মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০০৯

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুতে রাখা লাশ উদ্ধার, পরিচয় নিয়ে বিভ্রাট

দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের কালিদাসপুরের তালবাড়িয়া বিলের মধ্যে পুতে রাখা একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের পরিচয় নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, লাশটি কমপক্ষে ১০ দিন আগে পুতে রাখা হয়। বৃষ্টির পানিতে উপরের মাটি সরে গেলে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা লাশের মাথার কিয়দাংশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। লাশের দেহে পোকা লেগে গেছে। মুখমন্ডল দেখে এখন বোঝার উপায় নেই নিহত কে? পরনে কালো রঙের ফুলপ্যান্ট, ডান হাতে একটি তাবিজ রয়েছে।
প্রথমে ধারনা করা হয়, মিরপুর উপজেলার আমলা-ঘোষপাড়া থেকে দুই মাস আগে অপহরন হওয়া ট্রাক শ্রমিক রাজ্জাক (৩৫) এর লাশ এটি। পরে তার স্ত্রী এসে নিশ্চিত করে এটি তার স্বামী নয়। পুলিশের নিকট ফোন করে কুষ্টিয়া সদরের বড়িয়া গ্রামের জাফর আলী ও গাংনী থেকে অপহরন হওয়া আরেকজনের অভিভাবকরা জানায় তাদের লাশ হতে পারে। তারাও লাশ দেখে নিশ্চিত করবে। তবে পুলিশ অজ্ঞাত ধরে নিয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

সোমবার, ২৯ জুন, ২০০৯

দেহ উদ্ধার হয়নি, কাটা মাথার ময়না তদন্ত, মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটকের সামনে রেখে যাওয়া কাটা মাথার দেহ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ইবি ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেহ উদ্ধারে পুলিশ জোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। রবিবার নিহতের বাবা আজিবর ইবি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২। এখানে তিনি কোন আসামীর নাম উল্লেখ করেননি।
এদিকে গতকাল সোমবার কাটা মাথার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে। নিহতের বাবা পুলিশের নিকট থেকে মাথা বুঝে নিয়ে নিজগ্রাম শৈলকুপার গোলকনগরে দাফন করেছে। মাথা দেখার জন্য উৎসুক জনতা হুমড়ি খেযে পড়ে।
আলোচিত এ ঘটনার কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি জড়িত সন্দেহ কাউকে গ্রেফতারও করেনি।
রোববার সকালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে লিটন নামের নিহত এই যুবকের কাটা মাথা পাওয়া যায়। এর আগে ১৬ জুন ক্যাম্পাসের ভিতরে একটি ছাত্রী হলের পিছন থেকে আরো দুটি জবাই করা লাশ উদ্ধার করা হয়।

রবিবার, ২৮ জুন, ২০০৯

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে এক যুবকের খন্ডিত মস্তক উদ্ধার



কুষ্টিয়া, ২৮ জুন ২০০৯ সকাল
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে এক যুবকের খন্ডিত মস্তক উদ্ধার হয়েছে। আজ সকালে লোকজন মস্তকটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ বডির সন্ধানে মাঠে নেমেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের নাম লিটন (৩০)। সে শৈলকুপা উপজেলার গোলকনগরের আজিবরের ছেলে।
ইসলামী বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানায়, অন্য কোথাও হত্যা করে একটি বাজার করা ব্যাগে করে খন্ডিত মস্তকটি কেউ নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ব্যাগের উপরে রেখে যায়। লাশের সাথে ‘জাসদ গণবাহিনী লাল’ লেখা একটি চিরকুট রেখে যায়। স্থানীয়রা জানায়, নিহত লিটন চরমপন্থি গণমুক্তিফৌজ-র সদস্য। প্রতিপক্ষ কোন গ্র“প সমপ্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষিত ৮০ লাখ টাকার ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে আতংক সৃষ্টির জন্য এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন রাতে চরমপন্থি-সন্ত্রাসীরা দুই ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করে বিশ্বাবিদ্যালয়ের ভেতরে ফজিলাতুন নেছা ছাত্রী হলের পেছনে ফেলে রেখে যায়। ওই লাশের পাশেও ‘জাসদ গণবাহিনী লাল’ লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়।

গণবিবাহের নামে বাল্যবিবাহ, আয়োজকদের শাস্তি দাবি



ভেড়ামারা সংবাদদাতা
যৌতুকবিহীন গণবিবাহের নামে নতুন গজিয়ে ওঠা একটি ইসলামী সংগঠন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাল্য বিবাহের আয়োজন করে। তিন মাস ধরে যাচাই বাছাই করে তারা ১০ জোড়া বর-কনের আটজোড়াই বালক-বালিকা নির্ধারন কর। এ তামাশা ও অন্যায়ে বিচার দাবি করেছেন অনেকেই। অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় এমপিসহ সরকারি কর্মকর্তারা চরম বিব্রত বোধ করে উঠে চলে যান।
ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ বাংলাদেশের উদ্যোগে গত শুক্রবার বিকাল ৬টায় ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই গণ বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ে অনুষ্ঠানে যৌতুক বিহীন গণবিয়ের নাম করে ঐ সংস্থা ১০ থেকে ১৫ বছরের বালক-বালিকাদের বিয়ে দেয়। বিয়ে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু। প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক শায়খুল হাদীস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাজাহান আলী, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোল্লা মাহমুদ হাসান, ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের খুলনা বিভাগীয় আমীর মওলানা ইমদাদুল্লাহ কাশেমী এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউপি’র চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক-এর সভাপতিত্বে গণ বাল্যবিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হলে বরবেশে আসে দৌলতপুর উপজেলার শরিফুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, শাহাবুদ্দিন, হুসাইন, দীন মোহাম্মদ, আরিফুল ইসলাম, ভেড়ামারা উপজেলার রুবেল আহমেদ, রেন্টু, জুয়েল উদ্দিন ও স্বপন আলী। এদের প্রায় সকলের বয়স ১৬ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। কনে বেশে আসে রিফাতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী শাহানারা খাতুন, দৌলতখালী মাদ্রসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী চান্দেরা খাতুন, বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সাবিতা খাতুন, শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী চামেলী খাতুন, ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী পলিয়ারা খাতুন, রায়টা বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী কুলসুম খাতুন, দৌলতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর সাথিয়ারা খাতুন, ডিজিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী শাহেনা খাতুন, রায়টা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সামিয়ারা খাতুন এবং প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী কাঞ্চন আরা খাতুন। ভেড়ামারা ও দৌলতপুর উপজেলার ১২-১৫ বছরের ২০ জন বর-কনে দেখে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা হতবাক হয়ে পড়েন। তারা বিয়ে বন্ধের জন্য দাবি তোলেন। এ সময় শুরু হয় তুমুল হট্টোগোল। এক পর্যায়ে অতিথিদের কাছে কাকুতি মিনতি করেন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা। ১০ জোড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক বর-কনের মধ্য থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ২ জোড়া বর-কনে বেছে নিয়ে অতিথিদের সামনে বিয়ে দেয়া হয়। এই দুই জোড়া বর-কনের বিবাহ শেষে হাসানুল হক ইনুসহ অতিথিরা চলে যান। বাকি ৮ জোড়া বর-কনের বিয়ে সম্পন্ন করা হয় আল্লার দরগা মাদ্রাসায়। বাল্য বিয়ে শেষে প্রতি নব দম্পতিকে ছাগল আকৃতির একটি করে গরুর বাছুর ও একটি সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। হঠাৎ গজিয়ে উঠা ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের অনুষ্ঠানকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। যৌতুকবিহীন গণবিবাহের নাম করে ঐ সংস্থার সমন্বয়কারী জহীর ইবনে মুসলিম জেলা শহর ছাড়াও ভেড়ামারা, মিরপুর, দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিল্পপতিদের কাছ থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি বলেন, তিনমাস ধরে বাছাই করে আনা হয়েছে। কিন্তু শেসে দেখছি এরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক। ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবুল ইসলাম জানান, ২টা বিয়ে দিয়ে আমরা উক্ত অনুষ্ঠান থেকে চলে আসি। আমরা আসার পরে বাকি ৮টার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানতে পেরেছি। বাল্য বিয়ের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান জানান, বাল্য বিয়ে যারাই ঘটাক তারা বড় ধরনের অন্যায় করেছে। এই ঘটনায় খোঁজ-খবর নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

আষাঢ়ের ১৪তম দিনে ক্ষনিকের বৃষ্টি, স্বস্তি মেলেনি



হাসান জাহিদ
ফারাক্কার অশুভ প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলোতে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। এখানকার জলবায়ুর পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশবিদরা যে আশংকার কথা বলে চেচামেচি করে আসছিলেন সেই মরুকরন শুরু হয়েছে এ এলাকায়। আষাঢ়ের ১৪তম দিনে এসে আজ সকালে বিছানায় মুয়েই অনেকে বৃষ্টির দেখা পান। কিন্তু সেও ছিল ক্ষনিকের। না পেরেছে মাটি ভেজাতে, না পেরেছে গরম কমাতে। বরং ১৫/১৬ মিনিটের এ বৃষ্টি মানুষের মনে আরো বৃষ্টির আকাঙ্খা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এবার আকাশের দিকে তাকিয়েও মনে হচ্ছেনা যে এখন বর্ষাকাল চলছে। প্রতিদিনই যেন বাড়ছে গরমের মাত্রা। প্রচন্ড তাপদাহে মানুষের জীবনযাত্রা বিষিয়ে উঠেছে। পদ্মা গড়াই এর তপ্ত বালুচর থেকে আসা লু হাওয়া এ অঞ্চলে মরুর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আগুনের ভল্গা এসে মানুষের শরীরের উপরিত্বক পুড়িয়ে দিচ্ছে। কোথাও যেন শীতল বাতাস নেই। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায় বিঘœ ঘটছে। মাঠের ফসল পুড়ে তামাটে হয়ে গেছে। বারাবার কৃত্তিম সেচ দিয়েও জমি তৈরী করতে পারছেন না কৃষকরা। সেচ দেবার পরক্ষনেই জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ক্ষনিকের এ বৃষ্টি কী স্বস্তি দিতে পারে? প্রয়োজন আষাঢ়ের ঘণঘটা, টানা বৃষ্টি।

শনিবার, ২৭ জুন, ২০০৯

কুষ্টিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানরা হতাশ, অলস বসে সময় কাটে

হাসান জাহিদ
ক্ষমতা, কাজ, ভাল অফিস রুম, গাড়ী বরাদ্দ না পাওয়া ও সরকারের অবহেলা চরম হতাশ উপজেলা চেয়ারম্যানরা। অনেক আশা ও প্রতিশ্র“তি নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু সরকারের চরম অবহেলায় সে উৎসাহে ভাটা পড়েছে। অনেক চেয়ারম্যান চরম ক্ষোভও প্রকাশ করেন। নির্বাচন করার জন্য যত তড়িঘড়ি করা হয়েছিল নির্বাচন শেষে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নিয়ে সরকারের ঠিক ততই গা-ঢিলাভাব দেখা যাচ্ছে। সরকারের কোন দিক নির্দেশনা নেই। কেউ কেউ বলেন, কবে এসবের সমাধান হবে তারও কোন আলামত দেখতে পাচ্ছিনা। সরকার শুধু প্রতিশ্র“তিই দিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের ৫ মাস পেরিয়ে গেল যে সব জনগন অনেক আশা নিয়ে আমাদের ভোট দিয়েছিল তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না।
কুষ্টিয়া জেলায় ৬টি উপজেলা। চরম ঢাক ঢোল পিটিয়ে হৈ হুল্লোড় করে গত ২২ জানুয়ারি এখানে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। তিন উপজেলায় জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান। আর দু’টিতে জয়লাভ করে জামায়াতের প্রার্থী। বাকী একটিতে জয়লাভ করে জাতীয় পাটির প্রার্থী। এরমধ্যে জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ভেড়ামারা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৯ জুন মঙ্গলবার ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। আব্দুর রাজ্জাক ভেড়ামারার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের একটানা ৬বার চেয়ারম্যান ছিলেন। জনপ্রিয় এ ব্যক্তি গত উপজেলা নির্বাচনের সময় ইউনিয়ন পরিষদ ছেড়ে বৃহত্তর মানুষের সেবা করতে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। কিন্তু চরম হতাশা নিয়েই তাকে জীবনের শেষ দিনগুলি কাটাতে হয়েছে। বৃহত্তর এলাকার মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেননি।
জেলার সবচে বড় উপজেলা দৌলতপুর। এখানকার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারেজ উদ্দিন। এ ব্যাপারে হারেজ উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি চরম হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এর জন্য কি এত কষ্ট করে নির্বাচন করেছিলাম। কত ষড়যন্ত্র পার করে জয়লাভ করেছিলাম। সরকার আমাদের একবারেই অবমূল্যায়ন করছে। এতে করে সরকারেরই ভবিষ্যত নষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, একই ভোটারের মধ্যে নির্বাচন করে জনপ্রতিনিধি হয়ে একজন সংসদ সদস্য হয়েছে। সরকারের দিক নির্দেশনা না থাকায় সেইসব এমপি এমনকি ইউএনও কেউই আমাদের কেয়ার করেনা। দীর্ঘদিন আগে উপজেলা চেয়ারম্যান যে রুমে বসতেন সেই রুমে আমাদের বসার স্থান হয়েছে। কিন্তু বসে কি করবো। একটু গল্প গুজব করে চলে যাই। দু-একটি অনুষ্টানে প্রধান অতিথি থাকি। এই হলো কাজ। তিনি আফসোস করে বলেন, উপজেলায় ৯০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামতের জন্য ২৭ লক্ষ টাকা বারদ্দ এসেছে। ইউএনও তার ইচ্ছামতো এগুলো বন্টন করছেন। জনপ্রতিনিধি তদারক না করায় এসব কাজে অনিয়মের সম্ভাবনাই বেশি। টিআর, কাবিখা ভাগ করেন এমপি সাহেব। উপজেলা চেয়ারম্যান হারেজ উদ্দিন বলেন, আমাদের চেয়ে একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানেরও বেশি মর্যাদা আছে। ৬ মাস হয়ে যাচ্ছে সরকার আমাদের মর্যাদা দেবার প্রতিশ্রি“তিই দিয়ে যাচ্ছে। এভাবে দিন দিন আমাদের বেইজ্জতি করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া সদরের উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন উপজেলা জামায়াতের আমীর মোশারফ হোসেন। তিনি বসছেন উপজেলা পরিষদে ইউএনওর পাশের রুমে। তিনি বলেন, এখানে বসে মানুষের সাথে গল্প করা ছাড়া কোন কোজ নেই। অনেক আন্দোলনের পর সরকার গত মে মাসে একটি পরিপত্র জারি করেন। সেখানেও স্পষ্ট কোন গাইড লাইন নেই। দিন দিন আমাদের হতাশা বাড়ছে। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরন ও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উদ্যোগ এখন একেবারে জলে যেতে বসেছে। তিনি বলেন জানগনের জন্য কিছই করতে পারছি না। এটাই সবচে বড় আফসোস। তবে কবে আামাদের কাজ হবে, ক্ষমতা পাবো তাও অনিশ্চিত।
কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রউফ। তিনি অনেকটা জোর করেই উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষ নিজের অফিস বানিয়ে নিয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান ক্ষমতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের তিনি একজন অন্যতম নেতা। যার কারনে বেশিরভাগ সময় তিনি ঢাকা বা অন্য জেলায় সময় কাটান। আব্দুর রউফ বলেন, সরকার উপজেলা পরিষদ গঠন করে, জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে। আমাদের মর্যাদা রক্ষা করা সরকারেরই দায়িত্ব। এরজন্য আজ আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে এটা খুবই দুখঃজনক।
খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা সদর উদ্দিন খান বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের একমাস পরে হয় শপথ অনুষ্ঠান। তাও আবার অনাড়ম্বর। আমরা চরম উৎসাহ নিয়ে গাড়ীর বহর নিয়ে শপথ নিতে যাই। তবে শপথ নিয়ে ফিরে এলে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের ঠিকমতো রিসিভ করেন নি। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগন একাই উপজেলা শাসন করে আসছেন, সেখানে তারা চেয়ারম্যানদের উটকো ঝামেলা ভাবছেন।

কুষ্টিয়ায় ডিবি পুলিশের রাতভর অভিযানে বিদেশী তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও ছিনতাইকৃত টাকাসহ ৫জন গ্রেফতার



কুষ্টিয়া পুলিশ একটি শক্তিশালী চাঁদাবাজ-ছিনাতাইকারি চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। ডিবি পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে দুটি নাইন এমএম অটোমেটিক পিস্তল, একটি বিদেশী রিভলবার, চারটি ম্যাগজিন, ২৬ রাউন্ড গুলি ও ছিনতাইকৃত টাকাসহ এদের গ্রেফতার করে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়া সহকারি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল প্রথমে অভিযান চালায় শহরের আড়–য়াপাড়া বাবর আলী গেট এলাকায়। সেখান থেকে মোমিন নামের এক ছিণতাইকারিকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ৪রাউন্ড গুলি ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেলসহ গ্রেফতার করে। এরপর তার স্বীকারোক্তিতে একের পর এক তারা শহরের পূর্ব মজমপুর, কমলাপুর, দাদাপুর রোড ও চর থানাপাড়ায় অভিযান চালিয়ে আরো দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২২ রাউন্ড গুলি, ছিনতাইকৃত ১২ হাজার ৯ শ’৫০ টাকাসহ আরো ৪জন রনি, সম্রাট, ফরিদ ও হাসানকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা ছিনতাইসহ নানা অপরাধের কথা পুলিশের নিকট স্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, এই চক্রটি কুষ্টিয়া শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই চাাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে এদের খুজছিল।

বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় বেসরকারি উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধার গার্ড অব অনার


কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধকালীন ভারতের হৃদয়পুর রিক্রুটিং ক্যাম্প ইনচার্জ মরহুম মীর আইনুল ইসলাম এর স্মরণ সভা ও গার্ড অব ানার প্রদান অনুষ্ঠান গতকাল বুধবার কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মুক্তিযুদ্ধকালীন দক্ষিন-পশ্চিম রণাঙ্গনের জোন চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি তার মৃত্যুর পর গার্ড অব অনার ছাড়াই দাফন করা হলে পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কুষ্টিয়া চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়


কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নানের সাথে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা হয়েছে। বুধবার বিকেলে চেম্বার মিলনায়তনে চেম্বার সভাপতি আশরাফ উদ্দিন নজুর সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সবায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ চাদাবাজি ও ছিণতাই বন্দে জেলা প্রশাসকের নিকট কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানান।

কুষ্টিয়া পৌরসভার ৩৭ কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা


কুষ্টিয়া পৌরসভার ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। গতকাল পৌরসভার মজিবর রহমান অডিটোরিয়ামে পৌর পরিষদ ও পৌর নাগরিকদের উপস্থিতিতে বাজেট অধিবেশনে মেয়র আনোয়ার আলী ৩৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেটে নতুন করে কোন করারোপ করা হয়নি। মেয়র তার বাজেট বক্তব্যে বলেন, সকল শর্ত পূরন করার পরও কুষ্টিয়া পৌরসভাকে ক শ্রেনীতে উন্নীত করা হয়নি। তবে কুষ্টিয়া পৌরবাসীকে সর্ব্বোচ্য নাগরিক সুবিধা প্রদানে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সুধীজনরা আলোচনা করেন।

কুষ্টিয়ায় শিল্প ও বানিজ্য মেলা উদ্বোধন


কুষ্টিয়া হাইস্কুল মাঠে শিল্প ও বানিজ্য মেলা-২০০৯ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান ফিতা কেটে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি আশরাফ উদিদ্দন নজু, সাবেক পরিচালক মুরাদ চৌধুরী, মেলার আয়োজক শিকদার প্রোডাক্টস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম জসিম। উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসকসহ অতিথিরা মেলা মাঠ ঘুরে দেখেন ও এর খোজ খবর নেন।
কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির উদ্যোগে বরিশালের শিকদার প্রোডাক্টস এর আয়োজনে মাসব্যাপী এ মেলায় ৬০টি বিভিন্ন নামীদামি স্টল বসেছে। এছাড়াও দেশের খ্যাতিমান দি এল এন সার্কাস এসেছে বিনোদনের জন্য।

বুধবার, ২৪ জুন, ২০০৯

কুষ্টিয়ার ইবি থানা এলাকায় এক চরমপন্থি খুন

কুষ্টিয়ার ইসলামী থানা এলাকার হারুলিয়া মাঠের মধ্যে জসিম (৩৫) নামের এক চরমপন্থিকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। পুলিশ জানায়, গতকাল গভীর রাতে এলাকার ত্রাস মন্টু মেম্বার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড জসিমকে প্রতিপক্ষ ধরে নিয়ে যায়। হারুলিয়া মাঠের মধ্যে নিয়ে তার হাত-পা কেটে পরে গুলি করে হত্যা করে। জসিম মাজিলা গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে।

মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০০৯

কুষ্টিয়ার খাদ্য গুদাম থেকে ১৫ টাকা দরে টিআরের চাল কিনে গুদামেই ২২ টাকায় বিক্রি


স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া ॥ কুষ্টিয়ায় সরকারী খাদ্য সংগ্রহ অভিযানে আরো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। টিআর হিসেবে বরাদ্দ পাওয়া চাল গুদাম থেকে ১৫ টাকা দরে কিনে আবার খাদ্য সংগ্রহ অভিযানের আওতায় ২২ টাকা দরে ওই গুদামেই বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। আর এ কাজে সহযোগিতা করে খাদ্য কর্মকর্তারা প্রতি টনে হাতিয়ে নিচ্ছেন কমপক্ষে ২ হাজার ৩শ’ টাকা। এছাড়াও এ ব্যাপারে বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর তদন্তের হাত থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টনপ্রতি আরো ৫শ’ টাকা করে গ্রহন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) আবু সোয়েব খান জানান, টিআর বিশেষ বরাদ্দে প্রথম পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকল্পে মোট ২৫০ টন ও সাধারন বরাদ্দের আওতায় ২১৭ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বরাদ্দের এ চাল প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন প্রকল্প কমিটির সভাপতি (সিপিসি) তুলে নিয়ে বিক্রি করে সে টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ করছেন। তিনি বলেন, সরকারিভাবে বরাদ্দে পাওয়া প্রতিটন চালের মূল্য ২৯ হাজার ৪শ’ ২৯ টাকা নির্ধারিত থাকলেও স্থানীয়ভাবে তা ১৫ হাজার টাকার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছেনা। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রকল্পের কোন কাজ না করে ডিও’র মাধ্যমে এসব চাল তুলে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আবু সোয়েব খান বলেন, এরকম অভিযোগ আমার কাছেও আছে। অনেক স্থানে গোপনে তদন্ত করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওইসব সিপিসি বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে। এরপর তাদের অনেকেই নতুন করে কাজ শুরু করেছে।
অভিযোগ রয়েছে, সিপিসিগন নিজেরা চাল উত্তোলন না করে ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে দিচ্ছেন। পিআইও অফিসের বরাদ্দ অনুযায়ী সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল ওয়াহেদ-এর ডিও নিয়ে ব্যবসায়ীরা চলে যাচ্ছেন খাদ্য গুদামে। কুষ্টিয়া সদরে রয়েছে দু’টি খাদ্য গুদাম। প্রথমে জগতি গুদামে চাল দেয়া শুরু হয়। সেখানে চলমান সংগ্রহ অভিযানের সংগৃহিত চাল সরবরাহ করা হয়। প্রকৃত চালকল মালিক, ট্রাক শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা সিপিসিদের নিকট থেকে ১৩ থেকে ১৫টাকা কেজি দরে ওইসব চাল কিনে গুদাম থেকে বাইরে নিয়ে আবার ওই গুদামেই ফেরত নিয়ে এসে খাদ্য সংগ্রহ অভিযানের আওতায় ২২ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এখানে খাদ্য কর্মকর্তারা দু’ভাবে অর্থ আদায় করছেন। প্রথমে যখন টিআরের চাল সরবরাহ করছেন তখন ৮৫ কেজির বস্তায় ভরে দিচ্ছেন। সরকারি ওই বস্তা ফ্রি দেয়া হলেও বস্তার ওজনসহ চাল দেয়া হচ্ছে। এতে করে বস্তার ওজন বাবদ ১ কেজি করে চাল কম দিচ্ছেন। এভাবে প্রতি টনে ১৩ কেজি করে চাল বাঁচাচ্ছেন যার মূল্য প্রায় ৩শ’ টাকা। আর ওই চাল যখন সংগ্রহ অভিযানের আওতায় গ্রহন করছেন তখন কমিশন হিসেবে নিচ্ছেন টনে ২ হাজার টাকা। জগতি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ নেওয়াজের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, টিআর হিসেবে নতুন পুরাতন উভয় চালই সরবরাহ করা হয়েছে। এ বিষয়টি জানাজানি হবার পর ওই গুদামে টিআরের চাল সরবরাহ বন্ধ করে সদর খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ শুরু হয়। গতকাল দুপুরে সদর খাদ্য গুদামে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউবকে পাওয়া যায়নি। সেখানে দেখা যায়, সিপিসিদের উপস্থিতি ছাড়াই টিআরের চাল সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তড়িঘড়ি করে টিআর চাল সরবরাহ বন্ধ করা হয়।
এদিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে, পুরাতন ময়লা ধরা চাল টিআর হিসেবে উত্তোলন করে তা আবার গুদামে সরবরাহ করার জন্য কুষ্টিয়ার চালের মোকাম খাজানগরে ১৪/১৫টি কালার সাটার মিল স্থাপন করা হযেছে। সেখানে ময়লা চাল নিয়ে রি ফাইন করতে কেজিতে খরচ হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ পয়সা। সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল ওয়াহেদ বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, রি ফাইন করা চাল অন্য উপজেলায় নিয়ে গুদামে সরবরাহ করছেন ব্যবসায়ীরা।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন


কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে মহা সাড়ম্বরে। এ উপলক্ষে বিকেল ৫টায় শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী এসে পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে সমবেত হয়। বিপুল জনসমাগম ও হর্ষধ্বনির মধ্যদিয়ে শুরু হয় জনসভা। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী।

আন্তর্জাতিক জনসেবা দিবসে কুষ্টিয়ায় র‌্যালী


আন্তর্জাতিক জনসেবা দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় কুষ্টিয়া পৌরসভার বিজয় উল্লাস চত্বর থেকে জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে র‌্যালী বের হয়। র‌্যালীটি কালেক্টরেট চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে তার সভাকক্ষে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়ায় কবি নজরুলের স্মৃতিময় দিনগুলি


বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম। বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় প্রায় সমানভাবে বিচরনের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। সর্বগুনে গুনান্বিত এই কালজয়ী মহাপুরুষের জন্মস্থান পশ্চিমবঙ্গে হলেও রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগ্রহন ও বৈবাহিকসূত্রে পূর্ববঙ্গের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ ও কুষ্টিয়াসহ তৎকালীন পূর্ববঙ্গের অনেক অঞ্চলেই তার পদচারনা ছিল উল্লেখ করার মত।বাংলাদেশের প্রান্তবর্তী সাংস্কৃতিক রাজধানীখ্যাত এই কুষ্টিয়া জেলাতেও তিনি তার জীবনের বেশ কিছু দিন অতিবাহিত করেছেন। যদিও তা একেবারেই খোদ কুষ্টিয়াতেই অনালোচিত এবং শুধুমাত্র স্মৃতি-শ্র“তিতেই আবদ্ধ। এমনকি ধারনা করা যেতে পারে কুষ্টিয়ায় প্রায় সিংহভাগ মানুষই জানেন যে কবি নজরুলের পদধুলি পড়েছিল এই সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়াতে। এই বিষয়ে কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট জ্ঞানতাপস, আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক, প্রাবন্ধিক, ড. আবুল আহসান চৌধুরী ‘কুষ্টিয়ায় নজরুল’ শিরোনামে একটি নিবদ্ধে কুষ্টিয়ায় নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত দিনগুলির কথা অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা থেকে আমরা কুষ্টিয়ায় অবস্থানকালীন সময়ে কবি নজরুলের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সহ অন্যান্য কর্মকান্ডের বিষয়গুলি সম্পর্কে সুন্দরভাবে জানতে পারি। কমরেড মুজাফফর আহমেদ, কবি আজিজুর রহমান, সাহিত্যিক অন্নদাশংকর রায়, সাহিত্যিক কুমারেশ ঘোষ, বিপ্লবী সুধীর স্যানাল, কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংস্কৃতসেবী দেবেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, কবি ও গীতিকার ডাঃ আব্দুর রহমানসহ আরও অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গ কুষ্টিয়ায় নজরুলের অবস্থানকালীন সময়ে তার কর্মকান্ডের সাক্ষী এবং এ ব্যাপারে তারা দালিলিক প্রমানও উপস্থাপন করেছেন। মূলতঃ কবি নজরুল কুষ্টিয়ায় প্রথম এসেছিলেন রাজনৈতিক কারনে। কবি নজরুলের ঘনিষ্ট সুহৃদ ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধা হেমন্ত সরকার ছিলেন একজন খ্যাতিসম্পন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শ্রমিক-কৃষক আন্দোলনের সংগঠক, বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য ও চীপ হুইপ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট লেখক। মূলতঃ তারই আমন্ত্রনে এবং বেঙ্গল পেজান্টস্ এ্যান্ড ওয়াকার্স পার্টির সাংগঠনিক কাজে ১৯২৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে কৃষ্ণনগর থেকে কবি নজরুল কুষ্টিয়ায় সপরিবারে আসেন। তিনি যতবার কুষ্টিয়ায় এসেছেন প্রত্যেকবারই আমলাপাড়াতে অবস্থিত বন্ধ হেমন্ত সরকারের ‘ডিউকট’ নামের বাসাতে অবস্থান করতেন। এই সময়ে কবি নজরুল সাম্যবাদী নেতা ফিলিপ স্প্যাট ও হেমন্ত সরকারের সঙ্গে বেঙ্গল পেজান্টস্ এ্যান্ড ওয়ার্কার্স পার্টির সাংগাঠনিক কাজে নিজেকে ব্যাস্ত রেখেছিলেন। এই সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও তিনি সময় ব্যায় করতেন। গান শেখানো, আবৃত্তি চর্চার মাধ্যমে তিনি কুষ্টিয়ার সংস্কৃতিমনা তরুনদের মধ্যে যথেষ্ঠ উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেন। রাজনৈতিক কর্মকান্ড না থাকলে ডিউকট লজে দেশাত্ববোধক গানের আসর বসত। ১৯২৮ সালে তৎকালীন যতীন্দ্রমোহন হল তথা আজকের পরিমল থিয়েটার মঞ্চে বেঙ্গল পেজান্টস্ এ্যান্ড ওয়ার্কার্স পার্টির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই উপলক্ষে নজরুলের আগমন ঘটে কুষ্টিয়াতে। সাম্যবাদী নেতা কমরেড মুজাফফর আহমেদ,হেমন্ত সরকার, বৃটেনের সাম্যবাদী নেতা ফিলিপ স্প্যট ও কবি নজরুলের উপস্থিতিতে সম্মেলন সাফল্যমন্ডিত হয়। উক্ত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কমরেড মুজাফফর আহমেদ। সম্মেলনে ফিলিপ স্প্যট ভারতের স্বাধীনতার দাবীতে বক্তৃতা করেন। কবি নজরুলের ‘চাষী ধর কষে লাঙ্গল’ গানটি সম্মেলনে উপস্থিত প্রায় এক হাজার প্রতিনিধিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি করে। ১৯২৯ সালেও নজরুল ইসলাম কুষ্টিয়ায় এসেছিলেন এক কৃষক সম্মেলন উপলক্ষে এবং এক সংবর্ধনা সভায় যোগ দিতে। এই কৃষক সম্মেলনের উদ্যেক্তা ছিলেন হেমন্ত কুমার সরকার। হেমন্ত কুমার সরকারের আমন্ত্রনে নজরুল পুত্র বুলবুল ও দু মাসের শিশু সানি (সব্যসাচী)- সহ নজরুলের স্ত্রী প্রমিলা এবং শাশুড়ী গিরিবালা দেবীও তার (হেমন্ত বাবু) আমলাপাড়ার বাড়ীতে বেড়াতে এসেছিলেন। উক্ত সম্মেলনে বঙ্গীয় কৃষকলীগ নামে কৃষকদের একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়। কমিউনিষ্ট ইন্টারন্যাশনালের ষষ্ঠ কংগ্রেসে দু’ শ্রেনীর ভিত্তিতে ওয়ার্কার্স এ্যান্ড পেজান্টস্ পার্টি গড়ার বিরুদ্ধে উক্ত সম্মেলনে সমালোচনা করা হয়। মূলতঃ এই সংগঠনকে এক শ্রেনীর ভিত্তিতে দাঁড় করানোর প্রয়াসের অংশ হিসেবে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের মধ্যমনি ও মূল আকর্ষন ছিল কবি নজরুল।তার দরাজ কন্ঠে গান ও কবিতা এই অনুষ্ঠানের দর্শকদের মাতিয়ে তুলেছিলো। ‘‘কৃষকদের গান’’, “জেলেদের গান” ও “শ্রমিকদের গান”- এইসব গানের মধ্যে শ্রমিকদের গানটি নজরুল পূনরাবৃত্তি করে কয়েকবার গেয়েছিল এই কারনেই যে ঐ অনুষ্ঠানে মোহিনী মিলের শ্রমিকরাই ছিল সংখ্যগরিষ্ঠ। ১৯২৯ সালে এই কৃষক সম্মেলনে এসে নজরুল গড়াই নদীর অপর পারে সবান্ধব হাটশ হরিপুর গিয়েছিলেন। হেমন্ত কুমার সরকার ও “জাগরন” সম্পাদক নিশিকান্ত পাত্রকে নিয়ে কবি প্রথমে উঠেছিলেন কংগ্রেস ও খেলাফত কর্মী ও তার পূর্ব পরিচিত বন্ধু রেজওয়ান আলী খান চৌধুরী সাহেবের বাড়ীতে। হাটশ হরিপুরে নজরুল কবি আজিজুর রহমান, তারপূর্ব পরিচিত খান সাহেব হারুনুর রশীদ ও গোলাম রহমান সাহেবের বাড়ীতেও গিয়েছিলেন। রমজান মাসের সেই বিকালে কবি নদীর ধারে শিকারও করতে গিয়েছিলেন। একটি হরিয়াল ও একটি ঘুঘুও শিকার করেছিলেন তিনি। সেই দিন সন্ধ্যায় শ্রোতাদের অনুরোধে ‘আসে বসন্ত ফুলবনে’, ‘আমার চোখর ইশারায় ডাক দিলে’, ‘বাগিচায় বুলবুলি তুই’, ‘চল চল চল’, ‘বাজলো কিরে ভোরের সানাই’ সহ আরও বেশ কয়েকটি গান গেয়েছিলেন কবি নজরুল। তারাবির নামাজের কারনে পরের দিন আবারও গানের আসর বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরের দিন কাক ডাকা ভোরেই তাকে সবান্ধব চলে যেতে হয়। ধারনা করা হয়, সম্ভাব্য গ্রেফতার এড়ানোর জন্যই তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। হাটশ হরিপুরে কবির এই আগমনের বিষয়টি কবি আজিজুর রহমানের স্মৃতিচারনার তথ্য থেকে পাওয়া যায়। ১৯২৯ সালেই কবি নজরুলকে কুষ্টিয়া মিউনিসিপ্যালিটির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসই সময় বিশিষ্ট আইনজীবী তারাপদ মজুমদার ছিলেন কুষ্টিয়া মিউনিসিপ্যালিটির স্বনামধন্য চেয়ারম্যান। স্থানীয় যতীন্দ্রমোহন হলে (বর্তমানে পরিমল থিয়েটার হল) এই সংবর্ধনার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তারাপদ মজুমদার। এই সংবর্ধনার কাজে শহরের গোপীপদ চট্টোপাধ্যায়, মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ, ফজলুল বারী চৌধুরী, হারুনুর রশীদ, গোলাম রহমান, নিশিকান্ত পাত্র, তাজ উদ্দীন আহমেদ (তাজু মিয়া) প্রমুখ ঘনিষ্টভাবে জড়িত ছিলেন।
কুমারখালীতেও কবি নজরুলেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই সংবর্ধনা সভার উদ্যেক্তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যসেবী ডাঃ আব্দুর রহমান, কাঙাল হরিনাথের জ্ঞাতি-ভ্রাতুস্পুত্র ভোলানাথ মজুমদার, আব্দুল গনি, গোঁড়া মৈত্র। কুমারখালী যোগেন্দ্রনাথ এম.ই স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনা সভায় নজরুল ইসলাম তার ‘বিদ্রোহী’ কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন এবং ‘জাতের নামে হাতের মোয়া’ গানটি গেয়েছিলেন। সেদিন কবি নজরুলকে কাছে পেয়ে কুমারখালীর সর্বস্তরের মানুষ ধন্য হয়েছিল। তিনি কাঙাল হরিনাথের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার কাঙাল কুটিরেও উপস্থিত হয়েছিলেন। এই সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়াতে কবি নজরুল বিভিন্ন সময়ে এসেছেন, অবস্থান করেছেন, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করেছেন। তাই কুষ্টিয়া জেলা কবি নজরুলের কাছে এক স্মৃতিবিজড়িত স্থান।কুষ্টিয়ায় অবস্থানকালীন সময়ে নজরুল কোন সাহিত্যচর্চা করেননি একথা ভাবা অবান্তর। কিন্তু তথ্য এবং রচনাস্থা নের উল্লেখ না থাকায় কুষ্টিয়ায় অবস্থানকালীন সময়ে তার রচনা সনাক্ত করার সুযোগ থেকে আমরা কুষ্টিয়াবাসী বঞ্চিত। তবে কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত জাগরণ (১৯২১) পত্রিকায় কবি নজরুলের কিছু রচনা প্রকাশিত হয়েছে। আমরা কুষ্টিয়াবাসী ধন্য।
আমাদের গর্ব ও অহংকার এই কারনে যে, কবি নজরুলের পদধুলি পড়েছে এই কুষ্টিয়াতে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় এই ইতিহাস কুষ্টিয়াবাসীর অধিকাংশই জানেন না এবং তা কালক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে। আজকে কুষ্টিয়াবাসী হিসেবে আমাদের দাবী কুমিল্লা, ময়মনসিংহ জেলায় যেমনিভাবে কবি নজরুলের জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকী সরকারী পর্যায়ে উদযাপন করা হয় ঠিক তেমনিভাবে কবি নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত এই কুষ্টিয়া জেলাতেও সরকারী পর্যায়ে তার জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন করা হউক।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসন যদি কুষ্টিয়ায় কবি নজরুলের কুষ্টিয়ায় অবস্থানকালীন সময়ের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়কে অবহিত করে তাহলে অচিরেই সরকারী পর্যায়ে কুষ্টিয়ায় কবি নজরুলের জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপিত হবে। আর এটি যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে কুষ্টিয়াবাসী হিসেবে আমাদের গর্ব ও অহংকার আরও বেড়ে যাবে।বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম ও বিশ্বকবি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী যদি সরকারী পর্যায়ে কুষ্টিয়াতে উদযাপিত হয় তাহলে সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে কুষ্টিয়ার মান মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে।
তথ্য সংকেতঃ
[এ্যাড: শামিম উল হাসান সম্পাদিতঃ চির উন্নত শির। ড. আবুল আহসান চৌধুরী ঃ কুষ্টিয়ায় নজরুল। কুষ্টিয়া, ১১ই জোষ্ঠ্য, ১৪১৪ বাংলা; পৃষ্ঠাঃ ৫-১২]

বাস পার হচ্ছে না মীর মশাররফ হোসেন সেতু দিয়ে ॥ যাত্রী ভোগান্তি চরমে


বাবলু জোয়ারদার :
কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি সড়কের সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন সেতুতে বাস পারাপার বন্ধ। সেতুতে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগে বাস পারাপার বন্ধ রেখেছে বাস মালিকরা। সেকারনে বাস যাত্রীরা চরম ভোগান্তি শিকার হচ্ছে।
জানাযায়, মেসার্স রহমান ট্রেডার্স গত ১১ জুন লিজ গ্রহিতা হিসাবে সেতুর দায়িত্ব বুঝে নেয়। এরপর কাউকে কিছু না জানিয়ে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ এনে গত ২১ জুন বাস কতৃপক্ষ সেতু পারাপার বন্ধ করে দেয়। তাদের অভিযোগ মিনি বাস প্রতি সেতু পারাপার মাশুল ৫০ টাকার স্থলে ১শ টাকা আদায় করা হচ্ছে। অপরদিকে সেতু ইজারাদার সুত্র জানান, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি সড়কে নামে মিনিবাস থাকলেও বাস্তবে সেগুলো বড়বাস। বড় বাসের নির্ধারিত মাশুল ১শ টাকা। বাস কতৃপক্ষ এই সেতুর ওপর দিয়ে বড়বাস পারাপার করে মিনি বাসের মাশুল দিতে চায়।

সোমবার, ২২ জুন, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় খাদ্য সংগ্রহ অভিযানে অনিয়ম, বাইরের জেলা থেকে আনা নিম্নমানের চাল গুদামে ঢুকছে রাতের আঁধারে


কুষ্টিয়ায় খাদ্য সংগ্রহ অভিযানে অনিয়ম, বাইরের জেলা থেকে আনা নিম্নমানের চাল গুদামে ঢুকছে রাতের আঁধারে
কুষ্টিয়ায় সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অনিয়মের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়ায় চলছে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান। মিলাররা বাইরের জেলা থেকে নিম্নমানের চাল এনে খাদ্য কর্মকর্তাদের যোগসাজসে গুদামে সরবরাহ করছেন। কেজিপ্রতি ৩৫ পয়সা পাবার কারনে গুদাম কর্মকর্তারা রাতের আধারে মান নিয়ন্ত্রণ না করেই ট্রাক ট্রাক চাল গুদামে ভরে নিচ্ছেন। এ নিয়ে শনিবার রাতে কুষ্টিয়া সদর খাদ্য গুদামে ঘটে গেছে তুঘলকি কারবার।
রাতে চাল গ্রহনের সময় কয়েকজন সাংবাদিক খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন। এসময় গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল গফুর সব কার্যক্রম বন্ধ করে পেছনের গেট দিয়ে বাসায় চলে যান। সাংবাদিকরা গুদামের ভেতরে অবস্থিত ১১টি ট্রাকে কোথা থেকে কি মানের চাল আনা হয়েছে জানার জন্য পুলিশের সহায়তা কামনা করেন। সদর থানার ওসি বাবুল উদ্দিন সর্দ্দার কয়েকজন কর্মকর্তা ও ফোর্স নিয়ে পৌছান। তিনি রাত ২টা পর্যন্ত খাদ্য কর্মকর্তাদের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করেও গুদামের বাউন্ডারীর ভেতরে সাংবাদিকদের প্রবেশ করার সুযোগ করে দিতে ব্যর্থ হন। পরে পুলিশ সুপারের সাথে আলোচনা করে গুদামের বাইরে খাদ্য কর্মকর্তা ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রহরা বসানো হয়। এর মধ্যেই একের পর এক আসতে থাকে চাল বোঝাই ট্রাক। রাত ৩টা পর্যন্ত সদর খাদ্য গুদামের রাস্তা ষ্টেশন রোডে ৭টি ট্রাকের লম্বা লাইন লেগে যায়। এতেই পরিস্কার হয়ে যায় এ গুদামে প্রতি রাতেই ট্রাক ট্রাক চাল আনলোড করা হয়।
রবিবার সকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মল্লিক সাঈদ মাহমুদ, এনডিসি জালাল সাইফুর রহমান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গুদামে প্রবেশ করে অভিযোগের প্রাথমিক প্রমান মেলে। যশোর ট- ১১-০১৮০ নাম্বারের ট্রাকটির কোন মালিক খুজে পাওয়া যায়নি। ট্রাকের হেলপার আবুল কাসেম মল্লিক জানান, পাবনার রুপপুরের জয়নগর থেকে চাল নিয়ে এসেছেন তিনি। কুষ্টিয়ার কোন একজন মিলার তাদের ট্রাক ভাড়া করে ওখান থেকে চাল কিনে এনেছেন। তিনি মিলারের নাম বলতে পারেন নি। এ ঘটনার পর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আলম পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গুদামের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেন। এছাড়াও সদর উপজেলার আরেকটি গুদাম জগতিতেও একই কারনে কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। তড়িঘড়ি করে গতকাল বিকেল ৪টায় জেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির মিটিং ডাকা হয়। জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এ সভায় সিদ্ধান্ত হয় জেলার বাইরে থেকে আসা ট্রাকগুলো ফেরত পাঠানো হবে। সূর্যাস্তের সাথে সাথে গুদামের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। তবে এ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল ওয়াহেদ ও সদর গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর গফুরের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধেও অনিয়মের মাধ্যমে চাল সংগ্রহে অবৈধ উপার্জনের অর্থ’র ভাগ পাবারও ইঙ্গিত করেছেন অনেকেই।
মিলার, ট্রাক শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এর ভেতরের রহস্য। সাধারনত মিলারদের চেয়ে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট চাল ব্যবসায়ীদেরকেই বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলার খাজানগর-আইলচারা-পোড়াদহে রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম। এখানকার চালের মান সারা দেশে প্রশংসিত। এখানকার কোন মিল থেকে চাল কিনে সরবরাহ করতে কেজিপ্রতি খরচ হয় ১৯ টাকা। আর বাইরের জেলা যেমন পাবনার ঈশ্বরদী, জয়নগর, দাশুরিয়া, ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু থেকে একটু নিুমানের চাল নিয়ে আসলে ট্রাক ভাড়া বেশি পড়লেও কেজিপ্রতি ১টাকা কমে সরবরাহ করা যায়। তাদের পড়ে ১৮ টাকা করে। যেখানে সরকার নির্ধারিত মূল্য ২২টাকা কেজি। বাইরের এ নিুমানের চাল অনিয়মের মাধ্যমে গুদামে গ্রহন করার বিনিময়ে খাদ্য কর্মকর্তারা পান কেজি প্রতি ৩৫ পয়সা। কোন কোন ক্ষেত্রে টনপ্রতি ২ হাজার টাকা। আর এ কারনে রবাদ্দের দিকেও তাকানো হয়না। যার বরাদ্দ ২০ মেট্রিক টন তার ৪০ মেট্রিকটন চালও গ্রহন করা হযেছে এমন অভিযোগ প্রকৃত মিলারদের।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানা যায়, ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত জেলায় মোট ১ হাজার ১৭ মেট্রিকটন ধান ও ২৪ হাজার ৪শ ৭ মেট্রিকট্রন চাল সংগ্রহের টার্গেট রয়েছে। এরমধ্যে রবিবার পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ৯হাজার ৭শ ৩০ চাল ও ৬শ ৫৬ মেট্রিক টন ধান।

কুষ্টিয়ার খোকসায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে অস্ত্রসহ তিন সন্ত্রাসী আটক

কুষ্টিয়ার খোকসায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে অস্ত্রসহ তিন সন্ত্রাসী আটক
কুষ্টিয়ার খোকসায় আওয়ামী লীগের একপক্ষ অপর পক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে গিয়ে বাড়ীতে অস্ত্র রেখে পুলিশ পাঠিয়ে নিজেরাই গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে শনিবার রাতে খোকসার সোমসপুরে। খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান সন্ত্রাসীদের গডফাদার বলে পরিচিত সদর উদ্দিন খান তার লোকজন দিয়ে যুবলীগ নেতা টুটুলের বাড়িতে আগ্ন্য়োস্ত্র রেখে পুলিশকে খবর দেয়। গত শুক্রবার রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল খোকসার সোমসপুরে টুটুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এরপর শনিবার রাত ৯টায় বাড়ির সামনে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির সময় তুহিন নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশের নিকট ওই বাড়িতে অস্ত্র রেখে আসার কথা স্বীকার করে। পুলিশ তাকে সাথে নিয়ে রাত ১টার দিকে অভিযান চালিয়ে তুহিনের দেখিয়ে দেয়া স্থান টুটুলের বাড়ির খড়ের গাদা থেকে দেশী তৈরি রিভলবর উদ্ধার করে। তুহিনের স্বীকারোক্তী মোতাবেক আমজাদ ও তুহিন নামে অপর একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেফতারকৃত তহিন(১৮) শোমসপুরের জাহাঙ্গিরের ছেলে, আমজাদ(২০) একই গ্রামের আকোর ছেলে ও তুহিন (২৬) পাশ্ববর্তি বি-মির্জাপুরের আব্দুল জলিল শেখের ছেলে। পুলিশের জানায়, স্বিকারোক্তীতে তারা বলে, যুবলীগ নেতা টুটুল ও তার ভাই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মুকুল স্থানীয় এমপি সুলতানা তরুনের সাথে রাজনীতি করার কারণে খোকসার প্রভাবশালী নেতা সদর উদ্দিনের বিরাগভাজন হয়। কারন গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়ায় সদর উদ্দিন খানের সাথে সুলতানা তরুনের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ কারনে রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার জন্য সদর উদ্দিন খানের ভাই রহিম খান অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে ওই বাড়িতে রেখে আসতে বলে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে গতকাল খোকসা থানায় একটি মামলা করেছে, নং ১০।

শনিবার, ২০ জুন, ২০০৯

কুষ্টিয়া মোহিনী মিলসহ বন্ধ থাকা সকল মিল কারখানা চালু করা হবে-শিল্পমন্ত্রী


কুষ্টিয়া মোহিনী মিলসহ বন্ধ থাকা সকল মিল কারখানা চালু করা হবে-শিল্পমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া ॥ শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া বলেছেন, কুষ্টিয়ার মোহিনী মিলসহ বন্ধ থাকা সকল শিল্প কারখানা চালু করা হবে। বাড়ানো হবে শিল্পের পরিধি। শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। গতকাল শনিবার কুষ্টিয়ায় নানা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে ফিতা কেটে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন দিলীপ বড়–য়া। সেখানে কুষ্টিয়া-২ আসনের এমপি জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের এমপি খন্দকার রশীদুজ্জামান দুদু, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী, জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান, পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান, কুষ্টিয়া পৌর মেয়র আনোয়ার আলীসহ বন ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে মেলা প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গাছ লাগিয়ে ভরবো দেশ, বদলে দেব বাংলাদেশ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন, সামাজিক বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আয়োজনে ২০ দিনব্যাপী এ বৃক্ষমেলায় ৫০টি স্টল বসেছে।
মন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া সকালে কুষ্টিয়া পৌছেই সার্কিট হাউজে দলীয় নেতা-কর্মি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় করেন। এছাড়াও তিনি কুষ্টিয়া চিনিকল, বিআরবি কেবল ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।

শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় ৪ জন নিহত


কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় ৪ জন নিহত
কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় এক স্কুল ছাত্রীসহ ৪ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের লাহিনী বটতলা নামক স্থানে ট্রাকের ধাক্কায় স্কুল ছাত্রী উর্মি ও যুবক রাজিব নিহত হয়। পুলিশ জানায়, শহরের চৌড়হাস এলাকার সোহরাব উদ্দিনের ছেলে রাজিব একই এলাকার শহীদুল্লাহর মেয়ে উর্মিকে নিয়ে সকালে রিক্সায় করে বেড়াতে বের হয়। তারা লাহিনী বটতলায় পৌঁছলে পেছন থেকে একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাদের ধাক্কা দিলে তারা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এদিকে কুষ্টিয়া শহরে ডিসি কোর্টের সামনে রাস্তা পার হতে গিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক বৃদ্ধ ভিক্ষুক নসিমনের ধাক্কায় নিহত হয়েছে। ওদিকে জেলার দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ বাজারে শুক্রবার সকালে ট্রাকের ধাক্কায় ঝন্টু নামে এক সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ছিনতাইকারিদের ছুরিকাঘাতে এক এসআইসহ দুজন আহত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ছিনতাইকারিদের ছুরিকাঘাতে এক এসআইসহ দুজন আহত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা হাউখালি মাঠে ছিনতাইকারিদের ছুরিকাঘাতে এক এসআইসহ দু’জন আহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে দৌলতপুর থানার এসআই মালেক থানার রাইটার মিজানুরকে সাথে নিয়ে থানার দিকে যাচ্ছিলেন। হাউকালি মাঠের মধ্যে ছিনতাইকারিরা সড়কের উপর রশি টানিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের গতিরোধ করে। ধারালো চাকু ধরে তাদের নিকট থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় তারা চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ছিনতাইকারিরা এসআই মালেক ও মিজানুরের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু মেরে পালিয়ে যায়। আহতদের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েওইছনতাইকারিদের ধরতে পারেনি পুলিশ।

কুষ্টিয়ায় স্বামীর লাঠির আঘাতে স্ত্রী নিহত

কুষ্টিয়ায় স্বামীর লাঠির আঘাতে স্ত্রী নিহত
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় স্বামীর লাঠির আঘাতে স্ত্রী নিহত হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী সানোয়ার তার স্ত্রী মাহফুজাকে ঘরের দরজার হাক দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। স্বামী সানোয়ার পলাতক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০০৯

কুষ্টিয়ার ডিসি’র অফিস ও বাসভবনে বোমা মারার হুমকি দিয়েছে ’ইসলামী জঙ্গী’ সংগঠন


কুষ্টিয়ার ডিসি’র অফিস ও বাসভবনে বোমা মারার হুমকি দিয়েছে ’ইসলামী জঙ্গী’ সংগঠন
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের অফিস ও বাসভবনে বোমা হামলা করার হুমকি দিয়ে চিঠি দিয়েছে ’ইসলামী জঙ্গী’ নামের একটি অপরিচিত সংগঠন। আর এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ডাকযোগে পাঠানো এ চিঠি পাওয়ার পর থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং আদালতপাড়ায় প্রবেশের তিনটি পথে কড়া পুলিশী পাহারায় চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। জেলা কালেক্টরেট কার্যালয়ে নাম-ঠিকানা লিখে প্রবশকারীদের ঢোকানো হচ্ছে।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে ডাকযোগে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি হাতে লেখা চিঠি পাঠানো হয়। তাতে ’ইসলামী জঙ্গি’ নামের একটি অপিরিচিত সংগঠনের পরিচয় দিয়ে বলা হয়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অশোক কুমার দেবনাথ’র কারণে আপনার অফিসে বোমা ফুটতে পারে, বাসায়ও ফুটতে পারে। এ চিঠি পাওয়ার পর থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর ও আদালতপাড়া এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে প্রবেশের ৩টি পথে পুলিশের চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। এ সব গেট দিয়ে রিক্সা প্রবেশ বন্ধ রেখে সকল যানবাহনে তল্লাসী চালিয়ে তারপর প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। মূল ভবনের সিড়িতে খাতায় নাম-ঠিকানা লিখে লোকজনকে ঢোকানো হচ্ছে।

কুষ্টিয়ায় গুলি করে ও কুপিয়ে যুবক খুন


কুষ্টিয়ায় গুলি করে ও কুপিয়ে যুবক খুন
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা সদরপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সবুজ নামের এক যুবক নিহত হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের গোয়াবাড়ীয়া-সদরপুর বাজারে দাড়িয়ে চা খাওয়া অবস্থায় প্রতিপক্ষ ৪/৫ জন ক্যাডার এসে সবুজ(২৮)কে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। সবুজ কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং সি-ব্লকের সরোয়ার হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে কোন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হয়নি ও কোন গুলির খোশা পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানায়। তবে চিকিৎসক তার শরীর থেকে ১৪টি ছররা গুলি বের করেন বলে জানান। এ ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতংঙ্ক ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বাপ্পী নামের একজনকে আটক করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আনোয়ার হোসেন।
কি কারনে এ হত্যাকান্ডটি সংগঠিত হয়েছে পুলিশ এখন পর্যন্ত তার সঠিক কারন উদঘাটন করতে পারেনি। তবে নিহত সবুজ মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামারুলের ঘনিষ্ট ছিল। কামারুলের সাথে স্থানীয় একটি গ্র“পের রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। গত ৮ এপ্রিল কামারুলের উপর বোমা হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ১৪ মে কামারুল কুষ্টিয়া আদালত থেকে ২জনকে অপহরন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। এসব বিরোধের জের ধরে সবুজ খুন হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

সিলেটের বিয়ানীবাজারে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ওসি নিহত,ভেড়ামারায় চলছে শোকের মাতম ॥ সকাল ৯টায় দাফন


সিলেটের বিয়ানীবাজারে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ওসি নিহত,ভেড়ামারায় চলছে শোকের মাতম ॥ সকাল ৯টায় দাফন
জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল, ভেড়ামারা :
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জুনিয়াদহ ইউপির জনপ্রিয় চেয়ারম্যান শিহাবুল ইসলাম জৈষ্ঠ্য পুত্র সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার ওসি সৈয়দ মোনায়েমূল ইসলাম বাচ্চু সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ায় তার গ্রামের বাড়ী ভেড়ামারায় চলছে শোকের মাতম।
মঙ্গলবার রাতেই মুঠোফোনের কল্যাণে ভেড়ামারায় পৌঁছে যায় ওসি মোনায়েমূলর মূত্যুর খবর। নিহতের গ্রামের বাড়ী জুনিয়াদহ ইউনিয়নের পরানখালীতে ভিড় বাড়তে থাকে। সবাই ছুটে যান মোনায়েমূলর পরিবারের খোঁজ খবর নিতে। সেখানে সৃষ্টি হয় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। পিতা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জুনিয়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান শিহাবুল ইসলাম ও মাতা রাশেদা ইসলাম পুত্র শোকে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। আকাশ বাতাস ভারী করে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের স্বজনরাসহ উপস্থিত সকলেই। এ এক বুক ফাটা আর্তনাদ। বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ। সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে কান্না। এ কান্নার শেষ কোথায়? নাওয়া খাওয়া ভুলে সবাই কাঁদছেন অবিরত। ভেড়ামারার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়ে শান্তনা দেয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সবাই প্রতিক্ষায় আছেন লাশ কখন আসবে? কখন সম্পন্ন হবে এর শেষ কাজ।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, ওসি মোনায়েমূল ইসলাম বাচ্চু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাষ্টার্স কোর্স শেষ করে ১৯৯০ সালে জনগণের সেবা করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সাব ইনস্পেক্টর পদে যোগদান করেন। চাকুরী জীবনে অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে প্রায় এক যুগ পর ইনসপেক্টর (ওসি) হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপর চরমপন্থী অধ্যুষিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ মিশন থেকে ফিরে গত বছর ডিসেম্বরে সিলেটের বিয়ানীবাজার থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টায় প্যাসিফিক সোসাইটি অব কালাইউড়া ক্লাবের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষে তিনি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। ব্যক্তি জীবনে ওসি মোনায়েমূলের স্ত্রী সুলতানা খাতুন, কন্যা বর্ন (১১), পুত্র অর্থ(৪), বাবা শিহাবুল ইসলাম, মাতা রাশেদা ইসলাম ও অতি আদরের দুই ভাই ছিল। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পরানখালী হাইস্কুল মাঠে মরহুমের জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযায় স্থানীয় এমপি হাসানুল হক ইনুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মি পুলিশে উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কুমারখালিতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্রী আহত


কুমারখালিতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্রী আহত
বাবলু জোয়ারদার :
গত ১৫ জুন সোমবার উপজেলার দূর্গাপুর দাখিল মাদ্রার শিক্ষক আফতাব উদ্দিন ক্লাসে পড়া না পাড়ার অপরাধে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক মেধাবী ছাত্রীকে বেত্রাঘাতে আহত করেছে মাদ্রাসা শিক্ষক। আহত ছাত্রী দুর্গাপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের মেয়ে আল্পনা খাতুন (১১)। ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তার স্থান দ্বিতীয়। সে উক্ত মাদ্রাসায় প্রথম শেণী হতে অধ্যায়ন করে আসছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার কুমারখালির দূর্গাপুর দাখিল মাদ্রাসায়। আলপনার বাবার অভিযোগে জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা কতৃপক্ষের নিকট হতে আল্পনার জন্য তার বাবা মৌখিকভাবে শনি ও রবিবারের ছুটি মঞ্জুর করায়। ছুটি শেষে আল্পনা সোমবার মাদ্রাসায় গেলে ক্লাসে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আফতাব উদ্দিন পড়া না পাড়ার অপরাধে আল্পনাকে বেত দিয়ে বেদম মারপিট করে। এতে আল্পনার শরীরের বিভিন্নস্থান আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এঘটনার পর ঐদিন মাদ্রাসায় টিফিনে সকল শিক্ষার্থীরা বাড়িতে খেতে গেলেও আল্পনাকে যেতে দেয়া হয়না। এব্যাপারে আল্পনা জানায়, ছুটিতে থাকার কারনে সোমবার ক্লাসে কোন পড়া ছিলো তা আমি জানতাম না। সেকারনে আমি ইংরেজি পড়া মুখস্ত করতে পারি নাই। ক্লাসে আফতাব সারকে আমি বিষয়টি অবগত করার পরও আমাকে মারপিট করে। এমনটি ঐদিন দুপুরে আমাকে বাড়িতে গিয়ে সহপাঠিদের মতো খেয়ে আসার সুযোগ দেয়নি সিরাজ স্যার। আমি নিয়মিত ক্লাসে পড়া মুখস্ত করে আসি। সেকারনে আমার ক্লাসে রোল নম্বর-২। ইংরেজি শিক্ষক আফতাব উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, পড়া মুখস্ত না করলে আমরাতো শিক্ষার্থীদের মারবোই। না মারলে তারা অবাধ্য হয়ে যাবে। পড়া না পাড়ার অপরাধে শিক্ষার্থীদের শারিরীক নির্যাতন অথবা বেত্রাঘাত করার নিয়ম আছে কি’না জানতে চাইলে তিনি নিরব থাকেন। এব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার আসলাম উদ্দিনকে প্রশ্ন করা হলে তাকে থামিয়ে দিয়ে মাদ্রাসার সহকারি সুপার মসলেম উদ্দিন দাপট দেখিয়ে বলেন, আমরা আমাদের নিয়মে মাদ্রাসা পরিচালনা করে থাকি। শিক্ষার্থীদের বাধ্য রাখার জন্য অনেক কিছুই করতে হয়। আলপনার বাবা আলতাফ হোসেন জানান, আমি মাদ্রাসা সুপারকে বিষটি জানালেও তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। এমনকি আমি অভিযোগ দায়ের করায় মাদ্রাসা শিক্ষকরা আমার সঙ্গে পর্যন্ত খারাপ আচরণ করেছেন। এঘটনা সম্পর্কে কুমারখালি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এজাজ কায়সার বলেন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীর গায়ে আঘাত অথবা বেত্রাঘাত করতে পারবে না। এধরনের ঘটনা কোনো প্রতিষ্ঠানে ঘটলে যথাযথ আইনে বিচারের বিধান রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দূর্গাপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অবিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

হরিপুরে গুরুর ১০ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে এক শিষ্য

হরিপুরে গুরুর ১০ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে এক শিষ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুষ্টিয়ার হরিপুরে এক কথিত পীর (গুরুর) পঞ্চম শ্রেণী পড়–য়া ১০ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে তার শিষ্য। ২ দিন পর গত ১৬ জুন মঙ্গলবার রাত ১০টার সময় মেয়েকে তার বাবার কাছে ফেরত দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে মামলা বা কোন সালিশ বৈঠকও হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, সম্মান ও মেয়ের ভবিষ্যত চিন্তা করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মেয়ের বাবা ওই কথিত পীর বিষয়টি ধামা চাপা ও ঘটনাটি ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুন রবিবার কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের পান বিড়ির দোকানদার কথিত পীর আতিয়ারের পঞ্চম শ্রেণী পড়–য়া মেয়ে সর্নালী(১০) কে একই গ্রামের জালালের পুত্র মেয়ের পিতা ওই পীরের ভক্ত মহিদুল (২২) নিয়ে চলে যায়। একটি বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ‘ নতুন সূর্য শিক্ষানিকেতন স্কুল শেষে বাড়ী যাওয়ার সময় পথিমধ্যে সর্নালীকে পদ্মা নদী দেখার কথা বলে ভুলিয়ে অথবা তার সম্মতিতে মহিদুল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে মহিদুল তার দুজন বন্ধুর সহযোগিতায় সর্নালীকে নিয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করে।
এলাকাবাসির দাবী, ভক্ত মহিদুল সর্ম্পকের খাতিরে অল্প বয়সী নাবালিকা সর্নালীকে ভুলিয়ে নিয়ে তার বন্ধুদের সহযোগিতায় আত্মগোপন করে থাকে। অনেক খোজাখুজির পরও তাদের সন্ধান না পেয়ে মেয়ের পিতা কথিত পীর আতিয়ার শিষ্য মহিদুলের বাড়িতে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মামলার ভয় দেখালে শিষ্য মহিদুলের ভাই শহিদুল জানায়, মহিদুল মেয়ে সর্নালীকে নিয়ে ঢাকায় চলে গেছে।
এরপর এলাকাবাসির চাপে মেয়ের পিতা ওই শিষ্যের সাথে মেয়ের বিবাহ দিতে রাজী হয়ে তাদেরকে ফিরে আসতে বলে। এবাদেও আরো বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ সৃষ্টির ফলে ঘটনার ২ দিন পর শিষ্য মহিদুল গত ১৬ জুন মঙ্গলবার রাত ১০টার সময় মেয়েকে তার বাবার কাছে ফেরত দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হলেও কথিত পীর অর্থলোভী আতিয়ার বিষয়টি নিয়ে কোন মামলা বা কোন সালিশ বৈঠকও করেননি। অভিযোগ উঠেছে, সম্মান ও মেয়ের ভবিষ্যতের বুলি আওড়িয়ে পেছন থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মেয়ের বাবা বিষয়টি চেপে গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, শিষ্য মহিদুল এলাকায় চুতুর ও লম্পট প্রকৃতির ছেলে হিসাবে পরিচিত। বিয়ে না করেও নাবালিকা মেয়েকে ভূলিয়ে ২ দিন আত্মগোপনে থাকার পরও বিষয়টি মেয়ের অর্থলোভী পিতাকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে আছেন। অভিযোগ উঠেছে, চতুর ওই শিষ্য মহিদুল মেয়ের বাবাকে দিয়ে দেড়শত টাকার ষ্টাম্পে অঙ্গিকার নামা লিখিয়ে নিয়েছে যাতে কোন প্রকার আইনগত ঝামেলায় না পড়ে।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহল বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা অথবা সালিশ বৈঠক না হওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের মাধ্যমে সঠিক সুরাহা করার দাবী তুলেছে। যাতে সামনের দিনগুলোতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।

যার উপর হামলা তিনিই গ্রেফতার

যার উপর হামলা তিনিই গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কুমারখালী থানা কমিটির সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম নান্নুর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে আওয়ামী সমর্থিত প্রতিপক্ষ গ্র“প। হামলায় গুরুত্বর আহত নান্নুকে প্রথমে কুমারখালী হাসপাতালে পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা গত শুক্রবারের। সেসময় তার মোটর সাইকেল, মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারিরা। অথচ রাজনৈতিক প্রভাবের কারনে পুলিশ তাকেই গ্রেফতার করেছে। নান্নু এখন পুলিশ প্রহরায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নান্নুর পরিবার সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ গ্রাম যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের নদীর চরে নিজের আমবাগান দেখে মোটর সাইকেলযোগে বাড়ী ফিরছিলেন নান্নু। বিন্দির ঘাটের নিকট পৌছালে স্থানীয় আওয়ামী সমর্থিত মনোহর ও সুমনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি দল নান্নুর উপর হামলা করে। মোটর সাইকেল, মোবাইল ফোন ও পকেটে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা পাশ্ববর্তি আকাল উদ্দিনের বাড়িতে আটকে রেখে চরম মারপিট করে। তারা একটি ময়ুর পিস্তল দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করার উদ্যোগ নেয়। তারা গল্প ফাঁদে নান্নুই তাদের কাছে চাঁদা দাবি করতে এসেছিল। এদিকে পুলিশ এসে নান্নুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে রাজনৈতিক চাপে তাকে ৫৪ ধারায় গেফতার দেখানো হয়েছে।
এদিকে নান্নুদের পরিবার ও প্রতিপক্ষ পৃথক পৃথক মামলা দায়েরের চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ কোন মামলাই গ্রহন করেনি। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদ হোসেন জানান, আমাদের কাছে মনে হয়েছে নান্নু কোন ষড়যন্ত্রের শিকার। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না।

আমাকে ধরার মত কোন পুলিশ নেই....

আমাকে ধরার মত কোন পুলিশ নেই....
নিজস্ব প্রতিনিধি :
আমাকে ধরার মত কোন পুলিশ নেই। তোর মত কতজনকে মেরে হাত মুখ ভেঙ্গে দিলাম। আমি থানাপাড়ার লালন কমিশনারের ভাই , থানাপাড়ার অনেক কিছুই আমার নিয়ন্ত্রনে। আমাকে কেউ কিছু করতে পারবেনা পারলে কিছু করিস পুলিশ ডেকে নিয়ে আয়। কথাগুলো বলেন, গতকাল দুপুর ২ টায় পৌর কর্মচারী বাবুকে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর সামনের ফুটপাতের বার্মিজ মেলা স্যান্ডেলের দোকানদার থানাপাড়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রফিক। ঘটনার বিবরণে জানা যায় কুষ্টিয়া পৌরসভার কর্মচারী বাবু রফিকের ফুটপাতের দোকানের সামনে দাঁড়ালে সে সরে যেতে বলে সরতে দেরী হলে রফিক দোকন থেকে বেরিয়ে এসে বাবুকে ঘুষি মারতে থাকে এক পর্যায়ে রফিক বাবুকে মাথায় তুলে এন এস রোডের উপর আছাড় মারে। ঘটনার সময় কয়েকজন পথচারী প্রতিবাদ করলে রফিক তাদের উপরও চড়াও হয় অপমান করে বিশ্রি ভাষায় গালীগালাজ করে। ঘটনা স্থলের ২শ গজের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর থানায় প্রত্যক্ষদর্শিরা সংবাদ দিলেও ত্যাতক্ষণিক ভাবে পুলিশের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে অনেকেই অভিযোগ করে। পরে পৌর চেয়ারম্যান আনোয়ার আলী সংবাদ পেয়ে পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ এসে রফিককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থানায় পৌর চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ঘটনার মিমাংসা হয়। পাবলিক লাইব্রেরীর আশেপাশের অনেক দোকান দারেরা অভিযোগ করে রফিক থানাপাড়ার প্রভাব শালী হওয়ায় কেউ কিছু বলে সাহস পায় না।

গ্রামীণ ফোনের বিক্রয় প্রতিনিধি সন্ত্রাসীদের হাতে গুরুতর আহত

গ্রামীণ ফোনের বিক্রয় প্রতিনিধি সন্ত্রাসীদের হাতে গুরুতর আহত
নিজস্ব প্রতিনিধি :
গ্রামীণ ফোনের এস আর আরমান (২৫) সন্ত্রাসীদের হাতে গুরুত্বর আহত হয়েছে। জানা যায়, গতকাল দুপুর আনুমানিক ২ টা সময় আরমান ডি সি কোর্ট থেকে বের হয়ে গেটে দাঁড়িয়ে ছিল। ঐ সময় দুইজন মোটর সাইকেল আরোহী পেছন থেকে আরমানকে ধাক্কা দেয় এবং তার কাছে থাকা ফ্লেক্সিলোডের এর টাকা সম্বলিত ব্যাগ এবং মোবাইল ফোন চায়। আরমান দিতে অস্বীকার করলে তারা পিস্তল কপালে ধরে ও ব্যাগ টাকা দিতে বলে তারপরও আরমান দিতে অস্বীকার করলে অপরজন চাকু দিয়ে তার গলায় মাথায় বুকে ও হাতে আঘাত করে। বুকে ও হাতে আঘাত করে যার ফলে তার গলার ৩টা রগ ও হাতের আঙ্গুল কেটে যায়।পরে দূবৃত্তরা ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

বুধবার, ১৭ জুন, ২০০৯

৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপনের দাবীতে পাংশায় কিশোর অপহরণ, ১৫ ঘন্টা পর উদ্ধার ॥ গ্রেফতার-২


৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপনের দাবীতে পাংশায় কিশোর অপহরণ, ১৫ ঘন্টা পর উদ্ধার ॥ গ্রেফতার-২
৫লক্ষ টাকা মুক্তিপনের দাবীতে ১২ জুন পাংশায় জেলা বিএপির সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান রাজার ছেলে হাসিবুর রহমান অন্তর (১৩) অপহরণ হওয়ার ১৫ঘন্টা পর কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী হাইওয়ে সড়কের সোনাপুর মোড় নামক এলাকা হতে উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ এ ব্যাপারে আব্দুল মতিন আলী মন্ডল (৩০) ও শালা এরশাদ আলী (৩২)কে গ্রেফতার হয়েছে।
রাজার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উক্ত তারিখ সকালে পাংশা জর্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক আবু হেনার নিকট প্রাইভেট শেষে কুল্টিয়ার গ্রামের বাড়ী ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে পাংশা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় পৌছালে প্রতিবেশি জয়নাল আলী মন্ডলের ছেলে মতিন অন্তরকে দাওয়াত খাওয়ার নাম করে ধরে নিয়ে যায়। উপজেলার দমাপুর ইউপির চরমদাপুর গ্রামে খালু শ্বশুর আবুল কাশেমের ছেলে এরশাদ আলীর জিম্মায় রেখে দুপুরে নামাজ পড়ার ভান করে কুল্টিয়া গ্রামের বাড়ীতে এসে ছেলে অপহরণের ব্যাপারে রাজার পরিবারের পক্ষ থেকে কি ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জেনে পুনরায় মদাপুর গিয়ে শালা এরশাদ সঙ্গে যোগসাজসে পরিচয় গোপন রেখে অন্তরের পিতা রাজার নিকট বিভিন্ন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৫লক্ষ টাকা মুক্তিপনের দাবী করে। এদিকে ছেলে অপহরণের ঘটনায় রাজার পরিবারের পক্ষ থেকে পাংশা থানা ও গান্ধিমারা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পকে অবগত করালে অপহরণকৃত অস্তরকে উদ্ধারের ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের জোর অভিযান শুরু হয়। এক পর্যায়ে মোবাইলের মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী হাইওয়ে সোনাপুর মোড় নামক স্থানে ছেলে অন্তরকে ফেরত নিয়ে যেতে বলে উক্ত তারিখ রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে আসামী মতিন ও এরশাদ অন্তরকে নিয়ে সোনাপুর-বালিয়াকান্দি সড়ক হয়ে পূর্বে নির্ধারিত স্থানে আসার পথে গান্ধিমারা হাইওয়ে পুলিশের গাড়ী দেখতে পেয়ে অন্তরকে ছেড়ে দিয়ে কৌশলে পাটক্ষেতের মধ্যে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গান্ধিমারা ক্যাম্প পুলিশ অন্তরকে পাংশা থানায় নিয়ে আসলে পরে পাংশা থানা পুলিশ অন্তরকে তার পরিবারের নিকট পৌঁছে দেয়। এ ব্যাপারে গত ১৫ জুন অন্তরের পিতা রাজা বাদী হয়ে পাংশা থানায় মতিন ও এরশাদকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে রাজবাড়ী আদালতে প্রেরণ করতে সক্ষম হয়।

কুমারখালীর মেয়রসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ

কুমারখালীর মেয়রসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ
কুষ্টিয়ার খোকসা থানায় কুমারখালীর পৌর মেয়রসহ ৪জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করেছে এক ব্যক্তি।
গত সোমবার উপজেলার হিলালপুর গ্রামের হরেন্দ্র নাথ চন্দ্র দাখিরকৃত অভিযোগে উল্লে¬খ করেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে রাজাকার বাহিনীর সদস্য সফিউল, নজরুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান ও কুমারখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র আনছার প্রামানিকের নেতৃত্বে এ এলাকায় হত্যা, লুন্ঠন ও হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করা হয়। উল্লে¬খিত রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা তার বড় দুই ভাইকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে দায়ের করা অভিযোগে যুদ্ধ অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করে যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে প্রেরনের জন্য দাবী করেন তিনি। তথ্য সংগ্রহের পক্রিয়া শেষ হলে তিনি আদালতে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

গাংনীতে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্র ও গাজা উদ্বার

গাংনীতে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্র ও গাজা উদ্বার
মঙ্গলবার ভোর রাতে গাংনী সাহারবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে র‌্যাব –সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১টি সার্টার গান, ১টি কার্তুজ ও আধা কেজি গাজা এবং ১টি বাইসাইকেল উদ্বার করেছে। র‌্যাব-৬ (গাংনী ) ক্যাম্প জানায়, এদিন ভোর রাতে অস্ত্র কেনা বেচা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা এ উপজেলার সাহারবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অভিযান চালায়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানিরা পালিয়ে যায়। এসময় চোরাচালানিদের ফেলে যাওয়া ১টি সার্টার গান, ১টি কাতুর্জ, আধা কেজি গাজা ও ১টি বাই সাইকেল উদ্বার করে র‌্যাব।

কুমারখালিতে বাবু হত্যা,আতংকিত সাইড ঠিকাদাররা

বাবলু জোয়ারদার, কুমারখালি :
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হাফিজুর রহমান বাবু হত্যাকান্ডের পর কুমারখালিতে সর্বত্র দেখা দিয়েছে মোবাইল আতংক। হত্যাকান্ডের পর দূবৃত্তরা নিহত বাবুর হাতে একটি চিরকুট রেখে যায়। চিরকুটে লেখা ছিল ওবায়দুল, কুষ্টিয়া ও একটি নাম্বার। ঐ মোবাইল নম্বরে হাসিমপুর এলাকার বেশ কয়েকজন আলাপ করলে অপর প্রান্ত হতে এ হত্যাকান্ডের দায়ভার স্বীকার করে মোবাইল রিসিভকারি বলেন, ঠিকাদার চাঁদা না দেয়ায় ম্যানেজারকে হত্যা করেছি। কেনো ঠিকাদারের ওপর রাগের খেসারত ম্যানেজারকে বহন করতে হলো এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ম্যানেজার একজন সাধারন মানুষ, তাকে হত্যা করা ভূল হয়েছে। তবে আতংক সৃষ্টি এবং চাঁদা আদায়ের স্বার্থে দু’একটি খুন করতে হয়। এ বিষয়ে কুমারখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ খালেদ হোসেন বলেন, ঐ মোবাইল নম্বরে আমি ফোন করেছিলাম, তখন বন্ধ ছিলো। তিনি বলেন, এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে থানা পুলিশ তদন্ত করছে। আমি আশাবাদি অল্প সময়ের মধ্যে হত্যাকারিরা গ্রেফতার হবে। এদিকে বাবু হত্যাকান্ডের পর হাসিমপুর, দয়রামপুর ও মির্জাপুর এলাকার বেশ কয়েকজন গা ঢাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাবু হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মতলেবুর রহমান বলেন, মামলার বাদীর আরজি মোতাবেক সন্দেহভাজন একজন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতর নাম বাবুল হোসেন প্রামানিক। তিনি ঐ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হাসিমপুর পদ্মা নদীর গ্রোয়েন নির্মান কজের নৈশ প্রহরী। এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত নৈশ প্রহরী বাবুল হোসেন প্রামানিক একজন হত দরিদ্র সাধারন মানুষ। তার বিরুদ্ধে এলাকায় তেমন কোনো অপকর্মের অপবাদ নেই। হতদরিদ্রতার কারনে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে নৈশপ্রহরীর কাজ নেয়। এদিকে নিহত হাফিজুর রহমান বাবুর চাচা মোঃ আব্দুল মজিদ মোল¬া বাদী হয়ে কুমারখালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলা নম্বর-১৫, তারিখ-১২-০৬-২০০৯। ধারা ৩০২/৩৪ দঃবিঃ। এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বাবু হত্যাকান্ডের পর ব্যপক হতাশার মধ্যে পড়েছে ঐ কাজের সাইড ঠিকাদাররা। সাইড ঠিকাদারদের মোটা অংকের বিল পড়ে আছে এস এস ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ফার্মের নিকট। চাঁদাবাজদের ভয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আদৌ অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারবে কি’না এ ধরনের প্রশ্ন বিদ্যমান। অপরদিকে নদীতে ধীরে ধীরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রুত বাঁধের কাজ সম্পন্ন করতে না পারলে এ পর্যন্ত যে পরিমান কাজ হয়েছে তা সবই জলে ধুয়ে যাবে। উল্লেখ্য ১২ জুন সকালে কুমারখালির জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর চর হতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস এস ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ফার্মের ম্যানেজার হাফিজুর রহমান বাবুর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যায়ে বিগত ছয় মাস ধরে পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে কুমারখালির হাসিমপুর গ্রোয়েন বাঁধ নির্মান কাজ করছে ঐ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শুক্রবার সকালে পথচারিরা ঘটনাস্থলে তার গুলিবিদ্ধ লাশ দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। নিহত হাফিজুর রহমান বাবু পাবনা জেলার বেড়া পৌরসভা এলাকার সানিলা গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।

