বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০০৯

দৌলতপুরে অপহরনের পর মাটির নীচে পুতে রাখা তিনটি লাশ উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ



কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অপহরনের পর হত্যাকরে মাটির নীচে পুতে রাখা তিনটি লাশ উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দৌলতপুরের সালিমপুর ও চর সালিমপুরের পৃথক তিনটি মাঠের দুর্গম এলাকায় মাটি খুড়ে লাশ তিনটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই নির্মমতার শিকার কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকার ব্যাংকার হাসান আলীর ছেলে সোহাগ, ঝিনাইদহের চুয়াডাঙা বাসস্ট্যান্ড এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে রাসেল ও যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচড়া এলাকার এনজিও কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর। এর আগে গতকাল সোমবার দৌলতপুর উপজেলার সালিমপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোমবার রাতে ঢাকার বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু এলাকার রজব জোয়ার্দারের ছেলে মানিককে। এরা বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টির ক্যাডার বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখিয়ে দেয়া স্থান খুড়ে লাশ তিনটি উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীরকে গ্রেমের প্রলোভনে ২মাস আগে, পুরাতন গাড়ী দেখানোর কথা বলে রাসেলকে ১মাস ১০দিন আগে ও এক সপ্তাহ আগে সোহাগকে কৌশলে অপহরন করে চরমপন্থিরা। এদের প্রত্যেকের মুক্তির জন্য ১০ লাখ করে টাকা দাবি করে চরমপন্থিরা। হত্যার পরও তারা জাহাঙ্গীরের পরিবারের নিকট থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা আদায় করে। গতকালও তারা রাসেলের পরিবারের সদস্যদের নিকট টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে।পুলিশ জানায়, সংগবদ্ধ এ চক্র দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে মানুষ অপহরন করে মুক্তিপন আদায় করে আসছে। মোটা অংকের মুক্তিপণ দেয়া হলে অপহৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়। আবার মুক্তিপণ আদায়ের পরে ধরা পড়ার ভয়ে অনেককে হত্যাও করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই: