সোমবার, ২২ জুন, ২০০৯

কুষ্টিয়ার খোকসায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে অস্ত্রসহ তিন সন্ত্রাসী আটক

কুষ্টিয়ার খোকসায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে অস্ত্রসহ তিন সন্ত্রাসী আটক
কুষ্টিয়ার খোকসায় আওয়ামী লীগের একপক্ষ অপর পক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে গিয়ে বাড়ীতে অস্ত্র রেখে পুলিশ পাঠিয়ে নিজেরাই গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে শনিবার রাতে খোকসার সোমসপুরে। খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান সন্ত্রাসীদের গডফাদার বলে পরিচিত সদর উদ্দিন খান তার লোকজন দিয়ে যুবলীগ নেতা টুটুলের বাড়িতে আগ্ন্য়োস্ত্র রেখে পুলিশকে খবর দেয়। গত শুক্রবার রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল খোকসার সোমসপুরে টুটুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এরপর শনিবার রাত ৯টায় বাড়ির সামনে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির সময় তুহিন নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশের নিকট ওই বাড়িতে অস্ত্র রেখে আসার কথা স্বীকার করে। পুলিশ তাকে সাথে নিয়ে রাত ১টার দিকে অভিযান চালিয়ে তুহিনের দেখিয়ে দেয়া স্থান টুটুলের বাড়ির খড়ের গাদা থেকে দেশী তৈরি রিভলবর উদ্ধার করে। তুহিনের স্বীকারোক্তী মোতাবেক আমজাদ ও তুহিন নামে অপর একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেফতারকৃত তহিন(১৮) শোমসপুরের জাহাঙ্গিরের ছেলে, আমজাদ(২০) একই গ্রামের আকোর ছেলে ও তুহিন (২৬) পাশ্ববর্তি বি-মির্জাপুরের আব্দুল জলিল শেখের ছেলে। পুলিশের জানায়, স্বিকারোক্তীতে তারা বলে, যুবলীগ নেতা টুটুল ও তার ভাই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মুকুল স্থানীয় এমপি সুলতানা তরুনের সাথে রাজনীতি করার কারণে খোকসার প্রভাবশালী নেতা সদর উদ্দিনের বিরাগভাজন হয়। কারন গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়ায় সদর উদ্দিন খানের সাথে সুলতানা তরুনের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ কারনে রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার জন্য সদর উদ্দিন খানের ভাই রহিম খান অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে ওই বাড়িতে রেখে আসতে বলে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে গতকাল খোকসা থানায় একটি মামলা করেছে, নং ১০।

কোন মন্তব্য নেই: