বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০০৯

কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে গ্রামীন সাংবাদিকতার পথিকৃত কাঙাল হরিনাথের জন্ম উৎসব পালন


কুষ্টিয়া ৩০-০৭-০৯
গ্রামীন সাংবাদিকতার পথিকৃত কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ১৭৬ জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি ট্রাষ্ট ও কুমারখালি প্রেসক্লাব যৌথভাবে কাঙাল উৎসবের আয়োজন করে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুমারখালি পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে থেকে এ উপলক্ষে বর্ণিল শোভযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বাদ্যের তালে তালে কুমারখালি শহর প্রদক্ষিন করে। kushtianews.blogspot.com
দুপুরে পাবলিক লাইব্রেরী হলরুমে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও কাঙালের গানের অনুষ্ঠান। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট কাঙাল গবেষক প্রফেসর আবুল আহসান চৌধুরী। তিনি বলেন, আজ থেকে দেড়শত বছর আগে কাঙাল এই কুমারখালি থেকে পত্রিকা প্রকাশ করে কাঙাল হরিনাথ বৃটিশ ও জমিদারদের প্রজা পীড়নের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন। কোন ভীতি বা মোহ দেখিয়ে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। তিনি শুধু সাহসি সাংবাদিকই ছিলেন না ছিলেন সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্করক। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ধীরেন্দ্রনাথ সরকার।

মৎস্যপক্ষ উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা


অনাড়ম্বরপুর্ণ পরিবেশে কুষ্টিয়ায় পালিত হয়েছে মৎস্যপক্ষ। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর শহরে বর্ণাঢ্য র‌্যালী শেষে আলোচনা সভা করেছে। ‘প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ, দিনবদলের পূর্বাভাস’ এই প্রতিপাদ্যের আলোকে আয়োজিত সেমিনার উপজেলা সেমিনার কক্ষে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মল্লিক সাঈদ মাহবুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয। kushtianews.blogspot.com
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অশোক কুমার দেবনাথ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুরতাজুল হক।
আলোচনা শেষে মৎস্য চাষে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ইছারুল ইসলাম, অজিত কুমার হালদার এবং আব্দুস সেলিম বাবলুকে পুরস্কৃত করা হয়।

বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০০৯

কুষ্টিয়া শহরে প্রকাশ্যে দোকানে ঢুকে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা



কুষ্টিয়া, ২৯ জুলাই ২০০৯ kushtianews.blogspot.com
এবার কুষ্টিয়া শহরের রাজারহাট এলাকায় রাজু কমিউনিকেশন এন্ড সিডি সেন্টারে ঢুকে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গুলি করেছে ওই দোকানের মালিক রাজু আহম্মদকে। স্থানীয়রা জানায়, আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে একটি মোটর সাইকেলে তিনজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী জনবহুল এলাকার ওই দোকানে ঢুকে রাজুর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে মোটর সাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। রাজুকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে বর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেছেন। এছাড়াও গত পাঁচ দিনে কুষ্টিয়ায় দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। একের পর এসব সন্ত্রাসী ঘটনায় কুষ্টিয়ায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড



কুষ্টিয়া, ২৯ জুলাই ২০০৯ Kushtianews.blogspot.com
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় এক আসামীর মৃত্যুদন্ড এবং অপর আসামীর ১৪ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এ রায় দেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীর নাম মিলন এবং দন্ডপ্রাপ্ত অপর ব্যক্তি হলো হানিফ। জানা যায়, ২০০৬ সালের ২৫ জানুয়ারী দৌলতপুর উপজেলার দাড়ের পাড়া গ্রামের আনারুল ইসলাম কালুর সাত বছর বয়সী মেয়ে সীমা খাতুনকে বাড়ীর পাশে আখ ক্ষেতে নিয়ে দন্ডপ্রাপ্ত দুজন ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করে।

মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় চালককে খুন করে মাইক্রোবাস নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা



কুষ্টিয়া, ২৮ জুলাই ২০০৯
মাইক্রোবাস ছিনতাই করতে কুষ্টিয়ায় চালককে জবাই করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। সদর উপজেলার আইলচারা এলাকা থেকে আজ সকালে পুলিশ হাত চোখ ও মুখ বাধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত মাইক্রোবাস চালকের নাম কাজিবুল ইসলাম দৌলত। সে নিজেই ওই মাইক্রোবাসের মালিক। তার বাড়ি মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পুটিমারি গ্রামে। খবর http://kushtianews.blogspot.com/এর।
পুলিশ জানায়, আজ ভোর রাত ৩টার দিকে চালক মাইক্রোবাস নিয়ে যাত্রী আনার উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা রোড ধরে যাচ্ছিলেন। সদর উপজেলার আইলচারা মাঠের মধ্যে পৌঁছলে একদল সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে। পরে সন্ত্রাসীরা কাজিবুলকে জবাই করে হত্যা করে মাইক্রোবাসটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

দুই বছরেই ভুলে গেলাম




হাসান জাহিদ
দুই বছর আগেও মানুষটি আমাদের সাথেই কাজ করতো। সংবাদ তৈরী করতো। অনুষ্ঠানস্থলে প্রায় দিনই দেখা হতো আমাদের সাথে। প্রেসক্লাব নিয়ে আলোচনা হতো। কোন সাংবাদিক বিপদে পড়লে প্রশাসনে চাপ প্রয়োগ করতেন। কুষ্টিয়ার সাংবাদিকদের সাথে তার রয়েছে অসংখ্য মধুর স্মৃতি। আর মৃত্যুর দুই বছর পরই ঠিক বেমালুম ভুলে গেলাম সেই রাজ্জাক ভাইকে। রাজ্জাক ভাই আজ অনেক দুরে। তিনি কোন কিছুই দেখতে পাননা। শুনতেও পাননা। কিন্তু তার যদি এই বোধশক্তিটুকু থাকতো তাহলে হয়তো পৃথিবীর সবচেয়ে দুঃখী মানুষটি হতেন তিনিই। সংবাদ kushtianews.blogspot.com-এর।
দীর্ঘ ৮বছর কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিতর্ক থাকতে পারে সে পদ নিয়ে। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠান তার দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকীতে স্মরণ সভাতো দুরের কথা একটি মিলাদ মাহফিলেরও আয়োজন করতে পারে নি। ওই ক্লাবের নির্বাহী সদস্য হিসেবে এ ব্যর্থতা আমারও। তবে আমরা কয়েকজন চেষ্ঠা করেছিলাম। কেন যেন হলো না। আমরা কত ছোট খাট দিবস পালন করি। আয়োজন করি কত প্রতিবাদ সভা। অথচ এই ক্লাবের সাবেক নির্বাচিত সভাপতির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে পারলাম না। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন না করেই পালন হয়েছে এমন প্রেস বিজ্ঞপ্তি লিখে পত্রিকায় ছাপার উদ্যোগ নেয় ক্লাবের বর্তমান নেতৃত্ব। কয়েকজন সাংবাদিক বাধা দিলে এ থেকে বিরত হন তারা। তবে ধন্যবাদ দিতে হয় সাপ্তাহিক দেশব্রতিকে। তারা পত্রিকা কার্যালয়ে এদিন আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।
কুষ্টিয়ার সাংবাদিকতা জগতে পরিচিত নাম আব্দুর রাজ্জাক। গুণী এ মানুষটি সাংবাদিকতার পিছনে পার করেছেন জীবনের অনেক সময়। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি এ পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। জীবনের শেষ দিনেও তিনি একটি সংবাদ কালেকশনের জন্য বাইরে বের হবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কথা ছিল সকাল ১০টায় দুটি মোটর সাইকেলযোগে সহকর্মি লাকী মিজান, জহুরুল ইসলাম ও আমার সাথে করে দুটি মোটর সাইকেলে মহাশুন্য ভ্রমনের সুযোগ পাওয়া কুমারখালীর রামদিয়া গ্রামে রফিকুলের বাড়িতে যাবেন। আমরা সবাই রফিকুলের উপর ফিচার ষ্টোরি করবো। সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। সকালে বাজার সেরে এসে তিনি হঠাৎ অসুস্থ্য বোধ করেন। এ ব্যাপারে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলেন কুষ্টিয়া জেণারেল হাসপাতালের আরএমওর সাথে। আরএমও তাকে হাসপাতালে যেতে বললে তিনি প্যান্ট পরতে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথেই তার মৃত্যু হয়। এম এ রাজ্জাক দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা ও একুশে টিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ছিলেন। ২০০০ সালে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বচিত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ওই দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার হওয়া সত্বেও দেশ ও জাতির কল্যানের কথা চিন্তা করে এই মহান পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। সৎ সাহসী, ও পরিশ্রমী হিসাবে কুষ্টিয়ার সবার কাছে তিনি পরিচিত। তথ্য নিভূল অনেক রিপোর্ট করে সমাজে প্রসংশিত হয়েছেন। পূরস্কারও পেয়েছেন একাধিকবার। ডায়বেটিকস ও চোখের জটিল রোগে ভূগছিলেন তিনি। নিঃসন্তান আব্দুর রাজ্জাক ২৫ বিডি খানলেন কুঠিপাড়ার বাড়িতে স্ত্রী সেলিনা খাতুনকে নিয়ে বসবাস করতেন। পিতা মরহুম আকবর আলী ছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। ১৯৮০ সালে ইংরেজী দৈনিক দি বাংলাদেশ টাইমস’র মাধ্যমে সাংবাদিকতায় রাজ্জাকের হাতে খড়ি। তৎকালিন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস) রিপোর্টার মিজানুর রহমান তার শিক্ষাগুরু ছিলেন। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য এম এ রাজ্জাক ১৯৮৫ সালে ইউনিসেফ কতৃক বিশেষ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭১ সালে দেশ মাতৃকার টানে যোগদেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। ৮ নং সেক্টরে ৫ নং উইং এর কমান্ডার হিসাবে অসম সাহসিকতার সাথে লড়েছেন।
এম এ রাজ্জাক বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কুষ্টিয়া জেলার সাধারন সম্পাদক, সাংবাদিক সংস্থার জেলার সভাপতি, আর্ন্তজাতিক সংস্থা আই পি এস” এর সদস্য ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সাংবাদিক সংস্থার আমন্ত্রনে ভারত, নেপাল,ও পাকিস্তান সফর করেছেন।

সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০০৯

কয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চুর লাশ নিয়ে কুষ্টিয়া শহরে মিছিল


http://kushtianews.blogspot.com/
কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জামিল হোসেন বাচ্চুর মৃতদেহ নিয়ে কুষ্টিয়া শহরে মিছিল করেছে তার এলাকার মানুষ। গতকাল রোববার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে বচ্চুর লাশ নিয়ে মিছিল করতে করতে এলাকায় নিয়ে যায় জনতা। মিছিলে হত্যাকারিদের ফাসি দাবি করে শ্লোগান দেয়া হয়। বিকেল ৩টায় কয়া ইউনিয়নের বাড়াদী গোরস্থানে জানাজা শেষে বাচ্চুতে ওই গোরস্থানে দাফন করা হয়। এতে স্থানীয় এমপি সুলতানা তরুন, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার এলাকাবাসী অংশ নেন।
কুমারখালী তানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, জানাযা হতে দেরী হওয়ায় এখনো কেউ মামরা দেয়নি। মামলা দায়েরের পর পুলিশ এ হত্যাকান্ডের ক্লু উদ্ধার করতে মাঠে নামবে। ইতোমধ্যেই কয়া ঘাট দখল, দলীয় কোন্দল ও সামনের ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যে কোন একটি প্রাথমিক কারণ হিসেবে ধরছেন তারা। হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে সাহেব মিয়া নামের একজনকে পুলিশ আটক করেছে।
জামিল হোসেনের ভাই জিয়াউল ইসলাম স্বপন জানান, সামনে ইউপি নির্বাচন। জনপ্রিয় বাচ্চুকে না সরাতে পারলে কেউই নির্বাচনে সুবিধা করতে পারবে না। তাই প্রতিপক্ষ আজবাহার, ইব্রাহিম ও ডাবলু আমার ভাইকে খুন করেছে। স্থানীয়রা জানান, কয়া ঘাট নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে জামিল হোসেন বাচ্চুর তার প্রতিপক্ষর সাথে বিরোধ চলে আসছে।
সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন শেখ বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যাওয়ার মত কোন অবস্থা নেই। টিআর কাবিখার কাজ করতেও সন্ত্রাসীদের চাঁদা দেয়া লাগে। মজমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বশিরুল আলম চাঁদকে হত্যার হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসীরা শহরে লিফলেট ছাড়ে কিছুদিন আগে। এখনও তাকে মোবাইলে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে বশিরুল আলম চাঁদ জানান, কুষ্টিয়ার মাটি চেয়ারম্যানদের জন্য নিরাপদ নয়। বিভিন্ন সময় মোবাইলে হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। এ অবস্থায় প্রশাসনকে আরও সতর্ক হওয়া দরকার।
শিলাইদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন তারেক বলেন, মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই। দিনে দুপুরে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে লোকজনকে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আর কেউ চেয়ারম্যান হতে চাইবে না। শংঙ্কা প্রকাশ করে বারখাদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শুধূ চেয়ারম্যানই নয় কোন মানুষই নিরাপদ নয়। তবে জনপ্রতিনিধিরা সব সময় হুমকির উপর থাকে। তারপরও কাজ চালিয়ে যেতে হয়। বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম কুষ্টিয়া জেলার আহবায়ক জগতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন সালাউদ্দিন চেয়ারম্যান বাচ্চু নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চেয়ারম্যানদের খবর কেউ রাখে না। আমরা নানাভাবে নির্যাতিত। একদিকে প্রশাসনের অন্য দিকে সন্ত্রাসীদের হুমকি। নানা ঝামেলা মাথায় নিয়ে কাজ করতে হয়। তিনি আরও বলেন, ফোরামের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমš¿xর নিকট নিরাপত্তা চাইব। অনেকে আমার নিকট ফোন করে তাদের ভীতির কথা জানিয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী বলেন, কুষ্টিয়ায় চেয়ারম্যান হত্যাকান্ডের ঘটনা নতুন কোন বিষয় নয়। প্রভাবশালী বিএনপি নেতা কুতুব উদ্দিন জানান, চরমপন্থিদের তৎপরতা আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় কেউ নিরাপদ নয়।
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের এএসপি (হেডকোয়ার্টার) আলমগীর হোসেন জানান, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ন মোড় গুলোতে তল্লাসী চালানো হচ্ছে।

গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসী মামলার বাদী হয়ে থানা থেকে মুক্তি লাভ!



http://kushtianews.blogspot.com/
দু’টি শক্তিশালী তাজা হাত বোমা, বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, পর্ণ সিডি এবং ৪টি মোবাইলসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া চরমপন্থী সন্ত্রাসী আসামী আনোয়ার হোসেন এখন নিজেই ওই মামলার বাদী। এ্ই ঘটনায় ভেড়ামারায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুলিশের এহেন কর্মকাণ্ডকে ধিক্কার দিচ্ছে এলাকাবাসী। তাদের ধারণা মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে রাতারাতিই ভোল পাল্টে ফেলেছে ভেড়ামারা পুলিশ।
শনিবার সকালে পুলিশ শহরের কাচারীপাড়া এলাকার থেকে দু’টি শক্তিশালী তাজা হাত বোমা, বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, পর্ণ সিডি এবং ৪টি মোবাইলসহ গ্রেপ্তার করে আনোয়ার হোসেন'কে (৩৫)। সে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুমারগাড়া গ্রামের আবুল কালাম’র পুত্র। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী আনোয়ার’র দু’সহযোগী শরিফুল (৩০) ও রায়হান’ কে (২৪) গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার দিন ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরওয়ার হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিশ্বস্ত সূত্রে সংবাদ পেয়ে শহরের কাচারীপাড়া এলাকার তরুণ ব্যবসায়ী সৈকত মজুমদার’র বসতবাড়ীতে অভিযান চালায়। প্রায় দু’ঘণ্টা তল¬াশী অভিযান চালিয়ে পুলিশ দু’টি তাজা হাত বোমা, বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, পর্ণ সিডি, ধারালো চাকুসহ চারটি মোবাইল সেট উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ ঐ বাসা থেকে সন্ত্রাসী আনোয়ার কে (৩৫) গ্রেপ্তার করে। এরপর আনোয়ারের দু’সহযোগিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, তাদের গ্রেপ্তারের পরপরই একটি বিশেষ মহল তাদের ছাড়িয়ে নিতে তদবিরে নামে। দিনভর দরকষাকষির এক পর্যায়ে গভীর রাতে এর পরিসমাপ্তি ঘটে। বোমা মামলার প্রধান আসামী সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন হয়ে যায় ওই মামলার বাদী। এরপর ছেড়ে দেয়া হয় তার দুই সহযোগী শরিফুল ও রায়হান কে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ভেড়ামারায় তোলপাড় শুরু হয়। পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। চরমপন্থী কানেক্টেড আনোয়ার হোসেন থানা হাজতে বসেই পাতানো এজাহারে সে উলে¬খ করেছে, পূর্ব পরিচিত চুমকি নামের এক মেয়ের ডাকে শুক্রবার সন্ধ্যায় সে ওই বাড়ীতে আসে। চক্রটি পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে আটকিয়ে তার পরিবারের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। পরদিন শনিবার ভোররাতে সে ঐ বাসা থেকে কৌশলে পালিয়ে আসে। আনোয়ার চুমকিসহ অজ্ঞাত নামা তিনজনকে আসামী করে ভেড়ামারা থানায় ৪২০/৩৪২/৩২৩/৩২৪/৩৮৫/ ৩৮৬/৩৭৯/৫০৬ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ধারায় যে মামলা দায়ের করেছে তার নং-১৭, তারিখ ঃ ২৫/০৭/০৯ ইং। এ ব্যাপারে গতকাল রবিবার সকালে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরওয়ার হোসেন’র মুখোমুখি হলে তিনি পূর্বের দেয়া তথ্য স্বীকার করে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে আসামী আনোয়ার কেই মামলার বাদী করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ায় ট্রেনে কেটে প্রতিবন্ধী মহিলার মৃত্যু

http://kushtianews.blogspot.com/
কুষ্টিয়ায় ট্রেনে কেটে অজ্ঞাত পরিচয় এক মানসিক প্রতিবন্ধী মহিলা (৪০) এর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে পোড়াদহ থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর মধুমতি ট্রেনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, সাড়ে ৯টার দিকে মধুমতি ট্রেন কোর্ট স্টেশনে পৌছান মাত্র প্রতিবন্ধী মহিলা স্টেশন আইল্যান্ড থেকে হঠাৎ করে লাইনের উপর লাফ দেয়। এতে প্রতিবন্ধী মহিলা রেলে কেটে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

কুষ্টিয়ায় শিশু কন্যা ধর্ষনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

http://kushtianews.blogspot.com/
কুষ্টিয়ায় শিশু কন্যা ধর্ষনের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম টিপু সুলতান। আজ রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এ রায় প্রদান করেন। জানা যায়- ২০০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে টিপু সুলতান দৌলতপুর উপজেলার বৈরাগীর চর গ্রামের রেজাউল করিমের ৪ বছরের শিশুকন্যা রজনীকে মাঠের মধ্যে নিয়ে যেয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। বিষয়টি জানাজানি হলে, রেজাউল করিম কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে টিপু সুলতানকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আদালত টিপু সুলতানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেয়। টিপু সুলতানের বাড়ি উপজেলার বৈরাগীর চর গ্রামে।

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০০৯

কুমারখালীর কয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চু খুন



কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিল হোসেন বাচ্চু (৪৮) অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মটরসাইকেলে যাবার সময় কয়া ইউনিয়নের হাতিসাকো নামক স্থানে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত চেয়ারম্যান বাচ্চু কয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের জেহের আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, চেয়ারম্যান বাচ্চু ঢাকা থেকে বাসযোগে এসে কুমারখালীতে নেমে একটি মোটর সাইকেলে চেপে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। বাচ্চুর সার্বক্ষনিক সহচর অশোক মটর সাইকেল চালাচ্ছিলেন। মাঝে বসে ছিলেন চেয়ারম্যান বাচ্চু। আর পিছনে ছিলেন কুমারখালী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট নিজামউদ্দিন চুন্নু। হাতিসাকো নামক স্থানে পৌছালে সেখানে আগে থেকে অবস্থান নিয়ে থাকা তিনজন বন্দুকধারী সন্ত্রাসী তাদের গতিরোধ করে। তারা জামিল হোসেন বাচ্চুর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। আহত হয় মটর সাইকেল আরোহী বাকী দুজন। এদিকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে একটি মোটর সাইকেলে চেপে পালিয়ে যায়। যাবার সময় পথচারী স্কুলছাত্রী রীমা তাদের মটর সাইকেলের ধাক্কায় আহত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা দলীয় কোন্দল অথবা কয়া ঘাট দখলকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে কোন প্রতিপক্ষ গ্র“প এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।
কুষ্টিয়ার কয়া ইউনিয়ন অধিক সন্ত্রাস কবলিত। ইউনিয়ন পরিষদসহ যে কোন নির্বাচনের সময় এখানকার মানুষ আওয়ামী লীগ-বিএনপি দু’টি দলে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে থাকে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় আওয়ামী সমর্থিত জামিল হোসেন বাচ্চু ও তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত বেলাল সমর্থকদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ ও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতো। পরবর্তিতে বেলাল ক্রসফায়ারে নিহত হয়। তবে তার সমর্থকদের এখনো শক্ত অবস্থান রয়েছে কয়ায়। সেই চিরন্তন বিরোধের জের ধরেও এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
প্রসঙ্গত: ১৯৯৫ সালে এই ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আমির হোসেন আমু কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজের সামনে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়।
চেয়ারম্যান বাচ্চু হত্যাকান্ডের পর কয়া ইউনিয়ন ও কুমারাখালী শহরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বত্র অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০০৯