আষাঢ়ের দ্বিতীয় দিনেও বৃষ্টি বিহীন কুষ্টিয়া

আষাঢ়ের দ্বিতীয় দিনেও বৃষ্টি বিহীন কুষ্টিয়া
আষাঢের দ্বিতীয় দিনেও কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির দেখা মেলেনী। প্রচন্ড তাপদহে মানুষের জীবনযাত্রা বিষিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে কৃষকের ক্ষেতে কাজ করতে কষ্টদায়ক হয়ে পড়ছে। একুট স্বস্তির আশায় মানুষ ব্যাকুল হয়ে তাকিয়ে আছে বৃষ্টি আশায়।

বকেয়া কর ও বিল খেলাফিদের বিরুদ্ধে মাঠে নামছেন কুষ্টিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ

বকেয়া কর ও বিল খেলাফিদের বিরুদ্ধে মাঠে নামছেন কুষ্টিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ
কুষ্টিয়া পৌরসভায় বাস্তবায়নাধীন নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্প (ইউজিআইআইপি)’র শর্ত মোতাবেক আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বকেয়া পৌর কর, পানির বিল, দোকান ভাড়া, ট্রেড লাইসেন্স ফিস সহ সকল প্রকার পৌর বকেয়া ৮০% আদায় দেখাতে না পারলে (২০০৯-২০১০) সালের প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হবে কুষ্টিয়া পৌরসভা। আর এর ফলে মুখ থুবরে পড়বে সকল প্রকার পৌর উন্নয়ন কার্য্যক্রম।
বকেয়া আদায়ের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ মাইকিং, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, হ্যান্ডবিল বিতরন, গ্রাহকদের নিকট ব্যক্তিগত ভাবে স্বাক্ষাত এবং সর্বশেষ অভিযান চালিয়ে বাসভবনে ও প্রতিষ্ঠানে বকেয়া টাকার পরিমান উলে¬্যখ করে পোষ্টার পর্যন্ত লাগিয়েছেন। তাতেও ব্যর্থ হয়ে অবশেষে মঙ্গলবার আদায় কমিটির এক সভায় প্রকল্পের শর্তপুরণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক বুধবার থেকে বকেয়া আদায় অভিযান টিন গ্রাহকদের নিকট হানা দিবেন, প্রয়োজনে মালামাল ক্রোকসহ আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

মিরপুরে ২৭ বস্তা ভারতীয় ফসফেট সারসহ আটক -১

মিরপুরে ২৭ বস্তা ভারতীয় ফসফেট সারসহ আটক -১
কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিরপুরের চিথুলিয়া গ্রাম থেকে ২৭বস্তা ভারতীয় নিষিদ্ধ ফসফেট সারসহ ১জন কে আটক করেছে। পুলিশ জানায়, মিরপুরের চিথুলিয়া গ্রামের হাতকাটা রবিউল নিুমানের ফসফেট সার এনে গ্রামের কৃষকের নিকট বিক্রি করে থাকে। ভারত থেকে আনা ২৭বস্তা ফসফেট সার গ্রামের ভিতর নিয়ে যাওয়ার জন্য সাদেক সেটের নির্মাণাধীন বিল্ডিং-এর উত্তর দিকে ২০ গজ দুরে কাঁচা রাস্তার উপর পালা করে রেখেছিল। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫০মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া ডিবির একটি দল ডিবি পুলিশ উক্ত ফসফেট সার উদ্ধারসহ উত্তর কাটদহ গ্রামের মৃত বানাত আলীর পুত্র আমজাদ হোসেন(৩৫)কে আটক করেছে। হাতকাটা রবিউল পলাতক রয়েছে।

আমলা ও সদরপুর ইউনিয়ন জাসদের প্রতিনিধি সভা

আমলা ও সদরপুর ইউনিয়ন জাসদের প্রতিনিধি সভা
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়ন জাসদের আয়োজনে মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় আমলা ইউপি কমপে¬ক্্র ভবনে এক প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসভায় আমলা ইউপি জাসদের সাধারণ সম্পাদক মাসুম-আল-মাজীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মুনসুর আহমেদ আগা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল¬াহ। অপরদিকে সদরপুর ইউনিয়ন জাসদের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২ টার সময় সদরপুর ইউপি কার্যালয়ে এক প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সদরপুর ইউপি জাসদের সভাপতি ছাবদার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মুনসুর আহমেদ আগা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাসদের সভাপতি শফিউল আলম। প্রতিনিধি সভায় বক্তারা বলেন, আইন-শৃংখলার উন্নতি ও এলাকার উন্নয়নের জন্য মহাজোটের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।

মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০০৯

কুষ্টিয়া ইসলামী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দু চরমপন্থি সন্ত্রাসীকে জবাই করে হত্যা


কুষ্টিয়া ইসলামী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দু চরমপন্থি সন্ত্রাসীকে জবাই করে হত্যা
কুষ্টিয়া, ১৬ জুন ২০০৯
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে গোরস্থানে সোমবার দিবাগত রাতে চরমপন্থি-সন্ত্রাসীরা প্রতিপক্ষ দুই ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করেছে। পরে ভাঙ্গা প্রাচীর টপকে রক্তমাখা লাশ দুটি টেনে এনে ক্যাম্পাসের ভেতরে ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছাত্রী হলের পেছনে ফেলে রেখে গেছে। ওই পথে রক্ত পড়ে আছে। ক্যাম্পাসের কর্মচারীরা মঙ্গলবার সকালে লাশ দেখতে পায়। নিহতরা হলো- শৈলকুপা উপজেলার দিকনগর গ্রামের আব্দুল আওয়াল ও সিংনগর গ্রামের শের আলী। পুলিশ জানায়, এরা গণমুক্তিফৌজের সক্রিয় ক্যাডার।
লাশের পাশে জাসদ গণবাহিনী লাল ও দুটি মোবাইল নাম্বার লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। নাম্বার দুটি বন্ধ পাওয়া গেছে। ধারনা করা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঠিকাদারি কাজ নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ কোন চরমপন্থি গ্র“প এদের হত্যা করতে পারে।

সোমবার, ১৫ জুন, ২০০৯

কুষ্টিয়া ফিরছে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা, আবার এলাকা নিয়ন্ত্রণে ততপর

কুষ্টিয়া ফিরছে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা, আবার এলাকা নিয়ন্ত্রণে পর
মুন্সী তরিকুল ইসলাম :
দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশে পালিয়ে থাকা জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসীরা একে একে আবার ফিরে আসছে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে সন্ত্রাস কবলিত এলাকা কুষ্টিয়ায়। এদের অনেকে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে এসে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ডাকাতিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। সরকারি দলের নাম ভাঙানোর কারণে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বিগত সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে আসা সন্ত্রাসীরা এখন বহাল তবিয়তেই আছে। নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন বড় মাপের সন্ত্রাসী জামিন নিয়ে জেল থেকে বেরিয়ে গেলেও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ব্যাপারে কিছু করেনি। গত মাসের শেষে আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী বখতিয়ার পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও সরকারী দলের নেতা পরিচয়ে দিব্যি কারাগারে চলে গেছে। বখতিয়ার দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে থাকলেও এবারই প্রথম গ্রেপ্তার হয় সে। যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর সে আত্মগোপনে চলে যায়। তবে এ বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানাতে পারেনি।
আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করতে থানাপাড়ার ডন বলে পরিচিত এক শীর্ষ সন্ত্রাসী গত কয়েক বছর আত্মগোপনে থাকার পর মাস দুয়েক এলাকায় ফিরে তার সহযোগিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ২০০৩ সালে এই শীর্ষ সন্ত্রাসীর নিয়ন্ত্রনে বাহিনী গড়ে তুলে কুষ্টিয়া শহরে অবাধে মাদক ব্যবসা হতো। সে সময় তার আনা এক চালানের বিষাক্ত এ্যালকোহল পান করে কুষ্টিয়ার ১৪ জন মানুষ মারা গেলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তখন উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে কুষ্টিয়ার মাদক সম্রাটদের একটি তালিকা তৈরি করে পুলিশ। সে তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে ওই শীর্ষ সন্ত্রাসী। এরপর থেকেই থানাপাড়ার ডন বলে ব্যাপক পরিচিত হয়ে ওঠে সে। সেই মাদক ব্যবসা বখরা তোলার অভিযোগে কুষ্টিয়া সদর থানার তৎকালীন টিএসআই (বর্তমানে খোকসা থানার ওসি) আতিয়ার রহমানকে পাবনা জেলায় ষ্ট্যান্ডরিলিজ করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের জন্য এ্যাডিশনাল এসপির নেতৃত্বে তদন্ত টিমও গঠন করেন তৎকালীন পুলিশ সুপার আব্দুস সালাম। এরপরের বছর থেকে ক্রসফায়ার শুরু হলে জীবন বাচাতে কুষ্টিয়া থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় থানাপাড়ার এই ডন। দীর্ঘদিন পর এখন এলাকায় ফিরেই রাতারাতি সরকারী দলের নেতা হবার চেষ্টায় দৌড়ঝাপ শুরু করেছে সে।
গত ৫ মাসে বড় ধরনের খুন-খারাবি ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটলেও আশংকাজনকহারে বেড়ে গেছে চাঁদাবাজি। সেই সঙ্গে ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনাও ঘটছে। হঠাৎ করে সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য আবার বেড়ে যাওয়ায় জনমনে উদ্বেগ ও আতংক দেখা দিয়েছে।
তবে কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেশের অন্য যে কোন শহরের চেয়ে কিছুটা খারাপ। এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে অপরাধের ঘটনা তুলনামুলক কম ছিল। এ মাসে এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটামুটি। কিছু চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও থানায় মামলা না করার কারণে রহস্য উদঘাটন করা যাচ্ছে না। শীর্ষ সন্ত্রাসী বিদেশ থেকে কে ফেরত আসছে কে যাচ্ছে সেটা বড় কথা নয়। কথা হচ্ছে অপরাধ বা সন্ত্রাস করলে তাকে ধরা পড়তেই হবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তৈরি ক্রিমিনাল ডাটাবেজও কাজে দেবে বলে তিনি জানান।
সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) আলমগীর হোসেন বলেন, আগের মাসগুলোর চেয়ে গত এক মাসে জেলার আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হচ্ছে। মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে। বিদেশ থেকে কোন কোন সন্ত্রাসী ফিরছে, এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে কিনা তা পুলিশ সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে।
অভিযোগ উঠেছে, সন্ত্রাসীরা ফিরে এসে শুধু সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে তা নয়, তারা একে অপরকে ঘায়েল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। চাঁদাবাজির ভাগবাটোয়ারা, জায়গা দখল, জল মহাল-বালু মহাল দখলসহ ঠিকাদারি নিয়ে তারা বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস আগে জামিনে একে একে বেরিয়ে এসেছে দুর্ধর্ষ শীর্ষ সন্ত্রাসী মিলপাড়ার রাশিদুল, আনছু, নাহিদ, পলকসহ অন্তত দু’ডজন। শোনা গেছে রাশিদুল এখন ভাল মানুষ হবার চেষ্টায় আছে। তবে স্থানীয়রা বলছে, বড় ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক স¤্রাট হামিদুল জেল থেকে বেরুনোর পর কি হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলীয় পরিচয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা এখন এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে থানাপাড়া, কুঠিপাড়া, কোর্টপাড়া, মিলপাড়া, আমলাপাড়া, আড়–য়াপাড়া, কালিশংকরপুর, হরিশংকরপুর, মজমপুর, হাউজিংসহ মহল্লার সন্ত্রাসীরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে। এদিকে, শহরের মিউনিসিপ্যালটি বাজার, এন এস রোড, এবং রেজিষ্ট্রি অফিসে থানাপাড়ার মুখচেনা ১০-১২ জন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালাচ্ছে। জেলা পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড (জিকে), রেনউইক, কাষ্টমস, সড়ক ও জনপথ, এলজিইডি, সিভিল সার্জন অফিস, জগতি সুগার মিল, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিটিআইসহ শহর এলাকায় অবস্থিত সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিস আলোচিত শীর্ষ চরমপন্থী-সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ করছে কয়েকটি গ্যাং গ্র“প।

ভেড়ামারায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে টিটু পুলিশের খাঁচায় বন্দী


ভেড়ামারায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে টিটু পুলিশের খাঁচায় বন্দী
স্ত্রী হত্যার অভিযোগে তরিকুল ইসলাম ওরফে টিটুকে অবশেষে ভেড়ামারা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সে ভেড়ামারার চাঞ্চল্যকর গৃহবধু কুটি হত্যা মামলার প্রধান আসামী। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় জনগণ টিটুকে ঘেরাও করে পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ তাকে বাহাদুরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গত ৮ জুন সন্ধ্যায় স্ত্রী কুটি হত্যার পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে সে পলাতক ছিল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বখাটে প্রকৃতির ঘাতক স্বামী টিটু বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের রিজু আলীর পুত্র। সে বেপোয়ারা জীবনযাপন করতো। টাকার জন্য প্রায় সে অমানবিক নির্যাতন করতো তার স্ত্রীর উপর। এমন ভাবেই চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। গত ৮ জুন সন্ধ্যায়ও সে টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দিলে স্ত্রী টাকা দিতে অস্বীকার করে। সন্ধ্যার পর যে কোন সময় স্বামী টিটুসহ ৫/৬ জন মিলে তাকে জবাই করে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর লাশ ফেলে রাখে বাড়ীর পেছনের বাঁশবাগানে। এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ঐ রাতেই নিহতের শ্বাশুড়ী আনোয়ারা খাতুন (৫০) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে ৬ জন কে আসামী করে নিহতের স্বজনরা ভেড়ামারা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ নিয়ে কুটি হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামী গ্রেপ্তার হল।

আমলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ক্লাস রুমের বেহাল দশা ॥ পাঠদান ব্যাহত

আমলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ক্লাস রুমের বেহাল দশা ॥ পাঠদান ব্যাহত
সালিম খাঁন :
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ক্লাস রুম সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ ও বেহাল দশায় পড়ে আছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন আগে এ বিন্ডিং নির্মান করা হলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহন না করার কারনে ক্লাস রুম দুটি মারাত্মক ঝুঁকি বহন করে আছে। যে কোন সময় ছাদ ধ্বসে পড়ে হতাহতের মত ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষতি হতে পারে কোমল মতি শিশু দের। এ কারনে উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছে অভিভাবকরা। ক্লাস রুম দুটি পরিত্যাক্ত থাকায় অতিরিক্ত ছাত্র/ছাত্রীদের চাপ পড়েছে অন্য রুম গুলোর উপর। তারা একই কক্ষে গাদা-গাদি করে ক্লাস করায় কোমল মতি ছাত্র/ছাত্রীরা দারুনভাব ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মকবুল হোসেন বিশ্বাস এ প্রতিবেদক কে জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ কক্ষ দুটি পরিত্যক্ত থাকার বিষয়ে সংশি¬¬ষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও তারা কোন রুপ পদক্ষেপ না নেওয়ায় ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষতি পুষানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের প্রবীণ সহকারী শিক্ষক শহীদুল্লাহ মালিথা জানান, ব্যাপারটি আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে কোন কাজ হচ্ছেনা। বিষয়টির খুব দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা এ ব্যাপারে সংশি¬¬ষ্টদের দৃষ্টি শুভ দৃষ্টি কামনা করছে।

কুষ্টিয়ায় মেলামাইন পাউডারের তৈরী দই বাজারে সয়লাভ

কুষ্টিয়ায় মেলামাইন পাউডারের তৈরী দই বাজারে সয়লাভ
দই প্রতিটি মানুষের প্রিয় খাদ্য, এমন কোন মানুষ নেই যে দই পছন্দ করে না। কিন্তু এই দই তৈরীতে ব্যবহৃত হতো গরুর খাঁটি দুধ। বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসায়ে বেশি পরিমাণে লাভ করার জন্য দই তৈরীতে ব্যবহার করছে বিষাক্ত মেলামাইন পাউডার। যা মানব দেহের জন্য ক্ষতি কারক উপাদান। মেলামাইন পাউডার মিশানো দুধের মূল্য কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দই তৈরীতে ব্যবহার করছে বলে সূত্রে জানা যায়। ২৫ কেজি ওজনের প্রতি বস্তার মূল্য ৭ হাজার টাকা। শুধু মেনামাইন যুক্ত পাউডারই না বরং চক পাউডার, ছেকাারিং ইত্যাদি মিশিয়ে ভেজাল দই তৈরি করে বাজার জাত করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। সরোজমিনে হরিশংকরপুরের মিলন ঘোষ এর বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশানো দ্রব্য দিয়ে নোংরা অস্বাস্থ্য পরিবেশে তৈরী করছে দই। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দইয়ের বাইনা নিয়ে তৈরী করছে শত শত মণ দই। সচেতন মহলের মানুষ এসব ভেজাল ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবী জানিয়েছেন।

