বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

পুলিশ রিমান্ডে কুষ্টিয়ায় দুই মহিলার চাঞ্চল্যকর তথ্য

কুষ্টিয়ায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ২ মহিলা লিপি ও কনার রিমান্ড শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করে দুজনকেই পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। হাকিম হাদীউজ্জামান সদর থানায় দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার আরেকটি অস্ত্র মামলায় ১৬৪ ধারায় মিতার জবানবন্দি নেওয়া হয় এবং কণা চৌধুরীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পুলিশ বলছে, সদর থানায় জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ডের প্রথম দিনই লিপি ওরফে মিতা আমাদেরকে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য দিয়েছে।কুষ্টিয়া সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বলেন, সোমবার ও মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হওয়া দুই নারী চরমপন্থীর রিমান্ড চলছে। তারা ভারত থেকে অস্ত্র চালান ও কুষ্টিয়ার অপহরণ সন্ত্রাসের ব্যাপারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে এসব তথ্য তদন্তের সার্থে গোপন রাখা হয়েছে। এসব তথ্য জানাতে অপরগতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া লিপি বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে ভারত থেকে কুষ্টিয়ায় এসেছিল। এবং তার স্বামী শীর্ষ সন্ত্রাসী মুক্তি শাহীন প্রতিপক্ষের হাতে গত ৯ ফেব্রুয়ারী নিহত হওয়ার পর আরো বে-পরোয়া হয়ে ওঠে লিপি। কুষ্টিয়ারই আরেক সন্ত্রাসী ভারতে অবস্থানকারী বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টির এক নেতার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কুষ্টিয়ার টেন্ডারবাজি, অস্ত্র ব্যবসা ও অপহরনের মাধ্যমে মুক্তিপন আদায়ের নকসা তৈরী করতেই তিনি কুষ্টিয়ায় আসেন। এদিকে আরেকজন গ্রেপ্তার হওয়া নারী চরমপন্থী কনার ব্যাপারে পুলিশের দাবি, কণা চৌধুরী (৩২) পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় নারী সদস্য। তিনি ভারতে পালিয়ে থাকা কুষ্টিয়ার অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী বিপুল চৌধুরীর স্ত্রী।

মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

মিরপুরে র‌্যাব ও পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত


মঙ্গলবার ভোরে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের অঞ্জনগাছী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে লাশ পাওয়া গেছে সাইদুল হক নামের এক যুবকের। পুলিশের দাবি-র‌্যাব ও পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিহত সাইদুল নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার ছিলেন। র‌্যাব বক্তব্যানুযায়ী- একদল চরমপন্থী অঞ্জনগাছী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গোপন বৈঠক করছিল। এ রকম সংবাদ পেয়ে তারা পুলিশকে সাথে নিয়ে ভোর পৌনে ৫টার দিকে সেখানে অভিযান চালায়। সে সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থীরা গুলি বর্ষণ করে। র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ বাধে। এক পর্যায়ে চরমপন্থীরা পিছু হটলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক চরমপন্থীর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ এবং একটি এলজি, ৬ রাউন্ড বন্দুকের গুলি ও ৩টি ককটেল উদ্ধার করে। পরে এলাকাবাসী মৃতদেহটি চরমপন্থী সাইদুল হকের বলে শনাক্ত করে। নিহত সাইদুলের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। সে অঞ্জনগাছী গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে।

সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

বাংলা একাডেমীর সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ড. আবুল আহসান চৌধুরী


বাংলা একাডেমীর সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান ড. আবুল আহসান চৌধুরী। শুক্রবার বিকেলে বাংলা একাডেমী চত্বরে আয়োজিত মাসব্যাপী একুশের বই মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা শেষে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট লোক বিজ্ঞানী অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান এ পুরস্কার ঘোষণা করেন। লালন সাইজির উপর গবেষণার জন্য পাওয়া এ সম্মান ড. আবুল আহসান চৌধুরী বাউল ফকির লালন সাঁইকেই উৎসর্গ করেছেন। প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরী বাংলা একাডেমীর পুরস্কার পাওয়ায় কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের মানুষ আনন্দে-উদ্বেলিত। জানা গেছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমী আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরীর হাতে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুরস্কারটি তিনটি ভাগে বিভক্ত। সম্মাননা পত্র, সম্মাননা প্রতিক ও একটি নির্ধারিত অংকের চেক।

ড. আবুল আহসান চৌধুরী
ড. আবুল আহসান চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকেই লেখা-লেখি শুরু করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তাঙ্গন থেকে প্রকাশিত “স্বাধীন বাংলা” পত্রিকায় তিনি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নানা কবিতা ও গল্প লিখে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করেছেন। এরপর তিনি শিক্ষকতায় আত্মনিয়োগ করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি এপার বাংলা ওপার বাংলার সাহিত্যিক, লেখক ও কবিদের নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তিনি দীর্ঘকাল ধরে অমর কথা সাহিত্যিক বিষাদ সিন্ধু রচয়িতা মীর মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে গবেষণা করে মীর মোশাররফ হোসেন’র সাহিত্য ও শিল্পকর্মের উপর ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। এর পর থেকেই তাঁর গবেষণাধর্মী লেখা-লেখি আরও বৃদ্ধি পায়। তিনি একাধারে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহের জীবন, এই উপমহাদেশের প্রথম গ্রামীণ সাংবাদিকতার প্রবাদ পুরুষ কাঙ্গাল হরিণাথ মজুমদার, জলধর সেন এবং সর্বপরি বাউল সম্রাট লালন ফকিরকে নিয়ে তার গবেষণাধর্মী লেখা বই দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমাদৃত হয়। তাঁর ৫০ বছর পূর্তিতে তাঁকে নিয়ে এপার বাংলা ও ওপার বাংলার প্রখ্যাত লেখক, সাংবাদিক ও গবেষকদের একটি গবেষণাধর্মী ৫শ পৃষ্ঠার বই ‘সুবর্ণ রেখার আল্পনা’ প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরীর বইয়ের সংখ্যা ৭০। এবারও একুশের বই মেলায় ড. চৌধুরীর ৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এ সম্পর্কে ড. আবুল আহসান চৌধুরী মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমীর পুরস্কার পেয়ে আমি বিষ্মিত ও আনন্দিত। বিষ্মিত এ কারণে যে, এতদিন পর বাংলা একাডেমী আমার মত একজন মানুষকে পুরস্কৃত করলো। আর আনন্দিত বাংলা একাডেমী আমাদের ভাষা আন্দোলনের ফসল সেই বাংলা একাডেমী আমাকে পুরস্কৃত করেছে সে জন্য। তিনি আরও জানান, কুষ্টিয়া আমার জেলা আমার এ অর্জণ কুষ্টিয়াবাসীর জন্য তাই এ পুরস্কার আমি বাউল ফকির লালন সাঁইকেই উৎসর্গ করলাম।

৭টি হাত বোমাসহ দুই জন গ্রেপ্তার

নাশকতামূলক কর্মকান্ডের জন্য প্রস্তুত রাখা ৭টি হাত বোমাসহ চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের দু’জন বোমা প্রস্তুতকারীকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াহদ ইউনিয়নের বাবুপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম (৪৮) ও একই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের রহিম (৪৬)। পুলিশ জানিয়েছে এসব তথ্য। কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ফারুক হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারি যে, চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজ তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে নাশকতা সৃষ্টির জন্য বোমা নিয়ে তৈরী হচ্ছে। এবং মহান ২১ শে ফেরুয়ারী রাতে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে। তাৎক্ষনিকভাবে ২১ ফেব্রুয়ারী রাতভর অভিযান চালিয়ে শেষ রাতের দিকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথম গ্রেপ্তারকৃত রহিমের বাড়ি থেকে ৭ টি তাজা শক্তিশালী হাতবোমা উদ্ধার করা হয়। এরপর রহিম দাবী করে এ বোমা তার নয়, বোমাগুলো মনিরুল ইসলাম রেখে গেছে। পরে নিজ বাড়ি থেকে মনিরুলকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে এদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, এরা নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের সক্রিয় সদস্য।

হাবিবুল বাশারের বিদায় কেমন হবে


হাবিবুল বাশার ক্রিকেট থেকে বিদায় নিচ্ছেন। ৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা-চট্টগ্রামের ম্যাচের প্রথম দিন সেঞ্চুরির পর যখন দর্শক অভিনন্দনের জবাব দিতে দিতে বেরিয়ে আসছিল, তখনো হয়তো সিদ্ধান্ত নেননি বিদায়ের। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানান নি। জাতীয় লিগের ওই ম্যাচের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে কথা বলেছেন হাবিবুল। সেখানেই নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। বিসিবি পরিচালক এবং মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন 'সুমন (হাবিবুল বাশার) আমার সঙ্গে কথা বলেছে। জানিয়েছে, সে আর খেলাটি চালিয়ে যেতে চায় না। সে যেহেতু দীর্ঘদিন জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিল, তাকে তাই আমরা মাঠ থেকে বিদায়ের ব্যবস্থা করব। ইংল্যান্ডের সাথে চলতি সিরিজের কোনো একদিন সেই ব্যবস্থা করা হবে।' হাবিবুলও হয়তো অপেক্ষায় আছেন সেই মুহূর্তের। তাই তো এখনই মুখ ফুটে কিছু বলছেন না। তবে আজ থেকে শুরু হওয়া খুলনার ম্যাচটিতে না খেলার কথা ঠিকই জানিয়েছেন তিনি, 'ফিটনেসের কারণে এই ম্যাচটি আমি খেলছি না। আর ক্রিকেটকে বিদায় জানাব কি না, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে ধরে নেয়া হচ্ছে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ১০৩ রান হয়ে থাকছে তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংস। এমন শেষটা আসলে প্রাপ্যই হাবিবুলের। ক্রিকেটকে তো আর কম দেননি তিনি। জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং ব্যাটসম্যান_দুই ভূমিকায়ই দারুণ সফল। ৫০ টেস্টের ৯৯ ইনিংসে করেছেন ৩০২৬ রান। সর্বোচ্চ ১১৩, গড় ৩০.৮৭। সেঞ্চুরি তিনটির পাশাপাশি আছে ২৪টি হাফ সেঞ্চুরি। ফিফটির এই বহরের কারণে তো একসময় হাবিবুলের নামই হয়ে গিয়েছিল 'মিস্টার ফিফটি'। ওয়ানডেতে ১১১ ম্যাচে ২১৬৮ রান করেছেন ২১.৬৮ গড়ে। কোনো সেঞ্চুরি না থাকলেও আছে ১৪টি হাফ সেঞ্চুরি। আর ফার্স্ট কাস ক্রিকেটে ৯১ ম্যাচে সাত সেঞ্চুরি ও ৪১ হাফ সেঞ্চুরির অলংকারে হাবিবুলের রান ৫৫৭১। পরিসংখ্যানে সফল এক ব্যাটসম্যানেরই প্রতিচ্ছবি। একই রকম সফল তিনি অধিনায়কত্বেও। ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের আগে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ পর্যন্ত হাবিবুলের নেতৃত্বে সাকুল্যে ১৮টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে এক জয় ও চার ড্রয়ের বিপরীতে হার ১৩টিতে। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ও সিরিজ জয় এসেছিল হাবিবুলের অধিনায়কত্বেই। ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক তিনি। নেতৃত্ব দেওয়া ৬৯টি ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ২৯টিতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এবড়ো-থেবড়ো পথে চলা একটি দলের জন্য এটি কম তো নয়! শুধু জিম্বাবুয়ে-কেনিয়া নয়, এ সময় ভারত (দুবার), অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও জিতেছে বাংলাদেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপে তো হাবিবুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ উঠে গিয়েছিল সুপার সিক্স পর্বেই! ওই বিশ্বকাপের পর থেকেই আসলে শুরু হয় ব্যাটসম্যান হাবিবুলের অধোগতি। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পর হারান অধিনায়কত্ব। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের পর বাদ পড়েন দল থেকে। একসময় বাংলাদেশের ত্রাণকর্তা ছিলেন যিনি, যাঁর মাঠে নামা মানেই ছিল ফিফটির নিশ্চয়তা, সেই হাবিবুল ৫০ পেরোননি ১৯ ইনিংসে। এসবের সমীকরণে সেই যে বাদ পড়লেন, আর জাতীয় দলে ফিরতে পারেননি।ফিরবেন কী, মাঝে তো নিষিদ্ধ ক্রিকেট লিগ আইসিএলে গিয়ে বনে গিয়েছিলেন খলনায়ক! হয়েছিলেন নিষিদ্ধ। সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে; ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে প্রিমিয়ার লিগে ভালোই রান করেছেন হাবিবুল। আর জাতীয় লিগে তো রীতিমতো দুর্বার। সাত ইনিংসে মাঠে গিয়ে পাঁচটিতেই খেলেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। এই রানের মধ্যে থেকেই বিদায় জানালেন ক্রিকেটকে।ছোটবেলায় ক্রিকেটারই হতে চাননি হাবিবুল। কিভাবে কিভাবে যেন তা হয়ে গেলেন! বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের একাদশে তাঁর থাকার কথা ছিল না। অনেক নাটকের পর সুযোগ পেয়ে খেললেন ৭১ রানের সেই অবিস্মরণীয় ইনিংস। আগে কখনো সেভাবে অধিনায়কত্ব করেননি। জাতীয় দলের নেতৃত্ব পেয়ে হয়ে গেলেন সফলতম অধিনায়ক। কে জানে, দারুণ সফল এক ক্যারিয়ার শেষে নতুন কোনো ভূমিকায় এই সাফল্যকেও ছাড়িয়ে যান কি না হাবিবুল বাশার!

রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের হামলায় দু’সাংবাদিক আহত :এসআই ওবাইদুল ক্লোজড

ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলায় কুষ্টিয়ায় দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি শরীফ বিশ্বাস ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি তৌহিদ হাসান গুরুতর আহত হয়েছে। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনার্স ভর্তিতে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের বাধা প্রদানের খবর পেয়ে এ দুই সাংবাদিক রবিবার বেলা ১১টায় সেখানে পৌছালো বহিরাগত সন্ত্রাসী মীর সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এনামূল বারী সুমন ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ অর্ধশত উচ্ছৃংখল নেতা-কর্মী তাদেরকে লাইব্রেরী ভবনের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে বেধড়ক মারপিট করে। অন্যান্য সাংবাদিকগণ খবর পেয়ে পুলিশের সহায়তায় গুরুতর আহত দু’সাংবাদিককে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ সভা করেছে জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ। প্রেসক্লাবে আয়োজিত প্রতিবাদ সভা শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
সাংবাদিক নির্যাতনের সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বেলা সোয়া ৩টায় পুলিশ সুপার শাহাবু্িদ্দন খানের সাথে বৈঠক করেন সাংবাদিকবৃন্দ। এ বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাযহারুল আলম সুমনসহ বক্তব্য রাখেন দৈনিক আন্দোলনের বাজার পত্রিকার সম্পাদক মনজুর এহসান চৌধুরী, প্রেসক্লাব সভাপতি গাজী মাহবুব রহমান, সাধারন সম্পাদক ও যুগান্তর প্রতিনিধি আল মামুন সাগর, আমাদের সময় প্রতিনিধি সামসুল আলম স্বপন, সমকাল প্রতিনিধি সাজ্জাদ রানা, দেশতথ্য পত্রিকার সম্পাদক এস এম হালিমুজ্জামান। এছাড়াও কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত সকল দৈনিক, সাপ্তাহিক, জাতীয় দৈনিক ও টেলিভিশন চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং কর্তব্যে অবহেলার কারণে ঘটনার সময় কলেজে দায়িত্বরত এসআই ওবাইদুলকে ক্লোজড করা ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাযহারুল আলম সুমন ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বহিস্কার এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন।

শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত

কুষ্টিয়ায় পৃথক দুটি সড়ক দূর্ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের খয়েরপুর নামকস্থানে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় চুয়াডাঙ্গা জেলার জয়রামপুর গ্রামের আব্দুল জলিল (৫৪) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আর বেলা ১১টায় শহরতলীর বারখাদা ত্রিমোহনী বিএলটিসি টোব্যাকোর সামনে ট্রাকের চাপায় নিহত হয় অজ্ঞাতনামা এক পথচারী। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় ক্রসফায়ার: হবি কবিরাজ নিহত


কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চিলমারী চরে র‌্যাব-পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী পান্না বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডার হবি কবিরাজ (৪০) নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৭রাউন্ড রাইফেলের তাজাগুলি ও ৫ রাউন্ড গুলির খোসা, ৯টি বোমা ও ২টি রামদা উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোসেনাবাদ র‌্যাব ক্যাম্প ও দৌলতপুর থানা পুলিশ যৌথভাবে চর চিলমারির বাজুমারা খেয়া ঘাটে অভিযান চালায়। সেখানে বৈঠকরত পান্না বাহিনীর সন্ত্রাসীরা র‌্যাব-পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র‌্যাব-পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় ক্রসফায়ারে পড়ে হবি কবিরাজ নিহত হলে অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। নিহত হবি কবিরাজের বিরুদ্ধে ৬টি হত্যাসহ ১০টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

চাল ব্যবসায়ী আফিল উদ্দিন নিহতের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় চালকল মালিক সমিতি চাল উৎপাদন বন্ধ রেখেছে

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরের ভিআইপি রাইচ মিলের মালিক ও ঢাকার বাবু বাজারের বিশিষ্ট্য চাল ব্যবসায়ী আফিল উদ্দিন ছিনতাইকারীদের গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা বুধবার সকাল থেকে কুষ্টিয়ার প্রায় ৩ শতাধিক চালকল বন্ধ রেখেছে। মঙ্গলবার বেলা ৩টায় চাল বিক্রির অর্থ সংগ্রহ করে ঢাকাস্থ বাবু বাজারের বাসায় ফেরার পথে ৫/৬জনের একদল ছিনতাইকারী তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে আফিল উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় ছিনতাইকারীরা আফিল উদ্দীনের কাছে থাকা নগদ ৩০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এ ঘটনার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ার খাজানগরের চালকল মালিক সমিতি তাদের উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ বাবলু জানিয়েছেন, আফিল উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে কুষ্টিয়ার প্রায় ৩ শতাধিক চালকল বন্ধ রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

শীর্ষ অপহরণকারী ইউপি মেম্বর মুক্তি শাহীন নিহত


কুষ্টিয়ায় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছে জেলার শীর্ষ অপহরণকারী সন্ত্রাসী জাসদ গণবাহিনীর নেতা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শাহীন বেগ ওরফে মুক্তি শাহীন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের সাইবাড়ীয়ার বিলের মাঠ থেকে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। সোমবার রাত ৯টার দিকে পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা রাজিব জাসদ গণবাহিনীর শীর্ষ নেতা শাহীন বেগকে গুলি করে হত্যার দায় স্বীকার করে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে ফোন করে বিবৃতি প্রদান করেন। এ সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে তল¬াশী অভিযান শুরু করলেও গভীর রাত পর্যন্ত লাশ উদ্ধার করতে না পেরে অভিযান সাময়িক বন্ধ রাখে। পরে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আবারও অভিযান চালিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার সময় সাইবাড়ীয়ার বিলের মাঠ থেকে গুলি বিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, নিহত শাহীন বেগ ওরফে মুক্তি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের হাড়–রিয়া গ্রামের ফরিদ উদ্দিন বেগের ছেলে। সে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সদর, পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমাডাঙ্গা থানায় একাধিক হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজীর মামলা রয়েছে।

দৌলতপুর থেকে অস্ত্র, রামদা ও ফেনসিডিলসহ দুই ব্যক্তি আটক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাজুমারা খেয়াঘাট চর এলাকা থেকে র‌্যাব-১২ এর সদস্যরা রোববার রাতে অস্ত্রসহ গুলি, রামদা ও ফেনসিডিলসহ দুই সন্ত্রাসীকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, একই উপজেলার ফিলিপনগর এলাকার আহাদ প্রামানিকের ছেলে শাহীন প্রামানিক (২৪) ও রাজশাহী জেলার বাঘমারা উপজেলার মোল্লা প্রামানিকের ছেলে মানিক প্রামানিক(৩০)।

ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার

গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুই সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে ভেড়ামারা উপজেলার কাঠেরপুল এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩০) ও আনসার রহমানের ছেলে শামীম রহমান (৩১)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাঠেরপুল এলাকা থেকে এদেরকে একটি নাইন এম এম পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় কাঠেরপুল এলাকায় গ্রেপ্তারকৃত ওই দুই যুবককে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে চ্যালেঞ্জ করে পুলিশ। যুবকদয়ের দেহ তল্লাশী করে একটি নাইন এম এম পিস্তল উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা চাঁদাবাজীসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে। তাদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।

রুমী ছিলেন ছাত্র রাজনীতির অহংকার

কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আহমেদ জালাল আক্কাস রুমি’র অকাল মৃত্যুতে স্মরণসভা করেছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ। শনিবার বিকেল ৪ টায় স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে খন্দকার ইকবাল মাহমুদ’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ্যাড. শামসুল আলম দুদু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের সাবেক জিএস আজগর আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আ.খ.ম.সরোয়ার জাহান বাদশা, প্রয়াত রুমী’র বড় ভাই জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক এ্যাডঃ বায়েজিদ আক্কাস প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, রুমী ছিলেন ছাত্রলীগের অহংকার।

সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় কথা সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন হয়েছে। শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাংসদ বেগম সুলতানা তরুন ফলক উন্মোচন করে অডিটোরিয়ামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ধীরেন্দ্রনাথ সরকার, কুমারখালী উপজেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, লালন একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক তাইজাল আলী খান প্রমুখ। জেলা পরিষদ’র অর্থায়নে প্রায় ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটায় এই আধুনিক মানের অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়।

শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

অসহ্য হাত


অসহ্য হাত। বাসের হেলপারের। বাসযাত্রী এই ছাত্রীর পিঠে। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কে চলা প্রতিটি বাসেই কন্ডাকটার অথবা হেলপার দরজা আটকে দাড়িয়ে এভাবে যাত্রী উঠানো নামানোর কাজ করে থাকে। উদ্যেশ্য স্কুল কলেজ গামী ছাত্রী বা মহিলাদের পিঠে, গায়ে হাত দেয়া। উত্যক্ত করা। ছবি ও লেখা : সাগর আহম্মেদ, খোকসা।

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ


অবৈধভাবে ২০০ আসন দাবী করে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষে (সম্মান) ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। সোমবার সকাল ১০টায় প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের মৌখিক পরীক্ষার কার্যক্রম চলাকালে কুষ্টিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে প্রবেশ করে পরীক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা কলেজের ক্যাশবাক্সও দখল করে নেয়। পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়, তবে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

কুষ্টিয়ায় পুলিশের নতুন ইউনিট ‘ধাবমান দল’

কুষ্টিয়ায় পুলিশের নতুন এক ব্যতিক্রমী ইউনিট ‘ধাবমান দল‘র উদ্বোধন করা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে সন্ত্রাস কবলিত এ জেলায় জেলা পুলিশের ওই দল মানুষের অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ধাবমান দল উদ্বোধনকালে এসপি শাহাবুদ্দিন খান বলেন, কুষ্টিয়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে। তারপরও জেলা পুলিশ বিভিন্ন সময়ে কৌশল পরিবর্তন করছে, যার নমুনা এই ধাবমান দল। এরা ৪টি মটরসাইকেলে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে শহরের সব পয়েন্টে টহল দিবে। এসময় তারা ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণে সন্দেহজনকদের চেকিংসহ বিভিন্ন কৌশলে মানুষের অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে। থাকবে নির্দিষ্ট মোবাইল নাম্বার, শহরে বিপদে ফোন করলেই পাওয়া যাবে এদের। উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র শাহা, সদর সাকেল সি এ হালিম।

দৌলতপুরে ১৩ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ১৩ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার দৌলতপুর উপজেলার গাছের দিয়ার গ্রামের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রবজেল হোসেন মালিথা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে একই এলাকার রেজাউল হক, সোনা মিয়া, আতাহারসহ ১৩ জন রবজেল হোসেন মালিথার পিতা মোজাম্মেল হক ও চাচা আকছের আলীকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং বাড়িতে লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করে।