মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১০

কুষ্টিয়ায় নেশাদ্রব্য পান করে দুই ছাত্রের মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত নেশাদ্রব্য পান করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর দুই ছাত্র নিহত হয়েছে। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে এদের পরিচয় সংক্রান্ত অভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। একজন আহসান উল্লাহ ভূইঞা মেহেদী কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। অন্যজন মোহন কুয়েটের সিভিল বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। মেহেদী কিশোরগঞ্জ জেলার গাইটাল এলাকার আব্দুল্লাহ ভূইঞার ছেলে এবং মোহন খুলনার দৌলতপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গেট এলাকার কলিম উদ্দিন সর্দারের ছেলে। 
২২ নভেম্বর দুপুরে তাদেরকে অসূস্থ অবস্থায় ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহনকে মৃত ঘোষনা করেন। গুরুতর অসুস্থ মেহেদীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী তার কয়েকজন বন্ধু অপর বন্ধু আতিকের বিয়ের দাওয়াতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর আসেন। পরে তারা ওঠেন ভেড়ামারা উপজেলা শহরের হোটেল পূর্বাশা’য়। সেখানেই তারা কোন নেশাদ্রব্য সম্ভবত বিষাক্ত সিইপট পান করে বলে জানান, ভেড়ামারা থানার এসআই ইকবাল। 
নিহতদের লাশ তাদের নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১০

এমপির বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় মামলা, আটক-১০

কুষ্টিয়া-১ আসনের সরকারদলীয় এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদ’র বাড়ীতে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। সে এই হামলায় নিহত যুবলীগ কর্মি সিদ্দিকুর রহমানের চাচাতো ভাই। তার নাম আহাদুল ইসলাম (৪০), বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে। এই বোমা হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে দু’টি। যুবলীগ নেতা জাহিদ হোসেন জাহিদসহ ১০জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দৌলতপুরে এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদ’র বাড়িতে আত্মঘাতি বোমা হামলা চালায় দূর্বত্তরা। বিস্ফোরিত বোমায় সাংসদ আফাজ উদ্দিন আহমেদ অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও নিহত হয়েছে হামলাকারিসহ মোট ৩ জন। নিহতরা হচ্ছেন তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসমত আলী (৪৫), স্থানীয় যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান (৪০) ও তার চাচাতো ভাই হামলাকারি আহাদুল ইসলাম (৪০)। আহত হয়েছেন আরো তিনজন।
ঘটনার সময় বাড়ির ড্রইং রুমে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ ও তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করছিলেন আফাজ উদ্দিন আহমেদ। সেখানে ৩ জন অপরিচিত ব্যক্তিও বসা ছিল। ব্যক্তিগত কাজে পাশের রুমে গিয়ে এমপি আফাজ উদ্দিন আবার ড্রয়িংরুমে ফিরে আসার সময়ই হঠাৎ করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এমপির পাশে বসা তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসমত আলী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত হয় সোফার ওপর বসা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আহাদুল ইসলাম (পরে পরিচয় পাওয়া যায়), তার নিকট থেকেই বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। গুরুতর আহত হন যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান ও তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওবায়দুল হক ওরফে হামজু। আশংকাজনক অবস্থায় তাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান সিদ্দিকুর রহমান। এ ঘটনায় সাংসদ আফাজ উদ্দিনসহ বোমার স্প্রিন্টারে আহত হন অন্ততঃপক্ষে ৩জন।
এই হামলার প্রতিবাদে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ অংগ ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০১০

কুষ্টিয়ায় ৭৩ বিডিআরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

১০ নভেম্বর সকাল থেকে কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিডিআর সেক্টরে বিদ্রোহী জওয়ানদের বিচার কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই তিন দফায় মোট ৭৩ জন জোয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া ৩২ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ৪০ জন, চুয়াডাঙ্গা ৩৫ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ১৮ জন এবং কুষ্টিয়া সেকটরের ১৫ জন রয়েছে। সেকটরের ভেতরে স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ আদালত ১৭। অভিযোগ উত্থাপন করেন, সুবেদার জামাত আলী ও নায়েক সুবেদার আমজাদ হোসেন মন্ডল অভিযোগ উপস্থাপন করেন। আদালত কুষ্টিয়া সেকটরের মেজর সৈয়দ ফজলে হোসেন, লে. কর্ণেল আইনুন জামাল ও মেজর আহসান হাবিবকে মামলার প্রসিকিউটর নিয়োগ করেন। বিচারককে সহযোগীতা করেন ডেপুটি এ্যাটর্নী জেনারেল মোঃ সেলিম, লে. কর্ণেল সালাউদ্দিন ও মেজর আশফাক। শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কর্ণেল নজরুল ইসলাম সরকার ১১ নভেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত আদালত মূলতবি ঘোষনা করেন। 

মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০১০

ভেড়ামারায় অপরিচিত লাশ উদ্ধার

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অপরিচিত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বয়স ২০ বছরের কাছাকাছি। ৯ অক্টোবর দুপুর ১টার দিকে রামকৃষ্ণপুর ব্রীজের নিকট আঁখক্ষেতে   তার লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, লাশে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। গলায় আখের পাতা পেচানো ছিল।

রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১০

মিরপুরে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

নিহতের নাম আনারুল ইসলাম(৩৫)। ৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাকিলাদহ মাঠে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। স্থানীয় সূত্র জানায় আগেরদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে আনারুল মোবাইল ফোনে ডাক পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরিবারের লোকজন রাতভর খোজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি। আনারুল নছিমন (স্থানীয়ভাবে তৈরি ডিজেলচালিত যানবাহন) চালক। সে কাকিলাদহ গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।