শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১০

ইবি ক্যাম্পাস থেকে চরমপন্থী গ্রেপ্তার, আগ্নেআস্ত্র ও বোমা উদ্ধার


কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে বহিরাগত বিল্লাল নামের এক চরমপন্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল ৫ টায় ক্যাম্পাসের মধ্যে সন্দেহাতীতভাবে ঘোরাঘুরির সময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তিতে শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার সময় ইবি গেটের যাত্রী ছাউনির পেছন থেকে একটি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি ও ৩ টি ককটেল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। চরমপন্থী বিল্লালকে নিয়ে আগ্নেআস্ত্র, গুলি ও বোমাসহ বেলা সাড়ে ১২ টার সময় সাংবাদিকদের বিফ্রিংয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সি এ হালিম বলেন, গ্রেফতারকৃত বিল্লাল জাসদ গণবাহিনীর অন্যতম ক্যাডার। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত বিল্লাল বলেন, সে একজন কৃষক এবং এস এস সি পাশ। বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ভায়ের সাথে দেখা করতে সে ক্যাম্পাসে যায়। অস্ত্র কোথায় পেলেন জানতে চাইলে, পুলিশ তাকে আর কথা বলতে দেয়নি।

বাবা গলাটিপে শিশুকন্যাকে হত্যা করে পুতে রাখে গড়াই’র চরে



কুষ্টিয়া শহরতলীর লালন মাজার সংলগ্ন ছেউড়িয়া মন্ডলপাড়া গ্রামে নেশাখোর বাবা নিজে তার শিশুকন্যাকে গলাটিপে হত্যা করে বস্তাবন্দি করে বালুচরে পুতে রাখে। পচেঁ গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে শিয়াল কুকুর বালু সরিয়ে মৃত শিশুটির পেটের অংশ থেকে খাওয়া শুরু করে। ১৮ জানুয়ারী রাতে হত্যা করা ওই শিশুর লাশ ১০ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিকট গন্ধে মানুষ টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। বাধবাজার এলাকায় গড়াই’র চরে বালুর খুড়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। শুক্রবার শেষ বিকেলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত করে শিশুর লাশ তার নানী বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই মারিয়ার লাশ দাফন করার সময় হৈচৈ পড়ে যায়। নিজ শিশুকন্যার লাশ দেখে মা রুপা খাতুন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। নিহত শিশু কন্যার নাম মারিয়া (দেড় বছর)। এ নিয়ে কুমারখালী থানায় নিহত মারিয়ার মা রুপা খাতুন বাদী হয়ে ঘাতক বাবা মাহাবুল ইসলামের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এর আগেই পাষন্ড বাবা ঘরে তালা দিয়ে আত্মগোপন করেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসি জানিয়েছে, আয়ের সব টাকা নেশা করে শেষ করে এসে নিহত মারিয়ার রিক্সাচালক বাবা প্রায় প্রতিরাতেই স্ত্রী রুপা খাতুনের উপর নির্যাতন চালাতো। মেয়ে বড় হচ্ছে, খেতে দিতে হবে, বিয়ে দিতে হবে এইসব বলে স্ত্রীকে মেয়ে মেরে ফেলার কথা কলতো। ভয়ে স্ত্রী রুপা খাতুন স্থানীয় বড়বাজারে কাজ নেয়া তুলার ফ্যাক্টরিতে যাওয়া বাদ দিয়ে শিশু কন্যাকে পাহারা দিত। গত ১৮ জানুয়ারী ঘরে চাল না থাকায় রুপা কাজে যায়। রাতে ফিরে এসে শিশুকন্যা মারিয়াকে না পেয়ে স্বামীর কাছে জানতে চাইলে শুরু করে মারধর। গভীর রাতে স্বামী তাকে জানায় তোর মেয়েকে গলাটিপে মেরে ফেলেছি, লাশ পুতে রেখেছি। এই খবর স্থানীয় পুলিশিং কমিটির মাধ্যমে পুলিশকে জানালে, পুলিশ প্রমাণ চায়। শেষমেশ রুপা খাতুন নিজেই বালু চরের উচু উচু ঢিবি সরিয়ে লাশ খুজতে শুরু করে। পায় না। প্রতিদিনই সে পাগলের মতো আদরের ধনকে এভাবে খুঁজে বেড়াতো। ১০ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিকট গন্ধে বালু চরে শিশুর লাশ আবিস্কার করে এলাকাবাসি। পরে রুপা এসে তার মেয়ে শনাক্ত করে সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। বাবার হাতে নিহত মারিয়ার লাশ ইতিমধ্যে শিয়াল কুকুরে পেটের অংশ খেয়ে ফেলেছে বলে জানান ময়না তদন্তকারি ডাক্তার। শুক্রবার ময়না তদন্ত শেষে সন্ধায় শিশু মারিয়ার লাশ তার নানী বাড়ি দাফন হয়েছে।

ইবিতে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত-২০, মহাসড়ক অবরোধ

মূর্তজা খসরু নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর প্রতিবাদে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জুড়ে সৃষ্টি হয় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এ পরিস্থিতি শেষ মেষ সংঘর্ষে রূপ নেয়। ছাত্রলীগ নেতা আলী মূর্তজা খসরুর মুক্তির দাবীতে ভোর ৬টা থেকে ক্যাম্পাস ভাংচুর শুরু করে তার পক্ষের ছাত্রলীগ নেতারা। তালা ঝুলিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও প্রশাসনিক ভবনে। এতেও কাজ না হলে শেষে বিক্ষুব্ধ ওইসব ছাত্রলীগ নেতারা অবরোধ করে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক। এতে প্রায় দু’ ঘন্টা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অচল হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি শান্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মোতায়েন করা হয় কয়েক প্লাটুন পুলিশ। সকাল ৯টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ ছাত্রদেরকে সড়ক অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করে। ছাত্ররা না মানলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে। থেমে থেমে সংঘর্ষে আহত হয় পুলিশসহ অন্ততপক্ষে ২০জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের দাবী, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কাউন্সিল। এ কাউন্সিলে খসরু সভাপতি প্রার্থী। খসরু বঙ্গবন্ধু হল শাখার আহবায়ক। গ্রেপ্তারকৃত খসরু পক্ষের ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, কাউন্সিলে যাতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা না করতে পারে সেই জন্যই প্রতিপক্ষ একটি মহল পরিকল্পিতভাবে খসরুকে গ্রেপ্তার করিয়েছে।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, ছাত্রলীগ নামধারী খসরু এ অঞ্চলের ত্রাস জাসদ গনবাহিনীর শীর্ষ নেতা কালু’র ভাই। এছাড়াও খসরুর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে।

কুষ্টিয়ায় জাগরণের গান

সকল পেশাজীবি মানুষ জাগরণের গানে উদ্বেলিত হলো। ২৮ জানুয়ারি বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ‘জাগো বাঙালি জাগরণের গানে’ শিরোনামে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর উন্মুক্ত মঞ্চে পরিবেশিত হলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সাড়া জাগানো গান গুলো। প্রথম আলো বন্ধুসভার আয়োজনে বাংলালিংকের সহযোগিতায় এ ‘জাগরণের গান’ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ঢাকার জাগরণের শিল্পীসহ কুষ্টিয়া বন্ধুসভার সদস্যরা। এছাড়া অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া জেলা সংসদের শিল্পীরাও গান পরিবেশন করে। উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো বন্ধুসভার জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান রওশন, প্রথম আলোর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান।

বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১০

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর


অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো। বুধবার রাত ১২টার পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা পাঁচ আসামি হলেন লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার), লে. কর্নেল মুহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল সুলতান শাহারিয়ার রশিদ খান। তাঁরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর সাতজনের মধ্যে আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, মোসলেমউদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও আব্দুল মাজেদ বিদেশে পালিয়ে আছেন। তাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের পরোয়ানা রয়েছে। দণ্ডিত অপরজন আব্দুল আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভোর রাতে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে প্রাণ হারান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু-পরিবারের অধিকাংশ সদস্যও সেই নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হন। নিহতরা হলেন, বেগম ফয়জুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল, পারভিন জামাল রোজি, শেখ আবু নাসের, আবদুর সেরনিয়াবত, শেখ ফজলুল হক মনি, বেগম আরজু মনি, বেবি সেরনিয়াবাত, সুকান্ত আবদুল্লাহ, শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নাইন খান রিন্টু ও আরিফ সেরনিয়াবাত। ওই তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরের থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। শেখ হাসিনা বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন হওয়ার পর খন্দকার মোশতাকের সরকার ক্ষমতা গ্রহণ এবং কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। পরে জিয়াউর রহমানের সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটি জাতীয় সংসদে পাস করে। এর ফলে ২১ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ থাকে। একই সঙ্গে কারাগারে জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের বিচারও বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু সরকারের তত্কালীন মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতসহ আট হত্যা এবং কামানের গোলায় মোহাম্মদপুরের শের শাহসুরী রোডের ১৪ জনকে হত্যার বিচার কার্যক্রম।১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল রায় ঘোষণা করেন। এতে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের শুনানি হয় হাইকোর্টে। ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ রায় প্রদান করেন। বিচারপতি মো. রুহুল আমিন ১০ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। অপর বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ১৫ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১০

মিরপুরে টেন্ডার ড্রপিংকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দু’ গ্রুপের সংঘর্ষ

কুষ্টিয়ার মিরপুরে টেন্ডার ড্রপিংকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ক্যাডারদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে একই দলের অপর গ্রুপের এক নেতা। তার নাম আশরাফুল ইসলাম। গতকাল বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মিরপুর পৌরসভা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আশরাফুল এলজিইডি ও পৌরসভার বেশ কয়েকটি সিডিউল ক্রয় করে। যার ড্রপিংয়ের শেষ সময় ছিল দুপুর ১২টা। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মিরপুর পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার তার দলবল নিয়ে আলিফ এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার অপর গ্রুপের যুবলীগ নেতা আশরাফুলকে টেন্ডার ড্রপিং করতে নিষেধ করে এবং তার হেফাজত থেকে সকল সিডিউল ফেরত চায়। এতে আশরাফুল রাজী না হলে ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার ও তার দলবল আশরাফুলের ওপর চড়াও হয় এবং লোহার রড ও লাঠি সোটা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আতংক সৃষ্টি করতে গুলিও ছোড়ে। পরে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে মিরপুরে যুবলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আশরাফুল মিরপুর থানা যুবলীগের সদস্য।

ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা মামলা থেকে সব আসামী খালাস

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলোচিত গোলাম মস্তফা ওরফে মুকুল হত্যা মামলা থেকে ২৪ আসামীই খালাস পেয়েছে। মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার স্পেশাল জজ এজলাসে বিচারক সাজেদুল করিম এই রায় ঘোষনা করেছেন। এসময় আদালত প্রাঙ্গণে অনেক লোকসমাগম হয়। ২০০৪ সালের ২১ এপ্রিল আমবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা গোলাম মস্তফা ওরফে মুকুলকে সন্ত্রাসীরা গুলি ও জবাই করে হত্যা করে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর গতকালের এ রায়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিবর চেয়ারম্যান ও ওবাইদুল ওরফে লালসহ (ভারতে নিহত) সকল আসামীকেই খালাস দিয়েছে আদালত। রায় শোনার পর কোন মন্তব্য করেননি নিহতের পিতা মামলার বাদী গোলাম সরোয়ার। মামলার খালাসপ্রাপ্ত আসামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাবেক বিএনপি দলীয় এমপি শহিদুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলায় মূল সন্ত্রাসীদের বাদ দিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিবর চেয়ারম্যান, ওবাইদুল ওরফে লাল ও কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার নাম জড়িয়ে দেন। সে কারনে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি।

ইউনিয়ন নেই, বরাদ্দ আছে

৯৭ সালের পর সেখানে আর কোন নির্বাচন হয়নি। নিজের পদ টিকিয়ে রাখার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করেন তিনি। এরই মাঝে বিলুপ্ত হয়ে যায় তার ইউনিয়ন পরিষদ। একই সাথে তার চেয়ারম্যান পদটিও। নতুন ইউনিয়ন গঠন করার জন্য গেজেট প্রকাশ করা হয় ৮ মাস আগে। তবে তিনি পদ ছাড়তে নারাজ। নানা কৌশলে এখনো তিনিই চেয়ারম্যান থাকতে চান। আর এ ব্যাক্তিটি হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ইউনিয়ন জগতির চেয়ারম্যান। ওই চেয়ারম্যানের বাধার কারনে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে নতুন এক ইউনিয়ন পরিষদ বাস্তবায়নের কাজ। সরকারি গেজেট প্রকাশ হলেও জেলা প্রশাসন এখন পর্যন্ত কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ কারনে নতুন ইউনিয়নের বাসিন্দারা সব রকমের সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ক্ষমতাধর এ চেয়ারম্যানের কাছে সবাই অসহায়। জগতি নামে কোন ইউনিয়ন না থাকলেও এখনো সরকারি সব বরাদ্দ এ ইউনিয়নের নামেই দেয়া হচ্ছে। এমনকি স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকেও সম্প্রতি ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। খোঁজনিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার সাবেক ৪ নং জগতি ইউনিয়নের অর্ধেক অংশ কুষ্টিয়া পৌরসভার ভিতরে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারনে সরকার জগতি ইউনিয়ন বিলুপ্ত ঘোষণা করে বটতৈল নামে নতুন ইউনিয়ন বাস্তবায়নের গেজেট জারি করে। এদিকে গেজেট জারির ৮ মাস অতিবাহিত হলেও বিলুপ্ত জগতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন সালাউদ্দিন অবৈধ ভাবে বিভিন্ন কৌশলে ক্ষমতা আকড়ে থাকার চেষ্টা করে আসছেন। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে বিলুপ্ত জগতি ইউনিয়নে চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ৪ লাখ ৪১ হাজার টাকার অনুদান দেয়া হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব হাবিবুর রহমান চৌধুরী সাক্ষরিত এ পত্রটি কয়েক সপ্তাহ আগে জেলা পশাসক হাতে পেয়েছেন। চেয়ারম্যান শাহিন এখনো অবৈধ ভাবে টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের মালও উত্তোলন করছেন। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সোয়েব জানান, জগতি ইউনিয়নকে বিলুপ্ত করে বটতৈলকে নতুন ইউনিয়ন করার ব্যাপারে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা এখনো কার্যকর হয়নি। এ সংক্রান্ত কোন চিঠি আমরা হাতে পায়নি। হাতে পাওয়ার আমরা আর কোন নতুন মাল বরাদ্দ দেব না। এখন টিআর ও কাবিখার মাল জগতির নামেই বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এদিকে ইউনিয়ন বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন উন্নয়ন বঞ্চিত বটতৈল ইউনিয়নের বাসিন্দারা। একটি সংগ্রাম কমিটি গঠণ করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। কমিটির সভাপতি শওকত আকবর জানান, বটতৈলকে নতুন ইউনিয়ন ঘোষনা করে সরকার থেকে অনেক আগে গেজেট প্রকাশ করা হলেও ক্ষমতালোভি শাহিন চেয়ারম্যানের কারনে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নতুন ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে কাজ শুরুর দাবি জানান তিনি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম পরিষদের নেতা ডাঃ মিজানুর রহমান জানান, জগতি নামে আর কোন ইউনিয়নের অস্তিত্ব এখন নেই। বটতৈল ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু না করার কারণে সাধারণ মানুষ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জেলা প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ অবস্থায় আন্দোলনে নামা ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই আমাদের সামনে। এদিকে গত সপ্তাহে স্থাণীয় সরকার মন্ত্রানলয় থেকে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকে এক পত্রের মাধ্যমে নতুন বটতৈল ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান জানান, স্থাণীয় সরকার থেকে একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। চিঠি বটতৈল ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশ মোতাবেক আমরা দ্রুত কাজ শুরু করবো। এখন আর বটতৈল ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু করতে কোন বাধা নেই বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শাহিন সালাউদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জগতি ইউনিয়ন বিলুপ্ত হলেও নতুন ইউনিয়ন বাস্তবায়নের কোন চিঠি আমি পায়নি। তাই এখনো আমিই চেয়ারম্যান।

ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা মামলা থেকে সব আসামী খালাস

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলোচিত গোলাম মস্তফা ওরফে মুকুল হত্যা মামলা থেকে ২৪ আসামীই খালাস পেয়েছে। মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার স্পেশাল জজ এজলাসে বিচারক সাজেদুল করিম এই রায় ঘোষনা করেছেন। এসময় আদালত প্রাঙ্গণে অনেক লোকসমাগম হয়। ২০০৪ সালের ২১ এপ্রিল আমবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা গোলাম মস্তফা ওরফে মুকুলকে সন্ত্রাসীরা গুলি ও জবাই করে হত্যা করে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর গতকালের এ রায়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিবর চেয়ারম্যান ও ওবাইদুল ওরফে লালসহ (ভারতে নিহত) সকল আসামীকেই খালাস দিয়েছে আদালত। রায় শোনার পর কোন মন্তব্য করেননি নিহতের পিতা মামলার বাদী গোলাম সরোয়ার। মামলার খালাসপ্রাপ্ত আসামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাবেক বিএনপি দলীয় এমপি শহিদুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলায় মূল সন্ত্রাসীদের বাদ দিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিবর চেয়ারম্যান, ওবাইদুল ওরফে লাল ও কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার নাম জড়িয়ে দেন। সে কারনে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি।

বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়া হাসপাতালে নার্স তনুশ্রী উপর হামলা, কর্মবিরতি, দূর্ভোগ

সেবিকা তনুশ্রীর উপর শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ও দোষী ব্যক্তির শাস্তি দাবীতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাপসাতালে গত তিনদিন ধরে চলছে সেবিকাদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচী। অবিলম্বে নির্যাতনকারীকে গ্রেফতার না করা হলে তারা হাসপাতালে যোগদান করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সেবিকারা বিক্ষোভ মিছিলও করেছে। ভাংচুর করেছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ও। ঝুলিয়ে দেয় হাসপাতালের অধিকাংশ ওয়ার্ডে তালা। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দূর্ভোগ। ১৫ জানুয়ারী দুপুরে নার্স ডিপোমা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী তনুশ্রী সরকার হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী আনিসের হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। গুরুতর আহত হয় তনুশ্রী সরকার। ওইদিনই কুষ্টিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তনুশ্রী। কিন্তু৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও আসামী গ্রেফতারে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়না। বরং প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় নির্যাতনকারী আনিস। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সেবিকারা। নার্সিং ইনস্টিটিউটের ১৩৮জন ছাত্রী একযোগে কাজে যোগদান না করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘোষনা করে নানা কর্মসূচী। সোমবার বিক্ষোভ মিছিল শেষে সিভিল সার্জনের অফিস ঘেরাও করে উত্তেজিত ছাত্রীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় সিভিল সার্জন সুবোধ কুমার কুন্ডু। এ সময় সিভিল সার্জনকে না পেয়ে ভাংচুর করে তার কার্যালয়। ঝুলিয়ে দেয় তালা। সেখান থেকে মিছিল সহকারে পূনরায় হাসপাতালে এসে বিক্ষোভকারীরা হাসপাতালের অধিকাংশ কক্ষে ঝুলিয়ে দেয় তালা । অবস্থা বেগতিক দেখে ছুটে আসেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান। তাদেরকে অবস্থান থেকে সরে আসার আহবান জানালেও তাতে সাড়া দেয়নি তারা... বরং আরো জোরদারের ঘোষনা দেয় তারা। তনুশ্রীদের সাথে যোগ দিবে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সরাও।এ ব্যাপারে কয়েকজন অপরাধ বিশ্লেষকের মন্তব্য হলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সহজে কোন অন্যায়ের বিচার পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে নামতে হয় আন্দোলনে। এ ক্ষেত্রে তারা আরেকটি অপরাধ করে বসে। হাসপাতালেও হয়েছে তাই। অন্যায় করেছে আনিস,...তার জন্য ভোগান্তি রোগীদের।

শনিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১০

মহাসড়ক বন্ধ করে কুষ্টিয়ায় বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ

কুষ্টিয়ায় ছাত্রদলের আয়োজনে জেলা বিএনপি দক্ষিণ বঙ্গের সাথে পশ্চিম বঙ্গের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে মজমপুর গেটে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। ভারত সফরকালে প্রধানমন্ত্রী’র চুক্তি শতভাগ দেশ বিরোধী হয়েছে দাবী করে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় এ প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজটের। প্রায় ২০ মিনিটব্যাপী সমাবেশে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। সমাবেশে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধাদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর দেশের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনবেনা। বরং ভারতের স্বার্থ রক্ষার জন্যই তিনি ভারতের সাথে চুক্তি করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে চুক্তি বাতিলের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেবে। এসময় জেলা নেতৃবৃন্দ ছাড়াও অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে শেষ হয়।

দৌলতপুরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, বোমা বিস্ফোরন আহত-১৫

দৌলতপুর প্রতিনিধি
ছাগলে ক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে দৌলতপুরে দু’গ্র“পের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় তিনটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১ টার দিকে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের পোড়া শলুয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৯ জনকে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে পিয়ারপুরের পোড়া শলুয়া গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছাগলে এইক গ্রামের বজলুর রহমানের ক্ষেত খায়। এই ঘটনার জের ধরে দুপুর ১ টার দিকে শহীদুল ও বজলুর রহমানের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ের গ্র“পের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। উভয় গ্র“পের মাঝে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষের সময় বোমা, ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে উভয় গ্র“পের তফেল মালিথা (৫০), নাসির (৩৫), শহীদুল (৪৫), আতেজান (৫০), মিরাজুল (৩৪), তানিয়া (১৯), মহম্মদ (৪০) ও মহাবুল (৩৬) সহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

দৌলতপুরে ডাকাতি ॥ অর্ধলক্ষাধিক টাকার সস্পদ লুট

দৌলতপুর প্রতিনিধি
দৌলতপুরের চিলমারী সরকার পাড়া গ্রামে বুধবার রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা গৃহকর্তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকাসহ প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার জানায়, বুধবার রাত ১২ টার দিকে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত চিলমারী সরকার পাড়া গ্রামের নিহাজ উদ্দীনের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ২৭ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকার সম্পদ লুট করে পালিয়ে যায়। লুটপাটে বাধা দেয়ায় ডাকাতদের অস্ত্রের আঘাতে গৃহকর্তা নিহাজ আহত হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় মোবাইল ও বাইসাইকেলের জন্য যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছিনতাইকারীরা


কুষ্টিয়ায় সামান্য মোবাইল ও বাইসেকেলের জন্য ছিনতাইকারীদল এক যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। রাত সাড়ে ১১ টার সময় কুষ্টিয়া শহরতলী ও কুমারখালী উপজেলার জয়নাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জয়নাবাদ গ্রামের ওই নিহত যুবকের নাম রাশিদুল ইসলাম(১৮)। বুধবার বিকেলে পুলিশ স্থানীয় জনগনের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে স্থানীয় জনতা পারভেজ নামের এক যুবককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রাশিদুল প্রতিদিনের মত কুষ্টিয়া শহরের কুমারগাড়ায় অবস্থিত সেলুনের দোকান বন্ধ করে বাই সাইকেলযোগে বাড়িতে যাবার পথে জয়নাবাদ সলিমের মেহেগনি বাগানের নিকট পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ৫/৬ জনের ছিনতাইকারী তার গতি রোধ করে। তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও বাইসাইকেল ছিনিয়ে নেয়ার সময় রাশিদুল স্থানীয় ছিনতাইকারীদের চিনে ফেললে ছিনতাইকারীরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে রাশিদুলের লাশ সেখান থেকে গড়াই নদীর চরে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতার মর্গে পাঠায়। নিহত রাশিদুল কুমারখালী উপজেলার কারিকর পাড়া গ্রামের মৃত নূর ইসলামের ছেলে।

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় ডাকাতদলের ৩ সদস্য গ্রেফতার


কুষ্টিয়া পুলিশ পাশ্ববর্তি রাজবাড়ি জেলায় অভিযান চালিয়ে আতঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে লুন্ঠিত মালামালসহ গ্রেফতার করেছে। সোমবার রাতে রাজবাড়ী সদর ও পাংশা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সিএ হালিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সদস্য আব্দুল মালেক, রফিকুল ইসলাম ও নুরু মিয়াকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে জেলার ভেড়ামারা থানা পুলিশ উপজেলার দশ মাইল এলাকায় এক অভিযান চালিয়ে সুজন ও রিপন নামের দুই ছিনতাইকারী কে আটক করেছে।

কুষ্টিয়ায় আরেক নারী চরমপন্থী দাদী নাসরিন গ্রেফতার


কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে আবারো গ্রেফতার হয়েছে শীর্ষ চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের লেডী কমান্ডার দিলারা নাসরিন ওরফে নাসরিন ওরফে দাদী নাসরিন। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি বিশেষ টিম নাসরিনের শহরস্থ আমলাপাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত নাসরিনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৫টি জিডি রয়েছে। পুলিশ বলেছে সে গণমুক্তিফৌজের শীর্ষ নেতা শাহীনের ঘনিষ্ট বান্ধবী। পুলিশ জানায়, নাসরিন গত ১৫ আগষ্ট কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহেরুল আলম ও অধ্যাপক বান্দা ফাত্তাহ মোহন হত্যার সাথে জড়িত। ঘটনার দিন আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করে এই নাসরিন। এর আগে গত ৬ নভেম্বর গ্রেফতার হয় নাসরিনের ছোট বোন নাহিদ পারভীন ওরফে চম্পা। এ নিয়ে গত ৩ মাসে কুষ্টিয়ায় ৬ নারী চরমপন্থী গ্রেফতার হল।

সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা, সংঘাতের আশঙ্কা

কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভা আহবানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আইনজীবিরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ায় সোমবারের সাধারণ সভায় সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন আইনজীবীরা। বার্ষিক নির্বাচনের মাত্র ১ মাস আগে হঠাৎ করে ট্রেজারার, লাইব্রেরী সেক্রেটারী, কালচারাল সেক্রেটারী, অফিস সেক্রেটারী’র নামে ৪টি নতুন পদ সৃষ্টিসহ গঠনতন্ত্র সংশোধন করার জন্য এ সভা ডাকা হয়েছে। এছাড়াও কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ এক বছরের স্থলে দুই বছর করার প্রস্তাবও দেয়া হতে পারে। সারাদেশের আইনজীবী সমিতির মেয়াদকাল ১ বছর বিদ্যমান থাকলেও নির্বাচনের ঠিক পূর্বে কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির মেয়াদ ২ বছর করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ মতের পক্ষে ও বিপক্ষে দু-ভাগ হয়েছেন আইনজীবিরা। এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. আমিরুল ইসলাম জানান, নিময়তান্ত্রিক ভাবেই সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে। সমিতির সদস্যদের মতামত পেলেই গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হবে। আর যদি মতামত না পাওয়া যায় গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হবে না।


শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১০

দৌলতপুরে ৪০ বিঘা তামাক গাছ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা

দৌলতপুরের শেরপুর গ্রামে শুক্রবার রাতে একই পরিবারের ১১ জন কৃষকের প্রায় ৪০ বিঘা জমির তামাক গাছ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন জানায়, উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের শেরপুর পচাভিটা গ্রামের কৃষক মুক্তার আলী, আব্দুর রাজ্জাক, রুশান মালিথা, লতিফ, শাহ আলম, আক্তার, মতিয়ার, জলিল, সামসুল ও বাবুল হোসেনের প্রায় ৪০ বিঘা জমির তামাক গাছ শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে রেখে যায়। গতকাল শনিবার ওই জমির মালিকরা ক্ষেতে গিয়ে তাদের তামাক গাছ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। পূর্ব শত্রুতার কারনে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ধারণা। এ ঘটনায় প্রায় ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানায়।প্রসঙ্গত গত সোমবার রাতে একই ভাবে দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের শেহালা গ্রামের কৃষক সমছের আলীর ক্ষেতের ১০ কাঠা জমির (কেটু-৩২৬ জাতের) তামাক গাছ কেটে তার জমিতে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা।

দৌলতপুরে শিক্ষককে মারপিট, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ॥ আটক-২

দৌলতপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক শিক্ষককে পিটিয়েছে একদল স্থানীয় লোকজন। গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে স্কুলের শিক্ষকদের কক্ষে প্রবেশ করে এ মারপিটের ঘটনা ঘটায়। আহত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বর্তমানে দৌলতপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ ঘটনায় দৌলতপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দোষিদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।পুলিশ ও স্থানীরা জানায়, শনিবার দুপুরে স্থানীয় শিতলিপাড়া গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে তপন তাঁর এসএসসি পাশের সনদপত্র ওঠানোর জন্য স্কুলে যায়। এ সময় শিক্ষকরা তপনের কাছ থেকে সার্টিফিকেট বাবদ ৫০ টাকা দাবি করলে তপন সার্টিফিকেট না নিয়ে স্কুল থেকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তপন, তার বাবা পিয়ার আলী ও স্থানীয় শামীম নামে তিন জন স্কুলে প্রবেশ করে টাকা নেয়ার কারণ জানতে চাইলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে শিক্ষক রফিকুলকে তারা মারধর করে। এ সময় শিক্ষকরা আসলে পিয়ার আলী ও তার ছেলে তপন পালিয়ে যাওয়ার সময় স্কুল গেটের আনছার তাদের আটক করে থানায় সোপর্দ করে। আহত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, সনদপত্র বিতরনের দায়িত্ব ছিল স্কুলের আরেক শিক্ষক জামিরুল ইসলামের উপর। আমি কোন দায়িত্বে না থাকার পরও তারা ব্যাক্তিগত আক্রোশের কারণে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমাকে মারপিট করে। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বহিরাগত লোকজন অফিস কক্ষে ঢুকে শিক্ষককে মারপিটের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

