সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৯

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়া পাউবো’র ৩২ কোটি টাকার টেন্ডার

কুষ্টিয়া শহর রক্ষার্থে গড়াই নদীর তীরে বাধ নির্মানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতায় ৩২ কোটি টাকার টেন্ডার ড্রপিং হয়েছে। সোমবার বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়া নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে টেন্ডার ওপেন করা হয়। থানা পাড়া থেকে মহাশ্বশ্মান পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার বাধ নির্মানের মোট ৬ গ্রুপের কাজে ৯৬ টি সিডিউল বিক্রি হয়। এর মধ্যে ৫২টি সিডিউল ড্রপ হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ৫টি ও ফরিদপুরে ১টি এবং বাকী ৪৬টি সিডিউল জমা পড়ে কুষ্টিয়া পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে রক্ষিত টেন্ডার বাক্সে। এবারই রেকর্ড সংখ্যক সিডিউল ড্রপিং হয়েছে।

দীর্ঘ দিন ধরে চরমপন্থি সন্ত্রাসী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা কুষ্টিয়ার এ দপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রন করে আসছে। এবার সবচেয়ে বড় অংকের ৩২ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে কয়েকদিন ধরে জল্পনা কল্পনা চলে আসছে। সে কারনে এ উপলক্ষে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডে পুলিশ ও র‌্যাব কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে। গতকাল দিনভর পাউবোর কুষ্টিয়া অফিস ঠিকাদার নিরাপত্তাকর্মি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সরগরম ছিলো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করেন, এবারও আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ একটি চরমপন্থি দলের সহায়তায় সুকৌশলে এ টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। ৪৪ জন ঠিকাদার সিডিউল কিনেও ড্রপ করতে পারেন নি। কি কারনে তারা টেন্ডার ড্রপ করেন নি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম টেন্ডার ওপেন করার সময় তিনি বলেন, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে টেন্ডার ড্রপিং হয়েছে। ঠিকাদাররা স্বত;স্ফুর্তভাবে ট্রেন্ডার ড্রপিং করেছে। এখানে কোন শক্তির নিয়ন্ত্রণের কোন উপায় নেই। উপস্থিত ঠিকাদাররাও তার পক্ষে মত দেন। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা আওযামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী বলেন, আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মি এ টেন্ডারের সাথে জড়িত নয়। দেশ ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৩০ শতাংশ লেসেও অনেকেই টেন্ডার দিয়েছে। কিভাবে কাজ করবে তা বুঝতে পারছি না। তবে কেউ চাপ দিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। টেন্ডার ওপেনিং এর সময় ঘটনাস্থলে থাকা কুষ্টিয়া পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (সদরদপ্তর) আলমগীর হোসেন জানান, আগে থেকেই আমরা সতর্ক ছিলাম। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ঠিকাদাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে টেন্ডার ড্রপিং হয়েছে। এরমধ্যেও কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে কি না আমরা খতিয়ে দেখছি।

কোন মন্তব্য নেই: