলতপুর থানা পুলিশ যৌথভাবে চর চিলমারির বাজুমারা খেয়া ঘাটে অভিযান চালায়। সেখানে বৈঠকরত পান্না বাহিনীর সন্ত্রাসীরা র‌্যাব-পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র‌্যাব-পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় ক্রসফায়ারে পড়ে হবি কবিরাজ নিহত হলে অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। নিহত হবি কবিরাজের বিরুদ্ধে ৬টি হত্যাসহ ১০টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

চাল ব্যবসায়ী আফিল উদ্দিন নিহতের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় চালকল মালিক সমিতি চাল উৎপাদন বন্ধ রেখেছে

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরের ভিআইপি রাইচ মিলের মালিক ও ঢাকার বাবু বাজারের বিশিষ্ট্য চাল ব্যবসায়ী আফিল উদ্দিন ছিনতাইকারীদের গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা বুধবার সকাল থেকে কুষ্টিয়ার প্রায় ৩ শতাধিক চালকল বন্ধ রেখেছে। মঙ্গলবার বেলা ৩টায় চাল বিক্রির অর্থ সংগ্রহ করে ঢাকাস্থ বাবু বাজারের বাসায় ফেরার পথে ৫/৬জনের একদল ছিনতাইকারী তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে আফিল উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় ছিনতাইকারীরা আফিল উদ্দীনের কাছে থাকা নগদ ৩০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এ ঘটনার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ার খাজানগরের চালকল মালিক সমিতি তাদের উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ বাবলু জানিয়েছেন, আফিল উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে কুষ্টিয়ার প্রায় ৩ শতাধিক চালকল বন্ধ রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

শীর্ষ অপহরণকারী ইউপি মেম্বর মুক্তি শাহীন নিহত


কুষ্টিয়ায় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছে জেলার শীর্ষ অপহরণকারী সন্ত্রাসী জাসদ গণবাহিনীর নেতা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শাহীন বেগ ওরফে মুক্তি শাহীন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের সাইবাড়ীয়ার বিলের মাঠ থেকে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। সোমবার রাত ৯টার দিকে পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা রাজিব জাসদ গণবাহিনীর শীর্ষ নেতা শাহীন বেগকে গুলি করে হত্যার দায় স্বীকার করে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে ফোন করে বিবৃতি প্রদান করেন। এ সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে তল¬াশী অভিযান শুরু করলেও গভীর রাত পর্যন্ত লাশ উদ্ধার করতে না পেরে অভিযান সাময়িক বন্ধ রাখে। পরে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আবারও অভিযান চালিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার সময় সাইবাড়ীয়ার বিলের মাঠ থেকে গুলি বিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, নিহত শাহীন বেগ ওরফে মুক্তি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের হাড়–রিয়া গ্রামের ফরিদ উদ্দিন বেগের ছেলে। সে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সদর, পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমাডাঙ্গা থানায় একাধিক হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজীর মামলা রয়েছে।

দৌলতপুর থেকে অস্ত্র, রামদা ও ফেনসিডিলসহ দুই ব্যক্তি আটক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাজুমারা খেয়াঘাট চর এলাকা থেকে র‌্যাব-১২ এর সদস্যরা রোববার রাতে অস্ত্রসহ গুলি, রামদা ও ফেনসিডিলসহ দুই সন্ত্রাসীকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, একই উপজেলার ফিলিপনগর এলাকার আহাদ প্রামানিকের ছেলে শাহীন প্রামানিক (২৪) ও রাজশাহী জেলার বাঘমারা উপজেলার মোল্লা প্রামানিকের ছেলে মানিক প্রামানিক(৩০)।

ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার

গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুই সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে ভেড়ামারা উপজেলার কাঠেরপুল এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩০) ও আনসার রহমানের ছেলে শামীম রহমান (৩১)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাঠেরপুল এলাকা থেকে এদেরকে একটি নাইন এম এম পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় কাঠেরপুল এলাকায় গ্রেপ্তারকৃত ওই দুই যুবককে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে চ্যালেঞ্জ করে পুলিশ। যুবকদয়ের দেহ তল্লাশী করে একটি নাইন এম এম পিস্তল উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা চাঁদাবাজীসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে। তাদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।

রুমী ছিলেন ছাত্র রাজনীতির অহংকার

কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আহমেদ জালাল আক্কাস রুমি’র অকাল মৃত্যুতে স্মরণসভা করেছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ। শনিবার বিকেল ৪ টায় স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে খন্দকার ইকবাল মাহমুদ’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ্যাড. শামসুল আলম দুদু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের সাবেক জিএস আজগর আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আ.খ.ম.সরোয়ার জাহান বাদশা, প্রয়াত রুমী’র বড় ভাই জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক এ্যাডঃ বায়েজিদ আক্কাস প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, রুমী ছিলেন ছাত্রলীগের অহংকার।

সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় কথা সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন হয়েছে। শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাংসদ বেগম সুলতানা তরুন ফলক উন্মোচন করে অডিটোরিয়ামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ধীরেন্দ্রনাথ সরকার, কুমারখালী উপজেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, লালন একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক তাইজাল আলী খান প্রমুখ। জেলা পরিষদ’র অর্থায়নে প্রায় ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটায় এই আধুনিক মানের অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়।

শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

অসহ্য হাত


অসহ্য হাত। বাসের হেলপারের। বাসযাত্রী এই ছাত্রীর পিঠে। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কে চলা প্রতিটি বাসেই কন্ডাকটার অথবা হেলপার দরজা আটকে দাড়িয়ে এভাবে যাত্রী উঠানো নামানোর কাজ করে থাকে। উদ্যেশ্য স্কুল কলেজ গামী ছাত্রী বা মহিলাদের পিঠে, গায়ে হাত দেয়া। উত্যক্ত করা। ছবি ও লেখা : সাগর আহম্মেদ, খোকসা।

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ


অবৈধভাবে ২০০ আসন দাবী করে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষে (সম্মান) ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। সোমবার সকাল ১০টায় প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের মৌখিক পরীক্ষার কার্যক্রম চলাকালে কুষ্টিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে প্রবেশ করে পরীক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা কলেজের ক্যাশবাক্সও দখল করে নেয়। পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়, তবে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

কুষ্টিয়ায় পুলিশের নতুন ইউনিট ‘ধাবমান দল’

কুষ্টিয়ায় পুলিশের নতুন এক ব্যতিক্রমী ইউনিট ‘ধাবমান দল‘র উদ্বোধন করা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে সন্ত্রাস কবলিত এ জেলায় জেলা পুলিশের ওই দল মানুষের অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ধাবমান দল উদ্বোধনকালে এসপি শাহাবুদ্দিন খান বলেন, কুষ্টিয়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে। তারপরও জেলা পুলিশ বিভিন্ন সময়ে কৌশল পরিবর্তন করছে, যার নমুনা এই ধাবমান দল। এরা ৪টি মটরসাইকেলে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে শহরের সব পয়েন্টে টহল দিবে। এসময় তারা ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণে সন্দেহজনকদের চেকিংসহ বিভিন্ন কৌশলে মানুষের অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে। থাকবে নির্দিষ্ট মোবাইল নাম্বার, শহরে বিপদে ফোন করলেই পাওয়া যাবে এদের। উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র শাহা, সদর সাকেল সি এ হালিম।

দৌলতপুরে ১৩ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ১৩ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার দৌলতপুর উপজেলার গাছের দিয়ার গ্রামের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রবজেল হোসেন মালিথা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে একই এলাকার রেজাউল হক, সোনা মিয়া, আতাহারসহ ১৩ জন রবজেল হোসেন মালিথার পিতা মোজাম্মেল হক ও চাচা আকছের আলীকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং বাড়িতে লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করে।

শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১০

ইবি ক্যাম্পাস থেকে চরমপন্থী গ্রেপ্তার, আগ্নেআস্ত্র ও বোমা উদ্ধার


কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে বহিরাগত বিল্লাল নামের এক চরমপন্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল ৫ টায় ক্যাম্পাসের মধ্যে সন্দেহাতীতভাবে ঘোরাঘুরির সময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তিতে শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার সময় ইবি গেটের যাত্রী ছাউনির পেছন থেকে একটি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি ও ৩ টি ককটেল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। চরমপন্থী বিল্লালকে নিয়ে আগ্নেআস্ত্র, গুলি ও বোমাসহ বেলা সাড়ে ১২ টার সময় সাংবাদিকদের বিফ্রিংয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সি এ হালিম বলেন, গ্রেফতারকৃত বিল্লাল জাসদ গণবাহিনীর অন্যতম ক্যাডার। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত বিল্লাল বলেন, সে একজন কৃষক এবং এস এস সি পাশ। বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ভায়ের সাথে দেখা করতে সে ক্যাম্পাসে যায়। অস্ত্র কোথায় পেলেন জানতে চাইলে, পুলিশ তাকে আর কথা বলতে দেয়নি।

বাবা গলাটিপে শিশুকন্যাকে হত্যা করে পুতে রাখে গড়াই’র চরে



কুষ্টিয়া শহরতলীর লালন মাজার সংলগ্ন ছেউড়িয়া মন্ডলপাড়া গ্রামে নেশাখোর বাবা নিজে তার শিশুকন্যাকে গলাটিপে হত্যা করে বস্তাবন্দি করে বালুচরে পুতে রাখে। পচেঁ গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে শিয়াল কুকুর বালু সরিয়ে মৃত শিশুটির পেটের অংশ থেকে খাওয়া শুরু করে। ১৮ জানুয়ারী রাতে হত্যা করা ওই শিশুর লাশ ১০ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিকট গন্ধে মানুষ টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। বাধবাজার এলাকায় গড়াই’র চরে বালুর খুড়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। শুক্রবার শেষ বিকেলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত করে শিশুর লাশ তার নানী বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই মারিয়ার লাশ দাফন করার সময় হৈচৈ পড়ে যায়। নিজ শিশুকন্যার লাশ দেখে মা রুপা খাতুন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। নিহত শিশু কন্যার নাম মারিয়া (দেড় বছর)। এ নিয়ে কুমারখালী থানায় নিহত মারিয়ার মা রুপা খাতুন বাদী হয়ে ঘাতক বাবা মাহাবুল ইসলামের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এর আগেই পাষন্ড বাবা ঘরে তালা দিয়ে আত্মগোপন করেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসি জানিয়েছে, আয়ের সব টাকা নেশা করে শেষ করে এসে নিহত মারিয়ার রিক্সাচালক বাবা প্রায় প্রতিরাতেই স্ত্রী রুপা খাতুনের উপর নির্যাতন চালাতো। মেয়ে বড় হচ্ছে, খেতে দিতে হবে, বিয়ে দিতে হবে এইসব বলে স্ত্রীকে মেয়ে মেরে ফেলার কথা কলতো। ভয়ে স্ত্রী রুপা খাতুন স্থানীয় বড়বাজারে কাজ নেয়া তুলার ফ্যাক্টরিতে যাওয়া বাদ দিয়ে শিশু কন্যাকে পাহারা দিত। গত ১৮ জানুয়ারী ঘরে চাল না থাকায় রুপা কাজে যায়। রাতে ফিরে এসে শিশুকন্যা মারিয়াকে না পেয়ে স্বামীর কাছে জানতে চাইলে শুরু করে মারধর। গভীর রাতে স্বামী তাকে জানায় তোর মেয়েকে গলাটিপে মেরে ফেলেছি, লাশ পুতে রেখেছি। এই খবর স্থানীয় পুলিশিং কমিটির মাধ্যমে পুলিশকে জানালে, পুলিশ প্রমাণ চায়। শেষমেশ রুপা খাতুন নিজেই বালু চরের উচু উচু ঢিবি সরিয়ে লাশ খুজতে শুরু করে। পায় না। প্রতিদিনই সে পাগলের মতো আদরের ধনকে এভাবে খুঁজে বেড়াতো। ১০ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিকট গন্ধে বালু চরে শিশুর লাশ আবিস্কার করে এলাকাবাসি। পরে রুপা এসে তার মেয়ে শনাক্ত করে সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। বাবার হাতে নিহত মারিয়ার লাশ ইতিমধ্যে শিয়াল কুকুরে পেটের অংশ খেয়ে ফেলেছে বলে জানান ময়না তদন্তকারি ডাক্তার। শুক্রবার ময়না তদন্ত শেষে সন্ধায় শিশু মারিয়ার লাশ তার নানী বাড়ি দাফন হয়েছে।

ইবিতে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত-২০, মহাসড়ক অবরোধ

মূর্তজা খসরু নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর প্রতিবাদে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জুড়ে সৃষ্টি হয় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এ পরিস্থিতি শেষ মেষ সংঘর্ষে রূপ নেয়। ছাত্রলীগ নেতা আলী মূর্তজা খসরুর মুক্তির দাবীতে ভোর ৬টা থেকে ক্যাম্পাস ভাংচুর শুরু করে তার পক্ষের ছাত্রলীগ নেতারা। তালা ঝুলিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও প্রশাসনিক ভবনে। এতেও কাজ না হলে শেষে বিক্ষুব্ধ ওইসব ছাত্রলীগ নেতারা অবরোধ করে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক। এতে প্রায় দু’ ঘন্টা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অচল হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি শান্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মোতায়েন করা হয় কয়েক প্লাটুন পুলিশ। সকাল ৯টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ ছাত্রদেরকে সড়ক অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করে। ছাত্ররা না মানলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে। থেমে থেমে সংঘর্ষে আহত হয় পুলিশসহ অন্ততপক্ষে ২০জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের দাবী, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কাউন্সিল। এ কাউন্সিলে খসরু সভাপতি প্রার্থী। খসরু বঙ্গবন্ধু হল শাখার আহবায়ক। গ্রেপ্তারকৃত খসরু পক্ষের ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, কাউন্সিলে যাতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা না করতে পারে সেই জন্যই প্রতিপক্ষ একটি মহল পরিকল্পিতভাবে খসরুকে গ্রেপ্তার করিয়েছে।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, ছাত্রলীগ নামধারী খসরু এ অঞ্চলের ত্রাস জাসদ গনবাহিনীর শীর্ষ নেতা কালু’র ভাই। এছাড়াও খসরুর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে।

কুষ্টিয়ায় জাগরণের গান

সকল পেশাজীবি মানুষ জাগরণের গানে উদ্বেলিত হলো। ২৮ জানুয়ারি বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ‘জাগো বাঙালি জাগরণের গানে’ শিরোনামে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর উন্মুক্ত মঞ্চে পরিবেশিত হলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সাড়া জাগানো গান গুলো। প্রথম আলো বন্ধুসভার আয়োজনে বাংলালিংকের সহযোগিতায় এ ‘জাগরণের গান’ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ঢাকার জাগরণের শিল্পীসহ কুষ্টিয়া বন্ধুসভার সদস্যরা। এছাড়া অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া জেলা সংসদের শিল্পীরাও গান পরিবেশন করে। উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো বন্ধুসভার জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান রওশন, প্রথম আলোর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান।

বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১০

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর


অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো। বুধবার রাত ১২টার পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা পাঁচ আসামি হলেন লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার), লে. কর্নেল মুহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল সুলতান শাহারিয়ার রশিদ খান। তাঁরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর সাতজনের মধ্যে আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, মোসলেমউদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও আব্দুল মাজেদ বিদেশে পালিয়ে আছেন। তাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের পরোয়ানা রয়েছে। দণ্ডিত অপরজন আব্দুল আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভোর রাতে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে প্রাণ হারান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু-পরিবারের অধিকাংশ সদস্যও সেই নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হন। নিহতরা হলেন, বেগম ফয়জুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল, পারভিন জামাল রোজি, শেখ আবু নাসের, আবদুর সেরনিয়াবত, শেখ ফজলুল হক মনি, বেগম আরজু মনি, বেবি সেরনিয়াবাত, সুকান্ত আবদুল্লাহ, শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নাইন খান রিন্টু ও আরিফ সেরনিয়াবাত। ওই তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরের থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। শেখ হাসিনা বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন হওয়ার পর খন্দকার মোশতাকের সরকার ক্ষমতা গ্রহণ এবং কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। পরে জিয়াউর রহমানের সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটি জাতীয় সংসদে পাস করে। এর ফলে ২১ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ থাকে। একই সঙ্গে কারাগারে জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের বিচারও বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু সরকারের তত্কালীন মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতসহ আট হত্যা এবং কামানের গোলায় মোহাম্মদপুরের শের শাহসুরী রোডের ১৪ জনকে হত্যার বিচার কার্যক্রম।১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল রায় ঘোষণা করেন। এতে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের শুনানি হয় হাইকোর্টে। ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ রায় প্রদান করেন। বিচারপতি মো. রুহুল আমিন ১০ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। অপর বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ১৫ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১০

মিরপুরে টেন্ডার ড্রপিংকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দু’ গ্রুপের সংঘর্ষ

কুষ্টিয়ার মিরপুরে টেন্ডার ড্রপিংকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ক্যাডারদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে একই দলের অপর গ্রুপের এক নেতা। তার নাম আশরাফুল ইসলাম। গতকাল বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মিরপুর পৌরসভা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আশরাফুল এলজিইডি ও পৌরসভার বেশ কয়েকটি সিডিউল ক্রয় করে। যার ড্রপিংয়ের শেষ সময় ছিল দুপুর ১২টা। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মিরপুর পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার তার দলবল নিয়ে আলিফ এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার অপর গ্রুপের যুবলীগ নেতা আশরাফুলকে টেন্ডার ড্রপিং করতে নিষেধ করে এবং তার হেফাজত থেকে সকল সিডিউল ফেরত চায়। এতে আশরাফুল রাজী না হলে ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার ও তার দলবল আশরাফুলের ওপর চড়াও হয় এবং লোহার রড ও লাঠি সোটা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আতংক সৃষ্টি করতে গুলিও ছোড়ে। পরে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে মিরপুরে যুবলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আশরাফুল মিরপুর থানা যুবলীগের সদস্য।

ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা মামলা থেকে সব আসামী খালাস

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলোচিত গোলাম মস্তফা ওরফে মুকুল হত্যা মামলা থেকে ২৪ আসামীই খালাস পেয়েছে। মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার স্পেশাল জজ এজলাসে বিচারক সাজেদুল করিম এই রায় ঘোষনা করেছেন। এসময় আদালত প্রাঙ্গণে অনেক লোকসমাগম হয়। ২০০৪ সালের ২১ এপ্রিল আমবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা গোলাম মস্তফা ওরফে মুকুলকে সন্ত্রাসীরা গুলি ও জবাই করে হত্যা করে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর গতকালের এ রায়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিবর চেয়ারম্যান ও ওবাইদুল ওরফে লালসহ (ভারতে নিহত) সকল আসামীকেই খালাস দিয়েছে আদালত। রায় শোনার পর কোন মন্তব্য করেননি নিহতের পিতা মামলার বাদী গোলাম সরোয়ার। মামলার খালাসপ্রাপ্ত আসামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাবেক বিএনপি দলীয় এমপি শহিদুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলায় মূল সন্ত্রাসীদের বাদ দিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিবর চেয়ারম্যান, ওবাইদুল ওরফে লাল ও কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার নাম জড়িয়ে দেন। সে কারনে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি।

ইউনিয়ন নেই, বরাদ্দ আছে

৯৭ সালের পর সেখানে আর কোন নির্বাচন হয়নি। নিজের পদ টিকিয়ে রাখার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করেন তিনি। এরই মাঝে বিলুপ্ত হয়ে যায় তার ইউনিয়ন পরিষদ। একই সাথে তার চেয়ারম্যান পদটিও। নতুন ইউনিয়ন গঠন করার জন্য গেজেট প্রকাশ করা হয় ৮ মাস আগে। তবে তিনি পদ ছাড়তে নারাজ। নানা কৌশলে এখনো তিনিই চেয়ারম্যান থাকতে চান। আর এ ব্যাক্তিটি হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ইউনিয়ন জগতির চেয়ারম্যান। ওই চেয়ারম্যানের বাধার কারনে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে নতুন এক ইউনিয়ন পরিষদ বাস্তবায়নের কাজ। সরকারি গেজেট প্রকাশ হলেও জেলা প্রশাসন এখন পর্যন্ত কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ কারনে নতুন ইউনিয়নের বাসিন্দারা সব রকমের সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ক্ষমতাধর এ চেয়ারম্যানের কাছে সবাই অসহায়। জগতি নামে কোন ইউনিয়ন না থাকলেও এখনো সরকারি সব বরাদ্দ এ ইউনিয়নের নামেই দেয়া হচ্ছে। এমনকি স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকেও সম্প্রতি ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। খোঁজনিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার সাবেক ৪ নং জগতি ইউনিয়নের অর্ধেক অংশ কুষ্টিয়া পৌরসভার ভিতরে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারনে সরকার জগতি ইউনিয়ন বিলুপ্ত ঘোষণা করে বটতৈল নামে নতুন ইউনিয়ন বাস্তবায়নের গেজেট জারি করে। এদিকে গেজেট জারির ৮ মাস অতিবাহিত হলেও বিলুপ্ত জগতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন সালাউদ্দিন অবৈধ ভাবে বিভিন্ন কৌশলে ক্ষমতা আকড়ে থাকার চেষ্টা করে আসছেন। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে বিলুপ্ত জগতি ইউনিয়নে চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ৪ লাখ ৪১ হাজার টাকার অনুদান দেয়া হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব হাবিবুর রহমান চৌধুরী সাক্ষরিত এ পত্রটি কয়েক সপ্তাহ আগে জেলা পশাসক হাতে পেয়েছেন। চেয়ারম্যান শাহিন এখনো অবৈধ ভাবে টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের মালও উত্তোলন করছেন। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সোয়েব জানান, জগতি ইউনিয়নকে বিলুপ্ত করে বটতৈলকে নতুন ইউনিয়ন করার ব্যাপারে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা এখনো কার্যকর হয়নি। এ সংক্রান্ত কোন চিঠি আমরা হাতে পায়নি। হাতে পাওয়ার আমরা আর কোন নতুন মাল বরাদ্দ দেব না। এখন টিআর ও কাবিখার মাল জগতির নামেই বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এদিকে ইউনিয়ন বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন উন্নয়ন বঞ্চিত বটতৈল ইউনিয়নের বাসিন্দারা। একটি সংগ্রাম কমিটি গঠণ করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। কমিটির সভাপতি শওকত আকবর জানান, বটতৈলকে নতুন ইউনিয়ন ঘোষনা করে সরকার থেকে অনেক আগে গেজেট প্রকাশ করা হলেও ক্ষমতালোভি শাহিন চেয়ারম্যানের কারনে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নতুন ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে কাজ শুরুর দাবি জানান তিনি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম পরিষদের নেতা ডাঃ মিজানুর রহমান জানান, জগতি নামে আর কোন ইউনিয়নের অস্তিত্ব এখন নেই। বটতৈল ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু না করার কারণে সাধারণ মানুষ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জেলা প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ অবস্থায় আন্দোলনে নামা ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই আমাদের সামনে। এদিকে গত সপ্তাহে স্থাণীয় সরকার মন্ত্রানলয় থেকে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকে এক পত্রের মাধ্যমে নতুন বটতৈল ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান জানান, স্থাণীয় সরকার থেকে একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। চিঠি বটতৈল ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশ মোতাবেক আমরা দ্রুত কাজ শুরু করবো। এখন আর বটতৈল ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু করতে কোন বাধা নেই বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শাহিন সালাউদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জগতি ইউনিয়ন বিলুপ্ত হলেও নতুন ইউনিয়ন বাস্তবায়নের কোন চিঠি আমি পায়নি। তাই এখনো আমিই চেয়ারম্যান।

ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা মামলা থেকে সব আসামী খালাস

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলোচিত গোলাম মস্তফা ওরফে মুকুল হত্যা মামলা থেকে ২৪ আসামীই খালাস পেয়েছে। মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার স্পেশাল জজ এজলাসে বিচারক সাজেদুল করিম এই রায় ঘোষনা করেছেন। এসময় আদালত প্রাঙ্গণে অনেক লোকসমাগম হয়। ২০০৪ সালের ২১ এপ্রিল আমবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা গোলাম মস্তফা ওরফে মুকুলকে সন্ত্রাসীরা গুলি ও জবাই করে হত্যা করে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর গতকালের এ রায়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিবর চেয়ারম্যান ও ওবাইদুল ওরফে লালসহ (ভারতে নিহত) সকল আসামীকেই খালাস দিয়েছে আদালত। রায় শোনার পর কোন মন্তব্য করেননি নিহতের পিতা মামলার বাদী গোলাম সরোয়ার। মামলার খালাসপ্রাপ্ত আসামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাবেক বিএনপি দলীয় এমপি শহিদুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলায় মূল সন্ত্রাসীদের বাদ দিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিবর চেয়ারম্যান, ওবাইদুল ওরফে লাল ও কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার নাম জড়িয়ে দেন। সে কারনে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি।

বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়া হাসপাতালে নার্স তনুশ্রী উপর হামলা, কর্মবিরতি, দূর্ভোগ

সেবিকা তনুশ্রীর উপর শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ও দোষী ব্যক্তির শাস্তি দাবীতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাপসাতালে গত তিনদিন ধরে চলছে সেবিকাদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচী। অবিলম্বে নির্যাতনকারীকে গ্রেফতার না করা হলে তারা হাসপাতালে যোগদান করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সেবিকারা বিক্ষোভ মিছিলও করেছে। ভাংচুর করেছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ও। ঝুলিয়ে দেয় হাসপাতালের অধিকাংশ ওয়ার্ডে তালা। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দূর্ভোগ। ১৫ জানুয়ারী দুপুরে নার্স ডিপোমা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী তনুশ্রী সরকার হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী আনিসের হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। গুরুতর আহত হয় তনুশ্রী সরকার। ওইদিনই কুষ্টিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তনুশ্রী। কিন্তু৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও আসামী গ্রেফতারে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়না। বরং প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় নির্যাতনকারী আনিস। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সেবিকারা। নার্সিং ইনস্টিটিউটের ১৩৮জন ছাত্রী একযোগে কাজে যোগদান না করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘোষনা করে নানা কর্মসূচী। সোমবার বিক্ষোভ মিছিল শেষে সিভিল সার্জনের অফিস ঘেরাও করে উত্তেজিত ছাত্রীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় সিভিল সার্জন সুবোধ কুমার কুন্ডু। এ সময় সিভিল সার্জনকে না পেয়ে ভাংচুর করে তার কার্যালয়। ঝুলিয়ে দেয় তালা। সেখান থেকে মিছিল সহকারে পূনরায় হাসপাতালে এসে বিক্ষোভকারীরা হাসপাতালের অধিকাংশ কক্ষে ঝুলিয়ে দেয় তালা । অবস্থা বেগতিক দেখে ছুটে আসেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান। তাদেরকে অবস্থান থেকে সরে আসার আহবান জানালেও তাতে সাড়া দেয়নি তারা... বরং আরো জোরদারের ঘোষনা দেয় তারা। তনুশ্রীদের সাথে যোগ দিবে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সরাও।এ ব্যাপারে কয়েকজন অপরাধ বিশ্লেষকের মন্তব্য হলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সহজে কোন অন্যায়ের বিচার পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে নামতে হয় আন্দোলনে। এ ক্ষেত্রে তারা আরেকটি অপরাধ করে বসে। হাসপাতালেও হয়েছে তাই। অন্যায় করেছে আনিস,...তার জন্য ভোগান্তি রোগীদের।

শনিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১০

মহাসড়ক বন্ধ করে কুষ্টিয়ায় বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ

কুষ্টিয়ায় ছাত্রদলের আয়োজনে জেলা বিএনপি দক্ষিণ বঙ্গের সাথে পশ্চিম বঙ্গের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে মজমপুর গেটে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। ভারত সফরকালে প্রধানমন্ত্রী’র চুক্তি শতভাগ দেশ বিরোধী হয়েছে দাবী করে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় এ প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজটের। প্রায় ২০ মিনিটব্যাপী সমাবেশে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। সমাবেশে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধাদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর দেশের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনবেনা। বরং ভারতের স্বার্থ রক্ষার জন্যই তিনি ভারতের সাথে চুক্তি করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে চুক্তি বাতিলের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেবে। এসময় জেলা নেতৃবৃন্দ ছাড়াও অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে শেষ হয়।

দৌলতপুরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, বোমা বিস্ফোরন আহত-১৫

দৌলতপুর প্রতিনিধি
ছাগলে ক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে দৌলতপুরে দু’গ্র“পের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় তিনটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১ টার দিকে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের পোড়া শলুয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৯ জনকে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে পিয়ারপুরের পোড়া শলুয়া গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছাগলে এইক গ্রামের বজলুর রহমানের ক্ষেত খায়। এই ঘটনার জের ধরে দুপুর ১ টার দিকে শহীদুল ও বজলুর রহমানের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ের গ্র“পের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। উভয় গ্র“পের মাঝে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষের সময় বোমা, ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে উভয় গ্র“পের তফেল মালিথা (৫০), নাসির (৩৫), শহীদুল (৪৫), আতেজান (৫০), মিরাজুল (৩৪), তানিয়া (১৯), মহম্মদ (৪০) ও মহাবুল (৩৬) সহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

দৌলতপুরে ডাকাতি ॥ অর্ধলক্ষাধিক টাকার সস্পদ লুট

দৌলতপুর প্রতিনিধি
দৌলতপুরের চিলমারী সরকার পাড়া গ্রামে বুধবার রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা গৃহকর্তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকাসহ প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার জানায়, বুধবার রাত ১২ টার দিকে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত চিলমারী সরকার পাড়া গ্রামের নিহাজ উদ্দীনের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ২৭ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকার সম্পদ লুট করে পালিয়ে যায়। লুটপাটে বাধা দেয়ায় ডাকাতদের অস্ত্রের আঘাতে গৃহকর্তা নিহাজ আহত হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় মোবাইল ও বাইসাইকেলের জন্য যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছিনতাইকারীরা


কুষ্টিয়ায় সামান্য মোবাইল ও বাইসেকেলের জন্য ছিনতাইকারীদল এক যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। রাত সাড়ে ১১ টার সময় কুষ্টিয়া শহরতলী ও কুমারখালী উপজেলার জয়নাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জয়নাবাদ গ্রামের ওই নিহত যুবকের নাম রাশিদুল ইসলাম(১৮)। বুধবার বিকেলে পুলিশ স্থানীয় জনগনের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে স্থানীয় জনতা পারভেজ নামের এক যুবককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রাশিদুল প্রতিদিনের মত কুষ্টিয়া শহরের কুমারগাড়ায় অবস্থিত সেলুনের দোকান বন্ধ করে বাই সাইকেলযোগে বাড়িতে যাবার পথে জয়নাবাদ সলিমের মেহেগনি বাগানের নিকট পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ৫/৬ জনের ছিনতাইকারী তার গতি রোধ করে। তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও বাইসাইকেল ছিনিয়ে নেয়ার সময় রাশিদুল স্থানীয় ছিনতাইকারীদের চিনে ফেললে ছিনতাইকারীরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে রাশিদুলের লাশ সেখান থেকে গড়াই নদীর চরে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতার মর্গে পাঠায়। নিহত রাশিদুল কুমারখালী উপজেলার কারিকর পাড়া গ্রামের মৃত নূর ইসলামের ছেলে।

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় ডাকাতদলের ৩ সদস্য গ্রেফতার


কুষ্টিয়া পুলিশ পাশ্ববর্তি রাজবাড়ি জেলায় অভিযান চালিয়ে আতঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে লুন্ঠিত মালামালসহ গ্রেফতার করেছে। সোমবার রাতে রাজবাড়ী সদর ও পাংশা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সিএ হালিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সদস্য আব্দুল মালেক, রফিকুল ইসলাম ও নুরু মিয়াকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে জেলার ভেড়ামারা থানা পুলিশ উপজেলার দশ মাইল এলাকায় এক অভিযান চালিয়ে সুজন ও রিপন নামের দুই ছিনতাইকারী কে আটক করেছে।

কুষ্টিয়ায় আরেক নারী চরমপন্থী দাদী নাসরিন গ্রেফতার


কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে আবারো গ্রেফতার হয়েছে শীর্ষ চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের লেডী কমান্ডার দিলারা নাসরিন ওরফে নাসরিন ওরফে দাদী নাসরিন। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি বিশেষ টিম নাসরিনের শহরস্থ আমলাপাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত নাসরিনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৫টি জিডি রয়েছে। পুলিশ বলেছে সে গণমুক্তিফৌজের শীর্ষ নেতা শাহীনের ঘনিষ্ট বান্ধবী। পুলিশ জানায়, নাসরিন গত ১৫ আগষ্ট কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহেরুল আলম ও অধ্যাপক বান্দা ফাত্তাহ মোহন হত্যার সাথে জড়িত। ঘটনার দিন আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করে এই নাসরিন। এর আগে গত ৬ নভেম্বর গ্রেফতার হয় নাসরিনের ছোট বোন নাহিদ পারভীন ওরফে চম্পা। এ নিয়ে গত ৩ মাসে কুষ্টিয়ায় ৬ নারী চরমপন্থী গ্রেফতার হল।

সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা, সংঘাতের আশঙ্কা

কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভা আহবানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আইনজীবিরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ায় সোমবারের সাধারণ সভায় সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন আইনজীবীরা। বার্ষিক নির্বাচনের মাত্র ১ মাস আগে হঠাৎ করে ট্রেজারার, লাইব্রেরী সেক্রেটারী, কালচারাল সেক্রেটারী, অফিস সেক্রেটারী’র নামে ৪টি নতুন পদ সৃষ্টিসহ গঠনতন্ত্র সংশোধন করার জন্য এ সভা ডাকা হয়েছে। এছাড়াও কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ এক বছরের স্থলে দুই বছর করার প্রস্তাবও দেয়া হতে পারে। সারাদেশের আইনজীবী সমিতির মেয়াদকাল ১ বছর বিদ্যমান থাকলেও নির্বাচনের ঠিক পূর্বে কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির মেয়াদ ২ বছর করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ মতের পক্ষে ও বিপক্ষে দু-ভাগ হয়েছেন আইনজীবিরা। এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. আমিরুল ইসলাম জানান, নিময়তান্ত্রিক ভাবেই সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে। সমিতির সদস্যদের মতামত পেলেই গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হবে। আর যদি মতামত না পাওয়া যায় গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হবে না।


শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১০

দৌলতপুরে ৪০ বিঘা তামাক গাছ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা

দৌলতপুরের শেরপুর গ্রামে শুক্রবার রাতে একই পরিবারের ১১ জন কৃষকের প্রায় ৪০ বিঘা জমির তামাক গাছ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন জানায়, উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের শেরপুর পচাভিটা গ্রামের কৃষক মুক্তার আলী, আব্দুর রাজ্জাক, রুশান মালিথা, লতিফ, শাহ আলম, আক্তার, মতিয়ার, জলিল, সামসুল ও বাবুল হোসেনের প্রায় ৪০ বিঘা জমির তামাক গাছ শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে রেখে যায়। গতকাল শনিবার ওই জমির মালিকরা ক্ষেতে গিয়ে তাদের তামাক গাছ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। পূর্ব শত্রুতার কারনে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ধারণা। এ ঘটনায় প্রায় ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানায়।প্রসঙ্গত গত সোমবার রাতে একই ভাবে দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের শেহালা গ্রামের কৃষক সমছের আলীর ক্ষেতের ১০ কাঠা জমির (কেটু-৩২৬ জাতের) তামাক গাছ কেটে তার জমিতে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা।

দৌলতপুরে শিক্ষককে মারপিট, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ॥ আটক-২

দৌলতপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক শিক্ষককে পিটিয়েছে একদল স্থানীয় লোকজন। গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে স্কুলের শিক্ষকদের কক্ষে প্রবেশ করে এ মারপিটের ঘটনা ঘটায়। আহত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বর্তমানে দৌলতপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ ঘটনায় দৌলতপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দোষিদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।পুলিশ ও স্থানীরা জানায়, শনিবার দুপুরে স্থানীয় শিতলিপাড়া গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে তপন তাঁর এসএসসি পাশের সনদপত্র ওঠানোর জন্য স্কুলে যায়। এ সময় শিক্ষকরা তপনের কাছ থেকে সার্টিফিকেট বাবদ ৫০ টাকা দাবি করলে তপন সার্টিফিকেট না নিয়ে স্কুল থেকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তপন, তার বাবা পিয়ার আলী ও স্থানীয় শামীম নামে তিন জন স্কুলে প্রবেশ করে টাকা নেয়ার কারণ জানতে চাইলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে শিক্ষক রফিকুলকে তারা মারধর করে। এ সময় শিক্ষকরা আসলে পিয়ার আলী ও তার ছেলে তপন পালিয়ে যাওয়ার সময় স্কুল গেটের আনছার তাদের আটক করে থানায় সোপর্দ করে। আহত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, সনদপত্র বিতরনের দায়িত্ব ছিল স্কুলের আরেক শিক্ষক জামিরুল ইসলামের উপর। আমি কোন দায়িত্বে না থাকার পরও তারা ব্যাক্তিগত আক্রোশের কারণে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমাকে মারপিট করে। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বহিরাগত লোকজন অফিস কক্ষে ঢুকে শিক্ষককে মারপিটের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

হয়ে গেল প্রথম আলো গণিত উৎসব

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হল ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রথম আলো আঞ্চলিক গণিত উৎসব। সকাল ৯টায় উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক মিজানুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক সুব্রত মজুমদার, ডাচ বাংলা ব্যাংক’র কুষ্টিয়া ব্যবস্থাপক শফিকুজ্জামান। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিতীশ চন্দ্র সাহা। প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ১ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পুরস্কৃত করা হয় ৬০ প্রতিযোগিকে।

শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার


কুষ্টিয়ার মিরপুরে এক যুবকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। মিরপুর থানা পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার চিথলিয়া গ্রাম থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে। তবে ওই যুবকের পরিচয় মেলেনি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের আজমতপুর গ্রামের রাস্তার পাশে স্থানীয়রা একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, দূর্বৃত্তরা অন্য কোথাও হত্যা করে নিয়ে যাওয়ার পথে চলন্ত গাড়ি থেকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যেতে পারে। যুবকের কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-৫

কুষ্টিয়ায় পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামীসহ ৫ ব্যাক্তি গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের আয়ুব আলী, মোহন, বাবলু, জাহাঙ্গীর এবং হরিশংকরপুর এলাকার সোহাগ। সোমবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ তাদেরকে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আয়ুব আলী একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১০

প্রত্যন্ত গ্রামে ১০ স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম আব্দালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দৈনিক সমকালের সহযোগীতায় স্থানীয় মুনসুর আলী ফাউন্ডেশন মেধাবী কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দিয়েছে।দেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে গড়ে তুলতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে এমন স্বপ্ন নিয়ে রবিবার দুপুরে ১০ স্কুলের মোট ৪২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্রেষ্ট ও সনদপত্র বিতরন করা হয়েছে।মুনসুর আলী ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডাঃ ইকরামূল হকের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান, সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, জেলা প্রাথামিক শিক্ষা কর্মকর্তা জামাল হোসেন প্রমুখ।

শনিবার, ২ জানুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় গণমুক্তিফৌজের খুলনা বিভাগীয় সামরিক প্রধান অরফেন গ্রেফতার

কুষ্টিয়া অঞ্চলের শীর্ষ চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের সামরিক শাখার খুলনা বিভাগীয় প্রধান তাত্ত্বিক নেতা খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম ওরফে অরফেন ওরফে সাধু গ্রেফতার হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশ’র এএসআই রফিক গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর আজ শনিবার বিকেলে জেলা পুলিশ তাকে মিডিয়ার সামনে হাজির করে। বাংলা, হিন্দী, ইংরেজী ও চাইনিজ ভাষা জানা তাত্ত্বিক এই চরমপন্থী নেতা অপরাধ জগতের চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। একই সাথে সে সম্প্রতি দলের মুখপাত্র হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করছেন বলেও জানান।পুলিশ বলেছে প্রাথমিক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্রসহ ৪’টি মামলা রয়েছে রয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০১০

পুলিশ লাইন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রভাষক গোলাম ফারুক ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত

কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজের পরিসংখ্যানের প্রভাষক গোলাম ফারুক ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মারাত্বক আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনার পর তাৎক্ষনিক পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খানের নির্দেশে শহরে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়। জানা যায়, প্রভাষক গোলাম ফারুক বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে শহরের কোর্টপাড়াস্থ বাসা থেকে ঔষধ কেনার উদ্দেশ্যে বের হন। বাসার গলির সামনে একজন মুখোষধারী ছিনতাইকারী অস্ত্রের মুখে তার গতিরোধ করে। এসময় তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও ১২’শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারী পালানোর সময় একটি ধারালো ছুরি দিয়ে বাম পায়ে আঘাত করে। মারাত্বক আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যায়। সেখানে তার পায়ে অস্ত্রপ্রচার করা হয়। এ ঘটনার পর কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেনকে ছিনতাইকারিকে ধরার নির্দেশ দেন।