হয়ে গেল প্রথম আলো গণিত উৎসব

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হল ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রথম আলো আঞ্চলিক গণিত উৎসব। সকাল ৯টায় উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক মিজানুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক সুব্রত মজুমদার, ডাচ বাংলা ব্যাংক’র কুষ্টিয়া ব্যবস্থাপক শফিকুজ্জামান। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিতীশ চন্দ্র সাহা। প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ১ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পুরস্কৃত করা হয় ৬০ প্রতিযোগিকে।

শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার


কুষ্টিয়ার মিরপুরে এক যুবকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। মিরপুর থানা পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার চিথলিয়া গ্রাম থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে। তবে ওই যুবকের পরিচয় মেলেনি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের আজমতপুর গ্রামের রাস্তার পাশে স্থানীয়রা একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, দূর্বৃত্তরা অন্য কোথাও হত্যা করে নিয়ে যাওয়ার পথে চলন্ত গাড়ি থেকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যেতে পারে। যুবকের কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-৫

কুষ্টিয়ায় পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামীসহ ৫ ব্যাক্তি গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের আয়ুব আলী, মোহন, বাবলু, জাহাঙ্গীর এবং হরিশংকরপুর এলাকার সোহাগ। সোমবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ তাদেরকে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আয়ুব আলী একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১০

প্রত্যন্ত গ্রামে ১০ স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম আব্দালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দৈনিক সমকালের সহযোগীতায় স্থানীয় মুনসুর আলী ফাউন্ডেশন মেধাবী কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দিয়েছে।দেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে গড়ে তুলতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে এমন স্বপ্ন নিয়ে রবিবার দুপুরে ১০ স্কুলের মোট ৪২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্রেষ্ট ও সনদপত্র বিতরন করা হয়েছে।মুনসুর আলী ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডাঃ ইকরামূল হকের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান, সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, জেলা প্রাথামিক শিক্ষা কর্মকর্তা জামাল হোসেন প্রমুখ।

শনিবার, ২ জানুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়ায় গণমুক্তিফৌজের খুলনা বিভাগীয় সামরিক প্রধান অরফেন গ্রেফতার

কুষ্টিয়া অঞ্চলের শীর্ষ চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের সামরিক শাখার খুলনা বিভাগীয় প্রধান তাত্ত্বিক নেতা খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম ওরফে অরফেন ওরফে সাধু গ্রেফতার হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশ’র এএসআই রফিক গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর আজ শনিবার বিকেলে জেলা পুলিশ তাকে মিডিয়ার সামনে হাজির করে। বাংলা, হিন্দী, ইংরেজী ও চাইনিজ ভাষা জানা তাত্ত্বিক এই চরমপন্থী নেতা অপরাধ জগতের চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। একই সাথে সে সম্প্রতি দলের মুখপাত্র হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করছেন বলেও জানান।পুলিশ বলেছে প্রাথমিক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্রসহ ৪’টি মামলা রয়েছে রয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০১০

পুলিশ লাইন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রভাষক গোলাম ফারুক ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত

কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজের পরিসংখ্যানের প্রভাষক গোলাম ফারুক ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মারাত্বক আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনার পর তাৎক্ষনিক পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খানের নির্দেশে শহরে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়। জানা যায়, প্রভাষক গোলাম ফারুক বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে শহরের কোর্টপাড়াস্থ বাসা থেকে ঔষধ কেনার উদ্দেশ্যে বের হন। বাসার গলির সামনে একজন মুখোষধারী ছিনতাইকারী অস্ত্রের মুখে তার গতিরোধ করে। এসময় তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও ১২’শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারী পালানোর সময় একটি ধারালো ছুরি দিয়ে বাম পায়ে আঘাত করে। মারাত্বক আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যায়। সেখানে তার পায়ে অস্ত্রপ্রচার করা হয়। এ ঘটনার পর কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেনকে ছিনতাইকারিকে ধরার নির্দেশ দেন।