রবিবার, ১৪ জুন, ২০০৯

পশ্চিমের জেলাগুলোতে এবার ভুট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি

পশ্চিমের জেলাগুলোতে এবার ভুট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি
গত বছর উৎপাদিত ভুট্টার দাম না পেয়ে চলতি রবি মৌসুমে দেশের পশ্চিমের জেলাগুলোতে চাষিরা ভুট্টা চাষ কমিয়ে দিয়েছে। গত বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষের পর এবার ভুট্টা চাষ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়া জেলায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ হাজার হেক্টর। চাষ হয়েছে ৭ হাজার একশ হেক্টরে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩ হাজার একশ হেক্টর। চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৯শ ৫৫ হেক্টরে। মেহেরপুর জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার হেক্টরের স্থলে ৮শ ৯৩ হেক্টরে, ঝিনাইদহ জেলায় চাষ লক্ষ্যমাত্রা ১৪ হাজার হেক্টরের স্থলে ৩ হাজার ৭শ ৫ হেক্টরে, যশোর জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ৪শ হেক্টরের স্থলে একশ হেক্টরে, মাগুরা জেলায় চাষ লক্ষ্যমাত্রা ২শ হেক্টরের স্থলে ৩৩ হেক্টরে চাষ হয়েছে। নড়াইল একশ হেক্টরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এ জেলায় এবার ভুট্টা চাষ হয়নি। খুলনা জেলায় মাত্র এক হেক্টরে এবং বাগেরহাট জেলায় ২৪ হেক্টরে ভুট্টা চাষ হয়েছে।
গত রবি মৌসুমে (২০০৭-২০০৮) কুষ্টিয়া জেলায় ১৮ হাজার ৪শ ৯৬ হেক্টরে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪৩ হাজার ৪শ হেক্টরে, মেহেরপুর জেলায় ৭ হাজার হেক্টরে, ঝিনাইদহ জেলায় ১৭ হাজার ৫শ৫৫ হেক্টরে, যশোর জেলায় ৪শ৫৫ হেক্টরে, মাগুরা ৩শ৬৪ হেক্টরে এবং নড়াইল জেলায় একশ ২০ হেক্টরে ভুট্টা চাষ হয়েছিল। নতুন ভুট্টা উঠার পর প্রতিমণ (৪০ কেজি) সাড়ে ৫শ টাকা থেকে ৬শ টাকা দরে বিক্রি হয়। অর্থাৎ প্রতি কেজি ১৪-১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। এ সময় চালের দাম অত্যন্ত চড়া থাকায় দরিদ্র মানুষ স্বল্প পরিসরে গমের সাথে ভুট্টা মিশিয়ে আটা তৈরি শুরু করে। ওই আটা দিয়ে তারা রুটি তৈরি করে খেত। কিন্তু চালের এবং আটার দাম কমে গেলে খাদ্য হিসাবে ভুট্টার ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। দামও কমতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ভুট্টার দাম প্রতি কেজি সাড়ে ৮ টাকায় নেমে আসে।
চাষিদের লোকসান হয়। এ কারণে চাষি ভুট্টার বদলে অন্য ফসল চাষে ঝুঁকেছে। অতীতেও এ অঞ্চলে সামান্য পরিমাণ জমিতে চাষিরা ভুট্টার চাষ করতো। বাজারজাতকরণে কোন সমস্যা হয় না। ২০০৭ সালে প্রতিমণ (৪০ কেজি) ভুট্টা ৯শ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হয়। লাভ বেশি হওয়ায় গত বছর চাষিরা ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছিল। দাম পড়ে যাওয়ায় এবার চাষ কমে গেছে। আগে দেশী জাতের ভুট্টার চাষ হতো। এখন হাইব্রিড জাতগুলো চাষ হচ্ছে। চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একবিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে ৬-৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়। মাঠ পর্যায়ের কয়েকজন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জানান, ভুট্টা চাষে সার বেশি লাগে। হেক্টর প্রতি ৫শ ৬৫ কেজি ইউরিয়া, ২শ ৯০ কেজি টিএসপি, ২শ ২০ কেজি এমপি, ২শ ৮০ কেজি জিপসাম ও ২০ কেজি দস্তা সার লাগে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বিশ্বের অনেক দরিদ্র দেশে ভুট্টা প্রধান খাদ্যশস্য হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশেষ করে দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার দেশগুলোতে খাদ্যশস্য হিসেবে ভুট্টার ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। ভুট্টা দিয়ে নানাবিধ খাদ্য তৈরি করা যায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া অঞ্চলের উপ-পরিচালক এস এম সামসুল আনোয়ার জানান, দাম ভাল পাওয়ায় চাষিরা ধানী জমিতে ভুট্টা চাষ শুরু করেছিল। গত বছর ভুট্টা চাষে ক্ষতি হওয়ায় এবার অন্য ফসল চাষ করছে।

শনিবার, ১৩ জুন, ২০০৯

কুষ্টিয়া রেনউইকে ৮৬ টাকা দরে ৪৫ টাকার কয়লা সরবরাহ

কুষ্টিয়া রেনউইকে ৮৬ টাকা দরে ৪৫ টাকার কয়লা সরবরাহ
নিুমানের ৩০ টন কয়লা কিনে বিপাকে পড়েছে কুষ্টিয়া রেনউইক এন্ড যজ্ঞেশ্বর কোং। কার্যাদেশ অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রতি কেজি কয়লার মূল্য বাবদ ৮৬ টাকা বিল তুলে নিলেও সরবরাহ করেছে ৪৫ টাকা দরের নিুমানের কয়লা। প্রতি কেজি কয়লাতেই অতিরিক্ত গুনতে হয়েছে ৪৩ টাকা। আর সব মিলিয়ে সরকারের লোকসান গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। আর এ জালিয়াতির সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা ও সিবিএ নেতা। সারা দেশের চিনি কলের যন্ত্রাংশ মেরামত ও তৈরির একমাত্র বড় এ প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা এমনিতেই নাজুক। তার উপর নিম্নমানের কয়লা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে ওর্য়াকশপের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কোন ভাবেই কয়লা জ্বালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করেছে। যার কারনে যন্ত্রাংশ মেরামত ও তৈরির কাজ ব্যাহত হচ্ছে। নিম্নমানের এ কয়লা দিয়ে কোন ভাবেই কাজ চালানো সম্ভব নয় বলে ওয়ার্কশপে কর্মরত শ্রমিকরা জানিয়েছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও এখন আর কয়লা ফেরত নিতে চাচ্ছেন না। ঠিকাদার প্রভাবশালী সিবিএ নেতার ভাই হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
খোঁজনিয়ে জানা গেছে, গত মাসে কুষ্টিয়া রেনউইক এন্ড যজ্ঞেশ্বর কোং কয়লা কেনার জন্য প্রকাশ্যে দরপত্র আহবান করে। প্রভাব খাটিয়ে কুষ্টিয়া রেনউইকের প্রভাবশালী সিবিএ নেতা তৌহিদুল ইসলাম তার ভাই বাবুকে কাজটি পাইয়ে দেন। কার্যাদেশ অনুযায়ী এ মাসের প্রথম সপ্তাহে কয়েক চালানে কয়লা সরবরাহ করেন বাবু। প্রথম কিস্তিতে আনা কয়লার মান কিছূটা ভাল হলেও পরের চালান গুলোতে নিয়ে আসা কয়লা একেবারেই নিম্নমানের। এ কয়লা দিয়ে কোন কাজই করা সম্ভব নয় বলে জানা গেছে। দরপত্রের সিডিউল অনুযায়ী, ৮৬ টাকা মুল্যের সবচেয়ে ভাল কয়লা সরবরাহের নির্দেশ দেয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ঠিকাদার বাবু খনি থেকে এ কয়লা না কিনে বাইরের কয়েকটি ইটভাটা মালিকের মাধ্যমে ৪৫ টাকা দরের সবচেয়ে নিুমানের কয়লা সরবরাহ করেছে কুষ্টিয়া রেনউইকে। কয়লা সরবরাহের পর যাবতীয় বিলও তুলে নিয়েছে ঠিকাদার বাবু। এদিকে কয়লা নিয়ে বিপাকে পড়েছে রেনউইক। এ কয়লায় ঠিক মত আগুন না ধরায় বড় বড় লোহার পাত ঠিক মত পুড়ানো যাচ্ছে না। ফলে চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে ওয়ার্কশপের কাজ।
বাবুর ভাই তৌহিদুল রেনউইকের প্রভাবশালী সিবিএ নেতা হওয়ার কারনে কেউ মূখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এমনকি এখানকার এমডি হারেজ উদ্দিন পর্যন্ত তার ভয়ে কাবু। কয়লার পরিমান নিয়েও লুকোচুরি খেলছে রেনউইকের কর্মকর্তারা। প্রতিষ্ঠানটির এমডি হারেজ উদ্দিন কয়লার পরিমান সাড়ে ১৬ টন দাবী করলেও স্টোর কিপার জানিয়েছেন কেনা কয়লার পরিমান ৩০ টন। হারেজ উদ্দিন জানান, কয়লা নিয়ে কিছূ সমস্যা হয়েছে। পুরো বিষয় জানতে হলে আমার অফিসে আসতে হবে। ফোনে এতকিছূ বলা যাবে না। সিবিএ নেতা তৌহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কয়লার মানের ব্যাপারে আমি কিছূ বলতে পারব না। এ ব্যাপারে ডিজিএম (প্রশাসন) আবুল রফিকের সাথে কথা বললে উনি আপনাকে ভাল বুঝিয়ে দিতে পারবে। ভাইয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের তালিকাভূক্ত কোন ঠিকাদার নেই। তাই যে কেউ ওপেন টেন্ডারে অংশ নিতে পারে। এক্ষেত্রে আমার ভাই যদি কাজ পেয়ে থাকে তাহলে অপরাধের কিছূ দেখছি না। কোম্পানীর ডিজিএম (প্রশাসন) আবুল রফিকের সাথে কথা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মস্তব্য করতে রাজী হননি।

মা বললো মরতে পারিসনা, অভিমানি তাই করলো

মা বললো মরতে পারিসনা, অভিমানি তাই করলো
মেয়ের ওপর রাগ করে মা বললো তুই বিষ বা গলাই রশি দিয়ে মরতে পারিসনি, অভিমানি মেয়ে তাই করলো। মায়ের বকুনি খেয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সোনিয়া (১৪)। সোনিয়া উপজেলার আড়িয়া ইউপি’র লাল নগর গ্রামের আবু তালেবের কিশোরী মেয়ে। সে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।

বাজেটের প্রভাবে গরম হয়ে উঠেছে কুষ্টিয়ার মোবাইল ফোনের বাজার

বাজেটের প্রভাবে গরম হয়ে উঠেছে কুষ্টিয়ার মোবাইল ফোনের বাজার
গরম হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোনের বাজার। হঠাৎ করেই যেন আগুন ধরে গেছে। আবার অনেকেই বলছেন এটা পরিকল্পিত। বাজেটের আগে বাজারে তনতন্ন করে খুজেও মোবাইল সেটের দেখা মেলেনি। বাজেটের পর বাজারে ছেয়ে গেছে মোবাইল ফোনে। কিন্তু দাম বেশি। বাজেটের প্রভাবে মোবাইল ফোন সেটের দাম বেড়ে গেছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল সেটের ওপর নির্ধারিত তিন শ’ টাকার বদলে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করার পরদিনই গত শুক্রবার থেকে সারাদেশের মত কুষ্টিয়াতেও মোবাইল ফোনের বাজার আগের চেয়ে অনেক চড়া দেখা গেছে।
গতকাল ১০ হাজার টাকা মূল্যের সেট সাড়ে ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা, দুই হাজার টাকার সেট আড়াই হাজার, পাঁচ হাজার টাকার সেট সাড়ে ছয় হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, মোবাইল ফোন সেট আমদানিকারকরা মালামাল মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় দাম বেড়েছে। তবে গত পরশু শুক্রবার থাকায় এয়ারকন্ডিশন, ফ্রিজ, মোটরসাইকেলের দামের ওপর তেমন কোন প্রভাব দেখা যায়নি। এসব পণ্যের দাম যে কোন সময় বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন মার্কেটে দোকানে গতকাল প্রচুর ক্রেতা মোবাইল ফোন সেট কেনার জন্য ভিড় করলেও দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেকে তা না কিনেই ফিরে গেছেন। এ শহরের সবচেয়ে বড় মোবাইল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রশিদ লেদার’র বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলেছে ক্রেতারা। কয়েকজন বলেছেন আগেরদিন যে মোবাইল ৫ হাজার ৩শ’ টাকায় বিক্রি করেছে পরদিন সেই একই প্রতিষ্ঠান রশিদ লেদার ওই মোবাইল সেটের দাম হাকাচ্ছে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। আরো ভয়ংকর কথা বললেন টিটু নামের এক মোবাইল সেট ক্রেতা, তিনি বললেন, প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীর সেটের দাম তো অনেকেই জানে। কিছু কোম্পানির দাম না জানা মোবাইল সেটের দাম হাকাচ্ছে ইচ্ছে মত। চায়না সেটের তো রমরমা বানিজ্য হচ্ছে।
মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সাজিয়া টেলিকমের মালিক জানান, শুক্রবার’র চেয়ে শনিবার মোবাইল সেটের দাম অনেক বেশি। এর মূল কারণ-আমদানিকারকরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়েছে। এজন্য আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অপর এক ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশের শর্তে তিনি বলেন, নোকিয়া এ ৯৬ মোবাইল সেটের দাম বৃহস্পতিবার ছিল ৩২ হাজার টাকা। শুক্রবার আমরা কিনেছি ৩৫ হাজার টাকা করে। এই বেশি টাকাটা ক্রেতার পকেট থেকে যাচ্ছে। ছোট ব্যবসায়ীদের লাভ আগের মতই আছে। তবে ক্রেতা কমে যাওয়ায় ব্যবসায় বড় ধরনের ধাক্কা আসবে বলে জানান তিনি।
কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের এক শিক্ষক বলেন, মনে করেছিলাম দাম বাড়ার আগেই একটি সেট কিনবো। তবে বাজেট ঘোষণার পরদিনই এত বেশি দাম বেড়েছে যে সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের এই বেশি মুনাফা লাভের বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া উচিত। মোবাইল ফোন সেটের অন্যতম আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সুরেকা এন্টার প্রাইজ’র এক কর্মকর্তা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর কথা স্বীকার করে বলেন, ব্যবসায়ীরা তো চাইবে বেশি মুনাফা করতে। সেট প্রতি শতকরা ২৫ ভাগ শুল্ক আরোপের কারনে আগামীতে এই ব্যবসার কি অবস্থা হবে তা কেউ বলতে পারে না। তাই আগে থেকেই কিছুটা ব্যবসা করে নিতে চাই। তিনি জানান, দাম বাড়ানোর কারণে বাজারে ক্রেতা নেই। আগামীতে ১০ হাজার টাকার একটি সেট কিনলে তার জন্য শুল্কসহ খরচ পড়বে তিন হাজার টাকা। যে সেটটি ক্রেতা সাড়ে ১০ হাজার টাকায় কিনতে পারত সেটি কিনতে হবে সাড়ে ১৩ হাজার টাকায়। তিনি বলেন, মোবাইল সেটে অধিক পরিমাণ শুল্ক আরোপ করায় এই ব্যবসায় বড় ধরনের ধস নামবে। ক্রেতারা আর দামি মোবাইল সেট ব্যবহার করবে না। উল্লেখ্য, মোবাইল সেটের জন্য সেট প্রতি ৩০০ টাকা হারে সুনির্দিষ্ট হারে শুল্ক দিকে হতো। কিন্তু ২০০৯-২০১০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেট প্রতি শতকারা ২৫ ভাগ হারে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিকে এয়ারকন্ডিশন, ফ্রিজ, মোটরসাইকেলের দাম আগের মতোই আছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তাদের মতে, এসব পণ্যের ওপর এখনও প্রভাব পড়েনি। তবে বিদেশ থেকে পরবর্তী চালান আনার পর দাম বাড়বে। ওয়াল্টন এর স্টেডিয়াম মার্কেট শাখার ম্যানেজার মো. রাজু জানান, ওয়াল্টন দেশী কোম্পানি। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে মোটরসাইকেল ও ফ্রিজের দাম দুই থেকে সাত হাজার টাকা কমতে পারে।

কুষ্টিয়া শহরের আড়–য়াপাড়া থেকে ১৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক-১

কুষ্টিয়া শহরের আড়–য়াপাড়া থেকে ১৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক-১
কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশ শহরের আড়–য়াপাড়া থেকে ২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ কাজল (২৩) কে আটক করেছে। ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বিকাল ৩টা ১০ মিনিটের সময় আড়–য়াপাড়া বাহাদুর বিশ্বাস ১ম লেনের মহিব উদ্দিন এর পুত্র ফেন্সিডিল বিক্রেতা কাজল (২৩) এর বাড়ীতে ডিবি পুলিশের এসআই শেখ ওবায়দুল তার সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে খাটের নিচে রাখা ১৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে এবং বিক্রেতা কাজলকে আটক করে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

খোকসায় গৃহবধুকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ, শুশুর-শাশুড়ী আত্মগোপনে

শুশুর-শাশুড়ী আত্মগোপনে
খোকসায় গৃহবধুকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ
শুক্রবার গভীর রাতে কুষ্টিয়ার খোকসায় এক গৃহবধুকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর ঘাতক স্বামী, শুশুর-শাশুড়ী আত্মগোপন করেছে।
জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের চুক্তিতে উপজেলার শোমসপুরের আবুল বাসারের মেয়ে মুক্তা খাতুনের সাথে পাইকপাড়া মির্জাপুরের আজিমদ্দিনের ছেলে আব্দুল মমিনের বিয়ে হয়। সময়মত যৌতুকের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় প্রায়ই স্বামী ও তার পরিবারের লোকেরা গৃহবধুর উপর নির্যাতন চালাতো। গত শুক্রবার রাতে তিন টার দিকে পাষন্ড স্বামীর নির্যাতনের এক পর্যায়ে গৃহবধূ মারা যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা এ হত্যা কান্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার জন্য চিৎকার শুরু করে। হত্যার পর গভীর রাতেই ঘাতক স্বামী আব্দুল মমিন পালিয়ে যায়। সকাল হতে না হতেই আত্মগোপন করে শুশুর আজিমদ্দিন, শাশুড়ী মাজেদা বেগম।
এ ঘটনায় স্বামী, শুশুর, শাশুড়ী মাজেদা বেগমকে আসামী করে খোকসা থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।

গাংনীর বাউট গ্রামে সংঘর্ষ, লুটপাট মহিলাসহ আহত-৪

গাংনীর বাউট গ্রামে সংঘর্ষ, লুটপাট মহিলাসহ আহত-৪
মেহেরপুর জেলার গাংনীর বাউট গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ করে দু,প্রতিবেশীর মধ্যে এক সংঘর্ষ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে মহিলাসহ ৪ জন্য আহত হয়ে গাংনী স্বাস্থ্য কমপে¬ক্্ের ভর্তি রয়েেেছ। আহত সূত্রে প্রকাশ গাংনী উপজেলার বাউট গ্রামের আনারুল মেম্বার ও প্রতিবেশী বিল¬াল হোসেনর মাধ্যে ছিল দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব। গত শুক্রবার সন্ধায় আনারুল মেম্বারের একটি কুকুর প্রতিবেশী বিল¬াল হোসেনের ছাগল কে কামড় দেয়। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আনারুল মেম্বর তার লোকজন নিয়ে বিল¬াল ও তার ভাইদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় আহত হয় হাজেরা খাতুন (৫৫), নুর ইসলাম(৩৫), বিল¬াল (৪০) ও জিয়া (২২)। আহতরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্রে ভর্তি রয়েছে।

সাংবাদিক শরিফ মাহমুদ’র মায়ের সুস্থ্যতা কামনা

সাংবাদিক শরিফ মাহমুদ’র মায়ের সুস্থ্যতা কামনা
কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক দেশভূমি পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও দৈনিক জনতার প্রতিনিধি শরিফ মাহমুদ এর মাতা রিজিয়া হককে গতকাল শনিবার মারাত্বক অসুস্থ্য অবস্থায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে সে হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। এমতবস্থায় তার শারীরিক সুস্থ্যতার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে।

আমলায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচে কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা ২-০ গোলে জয়ী

আমলায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচে কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা ২-০ গোলে জয়ী
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা এ এন, এস, কে ক্লাবের আয়োজনে ক্যানারী ওয়ার্ফ (ইংল্যান্ড ভিক্তিক) বনাম কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে আমলা সদরপুর উচ্চ বিদ্যালয় শহীদ মারফত আলী প্রস্তাবিত স্টেডিয়ামে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রীতি ফুটবল খেলায় কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা ২-০ গোলে ক্যানারী ওয়ার্ফ (ইংল্যান্ড ভিক্তিক ঢাকা) কে পরাজিত করে। দ্বিতীয়ার্ধে ৮ মিনিটের মাথায় কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষে প্রথম গোলটি করেন ১০ নম্বর জার্সি পরিহিত সুরত আলী। ২৫ মিনিটের মাথায় কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষে হয়ে খেলা আমলার কৃতি ফুটবলার ৭ নং জার্সি পরিহিত এমরান দ্বিতীয় গোলটি করলে খেলার ব্যবধান আরো বেড়ে যায়।

কুষ্টিয়ায় দূর্নীতিবাজ সংস্কারপন্থি ও এমপির স্ত্রীরা আহবায়ক কমিটিতে, ত্যাগী নেতাদের ক্ষোভ

কুষ্টিয়ায় দূর্নীতিবাজ সংস্কারপন্থি ও এমপির স্ত্রীরা আহবায়ক কমিটিতে, ত্যাগী নেতাদের ক্ষোভ
সাজ্জাদ রানা
আহবায়ক কমিটি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপিতে। দূর্নীতিবাজ, সংস্থারপস্থি , বির্তকিত নেতা ও এমপির স্ত্রীদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে আহবায়ক কমিটি। এ কমিটি প্রত্যাখান করেছেন প্রবীন ও ত্যাগীরা। ত্যাগীদের অর্ন্তভুক্ত করে ফের নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন এসব নেতারা। আর তা না হলে কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করার ইঙ্গিত দিয়েছে বঞ্চিতরা । গতকাল বুধবার জেলার বিভিন্ন স্তরের বিএনপি নেতারা কুষ্টিয়া জেলা আহবায়ক কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের অনুরোধ জানিয়ে দলের চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়া বরাবর চিঠি দিয়েছেন। জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত এমএ শামীম আরজু তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন , আহবায়ক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন ছাড়া বাকি যাদের কমিটিতে রাখা হয়েছে বিএনপির জন্য তাদের কোন অবদান নেই। সংস্থারপন্থি থেকে শুরু করে দূর্নীতিবাজ নেতাদের স্ত্রীদের গুরুত্বপূর্ন এ কমিটির সদস্য করা হয়েছে। অথচ দলের জন্য যারা সব কিছু করেছেন তাদেরকে কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এ কমিটি দিয়ে কিছুই হবে না। শামীম আরজুর মত অসংখ্য নেতা আহবায়ক কমিটি নিয়ে এমন অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ত্যাগী ও সাহসী নেতা সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে কমিটির আহবায়ক করার বিষয়টি নেতারা মেনে নিলেও যুগ্ম-আহবায়কদের মেনে নিতে পারছেন না কেউই। ওয়ান ইলেভেনের পর থেকে দীর্ঘ দেড় বছর পলাতক থাকা ও পরে সংস্থারপন্থি সেজে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি ত্রানের টিন আত্মসাৎ মামলার আসামী রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লাকে কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক করা হয়েছে। যুগ্ম-আহবায়ক করা হয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে কুষ্টিয়ার গডফাদার হিসাবে পরিচিত সাবেক এমপি অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা শহীদ ও তার ভাই দূর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিত ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র তৌহিদুল ইসলামকে। কুষ্টিয়ার আরেক প্রভাবশালী এমপি বিগত কমিটির সাধারন সম্পাদক বির্তকিত সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর স্ত্রী সৈয়দা ফাহিমা রুমীকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। নোয়াখালিতে বাড়ি বিএনপির আরেক দূর্নীতিবাজ নেতা শহর বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান হেলালকেও কমিটিতে পদ দেয়া হয়েছে। এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে আয়বাহক কমিটি ঘোষনার পর পরই এসব নাম দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন জেলার প্রবীন ও ত্যাগী নেতারা। জেলা বিএনপির প্রবীন এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কুষ্টিয়া জেলা আহবায়ক কমিটিতে ৩ জন মহিলাকে রাখা হয়েছে। বছরের ১১ মাস এরা ঢাকাতে থাকেন। এরমধ্যে দুই সাবেক এমপির স্ত্রী রয়েছে। এছাড়া ফরিদা ইয়াসমীন হাজারীবাগ মহিলা দলের সভানেত্রী। তাকে কুষ্টিয়ার কমিটিতে রাখা হয়েছে। কমিটি নিয়ে বৈষম্য করা হয়েছে বলে নেতারা অভিযোগ তুলেছেন। একমাত্র আহবায়ক সোহরাব উদ্দিনের বাড়ি সদর উপজেলায় হলেও বাকিদের বাড়ি ভেড়ামারা ও দৌলতপুরে। বাকি তিনটি উপজেলা মিরপুর, কুমারখালী ও থোকসা থেকে কমিটিতে কাউকে রাখা হয়নি। সাবেক ছাত্র নেতা বিগত কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম-উল-হাসান অপু জানান, ত্যাগী অনেক নেতা ছিল যাদের কমিটিতে রাখা হয়নি। অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে কমিটির কাজ করতেও অসুবিধা হবে বলে তিনি জানান। নতুন এ কমিটি নিয়ে তৃণমূলেও সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ। তারাও পরিবর্তন দাবি করেছে কমিটিতে। জেলা বিএনপির এক নেতা নতুন কমিটিকে কটাক্ষ করে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দুই এমপির স্ত্রীতো কমিটিতে আছেই বাকি দুই সাবেক এমপির স্ত্রীদেরও কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করলে ভালো হতো। গতকাল বুধবার জেলার সাবেক ছাত্রনেতারা কমিটি নতুন করে ঢেলে সাজানোর অনুরোধ জানিয়ে বেগম খালেদা জিয়া বরাবর চিঠি দিয়েছেন।

অর্থ সংকটে বিদ্যালয় মেরামত না হওয়ায় লেখাপড়ায় বিঘিœত

অর্থ সংকটে বিদ্যালয় মেরামত না হওয়ায় লেখাপড়ায় বিঘিœত

পাংশার হাবাসপুর ইউপির চরঝিকরী জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়ের একমাত্র টিনের ঘরটি গত ৬মে কাল বৈশাখী ঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অর্থ সংকটে ঘরটি মেরামত না করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিঘিœত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রজবআলী জানান, বিদ্যালয়ের একমাত্র টিনের ঘরটি ঝড়ে পরে যাওয়ায় চরঝিকরী সরকারী প্রাথমিক পরিত্যাক্ত ঘরে আমাদেরকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। বিদ্যালয়টি ১৯৯৬ সালে স্থাপিত হলেও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও এলাকাবাসীর উদাসীনতার কারনের বিদ্যালয়টি কাজগপত্রের দিক দিয়ে এগুতে পারেনি।

জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে সংবর্ধনা

জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে সংবর্ধনা

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নব-নিযুক্ত আহবায়ক, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন দল পুনর্গঠনে নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ওয়ান ইলেভেন পর বেগম খালেদা জিয়াসহ তার পরিবারের উপর নানাভাবে অত্যাচার চালানো হয়েছে। এরপর বিদেশী শক্তি ও সেনাবাহিনী প্রধানসহ সেনাবাহিনীর একটি ক্ষুদ্র অংশ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপিকে নির্বাচনে পরাজিত করে। দল পুনর্গঠনের মাধ্যমে বিএনপিকে সুসংগঠিত করে এসব ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে দেয়া সংবর্ধনার জবাবে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন দুপুরে ঢাকা থেকে সড়ক পথে লালন শাহ সেতুর পশ্চিম প্রান্তে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার বারো মাইলে এসে পৌঁছলে সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী তাকে সংবর্ধনা দেয়। এসময় নেতা-কর্মীরা তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে এক বিশাল মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে তিনি কুষ্টিয়া শহরে আসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি শহীদুল হক, আবুল খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক এস এম ওমর ফারুক, ,কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ বাবলু, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড খাদেমুল ইসলাম, সাবেক প্রচার সম্পাদক টোটন, শহর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক এ কে বিশ্বাস বাবু, শহর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, মজমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী রবিউল আওয়াল, সদর থানা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শহিদুজ্জামান খোকন, শহর যুবদলের সহ-সভাপতি সাইদ, সদস্য টোকন, ১নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পিন্টু, বারখাদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, বারখাদা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মীর আইয়ুব হোসেন, সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন, আব্দালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী, পাটিকাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা, কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড মুনির, বারখাদা ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক বাহারুল ইসলাম বাহার, মজমপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, সদর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ খান সজল, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আবু সাইদ জাকারিয়া উৎপল, বারখাদা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ছাব্বির হোসেন জিয়া, ছাত্রনেতা বাদশা, সুজন ও ফাহিম প্রমুখ। সংবর্ধনার জবাবে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন আরো বলেন, আজ ভারত মরণ বাঁধ ফারাক্কার মত টিপাইমুখ বাঁধ দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই দেশ বাঁচাতে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন দলের এ খারাপ সময়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে কমিটি গঠন করেছেন তাতে হয়তো অনেক ভুলভ্রান্তি হতে পারে। তবে সব দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুলে জেলা বিএনপির জন্য একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠন করতে হবে। তিনি বলেন এ ক্ষেত্রে কেউ বঞ্চিত হবেন না।

গাংনীতে ২১ পুরিয়া হেরোইনসহ মহিলা গ্রেফতার

গাংনীতে ২১ পুরিয়া হেরোইনসহ মহিলা গ্রেফতার
গাংনীর বামন্দীতে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ২১ পুরিয়া হেরোইনসহ রানী নামের এক মহিলা গ্রেফতার হয়েছে। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দিবা-গত মধ্য রাতে গাংনী উপেজেলার হাটবামন্দী পশ্চিম পাড়ার সাহাজুল ইসলামের স্ত্রী রানী আক্তার ওরফে রনি (৩২) কে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২১ পুরিয়া হেরোইন সহ তাকে তার বাড়ি থেকে আটক করে।

ভেড়ামারায় অপহৃত স্কুল ছাত্রী



ভেড়ামারায় অপহৃত স্কুল ছাত্রী
কোহিনুর দুই মাসেও উদ্ধার হয়নি

ভেড়ামারার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের হিড়িমদিয়া গ্রামের কছিমদ্দিনের কন্যা সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী কোহিনুর কে এলাকার চিহ্নিত অপহরণকারী সন্ত্রাসীরা জোর পূর্বক ভাবে অপহরণ করার দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও উদ্ধার হয়নি। এমতবস্থায় আসামীরা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে বাদীর পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি প্রদান করছে। এ কারনে অপহৃত কোহিনুরের পরিবার চরম নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে। স্কুল ছাত্রী কোহিনুর অপহরণের বিষয়ে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু দমন আদালতে একটি মামলা হয়েছে (মামলা নং- ৮১,তারিখ-২৩.০৪.০৯ইং)। জানা যায়, ভেড়ামারা হিড়িমদিয়া গ্রামে কছিমদ্দিনের কন্যা ভেড়ামারা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী কোহিনুর(১৪) বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে মজিবর রহমান’র পুত্র শাহিন(১৭) তাকে উত্যক্ত সহ বিবাহের প্রস্তাব দিত। উক্ত ঘটনার বিষয়ে কোহিনুর তার পিতাকে বিস্তারিত জানালে কোহিনুরের পিতা কছিমদ্দিন শাহীনকে তার মেয়েকে উত্যক্ত না করার জন্য নিষেধ করলেও শাহীন তা আমলে নেয়নি। গত ১৮ই এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে কোহিনুর ভেড়ামারা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এলাকার লাল মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে আসামী শাহিন সঙ্গীয় আজিবর’র ছেলে রুমন(১৬) ও মুনছের আলীর ছেলে বারী(৩৫)’র সহযোগিতায় কোহিনুরকে জোর পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। ভেড়ামারা থানা পুলিশ অভিযুক্ত অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অব্যাহত পুলিশী অভিযানের মুখে আসামীরা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে বাদী পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ ব্যাপারে বাদী কছিমদ্দিন তার পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিধানসহ অপহৃত কোহিনুরকে উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।