সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৯

প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামীরা ইবির বহুল আলোচিত অস্ত্র ও বিষ্ফোরক মামলা এখন ফাইলবন্দি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে অস্ত্র ও বিষ্ফোরক মামলার আসামীসহ একাধিক মামলার আসামী মুহাম্মদ আলী ওরফে শিমূল ও তার সহদর ভাই ওয়ালিদ হাসান ওরফে মুকুট। পুলিশের খাতায় তারা পলাতক হলেও ইবি থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই ক্যাম্পাস দাবরিয়ে বেড়াচ্ছে। গত ১৯ নভেম্বর মুহাম্ম্দ আলী শিমুল ও ওয়ালিদ হাসান মুকুটের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ইবি শাখার সেক্রটারী পদ প্রত্যাশী মোস্তাককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ বিকেল ৩টার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কয়েকটি কে তল্লাশি চালিয়ে শিমুলের (এফ-২১৪) ক থেকে ৩টি এলজি, ২টি রামদা ও ৫টি বোমা এবং ছাঁদ থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ২টি রামদা উদ্ধার করে। এঘটনায় ওই দিন রাতেই ইবি থানায় এ সংক্রান্ত দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। সুত্র জানায়, কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের এসআই মুনিরুজ্জামান বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান হলের এফ-২১৪ নম্বর রুমের আবাসিক ছাত্র মোহাম্মদ আলী ওরফে শিমূল এবং ওয়ালিদ হাসান ওরফে মুকুট এর বিরুদ্ধে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা রাখার দায়ে ১৯০৮ সালের বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪/৫ ধারা এবং ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়। ছাত্রলীগের বঙ্গবন্ধু হলের কর্মীরা অভিযোগ করে, যখন পুলিশ শিমূল ও মুকুটের রুম থেকে অস্ত্র উদ্ধার করছিল তখন শিমূল ও মুকুট হলের সামনেই ছিল। পরে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান উপস্থিত হয়ে তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। এঘটনার ২০ দিন অতিবাহিত হলেও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। পুলিশের খাতায় আসামীরা পলাতক হলেও ক্যাম্পাসে পুলিশের সঙ্গেই একত্রে আড্ডা দিচ্ছে তারা। ঈদের ছুটি শেষে ক্যাম্পাস খোলার পরদিনই আসামীরা ক্যাম্পাসে মোটর সাইকেল নিয়ে সোডাউন করেছে। ভিসি অফিসসহ বিভিন্ন অফিসেই তাদের সঙ্গবদ্ধভাবে দেখা গেছে। প্রতিদিনই তারা ক্যাম্পাসে সোডাউনসহ নানাভাবে প্রতিপ গ্র“পের নেতা-কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। একটি বিশ্বস্ত সুত্রে জানাগেছে, তাদের গ্রেফতার না হওয়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবুল আরফিন নিশ্চিত করেছেন। তবে এব্যাপারে ইবি থানার ওসি মতিয়ার রহমান ও ‘ম’ অধারের এক ডিএসবি পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করছেন। সুত্র আরও জানায়, শিমুলের আবাসিক রুম থেকে অস্ত্র উদ্ধার কালে শিমূল হলের সামনেই ছিল। পরে ইবি থানার ওসি এসে তাকে পালিয়ে যেতে পরামর্শ দিলে সে পালিয়ে যায়। এরপর ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ডিএসবি পুলিশের এক কর্মকর্তা ব্যাপক তৎপর হয়ে উঠে বলে প্রত্যাদর্শী একাধিক সুত্রে জানাগেছে। এদিকে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক-কর্মকর্তাদের একটি অংশ বিভিন্নভাবে প্রশাসনে তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রলীগের কয়েক নেতাও নিজ গ্র“পে ভিড়াতে শিমূল ও মুকুটের গ্রেফতার এড়াতে তৎপর হয়ে উঠেছে।

কোন মন্তব্য নেই: