বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০০৯

মালয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরেছেন মাহবুবুল আলম হানিফ



বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বর্তমান সরকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের কল্যাণে বাস্তব ও কল্যাণমুখী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কঠোর প্ররিশ্রম করে উপার্জন করা প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি গত ২৭ ডিসেম্বর রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মালয়েশিয়া শাখার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস-২০০৯ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। এদিকে, মাহবুব-উল-আলম হানিফ ৫ দিনের এক সফরে গত শুক্রবার মালয়েশিয়া যান। গতকাল বুধবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে মালয়েশিয়ান এয়ার লাইন্সের এম এইচ-১৯৬ নম্বরে একটি ফ্লাইটে তিনি দেশে ফিরেছেন। এ সময় জিয়া আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তাকে স্বাগত জানাতে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক গোলঅম রাব্বানী চিনু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাঃ সম্পাদক খান মইনুল ইসলাম, মাহবুব-উল-আলম হানিফ’র একান্ত সহকারী কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সাইফুল ইসলাম রানা, দৈনিক আন্দোলনের বাজার পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চ্যানেল ওয়ানের স্টাফ রিপোর্টার মুন্সী তরিকুল ইসলাম, মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক রুহুল আজম, ভেড়ামারা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আমজাদ হোসেন রাজু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ খান, রিয়াজতুল্লা মালিথা ছাড়াও তাঁর নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।মাহবুব-উল-আলম হানিফ মহান বিজয় দিবস-২০০৯ এর আলোচনা সভায় আরো বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি বিরোধী দল বিএনপির মদদে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন হতে যাতে না করা যায় সে জন্য তাদের রক্ষা করতে নানাভাবে দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, এই দেশ বিরোধী শক্তিটি দেশের বাইরেও তৎপর রয়েছে। বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে তাদের মোকাবেলা করার ঘোষনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। বিচ্ছিন্ন সব ঘটনাকে ইস্যুকে বানিয়ে দেশে একটি অরাজক পরিবেশ তৈরীই তাদের মূল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মালয়েশিয়া শাখার আহবায়ক আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী দৈনিক আন্দোলনের বাজার পত্রিকার সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুর এহসান চৌধুরী, ডাঃ মাহমুুদুল হাসান, মকবুল হোসেন মুকুল, আজিজুল হক, জসিম চৌধুরী, রাসেদ বাদল, গোলাম মহসিন, জোসেফ, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও গৌতম রায় প্রমুখ। প্রবাসীদের উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে হানিফ বলেন, সরকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের ব্যাপারে খুবই সংবেদনশীল। তাদের পাঠানো কষ্টার্জিত রেমিটেন্স দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীদের সাথে দেশের নিবিড় সম্পর্ক ধরে রাখার জন্য নানা পদক্ষেপও ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে। ওই আলোচনা সভায় হানিফ বিভিন্ন তথ্য দিয়ে বলেন, ইতোমধ্যে সরকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের কষ্টার্জিত অর্থ সহজে দেশে প্রেরণের সুবিধার্থে দেশে মানি ট্রান্সফার সিস্টেমকে ডিজিটালাইজড করতে উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়াও প্রবাসীদের ভিসা জটিলতা নিরসন, তাদের ভোটার করা, বিদেশে শ্রমিক নির্যাতন বন্ধের ব্যাপারে নানা উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে বলেও জনাব হানিফ উল্লেখ করেন। তিনি উপস্থিত বক্তাদের বক্তব্যের সূত্র ধরে বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ওয়াদানুযায়ী বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে করবেই। সরকার ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আইনী লড়াইয়ে সম্পন্ন করেছে। যার রায় অচিরেই কার্যকর হবে। ঠিক এমনি করেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা, উদীচী হামলা, সাংবাদিকদের উপর মামলঅ-হামলাসহ সকল হত্যা-নির্যাতনের বিচার করবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান মাহবুব-উল-আলম হানিফ তার সরকারের এক বছরের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের নানা দিক উল্লেখ করে বলেন, যদিও সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ঠ হচ্ছে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ৫ বছর ও জুলূবাজ বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২ বছরের জঞ্জাল ছাড়াতে। তবুও সরকার এই অল্প সময়ের মধ্যেই দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অসংখ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার সুফল ইতোমধ্যে দেশবাসী পেতে শুরু করেছে। কৃষিখাতে সর্বাধিক ভর্তূকি প্রদান করে কৃষি উৎপাদনে বিপ্লব ঘটিয়েছে। আগামী দিনগুলোতে কৃষি ভর্তুকি আরো বাড়ানো হবে। যার ফলে উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশ শুধু একটি খাদ্য স্বয়ংস¤পূর্ণ দেশেই পরিণত হবে তা নয় উদ্বৃত্ত খাদ্য রপ্তানী করতে সমর্থ হবে। তিনি বলেন, সরকার দেশে বিনিয়োগের একটি সুনিবিড় পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছে। হানিফ প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে দেশে এখন বিনিয়োগের উজ্জল সম্ভাবনা ও সুযোগের কথাও উল্লেখ করে তিনি প্রবাসীদের দেশের বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগের আহবান জানান। ইতোমধ্যে বিশ্বের নানা দেশে বসবাসকারী প্রবাসীরা বিনিয়োগে উৎসাহী হয়েছে। তিনি প্রবাসী মালয়েশিয়ানদের দেশে বিনিয়োগেরও উদাত্ত আহবান জানান।

কুষ্টিয়ায় জাসদ’র জেলা সম্মেলনে হাসানুল হক ইনু-মহাজোটকে আরো কার্যকর করতে হবে

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন জাতীয় গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে মহাজোটের শরীক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আওয়ামীলীগকে। এতে মহাজোট আরো কার্যকর হবে। সকল বাধা মোকাবিলা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা জাসদ’র সম্মেলনে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জাসদ’র কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি শাহাবুব আলী মাষ্টারের সভাপতিত্বে সম্মেলন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ, নারী জোটের কেন্দ্রীয় আহবায়ক আফরোজা হক রিনা, জেলা জাসদ সভাপতি আব্দুল আলীম স্বপন প্রমুখ।

খাজানগরের ৪’শতাধিক মিল বন্ধের হুমকি

দফায় দফায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে বৈঠক। আলোচনা সাপেক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিল সংশোধন না হওয়ায় অবশেষে আন্দোলন খাজানগরের মিলমালিকরা। বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে তারা দিয়েছে ১০ দিনের আল্টিমেটাম। দাবি না মানলে কুষ্টিয়ার খাজানগর চালের মোকামের ৪’শতাধিক মিলের উৎপাদন বন্ধের হুমকি দিয়েছে জেলা চালকল সমিতির নেতৃবৃন্দ। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ চালকল বন্ধ হয়ে গেলে মুহুর্তে দেশের চালের বাজার গরম হয়ে উঠবে।ক্যাপাসিটার স্থাপন করেও চালকল মালিকদের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল ধার্য করা হচ্ছে। বিল সংশোধনের দাবি জানিয়ে পিডিবি অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও কোন ফল না পেয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতি ও সাধারণ মিল মালিকরা মিছিল ও সমাবেশ করেছে। খাজানগর দইখল মাদ্রাসা চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে মালিকরা আগামী ১০ জানুয়ারীর মধ্যে বিদ্যুৎ বিল সংশোধন না করা হলে দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরের চালকলে অনির্দিষ্টকালের জন্য উৎপাদন বন্ধ রাখার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। মিছিল শেষে জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক হাজী জামশের আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ আক্কাস আলী, সহ-সভাপতি এফ এম বজলুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান মফিজ, দোস্তপাড়া চালকল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি এম এ মমিন মন্ডল, আবুল হোসেন সরদার প্রমুখ। গত কয়েক দিন ধরে কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতি ও সাধারণ মিল মালিকরা তাদের ন্যায় সঙ্গত দাবি উত্থাপন করে পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে। পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন এ ব্যাপারে তার কিছুই করার নাই। গত মঙ্গলবার সকালে নির্বাহী প্রকৌশলী এবং দুপুরে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের সাথে আলাপকালে মিল মালিকগণ জানান, তাদের ন্যায় সঙ্গত দাবি মানা না হলে তারা বড় ধরণের আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। এ ক্ষেত্রে অনির্দিষ্টকালের জন্য কুষ্টিয়ার মোকামে চাল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মিল মালিকগণ জানান। আলোচনায় মিলমালিকগণ বলেন, ২৫ নভেম্বর তাদের কাছে ক্যাপাসিটার ব্যংক স্থাপনের তাগিদ স্বরুপ একটি পত্র প্রেরণ করা হয়। কিন্তু কিভাবে কারা কখন এ ক্যাপাসিটার স্থাপন করে দেবেন বা দাপ্তরিকভাবে পিডিবি এ ব্যাপারে কতটুকু দায়িত্ব পালন করবে এ বিষয়ে কোন ধারনা তাদের প্রদান করা হয় নি। ক্যাপাসিটার ব্যাংক সংযোজন বিষয়ে পাঠানো ওই চুড়ান্ত নোটিশে জানানো হয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনে ১৮ জুন অনুষ্ঠিত কমিশনের ৫ম টেকনিক্যাল কনফারেন্সের মর্মানুসারে কমিশনের এ আদেশ প্রদান করা হয়। অথচ ক্যাপাসিটার স্থাপনের সুবিধা অসুবিধা বিষয়ে মিল মালিকদের কোন কিছুই অবগত করানো হয়নি। সময়মতো ক্যাপাসিটার স্থাপনে ব্যর্থ হওয়ায় মিল মালিকদের মাসিক বিদ্যুৎ বিলের সাথে অতিরিক্ত বিল সংযোজন করা হয় যা প্রকৃত বিদ্যুৎ বিলের প্রায় সমান। আবার অনেক মিল মালিক একটু দেরিতে হলেও ক্যাপাসিটার ব্যাংক স্থাপন করে আরো বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। এতে করে মিলমালিকদের মটর, মিটার পুড়ে যাওয়া সহ নানা রকম বৈদ্যুতিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে মিল মালিকগণ কুষ্টিয়া সদর আসনের মাননীয় এমপি ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত পত্র প্রেরণ করেছেন। এদিকে বার বার আবেদনের পরেও মিল মালিকদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই বিল পরিশোধের চুড়ান্ত নোটিশ প্রদান করেছে। বিল পরিশোধ না হলে টেরিফ রুলের সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক খেলাপি গ্রাহক হিসেবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও ওই নোটিশে জানানো হয়েছে। মিল মালিকরা বলেন, তাদের সাথে আলোচনা না করে টেরিফ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে বা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে এ ব্যাপারে যে কোন সমস্যার দায়ভার পিডিবিকেই বহন করতে হবে। মিল মালিকগণ বলেন, তাদের দাবি ন্যায় সঙ্গত। তারা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে প্রস্তুত। তবে দেশের এক এক অঞ্চলের চালকল মালিকদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আইন হতে পারে না। তারা বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের জোগসাজসির কারণেই এ অতিরিক্ত বিল তাদের উপর চাপানো হয়েছে।

ইবি কর্মকর্তা সমিতির নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে জয়ী

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ পূর্ণ প্যানেল জয়লাভ করেছে। ১১টি পদের সব ক’টিই দখলে নেয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ। নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আতাউর রহমান। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন এইচ এম আলী হাসান। বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে কোন প্রকার বিরতি ছাড়াই ভোট গ্রহন চলে। ২৪২ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ২৩২জন। রাত ৮টায় ঘোষিত ফলাফলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ১১টি পদের সব ক’টিতেই জয়লাভ করে। নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেল প্রথমবারের মত পরাজয় বরণ করে।

আজ এক ঘণ্টা পেছাতে হবে ঘড়ির কাঁটা


আজ ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পিছিয়ে নিতে হবে। সরকারের পক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আবুল কালাম আজাদ রোববার এ ঘোষনা দেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পরও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেছিলেন, ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টায় ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পেছানো হবে। বেশিরভাগ দেশে পূর্ণ ঘণ্টায় ঘড়ির কাঁটা বদলানো হয় বলে ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে দু'বার মধ্যরাত ধরা হবে কি না, এ নিয়ে জনমনে কিছুটা সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল। ঠিক ১২টায় না করে ১১ টা ৫৯ মিনিটে কাঁটা পিছিয়ে দিলে তা আর ঘটবে না। দিনের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকার গত ১৯ জুন রাত ১১টায় ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে নিয়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো দিনের আলো সংরক্ষণ সময় (ডে লাইট সেভিং টাইম) ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পিছিয়ে নিয়ে রাত ১০টা ৫৯ মিনিট (জিএমটি +৬) করে আবার আগের অবস্থায় পিরে যাওয়া হবে। অবশ্য এ অবস্থা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। সেদিন আবার ১ ঘন্টা এগিয়ে নেয়া হবে। ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছরই ৩১ মার্চ রাত ১০ টা ৫৯ মিনিটে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে নিয়ে রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট (জিএমটি+৭) করা হবে। এটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। বিশ্বের অনেক দেশেই সূর্যালোকের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে বছরে দু'বার সময় বদলের এরকম স্থায়ী ব্যবস্থা চালু আছে।

বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় আরেক নারী চরমপন্থী গ্রেফতার

কুষ্টিয়ায় আবারও নারী চরমপন্থী গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত নারী চরমপন্থীর নাম বিথী ওরফে হাসি ওরফে দুলি (২৭)। সোমবার সকালে শহরের মজমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ বলেছে সে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়ন পরিষদ’র চেয়ারম্যান বাচ্চু হত্যার সাথে জড়িত এবং ওই মামলার আসামী। পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সিএ হালিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম বিথীকে শহরের মজমপুর জিলা স্কুলের সামনে থেকে গ্রেফতার করে। বিথী বাচ্চু হত্যা মিশনে থাকা বিপ্লব ও রায়হানের সাথে ঘটনাস্থলে যায় এবং একটি বাড়িতে অবস্থান করেছিল বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে। বিথী শহরের থানাপাড়া এলাকার দুলাল খানের মেয়ে। সে সাত মাস আগে শীর্ষ চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজে যোগ দেয়। এর আগেও গতমাসে কুষ্টিয়া পুলিশ আরো ৫ নারী চরমপন্থী গ্রেফতার করে। এরা প্রত্যেকেই গণমুক্তিফৌজের সক্রিয় সদস্য বলে পুলিশ জানায়।

কুষ্টিয়ায় ইংল্যান্ডের তৈরি বন্দুকসহ গণমুক্তি ফৌজের তিন সদস্য গ্রেফতার

কুষ্টিয়ায় ইংল্যান্ডের তৈরি ডাবল ব্যারেলের অত্যাধুনিক বন্দুকসহ গণমুক্তি ফৌজের তিন চরমপন্থি গ্রেফতার হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশ সদর উপজেলার মধ্যবালিয়াপাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেল ৫টার দিকে প্রথমে সদর উপজেলার আলামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গণমুক্তি ফৌজের ক্যাডার আমিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার মধ্যবালিয়াপাড়ার নিজ বাড়ির রান্না ঘরের চাল থেকে একটি ইংল্যান্ডের তৈরি দোনালা বন্দুক উদ্ধার করে। পরে দহকোলা থেকে আঃ আজিজ ও সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মানববন্ধন



কুষ্টিয়া, ২৬ ডিসেম্বর’০৯ ॥ দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু এবং ৭২’এর সংবিধান পুণঃস্থাপনের দাবীতে কুষ্টিয়া ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনকে সাথে নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। শনিবার দুপুর ১২টার সময় কুষ্টিয়া শহরের ব্যস্ততম এলাকা মজমপুর গেটের ঘৃণিত রাজাকার চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। এ বোঝা বইব কত আর, চাই এবার রাজাকারের বিচার, ঘুরে বেড়ায় রাজাকার মা-বোনেরা হুশিয়ার, রুখো রাজাকার বাচাঁও দেশ, ৭১’র রাজাকার এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়, এরকম বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্লেকার্ড বুকে ঝুলিয়ে ও ব্যানার নিয়ে মিছিলসহ মানববন্ধন কর্মসূচীতে একাত্মতা ঘোষনা করেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সুন্দর বাংলাদেশ ও জেলা ছাত্রলীগ। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা সভাপতি এ্যড: বায়েজিদ আক্কাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া পৌর সভার মেয়র আনোয়ার আলী। তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, এ দেশের ঘৃণিত রাজাকারদের বিচার হওয়া আবশ্যক। এই কুলাঙ্গারদের বিচার না হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা সম্পাদক অসীত কুমার সিংহ রায়, জাসদ নেতা গোলাম মহসীন, আক্তারুজামান সেন্টুসহ সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যাক্তি, আইনজীবী ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রগতিশীল প্রায় দু’ শতাধীক মানুষ।

বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় মাটি খুড়ে ৪টি শক্তিশালী অস্ত্র উদ্ধার

কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ মাটি খুড়ে গতকাল ৪টি শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে চায়নার তৈরি একটি শক্তিশালী একে ৫৬ রাইফেল। বাকী তিনটি হলো-একটি চাইনা ৭ পয়েন্ট ৬৫ পিস্তল, একটি বিদেশী ডাবল ব্যারেল বন্দুক ও একটি একনলা বন্দুক। এসবের সাথে আরো ১৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের মাঠে বুধবার রাতে এ মাটি খোড়া অভিযান শুরু হলেও অস্ত্রের দেখা মেলে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে।

মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্র“পে সংঘর্ষ, আহত ৪

কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে ছাত্রলীগের দু গ্র“পের নেতা-কর্মিদের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছে। আহত কুসুম, মান্নান, কামরুল ও শেখ আলীম সবাই ইংরেজী বিভাগের ছাত্র। এর মধ্যে কামরুল ও মান্নানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। উভয় পক্ষের সংঘর্ষের সময় গতকাল দুপুরে কলেজে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করে, মোতায়েন করা হয় পুলিশ।পুলিশ জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হান্নান বিশ্বাসের অনুসারী ছাত্রলীগের ২৫/৩০ জনের একটি দল কলেজের হোস্টেল ও মসজিদের সামনে ছাত্রলীগের অপর গ্র“পের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের অনুসারী ছাত্রদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই প্রতিপক্ষের উপর দোষ চাপিয়েছে। আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দুপুরে শহর যুবলীগের নেতা হান্নান কলেজে আধিপত্য বিস্তারের জন্য তার লোকজন দিয়ে কলেজের সাধারণ ছাত্র ও আমাদের নেতা কর্মিদের উপর হামলা চালায়। ওদিকে যুবলীগ নেতা এমাম হান্নান বিশ্বাস দাবি করেন ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় উছৃঙ্খল ছাত্র দলের স্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। তারা ছাত্রলীগকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। এ ঘটনাও তারই বহিঃপ্রকাশ।

খোকসায় আলোচিত এসিড নিক্ষেপের ঘটনার মূল হোতা শিলার দুলাভাই আটক

কুষ্টিয়ার খোকসার আলোচিত এসিড নিক্ষেপের ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। পুলিশ এ ঘটনার মূল হোতা স্ত্রী ও শালিকার উপর এসিড ছুড়ে মারা অলককে আটক করেছে। মঙ্গলবার ভোররাতে আটক অলক কি কারনে এসিড মারা হয় তার সবই জানিয়েছে পুলিশকে। সে পুলিশকে জানায়, এসিডের শিকার দু বোন শিমূল শিলার মুখমন্ডল ঝলসে দেয়ার কথা তাদের বাবাও ইদ্রিস আলীও জানতো। খোকসা থানা পুলিশ স ত্রে জানা গেছে, সহকারি পুলিশ সুপার সি এ হালিমের নেতৃত্বে গতকাল দুপুর ২ টার সময় অলককে নিয়ে তার সহযোগি অন্য অপরাধীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে। অলকের স্বীকারোক্তিতে ইতিমধ্যেই এ ঘটনার অনেক কিছুই খোলাসা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ অনেক তথ্য জানায়নি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশিদের মামলা দিয়ে শায়েস্তা করা ও ব্র্যাকের এসিড সারভাইভ ফাউন্ডেশন থেকে মোটা অংকের অনুদান পাবার উদ্দেশ্যে নাটকীয় এ এসিড হামলা হয়। এছাড়াও শিলা’র সাথে অলকের অনৈতিক সম্পর্কও কারন হিসেবে দেখছে পুলিশের একটি সূত্র। এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে পুলিশ অলককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে। একই সাথে তার সহযোগিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।ব্র্যাকের স্থানীয় সমিতির সদস্য শিলা-শিমুল ও তাদের বাবা। তারা জানতো কোন সদস্য এসিডে ঝলসে গেলে ব্র্যাক মোটা অংকের টাকা ক্ষতিপূরন দেয়। এ ক্ষতিপূরন পাবার আশায় ও অনেক টাকার জমি জমা নিয়ে বিরোধী প্রতিবেশিদের মামলা দিয়ে শায়েস্তা করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ এসিড দগ্ধের ঘটনা ঘটানো হয়। উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাতে কামালপুর গ্রামের সরকারি কর্মচারী ইদ্রিস আলী খা’র ঘরের জানালা দিয়ে বাশের কঞ্চির মাথায় বোতল বেধে শিলা ও শিমুলের মুখে ও শরীরে এসিড ঢেলে দেয়া হয়। তাদেরকে দ্রুত খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে ব্র্যাক এসিড সারভাইভরস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঢাকায় ফাউন্ডেশনের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার একদিন পরই শিলার বিয়ে হবার দিন ধার্য্য ছিল। ২৯ অক্টোবর এসিড দগ্ধ শিলা শিমুলীর বাবা ইদ্রিস আলী খোকসা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৯। এরপর তিনি প্রতিবেশী ৪জনের নাম বলে তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের উপর চাপ দিতে থাকেন। পুলিশ তদন্তে নেমে তাদের জড়িত থাকার তেমন কোন প্রমান খুজে পায়না। ঘটনার দিন রাতে শিলার মোবাইলে আসা ফোন ও মেসেজের সূত্র ধরে পুলিশ আগাতে থাকে। অবশেষে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে শিলার দুলাভাই শিমুলীর স্বামী অলককে আটক করে। এরপর সব পরিস্কার হয়ে যায়। এসিড হামলার ঘটনা শিলার বাবা আগেই জানতো বলে অলকের দাবি। সে প্রতিবেশিদের শায়েস্তা আর ব্র্যাক থেকে মোটা টাকা পাবার লোভে এসিড দিয়ে সামান্য ঝলসে দেবার ঘটনায় রাজি হয়। আর শিলার সাথে সম্পর্কের কারনে বিয়ের আগে এ ঘটনা ঘটায় তার দুলাভাই অলক। এসব কথা সে স্বীকার করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

বি আর বি পলিমার’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

দেশ সেরা পিভিসি পাইপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়ার বিআরবি পলিমার লিমিটেডের ১২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে কুষ্টিযার বিসিক শিল্পনগরীর কারখানা চত্বরে এ উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় জাতীয় ও প্রতিষ্ঠানের পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিআরবি গ্র“পের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ মজিবর রহমান দিনব্যাপী কর্মসুচীর উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমআরএস ইন্ডাষ্টিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুর রহমান, বিআরবি পলিমার লিঃ এর ডিজিএম রোকনুজ্জামান।
পরে প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বি আর বি পলিমার লিমিটেড-এর এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জেলার শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী, সুধীজনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

খোকসায় দূর্ধর্ষ গণডাকাতি

কুষ্টিয়ার খোকসায় গণডাকাতি সংঘঠিত হয়েছে। সোমবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার শোমসপুর বাজারে ২৫টি দোকানে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে নগদ টাকাসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকা খোয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, রাতে ৮/১০ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল সোমসপুর বাজারে এসে কর্তব্যরত ৬ পাহারাদারকে বেঁধে রেখে বাজারের সাব পোষ্ট অফিসসহ অন্ততঃপক্ষে ২৫ দোকানে ডাকাতি করে। মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬ পাহারাদারকে উদ্ধার করে।

শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় ডায়াবেটিক রোগীদের পূণর্বাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন

অসহায় ডায়াবেটিক রোগীদের পূনর্বাসনের লক্ষে কুষ্টিয়ায় মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ডায়াবেটিক সেন্টারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় এ পূণর্বাসন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান। তিনি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের কম্পিউটার ও নকশীকাথা বিভাগ ঘুরে দেখেন। এসময় কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি আশরাফ উদ্দিন নজু, সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিকভাবে এ দুই বিভাগে ২০ জন ডায়াবেটিক রোগী ও তাদের সন্তানদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিধি বাড়ানো হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানান। উল্লেখ্য কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক সমিতির বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৮ হাজার। প্রতিদিন গড়ে ২শ রোগী এখান থেকে চিকিৎসা নেয়।

ডাচবাংলা ব্যাংক প্রথমআলো গণিত উৎসব ২০১০কুষ্টিয়া অঞ্চলের নাম নিবন্ধণ চলছে


ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রথমআলো কুষ্টিয়া আঞ্চলিক গণিত উৎসব ২০১০ এর নাম নিবন্ধন চলছে। গত ১৩ ডিসেম্বর রোববার থেকে শুরু হওয়া এ নিবন্ধণ চলবে আগামি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল পাচটা পর্যন্ত শহরের ৯২ এনএস রোড কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক নিচতলায় নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। আগে এলে আগে ভিত্তিতে মোট এক হাজার শিক্ষার্থীকে রেজিষ্ট্রেশন দেওয়া হবে। বরাবরের মত শিক্ষার্থীদের প্রাইমারি (তৃতীয় থেকে পঞ্চম বা সমমান), জুনিয়র (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী বা সমমান), সেকেন্ডারি (নমব, দশম শ্রেণী ও এসএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান, হায়ার সেকেন্ডারি ( একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণী ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান এই চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ কর হয়েছে। বিস্তারিত প্রয়োজনে যোগাযোগ: ফোন: তৌহিদী হাসান ( ০১৭১৭৪৪৫৫০৪ )। কুষ্টিয়া আঞ্চলিক গণিত উৎসব আগামি ৯ জানুয়ারি শনিবার কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবে গণিত অলিম্পিয়াড ছাড়াও থাকবে বইমেলা গণিত বুথ, মুক্ত আলোচনা, প্রদর্শনী ইত্যাদি। দিনব্যাপী উৎসব শেষে বিকেলে বিজয়ীদের পুর¯কৃত করার মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।

শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০০৯

পানি পড়ছেই...


আরো জোরে পড়ছিল। আমার সাথে থাকা সুমনকে বললাম কে যেন টিপকলটি খুলে রেখে গেছে লাগিয়ে দেও। ও চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো।গতি কিছুটা কমলো। কিন্তু পানি পড়তেই থাকলো। সাথে ছিলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক তৌহিদ। তাকে একটা ছবি তুলতে বললাম।
জানিনা কবে থেকে এমন হয়ে আছে। সামান্য ১২ টাকার টিপকলের জন্য কত হাজার হাজার টাকার পানি পড়ে যাচ্ছে।
এ ঘটনা কুষ্টিয়া সুগার মিলে গেষ্ট হাউজের গেটে। সুগার মিল এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। কেউ আর আখ দিতে চাচ্ছে না। আখের চাষও কমে গেছে। এ নিয়ে ভীষন দুশ্চিন্তায় সবাই। তাই এই সামান্য টিপকলের দিকে তাকাবার ফুরসত নেই কারো।

সর্বকালের সবচেয়ে কম লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কুষ্টিয়া চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু


সর্বকালের সবচেয়ে কম লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কুষ্টিয়া চিনিকলের ২০০৯-১০ আখ মাড়াই মৌসুমের যাত্রা শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মিল চত্বরে আনুষ্ঠাানিকভাবে মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেন, চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান রনজিৎ কুমার বিশ্বাস। এসময় তিনি বলেন, আখচাষীদের জন্য টিএসপি সারে এবার ভর্তুকি দেবে সরকার। আখের মূল্যবৃদ্ধির যে দাবি উঠেছে সরকার তা বিবেচনা করেছে। আগামী মৌসুম থেকে বর্ধিত মূল্য কার্যকর হবে। তিনি বলেন, চলতি বছরে একবার আখের দাম বাড়িয়েছে সরকার। একবছরে দুবার দাম বাড়ানো দরীদ্র সরকারের পক্ষে সম্ভব কিনা আপনাদের চিন্তা করতে হবে। তিনি বলেন চিনি শিল্প আজ হুমকির মুখে। আখের প্রতিপক্ষ এ এলাকায় তামাক প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি কৃষকদের নিকট একখন্ড করে আখ ভিক্ষা চান। চেয়ারম্যান রনজিত আহবান বলেন, আপনারা না করলে এ শিল্প আর দাড়াতে পারবে না। কুষ্টিয়া চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ,বি,এম আরশাদ হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান, সহকারি পুলিশ সুপার সিএ হালিমসহ সুগার মিলের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। মাড়াই শুরুর মুহুর্তেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা প্রকাশ করছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ।কুষ্টিয়া চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ,বি,এম আরশাদ হোসেন জানান-গত বছর ১৪ হাজার ৩০ একর জমিতে আখ উৎপাদন হয়। মাড়াই কলে আখ আসার কথা ছিল এক লক্ষ ২১ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এসেছে মাত্র ৭৮৭৩০ মেট্রিক টন আখ। বাকিটুকু গুড় উৎপাদন হয়েছে বলে জানা যায়। এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ৭০হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন হবে ৫৪২৫মেট্রিক টন। যার আহরন ধরা হয়েছে ৭.৭০। যা গত মৌসুমের অর্ধেকে নেমে এসেছে। আর মিল চলবে মাত্র ৩৭ দিন।জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে চাষীরা দ্রুত আখ কেটে সেই আখ দিয়ে অবৈধ পাওয়ার ক্রাশারের মাধ্যমে তৈরী করছে গুড়। মিল প্রশাসন মাঝে একবার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এসব পাওয়ার ক্রাশার জব্দের চেষ্টা করে থাকে। তবে ম্যাজিষ্ট্রেট সংকটের কারনে এসব দুর্গম এলাকায় অভিযান শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মিলের একটি সুত্র জানায়। আখচাষীরা জানান, মাঠের এসব আখের মুল্য গাড়ি প্রতি (৩০ মন) ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা পাচ্ছি। আর মিলে ওই পরিমান আখের মুল্য উনিশ শত টাকা। তারপরও মিলে আখ সরবরাহ করতে ও বিল পেতে নানারকমের বিড়ম্বনায় পড়তে হয় চাষীদের।

এশিয়ার বৃহত্তম বস্ত্রকল কুষ্টিয়ার মোহিনী মিল ব্যাক্তি মালিকানায় ছেড়ে দিলো সরকার, চালু হচ্ছে অচিরেই

ছোট কলকাতা বলে পরিচিত কুষ্টিয়ার মোহিনী মিল এলাকা আবার জমজমাট হয়ে উঠবে। মেরুদন্ডও সোজা করে দাড়াবে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ। আসবে অর্থনৈতিক মুক্তি। কারণ আবার চালু হচ্ছে এশিয়ার বৃহত্তম এ বস্ত্রকল মোহিনী মিল। মিলটি বেসরকারি মালিকানায় ছেড়ে দিয়েছে সরকার। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে সাবেক মালিক পক্ষের নিকট চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। মিল চত্বরে এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক অনুষ্ঠানের। সেখানে মিলের ইনচার্জ মতিউর রহমান সরকার পক্ষের পক্ষে শাহ মখদুম গ্রুপের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনের হাতে চাবির ব্যাগ তুলে দেন। উভয়পক্ষ একটি চুক্তিনামায়ও স্বাক্ষর করেন। মিলটি এখন আবার শাহ মখদুম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নামে চালু হবে বলে মালিকপক্ষ ঘোষনা দেন। মোহিনী মিল আবার চালু হচ্ছে এ খবর শুনে এলাকার হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসেন অনুষ্ঠানস্থলে। তাদের চোখেমুখে ছিল আনন্দের ছাপ। সরকার ও শাহ মখদুম গ্রুপের মধ্যে মধ্যস্থকারি সংস্থা দি পিপলস ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমান এ মালিকের নিকট সরকারের ও ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। হস্তান্তরের আগেই মালিক পক্ষের নিকট থেকে ৯ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। মিল চালু হলে কর্মচাঞ্চল্য সৃস্টি হবে, বেকারত্য দুর হবে, বাকী টাকা আদায় করা সম্ভব হবে। এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও বস্ত্রমন্ত্রীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। যে কারনে আজ এ অসাধ্য সম্ভব হয়েছে। এ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আজগর আলী, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান প্রমূখ। পরে গতকাল দুপুরে দি পিপলস ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস কর্পোরেশন লিমিটেড ও মালিকপক্ষ কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে শাহ মখদুম গ্রুপের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর মাহবুবুর রহমান জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যেই মিলের বিএমআরআই অংশ চালু করা সম্ভব হবে। পরবর্তিতে মিলের পুরাতন অংশ অপসারন করে সেখানে বিএমআরআই স্থাপন করে বিপুল জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান হবে। তিনি মিলটি চালু রাখার পক্ষে সকলের সমর্থন ও সহযোগিতা আশা করেন। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা বন্ধ থাকা মিল চালু করছি। এরই অংশ হিসেবে এ মিলটি চালু হলো। ১৯০৮ সালে মোহিনী চক্রবর্তী এশিয়ার এই বৃহত্তর বস্ত্রকলটি কুষ্টিয়া শহরের ৯০ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেন। মিলকে ঘিরে গড়ে ওঠে আরো কিছু প্রতিষ্ঠান। মিলের উৎপাদিত শাড়ি, ধুতি, কাপড় দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে ভারতেও রফতানি করা হতো। চক্রবর্তী সন্স এ্যান্ড কোম্পানীর অধীনে মিলটি ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ব্যক্তি মালিকানায় চালু ছিল। একই বছর সরকার শত্র“ সম্পত্তি ঘোষণা করে মিলের দখল নেয়। এরপর ১৯৮৪ সালে সরকার টেন্ডারের মাধ্রমে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির কাছে মিলটি বিক্রি করে। নতুন মালিক মিলের নাম পরিবর্তন করে রাখেন শাহ মখদুম টেক্সটাইল মিল। মিলটি আবারও চালু করার জন্য নতুন মালিক অগ্রণী ব্যাংক থেকে দুই কিস্তিতে ৮ কোটি ৭৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ঋণ গ্রহন করেন। কিন্তু মিলটি চালু না করার কারণে শর্তভঙ্গের অভিযোগে সরকার ১৯৯০ সালে একটি মামলা দায়ের করে। অন্যদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণের টাকা আদায়ের লক্ষ্যে নতুন মালিকের নামে মামলা দায়ের করে। উভয়পক্ষ এসব মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই অবস্থায় মিলের অন্যান্য যন্ত্রপাতির সঙ্গে ১৯৯৪ সালের ১৮ অক্টোবর সিলগালা থাকা সত্বেও ৩০ লাখ টাকা মুল্যের ১১শ ৯৭টি ফাইবার চুরি হয়ে গেছে। মিলের ৫শ ৩৭টি পাওয়ার লুমেরও যায় যায় অবস্থা। সুতা তৈরীর কারখানা, যন্ত্রপাতি তৈরীর কারখানা দুটিরও বেহাল অবস্থা। দীর্ঘ ২২ বছর পর চালু হচ্ছে মোহিনী মিল। প্রতিশ্র“তি দেয়ার পরও কোন সরকারই খ্যাতনামা এই মোহিনী মিল চালুর ব্যাপারে কোনই উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ফলে এই মিলকে ঘিরে ওঠা অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ে। ১৯৮৭ সালে এ মিলটি বন্ধ হয়ে যাবার পর অশ্র“জলে বিদায় নেয় মিলের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক। অথচ একসময় কুষ্টিয়ার অর্থনৈতিক প্রাণ, সর্ববৃহৎ বস্ত্রকল মোহিনী মিলের অর্থে মিলটির ঝনঝন শব্দে সাথে সাথে শ্রমিকদের সারা মুখে হাসিও লেগে থাকতো। কিন্তু পরবর্তিতে মিলটিতেও লেগে যায় এলাকার নেতা নামধারী দালাল। নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে তারা তিলে তিলে গলাটিপে হত্যা করে মিলটিকে। সেই সাথে মৃত্যু হয় হাজার হাজার মানুষের খেয়ে পরে বেচে থাকার স্বপ্ন। আজ সব উতরে আবার নতুন করে আশায় বুক বাধছে মানুষ।

বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৯

বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এম আলাউদ্দিন। এরপর সেখানে বিজয় র‌্যালী শেষে শহীদ বেদিতে পূস্পার্ঘ অর্পন করেন তিনি। এদিকে কুষ্টিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগ, জাসদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন বর্নাঢ্য র‌্যালী বের করে। পূষ্পার্ঘ অর্পন করেন শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে। কুষ্টিয়া জিলা স্কুল এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা পালন করছে।

কুষ্টিয়ার খোকসার কুখ্যাত সালাম বাহিনীর প্রধান সালাম ডাকাতের গুলিবিদ্ধ লাশ পাবনার পদ্মাচর থেকে উদ্ধার

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ত্রাস কুখ্যাত সালাম বাহিনীর প্রধান সালাম ডাকাতের গুলিবিদ্ধ লাশ পাবনার খাসচর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকালে স্থানীয়রা লাশ দেখে পুলিশকে খবর দিলে দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, সালামের মুখের ভেতরে ও কপালে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। খোকসার আমবাড়িয়া গ্রামের এই সালাম ডাকাত দুর্গম ওই খাসচরের কাশবনের ভেতরে চাটাইএর বেড়ার ঘর করে সেখানেই আত্মগোপনে ছিল। ওই ঘরের ভেতরেই তার লাশ পাওয়া যায়।

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০০৯

বাদাম বিক্রি করে আর সংসার চলেনা রনাঙ্গনকাঁপানো মুক্তিযোদ্ধা আব্দুলের

কাজল চৌধুরী, ঝিনাইদহঃ যে দিন বাদাম বিক্রি হয় সে দিন দু’মুঠো খাবার জোটে, আর বিক্রি না হলে আনাহারে দিন চলে যায়। আসুখে পঙ্গু করে রেখেছে শরীর। চলাফেরা করতে পারিনে। ছেলেরা ভাত দেয় না। তাই অসুস্থ শরীর নিয়ে বাজারে বসে বাদাম বিক্রি করি- স্বাধীনতা যুদ্ধে রনাঙ্গন কাঁপানো বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল শেখ এ ভাবেই জানালেন তার যাপিত জীবনের কথা।ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের ধোপাবিলা গ্রামের লোকমান শেখের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল শেখ। টগবগে বয়সে জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে। প্রশিক্ষন নিয়েছেন ভারতের মাজদিয়া ট্রেনিং ক্যম্পে। অস্ত্র চালানো প্রশিক্ষন নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার শলুয়া গ্রামের কমান্ডার ওয়াজেদ আলীর অধীন যুদ্ধ করেছেন। সর্বশেষ তিনি কোটচাঁদপুরের সুবদিয়া এলাকায় পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে এলাকা হানাদার মুক্ত করেন। মুক্তিযুদ্ধের সেই ভয়াবহ স্মৃতি অভাব নার্মে দানব আব্দুলকে বিস্মৃতির অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছে বারবার। যুদ্ধ শেষে স্বাধীন মানচিত্র আর লাল সবুজের পতাকা পেয়েছে জাতি; কিন্তু আব্দুল শেখের যুদ্ধ শেষ হয়নি। দরিদ্র ঘরের সন্তান আব্দুল শেখ জানান তিনি দেশ স্বাধীনের পর পরই যোগদেন গ্রাম পুলিশে। দোড়া ইউনিয়নের চৌকিদার হিসেবে সামান্য বেতনে চাকরী করেছেন প্রায় ২৭/২৮ বছর। মাত্র ৯’শ টাকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা এখন আব্দুলের সম্বল। কোটচাঁদপুর উপজেলার ধোপাবিলা গ্রামের আলী রহম নামে এক ব্যক্তির জায়গায় ঘর বেধে থাকেন আব্দুল। ৭০ বছর বয়সেও প্রতিনিয়ত বেচে থাকার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ধোপাবিলা গ্রামের পাশেই বংকিরা বাজার। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ছোট্র এই বাজারে বসে আব্দুল বাদাম বিক্রি করেন। দুই কেজি বাদাম বিক্রি করে যা সামান্য লাভ হয় তাই দিয়ে কোন রকম সংসার চলে তার। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল শেখ জানান বেশির ভাগ সময় না খেয়ে দিন কাটে যায়। ছেলেরা পৃথক, ভাত দেয়না। নানা রোগে কাহিল হয়ে পড়েছে শরীর। কাশি হলেই মুখ দিয়ে চাপ চাপ রক্ত ওঠে। টাকার অভাবে ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন না আব্দুল। শীর্নকায় শরীরে বাদামের ঝুড়ি বইতে আর ভাল লাগে না আব্দুলের।

কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক নাহারুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী পালন

কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট সাংবাদিক অধূনালুপ্ত দৈনিক বাংলার বাণীর সাংবাদিক প্রয়াত নাহারুল ইসলাম মন্টুর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের এমএ রাজ্জাক মিলয়াতনে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। কুষ্টিয়ার দৈনিক বাংলাদেশ বার্তার সম্পাদক আবদুর রশীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, প্রবীন সাংবাদিক সাপ্তাহিক ইস্পাত পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব ওয়ালিউল বারী চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী পরিষদের সভাপতি খন্দকার শামসুল আলম দুদু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. আমিনুল হক রতন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ কলাম লেখক শেখ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ মিন্টু, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গাজী মাহবুব রহমান, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক অসিত কুমার সিংহ রায় প্রমুখ। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন সাংবাদিক আক্তার হোসেন ফিরোজ।

সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৯

শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মোমবাতি মিছিল

শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কুষ্টিয়া জেলা শাখা সোমবার সন্ধায় কুষ্টিয়া শহরে মোমবাতি মিছিল করেছে। শহরের সারস চত্বরে নির্মূল কমিটির অফিসের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পৌর মার্কেটের সামনে স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে সমাবেশ করে মিছিলটি। সেখানে মোমবাতি প্রজ্বলণ করে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। সেখানকার সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর কামাল উদ্দিন, নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা গোলাম মহসীন, সাধারন সম্পাদক অসিত সিংহ রায়। সমাবেশ শেষে প্রজ্বলিত মোমবাতি সহকারে সেখান থেকে শুরু হয় মিছিল। মিছিলে বুদ্ধিজীবিদের হত্যাকারী রাজাকার আল বদর আল শামসদের বিচার দাবি করে শ্লোগান দেয়া হয়। শেষে সারস চত্বরে এসে মিছিলটি শেষ হয়। সেখানে ঘোষনা দেয়া হয় আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় সারস চত্বর থেকে নির্মূল কমিটির উদ্যোগে বিজয় র‌্যালী বের হবে।

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়া পাউবো’র ৩২ কোটি টাকার টেন্ডার

কুষ্টিয়া শহর রক্ষার্থে গড়াই নদীর তীরে বাধ নির্মানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতায় ৩২ কোটি টাকার টেন্ডার ড্রপিং হয়েছে। সোমবার বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়া নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে টেন্ডার ওপেন করা হয়। থানা পাড়া থেকে মহাশ্বশ্মান পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার বাধ নির্মানের মোট ৬ গ্রুপের কাজে ৯৬ টি সিডিউল বিক্রি হয়। এর মধ্যে ৫২টি সিডিউল ড্রপ হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ৫টি ও ফরিদপুরে ১টি এবং বাকী ৪৬টি সিডিউল জমা পড়ে কুষ্টিয়া পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে রক্ষিত টেন্ডার বাক্সে। এবারই রেকর্ড সংখ্যক সিডিউল ড্রপিং হয়েছে।

দীর্ঘ দিন ধরে চরমপন্থি সন্ত্রাসী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা কুষ্টিয়ার এ দপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রন করে আসছে। এবার সবচেয়ে বড় অংকের ৩২ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে কয়েকদিন ধরে জল্পনা কল্পনা চলে আসছে। সে কারনে এ উপলক্ষে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডে পুলিশ ও র‌্যাব কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে। গতকাল দিনভর পাউবোর কুষ্টিয়া অফিস ঠিকাদার নিরাপত্তাকর্মি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সরগরম ছিলো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করেন, এবারও আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ একটি চরমপন্থি দলের সহায়তায় সুকৌশলে এ টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। ৪৪ জন ঠিকাদার সিডিউল কিনেও ড্রপ করতে পারেন নি। কি কারনে তারা টেন্ডার ড্রপ করেন নি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম টেন্ডার ওপেন করার সময় তিনি বলেন, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে টেন্ডার ড্রপিং হয়েছে। ঠিকাদাররা স্বত;স্ফুর্তভাবে ট্রেন্ডার ড্রপিং করেছে। এখানে কোন শক্তির নিয়ন্ত্রণের কোন উপায় নেই। উপস্থিত ঠিকাদাররাও তার পক্ষে মত দেন। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা আওযামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী বলেন, আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মি এ টেন্ডারের সাথে জড়িত নয়। দেশ ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৩০ শতাংশ লেসেও অনেকেই টেন্ডার দিয়েছে। কিভাবে কাজ করবে তা বুঝতে পারছি না। তবে কেউ চাপ দিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। টেন্ডার ওপেনিং এর সময় ঘটনাস্থলে থাকা কুষ্টিয়া পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (সদরদপ্তর) আলমগীর হোসেন জানান, আগে থেকেই আমরা সতর্ক ছিলাম। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ঠিকাদাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে টেন্ডার ড্রপিং হয়েছে। এরমধ্যেও কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে কি না আমরা খতিয়ে দেখছি।

চলতি বছরেই কুষ্টিয়ায় বাইপাস সড়ক, হরিপুর সেতু ও সুইমিং পুল কাজ শুরু হচ্ছে

সাজ্জাদ রানা, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া গড়াই নদীর উপর হরিপুর সেতু, শহর বাইপাস সড়ক ও সুইমিং পুলের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। নতুন বছরের শুরুতেই প্রকল্প গুলোর কাজ শুরু হবে বলে জানাগেছে। এসব প্রকল্প গুলো নিয়ে দীর্ঘদিন ভোটের রাজনীতি হয়ে আসলেও অবশেষে কুষ্টিয়াবাসীর চাওয়া-পাওয়া পূরণ হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর এ সবই সম্ভব হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুব-উল-আলম হানিফের প্রচেষ্টায়।স্বাধীনতার পর কুষ্টিয়া থেকে এই প্রথম কোন নেতা জাতীয় গুরুত্বপূর্ন পদে আসীন হয়েছেন। আর কারনেই স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে বলে সবাই মনে করছেন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে কুষ্টিয়াবাসীর দূর্ভোগ দূর্দশা অনেকাংশে লাঘব হবে বলেও মনে করছেন সংশিষ্টরা। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মতায় আসার পর কুষ্টিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি হরিপুর সেতু , বাইপাস সড়ক ও সুইমিং পুল নির্মানের ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাইপাস সড়ক নির্মানের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের একটি সুত্র জানিয়েছে, বাইপাস সড়ক নির্মানের প্রাথমিক সব কাজই প্রায় শেষ হয়ে গেছে। ভুমি জরিপ ও অধিগ্রহনের কাজও শেষ হয়েছে অনেক আগে। ছোট খাট কিছু সমস্যা রয়েছে তাও অতি দ্রুত নিরসন হয়ে যাবে। এরপরই কাজ শুরু করা যাবে বলে আমরা আশা করছি। বটতৈল থেকে ত্রিমহোনী পর্যন্ত বাইপাস সড়ক না থাকায় প্রায়ই দূঘর্টনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা সুত্রে জানাগেছে, বাইপাস সড়ক নির্মান প্রকল্পটি নিয়ে আর কোন সংশয় নেই। এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদিকে বাইপাস সড়ক নির্মাণ হতে চলায় এলাকাবাসীর মধ্যেও খুশির ভাব ল্য করা গেছে। চৌড়হাস এলাকার ব্যবসায়ী নরুল হক জানান, বাইপাস সড়ক কুষ্টিয়াবাসীর প্রাণের দাবী। এর আগে উদ্বোধন করা হলেও তা ছিল লোক দেখানো। বিএনপি নেতারা বাইপাস সড়ক নিয়ে ভোটের রাজনীতি করেছে। আমলার সাতারুদের সুইমিং পুলের দাবিও নতুন নয়। গত বিএনপি সরকার আমলে সুইমিং পুল নির্মাণের আশ্বাস দেয়া হলেও তা শেষ পর্যন্ত আর হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি মাহবুব-উল-আলম হানিফের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সুইমিং পুলও পেতে যাচেছ কুষ্টিয়াবাসী। একনেকের বৈঠকে কুষ্টিয়ায় সুইমিং পুল নির্মানের জন্য ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সুইমিং পুল নির্মানের জন্য জায়গা নির্ধারণের কাজ চলছে। আগামী বছরের প্রথম দিকে এ কাজ শেষ হবে বলে জানাগেছে। কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি অনুপ কুমার নন্দী জানান, সুইমিং পুল কুষ্টিয়ার সাতারুদের জন্য অতীব দরকার। এদিকে সুইমিং পুল নির্মাণ হলে কুষ্টিয়া থেকে জাতীয় পর্যায়ে আরও অনেক সাতারু তাদের অবদান রাখতে পারবে। জানাগেছে, কুষ্টিয়ায় যে সুইমিং পুলটি নির্মাণ করা হবে তাতে আধুনিত সকল সুযোগ সুবিধা থাকবে বলে জানাগেছে। এদিকে হরিপুরের সাথে কুষ্টিয়া শহরের মানুষের নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ বাড়াতে গড়াই নদীর উপর একটি সেতুর দাবি অনেক দিনের। এ সেতু নিয়ে হরিপুর বাসী কুষ্টিয়া শহরে মানববন্ধন থেকে শুরু করে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। তবে গত এক যুগ ধরে কুষ্টিয়ার প্রাণ হরিপুর বাসীর সে দাবি পূরণ হয়নি। গত বিএনপি সরকারের শেষের দিকে হরিপুর জিকে ঘাটের ওপারে বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি নির্মাণ কাজের একটি ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। তবে সে কাজ আর হয়নি। খোঁজনিয়ে জানাগেছে, সে সময় ভোটের আগে হরিপুর বাসীর ভোট পেতে বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি সোহরাব উদ্দিন এ নাটক করেছিলেন। হরিপুর সেতু প্রকল্পটি আওয়ামী লীগ সরকার মতায় আসার পর মাহবুব-উল-আলম হানিফ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উচ্চ মহলে দাবি তোলেন। তার সুপারিশ অনুযায়ী সরকার ইতিমধ্যে সেতু নির্মানের ব্যাপারে সকল পদপে নিয়েছে। গড়াই নদীর জিকে ঘাটে সেতু নির্মানের ব্যাপারে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। একনেকের বৈঠকে এ সেতুটি বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নদী শাসন ও সব মিলিয়ে সেতুটি নির্মান কাজে ৫০ কোটি টাকার মত ব্যায় হবে বলে জানাগেছে। এদিকে হরিপুর সেতু বাস্তবায়ণের খবরে হরিপুরসহ কুষ্টিয়া শহরের লোকজন সস্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। হরিপুর সেতু বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন, হরিপুর ও কুষ্টিয়া এক আত্মা। হরিপুর ও কুষ্টিয়াকে আলাদা করে দেখলে চলবে না। সেতু নিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত সেতুটি হচ্ছে এটা জেনে আমরা আনন্দিত। সেতু নির্মান হলে কুষ্টিয়ার অর্থনীতির চাকা আরও সচল হবে বলে তিনি জানান। দীর্ঘদিন পর সেতুটি বাস্তবায়ন হলে হরিপুরের সাথে কুষ্টিয়ার যোগাযোগ যেমন সহজ হবে তেমিন সকল সুবিধা নিশ্চিত হবে হরিপুর বাসীর। সম্প্রতি কুষ্টিয়া সফরে এসে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি মাহবুব-উল-আলম হানিফ অবহেলিত কুষ্টিয়ার জন্য সকল প্রকার উন্নয়নের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, আমি কথা দিয়ে মানুষকে ভোলাতে চায় না। আমি কাজ করে আমার কথার কথা প্রমাণ দিতে চায়। তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরে কুষ্টিয়া বাংলাদেশের মধ্যে ডিজিটাল জেলা পরিণত হবে। কুষ্টিয়ায় আইটি ভিলেজসহ সকল প্রকার আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

কুষ্টিয়ায় ফের সক্রিয় চাঁদাবাজরা, ৩ মাসে থানায় ২৫ জিডি

সাজ্জাদ রানা, কুষ্টিয়া
ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে কুষ্টিয়া এলাকার চাঁদাবাজরা। পলাতক বিভিন্ন বাহিনী প্রধানের নাম করে মোবাইল ফোনে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে সমাজের বিত্তবানদের কাছে। বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের নিকট প্রতিনিয়ত ফোনে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। চাঁদা না দেয়া হলে হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে গত তিন মাসে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন থানায় ২৫টি জিডি হয়েছে। থানা ও বেশ কয়েকটি সুত্রে খবর নিয়ে জানাগেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও এক অধ্যাপকের কাছে চাঁদা চেয়ে ফোন করেছে চাঁদাবাজ চক্র। শহরের কোর্টপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মাহাবুব আলম ফিরোজের অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ নভেম্বর ঢাকার মহাখালী এস এ পরিবহন অফিস থেকে চাঁদার টাকা নেয়ার সময় সর্বহারা পার্টির কথিত সদস্য ফরিদপুর জেলার সালতা পান্টি গ্রামের কোরবান আলীকে কুষ্টিয়া পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে যশোর থেকে সর্বহারা পার্টিপ্রধান মহিউদ্দিন পরিচয়দানকারী মাদারীপুরের রাজৈর থানার লুন্ডি গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে আসাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশ তাদের জেলহাজতে পাঠায়। বেশকিছু দিন চুপচাপ থাকার পর চাঁদাবাজ চক্র আবার মহিউদ্দিনের পরিচয়ে দিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেছে একটি চক্র। পুলিশের একাধিক সুত্র জানিয়েছে, কুষ্টিয়া চরমপন্থি অধ্যুষিত এলাকা। এখানে চাঁদাবাজির বিষয়টি নতুন নয়। সন্ত্রাসীরা পলাতক থেকেই ফোনে চাঁদা সংগ্রহ করছে। তাদের লোকজন চাঁদা নিয়ে যাচ্ছে। তবে একটি চক্র আছে যারা নিজেদেরকে চরমপন্থি নেতা পরিচয় দিয়ে লোকজনকে ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছে। সম্প্রতি যে চাঁদবাজি শুরু হয়েছে সেটা এই চক্রের কাজ হতে পারে। গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর শাহজাহান আলীকে ০১৯১১৬১০৩০২ নাম্বার মোবাইল থেকে ফোন করে এক চাঁদাবাজ। ফোনে সে নিজেকে সর্বহারা পার্টির প্রধান মহিউদ্দিন পরিচয় দেয় এবং তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দাবি করা ওই ব্যক্তি প্রফেসর শাহাজাহানকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর অরবিন্দ পোদ্দারের কাছেও চাঁদা চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কুষ্টিয়ার অনেকের কাছে চাঁদাবাজরা ফোন করে চাঁদা দাবি করেছে।প্রসঙ্গত কুষ্টিয়ায় কমরেড সিরাজ সিকদারের সর্বহারা পার্টির কোনো অস্তিত্ব নেই। দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থীদের নামে ভুয়া চাঁদাবাজ চক্র চাঁদা দাবি করে আসছে। কুষ্টিয়ার এএসপি হেড কোয়ার্টার আলমগীর হোসেন জানান, মাদারীপুরের কিছু প্রতারক রয়েছে, যারা বিভিন্ন চরমপন্থী সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি করে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এ চক্রের দুই সদস্যকে নভেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতারক চক্রের সব সদস্যকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামীরা ইবির বহুল আলোচিত অস্ত্র ও বিষ্ফোরক মামলা এখন ফাইলবন্দি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে অস্ত্র ও বিষ্ফোরক মামলার আসামীসহ একাধিক মামলার আসামী মুহাম্মদ আলী ওরফে শিমূল ও তার সহদর ভাই ওয়ালিদ হাসান ওরফে মুকুট। পুলিশের খাতায় তারা পলাতক হলেও ইবি থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই ক্যাম্পাস দাবরিয়ে বেড়াচ্ছে। গত ১৯ নভেম্বর মুহাম্ম্দ আলী শিমুল ও ওয়ালিদ হাসান মুকুটের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ইবি শাখার সেক্রটারী পদ প্রত্যাশী মোস্তাককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ বিকেল ৩টার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কয়েকটি কে তল্লাশি চালিয়ে শিমুলের (এফ-২১৪) ক থেকে ৩টি এলজি, ২টি রামদা ও ৫টি বোমা এবং ছাঁদ থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ২টি রামদা উদ্ধার করে। এঘটনায় ওই দিন রাতেই ইবি থানায় এ সংক্রান্ত দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। সুত্র জানায়, কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের এসআই মুনিরুজ্জামান বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান হলের এফ-২১৪ নম্বর রুমের আবাসিক ছাত্র মোহাম্মদ আলী ওরফে শিমূল এবং ওয়ালিদ হাসান ওরফে মুকুট এর বিরুদ্ধে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা রাখার দায়ে ১৯০৮ সালের বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪/৫ ধারা এবং ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়। ছাত্রলীগের বঙ্গবন্ধু হলের কর্মীরা অভিযোগ করে, যখন পুলিশ শিমূল ও মুকুটের রুম থেকে অস্ত্র উদ্ধার করছিল তখন শিমূল ও মুকুট হলের সামনেই ছিল। পরে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান উপস্থিত হয়ে তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। এঘটনার ২০ দিন অতিবাহিত হলেও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। পুলিশের খাতায় আসামীরা পলাতক হলেও ক্যাম্পাসে পুলিশের সঙ্গেই একত্রে আড্ডা দিচ্ছে তারা। ঈদের ছুটি শেষে ক্যাম্পাস খোলার পরদিনই আসামীরা ক্যাম্পাসে মোটর সাইকেল নিয়ে সোডাউন করেছে। ভিসি অফিসসহ বিভিন্ন অফিসেই তাদের সঙ্গবদ্ধভাবে দেখা গেছে। প্রতিদিনই তারা ক্যাম্পাসে সোডাউনসহ নানাভাবে প্রতিপ গ্র“পের নেতা-কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। একটি বিশ্বস্ত সুত্রে জানাগেছে, তাদের গ্রেফতার না হওয়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবুল আরফিন নিশ্চিত করেছেন। তবে এব্যাপারে ইবি থানার ওসি মতিয়ার রহমান ও ‘ম’ অধারের এক ডিএসবি পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করছেন। সুত্র আরও জানায়, শিমুলের আবাসিক রুম থেকে অস্ত্র উদ্ধার কালে শিমূল হলের সামনেই ছিল। পরে ইবি থানার ওসি এসে তাকে পালিয়ে যেতে পরামর্শ দিলে সে পালিয়ে যায়। এরপর ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ডিএসবি পুলিশের এক কর্মকর্তা ব্যাপক তৎপর হয়ে উঠে বলে প্রত্যাদর্শী একাধিক সুত্রে জানাগেছে। এদিকে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক-কর্মকর্তাদের একটি অংশ বিভিন্নভাবে প্রশাসনে তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রলীগের কয়েক নেতাও নিজ গ্র“পে ভিড়াতে শিমূল ও মুকুটের গ্রেফতার এড়াতে তৎপর হয়ে উঠেছে।

কুষ্টিয়ায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকু : আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘খুবই ভাল’ শুনতে চাই

কুষ্টিয়া জেলার আইন শৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেছেন, আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমাদেক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভাল। যে কোন মূল্যে এ অবস্থা ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘খুবই ভাল’ অবস্থায় দেখতে চাই। প্রতিমন্ত্রী টুকু বলেন, চরমপন্থিরা এখন পালিয়েছে। তাদের সাথে সম্পৃক্ত লোকজন এখনো নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদেরকে হুশিয়ার করছি চরমপন্থিদের সাথে সম্পৃক্ততা বাদ দেন। নতুবা যে দলের বা যত ক্ষমতাশালীই হোন না কেন আপনাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। রোববার বিকেলে তিনি কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য কে এইচ রশীদুজ্জামান। আরো বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান, খুলনা বিভাগের ডিআইজি শেখ হেমায়েত উদ্দিন, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, বিডিআর কুষ্টিয়া সেক্টরের প্রধান লে. কর্ণেল জাহিদ। এ সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সরকারি কলেজের প্রধান, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, আইনজীবি, সাংবাদিক ও পরিবহন মালিকগন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিদের সাথে মতবিনিময় করেন।

শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় কাটা মাথা ও দেহ বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্ধার

কুষ্টিয়ায় আবারও কাটা মাথা ও বিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়া থানা পুলিশ সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নে পৃথক দুটি স্থান থেকে বিচ্ছিন্ন মস্তক ও দেহ উদ্ধার করে। নিহত যুবকের নাম শাহীন শেখ। তার পিতার নাম মোতাহার হোসেন। স্থানীয়রা জানায়, সে একজন গাজা ব্যবসায়ী। পুলিশ জানিয়েছে, সকালে স্বস্তিপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক আমান উল্লাহর বাঁশ বাগান থেকে প্রথমে শাহীন শেখের দেহ পাওয়া যায়। এরপর আধা কিলোমিটার দুরে ভাদালিয়া বাজারের একটি ভ্যানের উপর পাওয়া যায় কাটা মাথা। পুলিশের ধারনা, প্রতিপক্ষ চরমপন্থী সন্ত্রাসী শাহীনকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছে। শাহীনের পরিবার সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে শাহীন বাড়ি থেকে বের হয়, পরে সে আর ফেরেনি।

শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০০৯

রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ : কুষ্টিয়া বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছে বারবার-শাহরিয়ার কবির

দীর্ঘ ৩৮ বছর পর হলেও কুষ্টিয়ার ১২৯ জন রাজাকারের নামের তালিকা প্রকাশ করে চমক ফেলে দিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। কুষ্টিয়া মুক্ত দিবসে শুক্রবার শহরের মজমপুরে ঘৃনিত রাজাকার চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তালিকা উম্মোচন করেন, নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। এর আগে সেখানে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অনেক দেরীতে হলেও কুষ্টিয়া মুক্ত দিবসে আজ কুষ্টিয়াবাসী দেশের শত্র“ রাজাকারদের বিরুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধ শুরু করতে পেরেছে। তালিকা প্রকাশ করতে পারা মানেই বিচারের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেল। তিনি বলেন, কুষ্টিয়া বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছে বারবার। কুষ্টিয়ার মানুষ রাজাকারদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তা ঐতিহাসিক ঘটনা। এ ক্ষেত্রেও কুষ্টিয়া প্রথম। তিনি বলেন, রাজাকাররা সর্বত্র শিকড় গেড়ে বসেছে। যে কারনেই বিচার শুরু করতে এতো বাধা আসছে। নতুন প্রজন্মকে হুশিয়ার করে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু করতে নানা ষড়যন্ত্র, নানা তালবাহানা চলছে। আপনারা সাবধান থাকবেন। তিনি বলেন, দেশকে যারা চাননি তাদের বিচার যদি না করা যায় তাহলে দেশে আইনের শাষন থাকে কোথায়। তিনি বলেন, কোন তালবাহানা নয়, যুদ্ধাপরাধী যে দলেরই হোক না কেন তাদের বিচারের মুখোমূখী দাড় করাতে হবে। আর বিলম্ব নয় এখনই বিচারের কাজ শুরু করতে হবে। নির্মূল কমিটির জেলা সভাপতি এডভোকেট বায়েজিদ আক্কাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শফিকুল আলম, কেন্দ্রীয় নেত্রী মমতাজ লতিফ, কাজী লুৎফর রহমান, জাতীয় নারী জোটের আহবায়ক আফরোজা হক রীনা, প্রবীণ সাংবাদিক ওয়ালিউল বারী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী, পৌর মেয়র আনোয়ার আলী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. শাহীনুর রহমান প্রমুখ। রাজাকারদের তালিকা : স্বাধীনতাযুদ্ধ পরবর্তীকালে কুষ্টিয়া জেলার পিচ কমিটির নেতা ও রাজাকাররা মন্ত্রী, এমপি, চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সমাজের অনেক শীর্ষ অবস্থানে রয়েছেন। স্বাধীনতা বিরোধী এসব রাজাকাররা স্বাধীন বাংলার মাটিতে জনপ্রতিনিধিও হয়েছেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কুষ্টিয়া জেলা শাখার বাছাই করা একটি রাজাকারদের তালিকা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে শহরের ব্যস্ততম মজমপুর গেট এলাকায় রাজাকারের নাম সম্বলিত এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া প্রতিটি থানা এলাকাতেও তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিকভাবে ১২৯ জন রাজাকারের তালিকা বোর্ডে লিখে টাঙ্গানো হয়েছে। তালিকা ঘেটে দেখা গেছে, রাজাকারদের অধিকাংশ এখন কুষ্টিয়ার প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি। সমাজের লোকজন এদের দেশপ্রেমিক বলেই জানেন। ভোল পাল্টে অনেকেই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি সাজার চেষ্টা করছেন। আবার অনেক রাজাকার পুত্ররা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের শীর্ষ পদে রয়েছেন। একাত্তরের ঘাতকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান, সাবেক এমপি, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন। তবে এর মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন। রাজাকারদের অনেকে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে ছিলেন। কুষ্টিয়া জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির তৈরি করা তালিকায় রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান (মৃত), এরশাদ সরকারের সাবেক খাদ্য প্রতিমন্ত্রী কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কোরবান আলী, কুমারখালী পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম আনছার প্রামানিক, কুষ্টিয়া জজ কোর্টের প্রভাবশালী আইনজীবী সাদ আহমেদ ও বিএনপির সরকারের সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং কুষ্টিয়া দৌলতপুর আসনের প্রয়াত এমপি আহসানুল হক পচা মোল্লা, কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও জামায়াত নেতা ফরহাদ হুসাইন, কুষ্টিয়া লাল মহম্মদ তেল কলের মালিক লাল মহম্মদ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক সিবিএ নেতা কুটি খানসহ প্রতিষ্ঠিত কিছু ব্যক্তির নাম রয়েছে। এরাই স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে লুন্ঠন, অত্যাচার মানুষ হত্যা নারীদের ইজ্জত হানির ঘটনা ঘটিয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে কুষ্টিয়া অঞ্চলের এসকল রাজাকাররা বিভিন্ন সরকারের মন্ত্রী এমপি হয়েছেন। হরিনারায়নপুরের ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাজাকার আবু তালেবের পুত্র লিয়াকত হোসেন জেলা কৃষকলীগের নেতা। রাজাকার কোরবান আলী ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়ন থেকে শুরু করে এমন কোন রাজনৈতিক দল নেই যাতে তিনি জায়গা করে নেননি। বার বার রাজনৈতিক দলের জার্সি বদলকারী কোরবান আলী বর্তমানে এলডিপির নেতা। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট বায়েজিদ আক্কাসের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে রাজাকাররা বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি হয়েছে। তাদের অনেকে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করার মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণও করেছে। স্বাধীনতা পরবর্তিকালে মামলার রেকর্ড ও মুক্তিযোদ্ধাদের লেখা বিভিন্ন বইপত্র ঘেটে তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তালিকা প্রকাশের পর নতুন প্রজস্মের তরুণরা এদের সমন্ধে সজাগ থাকবে বলে তিনি মনে করেন। জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারন সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্র নেতা অসিত কুমার সিংহ রায় বলেন, রাজাকাররা ভাল সেজে সমাজের অনেক ক্ষতি করছে।

শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০০৯

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১০ এর ড্র অনুষ্ঠিত

আজ ভোরে বিশ্বকাপ ফুটবলের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিচে গ্রুপভিত্তিক দল ও ফিকচার দেয়া হলো।

Group A
1. South Africa
2. Mexico
3. Uruguay
4. France
Group B
1. Argentina
2. Nigeria
3. South Korea
4. Greece
Group C
1. England
2. United States
3. Algeria
4. Slovenia
Group D
1. Germany
2. Australia
3. Serbia
4. Ghana
Group E
1. Netherlands
2. Denmark
3. Japan
4. Cameroon
Group F
1. Italy
2. Paraguay
3. New Zealand
4. Slovakia
Group G
1. Brazil
2. North Korea
3. Côte d'Ivoire
4. Portugal
Group H
1. Spain
2. Switzerland
3. Honduras
4. Chile

খেলার সূচী
Group Stage
Friday June 11, 2010
10:00am EDT
Flag of South Africa vsFlag of Mexico
2:30pm EDT
Flag of Uruguay vsFlag of France
Saturday June 12, 2010
7:30am EDT
Flag of Argentina vsFlag of Nigeria
10:00am EDT
Flag of South Korea vsFlag of Greece
2:30pm EDT
Flag of England vsFlag of United States
Sunday June 13, 2010
7:30am EDT
Flag of Algeria vsFlag of Slovenia
10:00am EDT
Flag of Germany vsFlag of Australia
1:30pm EDT
Flag of Serbia vsFlag of Ghana
Monday June 14, 2010
7:30am EDT
Flag of Netherlands vsFlag of Denmark
10:00am EDT
Flag of Japan vsFlag of Cameroon
2:30pm EDT
Flag of Italy vsFlag of Paraguay
Tuesday June 15, 2010
7:30am EDT
Flag of New Zealand vsFlag of Slovakia
10:00am EDT
Flag of Côte d'Ivoire vsFlag of Portugal
2:30pm EDT
Flag of Brazil vsFlag of North Korea
Wednesday June 16, 2010
7:30am EDT
Flag of Honduras vsFlag of Chile
10:00am EDT
Flag of Spain vsFlag of Switzerland
1:30pm EDT
Flag of South Africa vsFlag of Uruguay
Thursday June 17, 2010
7:30am EDT
Flag of France vsFlag of Mexico
10:00am EDT
Flag of Greece vsFlag of Nigeria
2:30pm EDT
Flag of Argentina vsFlag of South Korea
Friday June 18, 2010
7:30am EDT
Flag of Germany vsFlag of Serbia
10:00am EDT
Flag of Slovenia vsFlag of United States
2:30pm EDT
Flag of England vsFlag of Algeria
Saturday June 19, 2010
7:30am EDT
Flag of Ghana vsFlag of Australia
10:00am EDT
Flag of Netherlands vsFlag of Japan
1:30pm EDT
Flag of Cameroon vsFlag of Denmark
Sunday June 20, 2010
7:30am EDT
Flag of Slovakia vsFlag of Paraguay
10:00am EDT
Flag of Italy vsFlag of New Zealand
2:30pm EDT
Flag of Brazil vsFlag of Côte d'Ivoire
Monday June 21, 2010
7:30am EDT
Flag of Portugal vsFlag of North Korea
10:00am EDT
Flag of Spain vsFlag of Honduras
2:30pm EDT
Flag of Chile vsFlag of Switzerland
Tuesday June 22, 2010
10:00am EDT
Flag of France vsFlag of South Africa
10:00am EDT
Flag of Mexico vsFlag of Uruguay
2:30pm EDT
Flag of Nigeria vsFlag of South Korea
2:30pm EDT
Flag of Greece vsFlag of Argentina
Wednesday June 23, 2010
9:00am EDT
Flag of United States vsFlag of Algeria
10:00am EDT
Flag of Slovenia vsFlag of England
2:30pm EDT
Flag of Ghana vsFlag of Germany
2:30pm EDT
Flag of Australia vsFlag of Serbia
Thursday June 24, 2010
10:00am EDT
Flag of Slovakia vsFlag of Italy
10:00am EDT
Flag of Paraguay vsFlag of New Zealand
2:30pm EDT
Flag of Denmark vsFlag of Japan
2:30pm EDT
Flag of Cameroon vsFlag of Netherlands
Friday June 25, 2010
10:00am EDT
Flag of Portugal vsFlag of Brazil
10:00am EDT
Flag of North Korea vsFlag of Côte d'Ivoire
1:30pm EDT
Flag of Chile vsFlag of Spain
2:30pm EDT
Flag of Switzerland vsFlag of Honduras
Round of 16
Saturday June 26, 2010
10:00am EDT
1A vs2B
2:30pm EDT
1C vs2D
Sunday June 27, 2010
10:00am EDT
1D vs2C
2:30pm EDT
1B vs2A
Monday June 28, 2010
10:00am EDT
1E vs2F
2:30pm EDT
1G vs2H
Tuesday June 29, 2010
9:00am EDT
1F vs2E
2:30pm EDT
1H vs2G
Quarterfinal
Friday July 2, 2010
10:00am EDT
16E vs16G
2:30pm EDT
16A vs16C
Saturday July 3, 2010
10:00am EDT
16B vs16D
2:30pm EDT
16F vs16H

Semifinal
Tuesday July 6, 2010
2:30pm EDT
Q2 vsQ1
Wednesday July 7, 2010
2:30pm EDT
Q3 vsQ4

Third Place Game

Saturday July 10, 20102:30pm EDT

LS1 vsLS2

Final

Sunday July 11, 20102:30pm EDT

S1 vsS2

শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির দুই ভয়ংকর কিলার রোকন ও হাতকাটা সাগর নিহত

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে দুই দুর্ধর্ষ কিলার রোকন ও হাত কাটা সাগর। পুলিশ জানায়, এরা চরমপন্থী সংগঠন পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি (মান্নান মোল্লা) গ্রুপের ক্যাডার। আজ শুক্রবার ভোর রাত ৩টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি রেলষ্টেশন সংলগ্ন একটি পুকুরের পাড়ে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ইউএস’র তৈরি পিস্তল, একটি এলজি, ৫ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৬ রাউন্ড বন্দুকের গুলি ও ৪ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্যমতে, জগতি রেলষ্টেশনের নিকটে একটি পুকুর পাড়ে দুই দল চরমপন্থী সন্ত্রাসী বন্দুযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে এ সংবাদের ভিত্তিতে রাত ৩টার দিকে পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশ দেখেই চরমপন্থিরা তাদের লক্ষ করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা জবাব দিলে শুরু হয় ত্রি-মুখি বন্দুকযুদ্ধ। প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী চলে এ বন্দুকযুদ্ধ। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি (মান্নান মোল্লা) গ্রুপের সামরিক ক্যাডার কিলার রোকন ও ছমির উদ্দিন ওরফে হাত কাটা সাগরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। নিহত চরমপন্থী সন্ত্রাসী রোকন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পশ্চিম মজমপুর কোরবান শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৫টি হত্যাসহ ১২টি মামলা ও হাত কাটা সাগর শহরতলী চৌড়হাস এলাকার সামছুদ্দিন ওরফে ভুট্রো ড্রাইভারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৩টি হত্যাসহ ৯টি মামলা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভা : বিজয়ের মাসে নানা কর্মসূচী গ্রহণ



স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদেরা এখনো দেশ বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। তারা কখনো এদেশের মঙ্গল চায় না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত শুরু করতে না পারলে শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা হবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করার নির্বাচনী প্রতিশ্র“তি দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতা গ্রহনের এক বছর হতে গেলেও এখনো বিচার শুরু করতে পারেনি তারা। এ ব্যাপারে সরকার তাদের অবস্থান দেশবাসীর নিকট এখনো পরিস্কার করেনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ তরান্বিত করতে সরকারকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। চিহ্নিত রাজাকার-আলবদরদের বিরুদ্ধে আরো সোচ্চার হতে হবে। ৭১’এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কুষ্টিয়া জেলা শাখা এবং জেলা উপদেষ্টা পরিষদের এক যৌথ সভায় উপদেষ্টা ও কার্যকরি পরিষদের নের্তৃবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন। জেলা ইউনিটের সভাপতি এ্যাড. বায়েজীদ আক্কাসের সভাপতিত্বে এ যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, নিমূল কমিটির জেলা উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট প্রবীণ সাংবাদিক আলহাজ্ব ওয়ালিউল বারী চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক অসিত কুমার সিংহ রায়ের পরিচালনায় যৌথ সভায় সভায় বক্তৃতা করেন, জেলা নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন, কুষ্টিয়া বারের সম্পাদক ও পিপি এ্যাড. নুরুল ইসলাম দুলাল, এ্যাড. হারুণ-অর-রশীদ, জাসদ নেতা সাহাবুব আলী, গোলাম মহাসিন। অন্যান্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, জেলা নির্মূল কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নেতা মুন্সী তরিকুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক সাইফুর রহমান সুমন, নির্বাহী সদস্য কুষ্টিয়ার আধুনিক মিডিয়ার জনক মনজুর এহসান চৌধুরী, সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মজিবুল শেখ প্রমুখ। সভায় অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন, জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কারশেদ আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মেনন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক হাসান জাহিদ, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এ্যাডঃ রাজিব আহসান রঞ্জু, দপ্তর সম্পাদক শুব্রত পাল, নির্বাহী সদস্য জিল্লুর রহমান, এনামুল হক বিশ্বাস, সদর উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক সাজ্জাদ রানা, সাংবাদিক শামসুল আলম স্বপন প্রমূখ। জেলা কমিটির এ যৌথ সভায় বিজয়ের মাসে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মুক্ত দিবসে বিকেল ৪টায় মজমপুর গেটে স্থাপিত ঘৃনিত রাজাকার চত্বরে গেজেটে প্রকাশিত জেলার রাজাকারদের নামের তালিকা টাঙ্গানো ও আলোচনা সভা, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যা শহরের স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা চত্বরে মোমবাতি প্রজ্জলন, ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় মহান বিজয় দিবসের র‌্যালী ও আলোচনা সভা, ২৬ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে মজমপুর গেটে স্থাপিত ঘৃনিত রাজাকার চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করার সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যৌথ সভায়। সভায় আরো বক্তারা বলেন, জেলা কমিটিকে অধিকতর শক্তিশালী, গতিশীল ও কার্যকর করতে হবে। এছাড়া সাংগঠনিক কর্মকান্ড বাড়াতে দ্রুত শহর কমিটি গঠন করার ব্যাপারে প্রস্তাবদেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্সী তরিকুল ইসলাম। এছাড়া এ সব কর্মসূচী সফল করতে তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাৎক্ষনিক প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব ওয়ালিউল বারী চৌধুরী ১ হাজার টাকা প্রদান করে তহবিল সংগ্রহের উদ্বোধন করেন। উপস্থিত সবাই এ সময় তহবিলে টাকা জমা দেন।

কুষ্টিয়ায় বাস-টেম্পু মুখোমুখী সংঘর্ষ : মহিলাসহ ৫ জন নিহত

কুষ্টিয়ায় এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় এক মহিলাসহ টেম্পুর ৫ যাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৭ যাত্রী। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে কুষ্টিয়া শহরতলীর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের চৌড়হাস ফুলতলা নামক স্থানে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক মহিলা যাত্রী নিহত হয়। পুলিশ জানায়, একটি টেম্পু যাত্রী ভর্তি করে কুষ্টিয়া শহর হতে আলামপুর যাওয়ার পথে চৌড়হাস ফুলতলা পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ফুলঝুড়ি নামক দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসের সাথে সংঘর্ষ বাধে। এতে বেবী টেম্পু সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয় এবং ঘটনাস্থলেই চালকসহ ৪ যাত্রী নিহত হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে অপর এক মহিলা যাত্রী মারা যায়। নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলো- কুষ্টিয়া চেচুয়ার রেজাউল, বালিয়াপাড়ার নওয়াব আলী ও ঢাকার বাহারউদ্দিন। বাকী দু’জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০০৯

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভা বৃহস্পতিবার

৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কুষ্টিয়া জেলা ইউনিটের উপদেষ্টা ও কার্যকরি পরিষদের এক সভা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৩ টায় থানা মোড়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির অফিসে (দ্বোতলায়) এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় যথা সময়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য জেলা সভাপতি এ্যাড. বায়েজীদ আক্কাস ও সাধারণ সম্পাদক অসিত কুমার সিংহ রায় অনুরোধ জানিয়েছেন।

দৌলতপুরে অপহরনের পর মাটির নীচে পুতে রাখা তিনটি লাশ উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ



কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অপহরনের পর হত্যাকরে মাটির নীচে পুতে রাখা তিনটি লাশ উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দৌলতপুরের সালিমপুর ও চর সালিমপুরের পৃথক তিনটি মাঠের দুর্গম এলাকায় মাটি খুড়ে লাশ তিনটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই নির্মমতার শিকার কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকার ব্যাংকার হাসান আলীর ছেলে সোহাগ, ঝিনাইদহের চুয়াডাঙা বাসস্ট্যান্ড এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে রাসেল ও যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচড়া এলাকার এনজিও কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর। এর আগে গতকাল সোমবার দৌলতপুর উপজেলার সালিমপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোমবার রাতে ঢাকার বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু এলাকার রজব জোয়ার্দারের ছেলে মানিককে। এরা বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টির ক্যাডার বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখিয়ে দেয়া স্থান খুড়ে লাশ তিনটি উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীরকে গ্রেমের প্রলোভনে ২মাস আগে, পুরাতন গাড়ী দেখানোর কথা বলে রাসেলকে ১মাস ১০দিন আগে ও এক সপ্তাহ আগে সোহাগকে কৌশলে অপহরন করে চরমপন্থিরা। এদের প্রত্যেকের মুক্তির জন্য ১০ লাখ করে টাকা দাবি করে চরমপন্থিরা। হত্যার পরও তারা জাহাঙ্গীরের পরিবারের নিকট থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা আদায় করে। গতকালও তারা রাসেলের পরিবারের সদস্যদের নিকট টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে।পুলিশ জানায়, সংগবদ্ধ এ চক্র দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে মানুষ অপহরন করে মুক্তিপন আদায় করে আসছে। মোটা অংকের মুক্তিপণ দেয়া হলে অপহৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়। আবার মুক্তিপণ আদায়ের পরে ধরা পড়ার ভয়ে অনেককে হত্যাও করা হয়।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভারতীয় মদ উদ্ধার

কুষ্টিয়া দৌলতপুরে বিডিআর সদস্যরা ১০০ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার চরচিলমারী সীমান্ত এলাকার আলেকা খাতুনের বাড়ি থেকে একটি বস্তায় ভর্তি এ মদ উদ্ধার করা হয়। ৩২ রাইফেল ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল আইনুল জামাল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরচিলমারী বিওপির বিডিআর সদস্যরা চোরাচালানী আলেকা খাতুনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় বিডিআরের উপস্থিতি টের পেয়ে আলেকা খাতুন পালিয়ে যায়। পরে বিডিআর ঘর তল্লাশী করে মদ উদ্ধার করে।

সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০০৯

স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা, স্বামী-শ্বাশুরী গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা। রোববার সকাল ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী-শ্বাশুরী পিটিয়ে হত্যা করেছে ৩ সন্ত্রানের জননী গৃহবধূ সাবানা খাতুন (৩৪) কে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্য এমন, পিটিয়ে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে সাবানা খাতুন বিষ পান করেছে এ কথা বলে স্বামী ইউনুস আলী তাকে ডাক্তারের নিকট নিয়ে যাচ্ছিল। ইউনুস আলীর গতিবিধি সন্দেহজনক হলে গ্রামবাসী তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতে থাকে। একপর্যায়ে সে মৃত স্ত্রীকে ফেলে রেখে দৌড়ে পালাতে যায়। গ্রামবাসী তাড়া করে ধরে ফেলে তাকে পুলিশে দিয়েছে। ইউনুস পুলিশের নিকট স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ কাজের সাথে তার মায়ের সম্পৃক্ততার সন্দেহে পরে পুলিশ তাকেও গ্রেপ্তার করেছে।

কুষ্টিয়া : ঈদের জামাতে দুদু ও র‌্যারিষ্টার

কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রধান জামাত। এখানে জামাত শুরুর আগে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর আসনের এমপি খন্দকার রশীদুজ্জামান দুদু। এছাড়াও বাংলাদেশ সূপ্রীম কোর্ট আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিষ্টার আমীর উল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গ এখানে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে খন্দকার রশীদুজ্জামান দুদু ও ব্যারিষ্টার আমীর উল ইসলাম পরস্পর কোলাকুলি করেন।

সংগ্রহে রাখার মতো : বিআরবি গ্র“প’র সৌজন্যে কুষ্টিয়া পুলিশের ঈদ কার্র্ড

ব্যতিক্রমী ঈদকার্ড বিতরণ করেছে কুষ্টিয়া পুলিশ। ঈদ শুভেচ্ছার পাশাপাশি এই কার্ডে সংযুক্ত করা হয়েছে তৃনমূল পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের স্থায়ী মোবাইল এবং টেলিফোন নাম্বার। যে কারনে কার্ডটি হয়ে উঠেছে সংগ্রহে রাখার মতো। অন্য সব প্রতিষ্ঠানের বিলি করা গতানুগতিক কার্ডের বাইরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ছাপা কার্ডটি এখন সুধী মহলে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। অন্যান্য কার্ডের ভীড়ে এটি হারিয়ে যাচ্ছে না, বরং গুরুত্বপূর্ণ হয়েই এটি যেন পুলিশ ডাইরীর ভূমিকা পালন করছে। শুধুমাত্র এই একটি কার্ড সাথে থাকলেই কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের যে কোন পর্যায়ে যোগাযোগ সহজতর হবে। যে কারনে টেবিলের কাচের নীচে এবং মানিব্যাগে ঢুকিয়ে রাখতেও দেখা গেছে অনেককে। এর ফলে কুষ্টিয়া জেলার চরমপন্থী-সন্ত্রাসী দমনে পুলিশ যেমন আরো বেশি তথ্য পাবে তেমনি সাধারন মানুষ যে কোন সময়ে উপযুক্ত পর্যায়ে সেবা চেয়ে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে বা সাহায্য চাইতে পারবে। জেলার মেধাবী ও চৌকস পুলিশ প্রধান শাহাবুদ্দিন খান, বিপিএম-এর ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং পরিকল্পনায় অনন্য অসাধারন এ কার্ড প্রস্তুতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে দেশ সেরা কেবল প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠান বিআরবি গ্র“প অব ইন্ডাষ্ট্রিজ। শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিই নয় এ কার্ড পাচ্ছেন জেলার বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার ২২ হাজার মানুষ। সুধীজন এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে। আর পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, এ উদ্যোগের ফলে পুলিশি কর্মকান্ডে জনগনের অংশিদারিত্ব নিশ্চিত হবে।বিআরবি গ্র“প’র চেয়ারম্যান মজিবর রহমান’র আর্থিক সহযোগিতায় এ ব্যতিক্রমধর্মী এবং অতি প্রয়োজনীয় সংগ্রহে রাখার মত ঈদ কার্ড দিয়ে ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি বেশ কিছু ম্যাসেজও প্রচার করেছে জেলা পুলিশ। সাদামাটা কিন্তু বাহারি ডিজাইনের এ ঈদ কার্ডে রয়েছে কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ সুপারসহ শীর্ষ সকল পুলিশ কর্মকর্তা, সকল থানার ওসি, ৪টি পুলিশ ফাঁড়ি এবং প্রত্যন্ত এলাকার ৩৩টি পুলিশ ক্যাম্পে’র আইসি/ইনচার্জদের স্থায়ী মোবাইল ফোন নম্বর। ব্যক্তিগত হওয়ায় আগে ক্যাম্পের আইসিরা বদলী হয়ে গেলে নতুন আগত আইসি বা ইনচার্জদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করা লাগতো। কিন্তু অতি সম্প্রতি পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খানের নিজ উদ্যোগে ৪টি ফাড়ি বা তদন্ত কেন্দ্র থেকে শুরু করে ৩৩টি পুলিশ ক্যাম্পের আইসিদের ু প্রত্যেক থানার ডিউটি অফিসারের জন্য একটি করে গ্রামীনের স্থায়ী মোবাইল নাম্বার প্রদান করেছেন। যা প্রতিটি মানুষেরই সংগ্রহে রাখার মত। জেলা পুলিশের তথ্য মতে এ ধরনের প্রায় ২২ হাজার ঈদ কার্ড ছেপে এখন তা তুনমূল পর্যায়ে বিতরণ করা হচ্ছে পুলিশের সকল ইউনিট থেকে শুরু করে ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের মাধ্যমে। জেলার সুধি সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, রাজনীতিক, আইনজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, প্রকৌশলী থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের জেলা পর্যায় থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পযায়ের মানুষদেরও এ কার্ড দেয়া হচ্ছে এ ব্যতিক্রমী ঈদকার্ড। নব দিগন্তের সূচনাকারী জেলা পুলিশের ঈদ কার্ডের শুরুতেই পুলিশের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়াবাসির জন্যে করনীয় বিষয়ে কিছু জরুরী কথা বলা হয়েছে।এরমধ্যে রয়েছে, পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ। পুলিশের কর্মকান্ডে জনগণের অংশীদারীত্ব নিশ্চিত করুন। আপনার এলাকায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা গড়ে তুলুন। এছাড়া আরো বলা হয়েছে, কমিউনিটি পুলিশিং এর অবদান, সমাজিক সমস্যার সমাধান। চরমপন্থী, অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই একসাথে। সকল প্রকার জঙ্গীপনা ও চরমপন্থীর বিরুদ্ধে গণজাগরণ গড়ে তুলুন। প্রতি ইংরেজী মাসের নিদ্ধারিত তারিখে ওপেন হাউজডে-তে সবাই মিলে থানায় চলো, পুলিশ জনগণ খোলা মনে কথা বলো। নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে পুলিশ অফিসার কর্তৃক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কর্মসূচী সফল করুন। জীবনে আইনি সহায়তা প্রয়োজন হয়নি এমন মানুষ এ সমাজে খুজে পাওয়া ভার। সে আইনি সহায়তা পেতে এখনকার সময়ে যখন বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা বলছে, সেখানে তৃনমূলের মোবাইলের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রথম বারের মত কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের ঈদ কার্ডে দেওয়া নম্বর সমূহ হচ্ছে, ওসি, কুষ্টিয়া থানা ০১৭১৩৩৭৪২২০, ০১৭২৭০৪৩২০১ ওসি, কুমারখালী থানা ০১৭১৩৩৭৪২২২, ০১৭২৭০৪৩২১২, ওসি খোকসা থানা ০১৭১৩৩৭৪২২১, ০১৭২৭০৪৩২২০ ওসি, মিরপুর থানা ০১৭১৩৩৭৪২২৫, ০১৭২৭০৪৩২২৩, ওসি, ভেড়ামারা থানা ০১৭১৩৩৭৪২২৩, ০১৭২৭০৪৩২৩২, ওসি, ইবি থানা ০১৭১৩৩৭৪২২৬, ০১৭২৭০৪৩২০৬, ওসি, দৌলতপুর ০১৭১৩৩৭৪২২৪, ০১৭২৭০৪৩২৩৫, ওসি, ডিবি কুষ্টিয়া ০৭১-৬২৪০৭, ০১৭১৩৩৭৪২২৭, পুলিশ কন্ট্রোল রুম ০৭১৬২৪১২, ০১৭৩২২৩৮৩২২, এএসপি কুষ্টিয়া সার্কেল ০৭১-৬২৪০৩, ০১৭১৩৩৭৪২১৭, এএসপি ভেড়ামারা সার্কেল ০৭০২২-৭১৩৬৯, ০১৭১৩৩৭৪২১৮, এএসপি (হেডকোয়ার্টার) ০৭১-৬২৪০৭, ০১৭১৩৩৭৪২১৬, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ০৭১-৬২৪০৫, ০১৭১৩৩৭৪২১৫, পুলিশ সুপার ০৭১-৬২৪০০, ০১৭১৩৩৭৪২১৪, সদর পুলিশ ফাঁড়ি ০১৭২৭০৪৩২৪৩, মিলপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ০১৭২৭০৯১৬৩০, চৌরঙ্গী তদন্ত কেন্দ্র ০১৭২৭০৪৩২১৩, কুমারখালী শহর পুলিশ ফাঁড়ি ০১৭২৭০৪৩২৪৫। এছাড়াও রয়েছে জেলার আরো ৩৩টি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জদের মোবাইল নম্বার। এ সব বিষয়ে গতকাল জেলার পুলিশ প্রধান শাহাবুদ্দিন খান কুষ্টিয়াবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, জেলা পুলিশের আহবানে সাড়া দিয়ে চরমপন্থী ও জঙ্গী মুক্ত এবং সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত কুষ্টিয়া গড়ার দৃপ্ত শপথে জেলাবাসীর অবদানের জন্য আন্তরিক অনিন্দন। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি অপরাধ ও অপরাধি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে পুলিশকে আগামীতেও সহায়তা করার আহবান জানান এবং কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমে একান্ত সহযোগিতা কামনা করেছেন।

কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে ৫লাখ টাকা অনুদান বসুন্ধরার

কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার উন্নয়নে ৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে ঢাকার বসুন্ধরা গ্র“প। শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজে এক অনারম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়। কুষ্টিয়া সদর আসনের এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার রশীদুজ্জামান দুদু জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নানের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন। এ অনুষ্ঠানে এমপি দুদু বলেন, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে কুষ্টিয়ার যে ঐতিহ্য ছিল পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তা হারিয়ে গেছে। সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে কুষ্টিয়ার যে কুখ্যাতি হয়েছে সে বদনাম ঘুচাতে হলে আমাদের আবার সংস্কৃতি ও ক্রীড়ার উপর জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এ ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। সুইমিং পুল নির্মানসহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজে কুষ্টিয়া ক্রীড়া সংস্থাকে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী ও সাংবাদিক মনজুর এহসান চৌধুরী।

কুষ্টিয়ায় অপহৃত যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার, গ্রেফতার ২

কুষ্টিয়ায় অপহৃত এক যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া পুলিশ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার একটি বাড়ি থেকে গলিত এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে পুলিশ অপহরণকারী চক্রের জাকির ও মিসকাত নামে দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত লাশটি ফিরোজ আহমেদ ওরফে কাজলের। কুষ্টিয়া থেকে ৪ মাস ১৬ দিন আগে সে অপহৃত হয়।
কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বড়িয়া গ্রামের দেলবার হোসেনের ছেলে ফিরোজ আহম্মেদ কাজলকে গত ১২জুলাই অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা অপহরন করে। এ ব্যাপারে অপহৃতের বাবা মিরপুর থানায় মামলা করে। অপহরণকারীদের ধরতে গত বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকা থেকে পুলিশের তালিকা ভুক্ত চরমপন্থি সন্ত্রাসী নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট জনযুদ্ধের সক্রিয় সদস্য জাকিরকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মেহেরপুরের গাংনীর হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মৃত জেকের মোল্লার ছেলে মিসকাত মোল্লা ওরফে কসাই কে আজ শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করা হয়। উভয় দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তিতে গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের একটি নির্মানাধীন বাড়ীর মেজে খুঁড়ে অপহৃত কাজলের গলিত মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০০৯

ঈদে সংবাদপত্রে ছুটি, কুষ্টিয়া নিউজ চলবে

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আগামীকাল থেকে তিনদিন সকল পত্রিকা অফিস বন্ধ থাকবে। এসময় কোন পত্রিকা প্রকাশিত হবে না। তবে আপনাদের খবরের ক্ষুধা মেটাতে নিরবিচ্ছিন্ন সংবাদ সরবরাহ করবে কুষ্টিয়া নিউজ।

বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০০৯

বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনীর সাধারণ সম্পাদক রতন চৌধুরী আর নেই

বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজ সেবক মনজুরুল হক চৌধুরী ওরফে রতন চৌধুরী আর নেই। হাজার হাজার ভক্ত আর স্বজনদের কাঁদিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব মজমপুরস্থ নিজ বাসভবনে (কতকথা) তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে.....রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৬ বছর। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ মুহুর্তের মধ্যে চারিদেকে ছড়িয়ে পড়লে আতœীয়-স্বজনদের পাশাপাশি রাত থেকে শুরু হয় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শুভাকাংখি ও ভক্তদের আগমন। সকাল হতে না হতেই হাজার-হাজার নারী-পুরুষ তাঁর বাসভবনে ভীড় করেন মিষ্টভাষী, নম্র, ভদ্র ও সুন্দর মনের অধিকারী প্রিয় মানুষ রতন চৌধুরীকে শেষবারের মতো দেখার জন্য। সকলের আহাজারিতে সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সকালে তাঁর বাসভবনে উপস্থিত হন কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী, বিআরবি গ্র“পের বিশিষ্ট শিল্পপতি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজিবর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী, সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি হাজী সেলিনুর রহমান, সাপ্তাহিক ইস্পাত পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব ওয়ালিউল বারী চৌধুরী, দৈনিক বাংলাদেশ বার্তার সম্পাদক আবদুর রশীদ চৌধুরী, বিশিষ্ট গবেষক প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরী, বিএইচটি গ্র“পের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান কাকন, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্র“পের সাবেক সভাপতি সিহাব উদ্দিন, সাবেক সাধারন সম্পদক এস.এম.রেজাউল ইসলাম বাবলু, কুষ্টিয়া চেম্বারের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন নজু, মজমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বশিরুল আলম চাঁদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন লাবলুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, সামাজিক, সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল বুধবার বাদ আসর কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরের ঈদগাঁহ ময়দানে মরহুমের জানাযার নামাজ শেষে পূর্ব মজমপুরস্থ পারিবারিক গোরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়। জানাযার নামাজে শরীক হন অগণিত মানুষ। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী রেখে গেছেন।মনজুরুল হক চৌধুরী রতন ১৯৬১ সালে পূর্ব মজমপুর পিতৃালয়ে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি লাঠি খেলার সর্বোচ্চ খেতাব “চক্রমণি” তে ভূষিত হন। তিনি বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা মরহুম সিরাজুল হক চৌধুরীর (ওস্তাদ ভাই) ছোট ছেলে। পিতার মৃত্যুর পরে লাঠিয়াল বাহিনীর হাল ধরেন তিনি। ১৯৮৫ সালে তিনি বাহিনীর সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছোটবেলা থেকেই বাবার উত্তরসূরী হিসেবে এ বাহিনীকে দেশের সর্বপ্রান্তে ছড়িয়ে দিতে তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিবেদিত ছিলেন। আগামী ৯ ফেব্রয়ারী ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য সাফ গেমসে লাঠি খেলা ও বিভিন্ন কসরত প্রদর্শনের জন্য সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনীর প্রায় ১৩’শ সদস্য সংগ্রহ শেষে বাড়িতে আসেন। তিনি বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক ছাড়াও কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের পরিদর্শক, কুষ্টিয়া ফ্রেন্ডস্ ক্লাবের সাধারন সম্পদকসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন।

বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র পাল্টাপাল্টি সম্মেলন

কুষ্টিয়ায় বিএনপির জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে এক গ্রুপ শিল্পকলা একাডেমিতে, অন্য গ্রুপ ল কলেজে এই সম্মেলন করে। জেলা বিএনপির আহবায়ক সোহরাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে শিল্পকলায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু। এখানে সম্মেলন শেষে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীকে সভাপতি আর সোহরাব উদ্দিনকে সাধারন সম্পাদক মনোনিত করা হয়।
ওদিকে ল কলেজে অনুষ্ঠিত পাল্টা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির প্রবীণ সদস্য হাবিবুর রহমান। এখানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মিনহাজুর রহমান আলো। এ সম্মেলনে মিনহাজুর রহমান আলোকে সভাপতি, কুমারখালী পৌরসভার মেয়র নুরুল ইসলাম আনসারকে সাধারন সম্পাদক, এমএ শামীম আরজুকে সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফিরোজ আফতাব উদ্দিনকে ১ নং যুগ্ম সাধারন সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা বিএনপি কমিটি গঠন করা হয়।
কেন দু’টি কমিটি? এ প্রশ্নের জবাবে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পক্ষের সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ শামীম আরজু বলেন, আমরাই প্রকৃত বিএনপি করি। অন্য গ্রুপ লুটপাটকারি, দল ধবংসকারি। তারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে ব্যাক্তিস্বার্থে ব্যবহার করতে চায় বলে ত্যাগী ও কার্যকর নেতৃত্ব বাদ দিয়ে ইচ্ছামতো কমিটি গঠন করেছে। বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ অমান্য করে তারা একই ব্যাক্তিকে জেলা ও থানা কমিটির পদে বসিয়েছে। পক্ষান্তরে আমরা তৃণমূল নেতা-কর্মিদের সমন্বয়ে একটি সুন্দর কাউন্সিল সম্পন্ন করেছি।
অন্য কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের পক্ষের এক নেতা জানান, কিছু নির্দিষ্ট পদ দাবি করে না পেয়ে গুটি কয়েক লোক নিয়ে একটি গ্রুপ জেলা বি্েনপির নামে একটি কমিটি গঠন করেছে। একই ব্যাক্তির দুই পদের ব্যাপারে তিনি বলেন, যারা দুটি পদে মনোনিত হয়েছেন তারা যে কোন একটি ছেড়ে দেবেন।

কুষ্টিয়ায় ক্রসফায়ার : চরমপন্থি ক্যাডার নিহত

কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে (ক্রসফায়ার) তাজু ওরফে তাজবর (৩৫) নামের এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে, নিহত তাজু চরমপন্থি সংগঠন নিউ বিপ্লবী কমিনিউষ্টি পার্টির সামরিক ক্যাডার। সে কুমারখালী উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত আহমদ আলীর ছেলে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৪রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার উদ্ধারের খবরও দিয়েছে পুলিশ ।
পুলিশের ভাষ্যমতে, কুমারখালী উপজেলার মীর মোশাররফ হোসেন সেতুর নিকট হাবাসপুর মাঠের মধ্যে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তাজবর তার সঙ্গীদের নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশ ও কুমারখালী থানা পুলিশের সদস্যরা মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সেখানে অভিযান চালায়। সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাজবর ও তার সঙ্গীরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বন্দুক যুদ্ধে চরমপন্থিরা পুলিশের প্রতিরোধে টিকতে না পেরে এক পর্যায়ে পিছু হটে। এ সময় এলাকার মানুষ ও পুলিশ সেখানে তাজ বরের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত তাজবর দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় নানা অপকর্ম চালিয়ে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় একটি হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-১, আহত-২

গরু বোঝায় নছিমনের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো দু’জন। নিহতের নাম বাদশাহ। আহত দু’জনকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পুলিশ লাইন’র সামনে(কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়ক) এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত আড়াইটার দিকে পাবনা থেকে ছেড়ে আসা গরু ভর্তি নছিমনের সাথে বিপরিত দিক থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি দ্রুতগামী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় নছিমনে থাকা গরু ব্যবসায়ী বাদশাহ। বাদশাহ’র বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ড উপজেলায়।

দৌলতপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১ কৃষক নিহত, আহত-১৫

ক্ষেতে বিষ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত ৯টার সময় দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মাদাপুর দু’পক্ষের সংঘর্ষে নজরুল ইসলাম ওরফে নজু (৪৫) নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে কমপক্ষে আরো ১৫ জন। আহতদের দৌলতপুর ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় মামলা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দৌলতপুর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মাদাপুর গ্রামের আফেল উদ্দীনের ছেলে নজরুল ইসলাম নজু কয়েকদিন আগে তাঁর আলুর ক্ষেতে বিষ দেয়। একই গ্রামের নাহারুল ইসলামের পোষা মুরগী সোমবার ক্ষেতের ওই বিষ খেয়ে মারা যায়। এতে নাহারুল ও তার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে নজরুল ইসলামের উপর হামলা চালালে উভয় গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের নজরুল ইসলাম ওরফে নজু (৪৫) নাহারুল ইসলাম (৪০), মাজেদা খাতুন (২৫), কিতাব আলী (৩৫), ইয়াদ আলী (৩২), লেকিমন নেছা (৬০), আতুজান (২০), মাহাতাব আলী (৪০), রোজিনা (২২) সহ প্রায় ১২ জন আহত হয়। এদের মধ্যে নজুকে প্রথমে কুষ্টিয়া ও পরে রাজশাহী হাসপাতালে নেয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০০৯

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় মুকুল গ্রেফতারের খবর

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় মুকুল গ্রেফতারের খবর প্রকাশিত হয়েছে ২৩ নভেম্বর দ্বিতীয় সংস্করনে প্রথম পাতায়। পুরো খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন http://www.anandabazar.com/23south1.htm


ফটো মুডে পড়ুন নিচে।

বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০০৯

লালের মৃত্যুর খবর ভারতের জনপ্রিয় বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার-এ

লালের মৃত্যুর খবর দিয়ে ভারতের জনপ্রিয় বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় সংস্করনে বিস্তারিত লিখেছে। ইন্টারনেট এডিশনে হোমপেজে গুরুত্বপুর্ণভাবে উপস্থাপন করা হয় নিউজটি। লিংক http://www.anandabazar.com/archive/1091118/18south2.htm

নিউজের বাকী অংশ দেখুন

তবে এ পত্রিকাসহ ভারতের আরো বেশক'টি পত্রিকা ঘেঠে আজ আজিবর নিহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

কুমারখালী বিএনপির বিরোধ আদালতে গড়ালো

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিএনপির একপক্ষ আদালতে আবেদন করে স্থগিত করে দিয়েছে থানা ও শহর বিএনপির কাউন্সিল। গতকাল কুমারখালী পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম আনসারসহ মোট ৬জন বিএনপি নেতা আদালতে আবেদন করেন। কুষ্টিয়ার সহকারি জজ (কুমারখালী) জাবেদ ইমামের আদালতে তারা জেলা বিএনপির আহবায়ক সোহরাব উদ্দিনসহ ১৬ জন নেতাকে বিবাদী করে উল্লেখ করেন, গঠনতন্ত্র না মেনে তারা কুমারখালী থানা ও শহর শাখার কাউন্সিল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ অবস্থায় তারা কাউন্সিল আহবান করলে প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতা-কর্মিদের সাথে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ হতে পারে। আদালত আবেদন বিবেচনা করে বিবাদীদের ৫দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। একই সাথে কুমারখালী পৌর ও শহর বিএনপির কাউন্সিলের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। উল্লেখ্য কুমারখালী বিএনপির অন্যতম জনপ্রিয় নেতা নূরুল ইসলাম আনসারকে বাদ দিয়ে থানা আহবায়ক কমিটি করায় সেখানে বিএনপির বিভক্তি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দুই গ্রুপ সকল কর্মসূচী পাল্টা পাল্টি পালন করে। এদের মধ্যে ইতোপুর্বে দু-দফা সংঘর্ষও হয়েছে। এর মধ্যে আগামী ২২ তারিখ একপক্ষ কাউন্সিলের ঘোষনা দেয়।

ইবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম, আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার

আগামী কাউন্সিলে দলীয় পদ ও হলের কতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জের ধরে আজ দুপুরে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুস্তাক বিল্লাহ নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে এলোপাথারী কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ নেতারা। গুরুতর অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবুল আরফীনের নেত্বত্বে কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশ বঙ্গবন্ধু হলে তল্লাসী চালিয়ে ৫টি হাতবোমা, তিনটি হালকা বন্দুক ও ৪টি রামদা উদ্ধার করেছে। অভিযান চলছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চুড়ান্ত রায়কে স্বাগত জানিয়েছে কুষ্টিয়াবাসী

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চুড়ান্ত রায়কে স্বাগত জানিয়েছে কুষ্টিয়াবাসী। কুষ্টিয়ার রাজনীতিবিদ সচেতন মানুষ এ রায়কে ঐতিহাসিক রায় বলে মন্তব্য করেছেন। আওয়ামী লীগের দুটি গ্র“প এ উপলক্ষে মিলাদ, দোয়া, শোকরানা আদায় ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিকেলে শহরের থানাপাড়ায় জেলা আওয়ামি লেিগর কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক আজগর আলীর নেতৃত্বে সন্ধ্যায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজগর আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতাকে কুন করা হয় অথচ এমন সময় ছিল এর বিচার চাওয়ার সাহস ছিলনা। মামলাও করতে পারিনি আমরা। তিনি বলেন, দেরীতে হলেও বিচারের যে চুড়ান্ত রায় হয়েছে তাতে জাতি আজ কলঙ্কমুক্ত হলো। আমরা কুষ্টিয়া বাসী এ রায়কে স্বাগত জানাই। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। অন্যদিকে শহরের আড়–য়াপাড়ায় জেলা আওয়ামী লীগের পৃথক কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর নেতৃত্বে সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় মিলাদ ও আলোচনা। আনোয়ার আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় এ মামলার বিচার কার্যক্রম বিলম্ব হয়েছে। তিনি এ রায়কে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে বলেন, এর ফলে এ ধরনের হত্যাকান্ড আর কেউ ঘটাতে সাহস করবে না। তিনি বলেন, শুভবুদ্ধির সকল মানুষ এ রায়কে স্বাগত জানাবে। এদিকে রায় শোনার পর দুপুরেই কুষ্টিয়া আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মিরা রাস্তায় নেমে আসেন। তবে পরিস্থিতি যাতে উত্তপ্ত না হয় সেজন্য সিনিয়র নেতারা মিছিল করতে বারন করেন।

বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়া পলিটেকনিকে বোমা বিষ্ফোরণ, আহত-১॥ হল খালি করার নির্দেশ

কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটে বোমা বিষ্ফোরণে ছাত্রলীগের এক নেতা গুরুতর আহত হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জরুরী বৈঠক শেষে ছাত্র-ছাত্রীদের বিকেল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগের নিদের্শ দিয়েছে। নির্দেশ মোতাবেক তারা হল ত্যাগ করেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল সকাল ১১টার দিকে এ বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, ইনষ্টিটিউটের মীর মোশাররফ হোসেন ছাত্রাবাসের ২০৯ নং কক্ষের সামনে হঠাৎ করে একটি বিকট শব্দ শোনা যায়। এর পর পরই সেখানে অবস্থানরত ইনষ্টিটিউটের ছাত্র ও কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক তানভির আলম পারভেজ বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। আহত তানভীর জানায়, কিছুদিন আগে বহিরাগত কিছু নামধারী ছাত্রের সাথে ইনষ্টিটিউটের ছাত্রদের গন্ডগোল হয়। এর প্রেক্ষিতে এ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সকলের ধারণা।

এ কেমন নির্মমতা ?

জানতাম অনেক কষ্ট হবে, চরের মধ্য দিয়ে কাদা পানির মেখে অনেক পথ হাটতে হবে। তবুও গেলাম মানুষ কত নির্মম হতে পারে নিজ চোখে দেখার জন্য। সহকর্মিদের সাথে করে প্রথমে কুষ্টিয়া শহর থেকে যানবাহনে করে মহিষকুন্ডি গেলাম। সেখান থেকে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন পদ্মার তীরে গিয়ে যখন দাড়ালাম তখন ঘড়ির কাটায় একদম ঠিক ঠিক দুটো বাজে। যারা আমাদের খবর দিয়ে নিয়ে গেছে অর্থাত নির্মমতার শিকার যারা তারা দু’জন চরের দিকে হাত দিয়ে দেখাচ্ছে ওই যে ওখানে আমাদের জমি। তাদের বলার স্টাইলে মনে হলো এই তো এখানেই কিন্তু তাকিয়ে দেখি বিস্তৃর্ণ এলাকা। বিশাল পদ্মার চর। যতদুর চোখ যায় শুধু ফাকা মাঠ আর নদীর পানি। দুরে আবছা দেখা যায় একদিকে ভারত অন্যদিকে রাজশাহী। যা হোক চরের ভেতর নেমে হাটা শুরু করলাম। প্রথমেই কাদা আর পানি পেরুতে হলো। কাদার মধ্যে বেছে বেছে পা ফেলতে লাগলাম। হঠাত পায়ে এসে লাগলো শীতল পানি। তখন যেমন মনে হলো তেমনটিই করলাম। পানির মধ্যে পুরোপুরি পা ডুবিয়ে নিলাম। আমার দেখাদেখি সহযাত্রী সাংবাদিক সাজ্জাদ রানাও একই কান্ড ঘটালো। দেখাদেখি জহুরুল ইসলামও। যা হোক আমরা হেটে যাচ্ছিতো যাচ্ছিই। এইতো এখানে..বলা আর শেষ হয়না তাদের। আমরা নরম মাটি, বাদামের ক্ষেত, কালাইএর ক্ষেত ফাকা মাঠ পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। যামেলা করছিল কাধের ব্যাগটি। আড়াই কেজি ওজনের ল্যাপটপের ব্যাগটির ওজন মনে হচ্ছিল আধামন। বারবার কাধ বদল করা দেখে কৃষকদের একজন আমার কাছ থেকে ব্যাগটি চেয়ে নিল। পরে একইভাবে পাতলা হলো সাজ্জাদ রানাও। যা হোক আমরা যখন হেটে হেটে ক্লান্তি নিয়ে স্পটে পৌছালাম তখন চোখ আকাশে উঠলো। মাঠের পর মাঠ ফসল শুন্য। দীর্ষ চরে কোথাও ফসল আছে। কোথাওবা শুন্য। এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি মহিষ দিয়ে খাইয়ে দিয়েছে এসব কালাই ও বাদামের ক্ষেত। ভিডিও ক্যামেরায় বিভিন্ন এ্যাঙ্গলে টেক করলাম দৃশ্য। এরপর কৃষকদের সাক্ষাতকার নিলাম। তাদের বক্তব্য হলো-এসব জমি একসময় তাদের জমির ক্ষেত ছিল। পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। পদ্মা আবার দুরে সরে যাওয়ায় চর জেগে উঠেছে। তারা এবার চীনাবাদাম ও মাসকালাই রোপন করেছিল। চরের অদুরে রুবেল মহলদার নামের এক ব্যক্তির মহিষের বাথান আছে। তার অর্ধশতাধিক মহিষও আছে। শোনা যায় কালাই, বাদাম বা কাচা ফসল খাওয়ালে গরু মহিষ তাজা হয়। সে কারনে রুবেল একেকটি চরে গিয়ে গভীর রাতে মহিষ দিয়ে ক্ষেত খাওয়ায়। আমাদের আসার খবর শুনে একে একে আরো কৃষকরা আসতে থাকলো। একেক জনের কারো ২০ বিঘা, কারো ৮ বিঘা, কারো ৪ বিঘা কারো ৩ বিঘা জমির ফসল খেয়ে গেছে তার মহিষ। কেউ কেউ বললো দিনের বেলা চোখের সামনেও মহিষ দিয়ে খাইয়েছে ফসল, কিছুই বলতে পারেনি তারা। সবমিলে ১৫জন কৃষকের ১২০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট করেছে মহিষে। যখন সব কৃষক একত্রিত হয়ে ফুসে উঠেছে তখন চর ছেড়ে অন্য চরে চলে গেছে রুবেল মহলদার। থানায় মামলা করতে গিয়েছিল ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা। মান্নান নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা রুবেলের পক্ষ নিয়ে তাদের থানা থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। বলেছে স্থানীয়ভাবে পুলিশিং কমিটিতে বিষয়টির সুরাহা করা হবে। কিন্তু কোন সুরাহাই হয়নি। আমরা যখন দৌলতপুর থানার ওসি সাহেবের নিকট বিষয়টি জানতে চাই, তিনি বলেন এ অপরাধে সরাসরি মামলা নেবার বিধান নেই। কোর্টের অনুমতি প্রয়োজন হয়। নানা আইনের কথা বলে আমাদেরকে হাসি মুখে বিদায় দেন। তার বক্তব্যও আমরা রেকর্ড করেছি। আমরা গিয়েছিলাম গত সোমবার। মঙ্গলবার আমাদের এক সহকর্মির নিকট ফোন করেছে ক্ষতিগ্রস্থরাই। বলেছে, ভাই নিউজ করেন না। তারা আমাদের ক্সতিপূরন দিতে রাজি হয়েছে। আপনারা এখন নিউজ করে দিলে আমরা আর কিছুই পাব না। তারা পাওয়ারফুল তো।
বলুন তো এখন কি করবো?