কুষ্টিয়া অঞ্চলে বৃক্ষরোপনে সাড়া ফেলে দিয়েছে বেসরকারি উদ্যোগ



মরুকরণের হাত থেকে রক্ষা পেতে কুষ্টিয়া অঞ্চলে চরম উৎসাহে শুরু হয়েছে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী। এ কর্মসূচী বাস্তবায়নে বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ সাড়া ফেলে দিয়েছে। আসছে সফলতাও। অথচ অর্থ বরাদ্দ এবং লোকবল নিয়ে বন বিভাগের উদ্যোগ তেমন কোন সফলতার মুখ দেখেনি।
সরকারি কোন বনভূমি ও পর্যাপ্ত বৃক্ষরাজি না থাকায় দক্ষিণ পশ্চিমের আবহাওয়া দিনদিন উষ্ণ হচ্ছে। এ বাস্তবতা উপলব্ধি করে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে বৃক্ষরোপনের পক্ষে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ নিজ তাগিদেই বৃক্ষরোপন ও সংরক্ষন করছে। বেসরকারি উদ্যোগে সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি)| তারা ১৯৮০ সাল থেকে সারা দেশে সবুজ বনায়ন কর্মসূচী শুরু করে। এর আওতায় সারা দেশে এ পর্যন্ত ৬ কোটি চারা বিনামুল্যে বিতরন করেছে। যার তিনভাগের একভাগই বিতরণ হয়েছে কুষ্টিয়া অঞ্চলে। এ বছরেও বিএটিবি যে ৩৫ লাখ চারা বিতরণ শুরু করেছে তার মধ্যে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলায় বিতরন হবে ১১ লাখের উপরে। বিএটিবির হেড অব লীফ জহুরুল হক সরকার জানান, বিএটিবি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান হলেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই বৃক্ষরোপনের মতো কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এ কাজে সফলতাও এসেছে ব্যাপক বলে তিনি দাবি করেন। যার স্বীকৃতিস্বরূপ ৫ বার জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়াও বিআরবি কেবলস কুষ্টিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা ও গোরস্থান মাঠে বৃক্ষরোপন করেছে। তারা ব্যাপক হারে বিনামূল্যে গাছের চারাও বিতরন করেছে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিষ্ঠানটি এবার পরিবেশ রক্ষায় খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিবেশ অধিদপ্তরের এওয়ার্ড পেয়েছে।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে গাছের চারা বিতরন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল। গত ২২ জুলাই কুষ্টিয়া কলকাকলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তিনি এ বছরের চারা বিতরন শুরু করেছেন। টুটুর জানান, এ বছর তিনি ১ লাখ চারা বিতরণ করবেন। অবসরে তিনি ভবনের নকশা তৈরী করে যে টাকা আয় করেন তা দিয়ে প্রতিবছর এ চারা ক্রয় করেন। চারা বিতরনের সময় তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যেশ্যে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা ও এর পরিচর্যা নিয়ে আলোচনা করেন। পরিবেশ কর্মি সাংবাদিক আবু বকর সিদ্দীক বলেন, বেসরকারি উদ্যোক্তারা শুধু চারা বিতরন ও রোপন করেই বসে থাকে না, এর বেড়ে ওঠার ব্যাপারটি নিয়মিত ফলোআপ করে থাকে। যে কারনে সরকারি উদ্যোগের তুলনায় বেসরকারি উদ্যোগ সফল হয়।
ওদিকে বারবার আনুষ্টানিকভাবে গাছ লাগিয়েও পরিচর্ষা না করায় বন বিভাগের কোন উদ্যোগ তেমন সফলতার মুখ দেখেনি। মন্ত্রী এসে প্রতিবছর একই স্থানে বৃক্ষরোপন করে থাকেন। কুষ্টিয়ায় বিএটিবির চারা বিতরন উদ্বোধন করতে এসে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান এমপি বলেন, বন বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। তারা সফল কি না ব্যর্থ সে বিবেচনার সুযোগ এখনো আসেনি। আমি নতুন, সবেমাত্র এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি। কাজও শুরু করেছি। বৃক্ষরোপনে, সবুজ বনায়ন সৃষ্টিতে ব্যর্থতার কিছু নেই। অবশ্যই আমরা সফল হবো। তিনি বলেন, আমাদের অস্তিত্বের জন্য বৃক্ষের বিকল্প নাই। ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে বৃক্ষরোপনে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যেগের সমন্বয় প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

কুষ্টিয়া ঝিনাইদহের মধ্যবর্তি এলাকায় এক বালি ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে চরমপন্থিরা

কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার মধ্যবর্তি এলাকা তৈলটুপি ব্রিজের নিকটে একটি ইটের ভাটায় এক বালি ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত ব্যবসায়ীর নাম আজিবার (৪৫)| সে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের সবাতুল্লার ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজিবার এক সময় চরমপন্থি সংগঠন গণবাহিনীর সাথে যুক্ত ছিল। সম্প্রতি সে বালি ব্যবসা শুরু করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সে ওই ইটভাটায় বালি সরবরাহের ব্যাপারে কথা বলতে যায়। সাড়ে ৬টার দিকে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে কোন চরমপন্থি গ্র“প খবর পেয়ে সেখানে এসে আজিবারের বুকের উপর পরপর দু রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় সে।

৮টি জেলা দল নিয়ে কুষ্টিয়ায় গোল্ডকাপ ফুটবল শুরু

কুষ্টিয়া জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন এর আয়োজনে কুষ্টিয়া ষ্টেডিয়ামে গতকাল শুকবার শুরু হয়েছে শহীদ মীর আবু আব্দুল¬াহ গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এ টূর্ণামেন্টে দক্ষিনাঞ্চলের ৮টি জেলা দল অংশগ্রহণ করছে। গতকাল উদ্বোধনী খেলায় গাইবান্দা জেলা দল খুলনা জেলা দলকে ৫-২ গোলে পরাজিত করেছে। অংশগ্রহণকারি অন্য দলগুলো হলো রাজবাড়ী, বাগেরহাট, পাবনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলা। খেলা হবে নক আউট ভিত্তিক। গতকাল বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান এ টূর্ণামেন্টর উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন এর সভাপতি মকবুল হোসেন লাভলু ও শহীদ মীর আবু আব্দুল¬াহ পরিবারের সদস্য মীর আশিকুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০০৯

কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সভা


সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাজ্জাদ রানা মোবাইলে হুমকি দেবার প্রতিবাদে বুধবার সন্ধায় কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে এক প্রতিবাদ সভা হয়। দুই সাংসদের দুই গুনধর পূত্র শিরোনামে সমকালে সংবাদ প্রকাশিত হবার পর সাজ্জাদ রানাকে দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ফোনে হুমকি প্রদান করে।

ব্যতিক্রমী উদ্যোগ : কুষ্টিয়ায় স্কুলে স্কুলে গাছের চারা বিতরন শুরু

কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গাছের চারা বিতরন করার এক ব্যতিক্রমী কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন। চলতি মৌসুমে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ১লাখ গাছের চারা বিতরন করবেন। দুপুরে কুষ্টিয়া কলকাকলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চারা বিতরনের মাধ্যমে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ছাড়াও এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য মেধাবী তিন শিক্ষার্থীকে অতিথি করা হয়। বৃক্ষরোপন কর্মসূচী সফল করতে অনুষ্ঠানে গাছের অপরিহার্যতা ও এর পরিচর্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও টুটুল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে গত তিনমাস ধরে গাছের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করেন। টুটুল জানান, অফিসিয়াল কাজের শেষে বাড়ীর প্লান তৈরী করে দিয়ে যে টাকা উপার্জন করি তা দিয়েই এ গাছের চারা বিতরনের উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, যদি এসব চারা রোপন করে তার ঠিকমতো পরিচর্যা করা হয় তাহলেই আমার এ উদ্যোগ স্বার্থক হবে।

বুধবার, ২২ জুলাই, ২০০৯

কুষ্টিয়ার গ্রামে পৃথক দু’টি সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ২২


কুষ্টিয়ার কুমারখালি ও সদরে দু’টি গ্রামে পৃথক পৃথক সংঘর্ষে একজন নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছে। সোমবার সন্ধায় কুমারখালি উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামে তুচ্ছ কারনে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, গ্রামের দুই কিশোর মুরাদ ও রাজিব বিকেলে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। রিপন নামের একজন তাদের ঘুড়ি ছিড়ে ফেললে সিরাজ গ্র“প ও বাকাই গ্র“পের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সেসময় লাঠির আঘাতে নাক ও কান দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আবু বক্কর ওরফে বাকাই শেখ(৪৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় আরো ১০ জন। এদের মধ্যে ৫জনকে কুমারখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামে পান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছে মহিলাসহ ১২জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত দু’মহিলাসহ তিন জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন, মজিবর রহমানের স্ত্রী পানুয়ারী (৬০), পরেশ মন্ডলের মেয়ে সাবরীনা খাতুন (২০), ও কোরেশ মন্ডলের পুত্র খাতের আলী (৪৫)। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, খাতের আলীর অবস্থা খুবই আশংকাজনক। ধারালো হাসুয়ার কোপে মারাত্মক জখম খাতের আলী যে কোন সময় মারা যেতে পারে। এ নিয়ে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আহতরা জানান, পূর্বশত্র“তার কারনে গত সোমবার দহকুলা গ্রামের রেজাউল ও বুড়ো মিলে ছানা ও খাতের আলীর বরজ থেকে পান কেটে নিয়ে যায়। তারা পানের গাছও কেটে রেখে যায়। পরদিন গতকাল মঙ্গলবার ভোরে খাতের আলী রেজাউল ও বুড়োকে পান কাটার কথা জিজ্ঞাসা করলে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০০৯

কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে ছাত্রলীগের তান্ডব ভাংচুর, ক্লাস ভর্তি বন্ধ

ভর্তির জন্য অপেক্ষমান তালিকা পছন্দ না হওয়ায় গতকাল সোমবার কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে তান্ডব চালিয়েছে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। কলেজের ক্যান্টিন, শিক্ষকদের বসার কক্ষে ব্যাপক ভ্াংচুর চালানোর পাশাপাশি শিক্ষকদের ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ কর্মিরা। কলেজ মাঠে চলা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের নবীন বরন অনুষ্ঠানেও হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠান পন্ড করে দেয় তারা। এ সময় জাতীয় পতাকা নামিয়ে তা মাঠে ছুড়ে ফেলে ছাত্রলীগ কর্মিরা। জাতীয় পতাকা অবমাননা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে হামলার প্রতিবাদে শহরে মিছিল বের করে ছাত্রফন্টের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনার পর কলেজে এইচএসরি ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষকরা। কলেজে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কলেজের শিক্ষক ও সাধারন ছাত্ররা জানায়, সকালে ভর্তি কমিটির শিক্ষকরা অপেক্ষামান তালিক টানায়। তালিকায় ছাত্রলীগ নেতাদের পছন্দের প্রার্থীদের নাম না থাকায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে তালিকা ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা অধ্যক্ষের কক্ষে মিটিংরত শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
এদিকে কলেজে ছাত্রলীগের তান্ডবের কারনে ভর্তি বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষকরা। দুপুরে ভর্তি কমিটির শিক্ষক, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাদের নিয়ে অধ্যক্ষ মিটিংয়ে বসেন। তবে ৩ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মিটিং চলছিল।
ছাত্রলীগ নেতারা ভর্তি কমিটির শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, কলেজের কতিপয় শিক্ষক তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভর্তি করতেই এ তালিকা টানিয়েছে। এ তালিকায় সাধারন ছাত্র-ছাত্রীরা কোন স্থান পায়নি।
কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে বিজ্ঞান, মানবিক ও বানিজ্য শাখায় ১৫০ টি করে সর্বমোট ৪৫০ টি আসন ছিলো। বোর্ড এবার কলেজ প্রশাসনের অনুরোধে বিজ্ঞান শাখায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থী, মানবিক ও বানিজ্য শাখায় ৩০০ জন করে শিক্ষার্থীকে ভর্তির অনুমতি দেয়। অভিযোগ উঠেছে বর্ধিত এই আসন নিয়ে ভর্তি বানিজ্যে মেতে ওঠেন আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ নেতাসহ কলেজের উপাধ্যক্ষ হাসানুজ্জামান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক লাল মহম্মদ, গণিত বিভাগের শিক্ষক আবুল কালাম সাজ্জাদ সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক। তারা শিক্ষার্থী প্রতি ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ কাদের হুসাইন জানান, অপক্ষেমান তালিকা নিয়ে কিছূ ঝামেলা হয়েছে। তবে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।

সোমবার, ২০ জুলাই, ২০০৯

গুনধর দুই সাংসদ পূত্র




(আজ ২০ জুলাই দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত)
সাজ্জাদ রানা, কুষ্টিয়া
রীতিমতো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন কুষ্টিয়ার দুই সাংসদপুত্র গোলাম মোর্শেদ পিটার ও আরিফ বিশ্বাস। প্রথমজন কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সাংসদ সুলতানা তরুণের, পরের জন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাংসদ আফাজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে। দু'জনই সরকারদলীয় সাংসদ।
ক্ষমতায় আসার মাত্র ৭ মাসের মধ্যেই এই দুই সাংসদপুত্রের বিরুদ্ধে অন্তহীন অভিযোগ। নিয়োগ বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির নামে টাকা আদায়, হাটঘাট-টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, টিআর-কাবিখার চাল ভাগাভাগি, মাদক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী লালন-পালন_ সবই আছে তাদের অভিযোগের প্রোফাইলে। বেপরোয়া এই দুই সাংসদপুত্রের 'কীর্তি'তে এলাকার সাধারণ মানুষ জোট সরকার আমলে কুষ্টিয়ার দুই গডফাদার সাংসদ শহীদুল ইসলাম ও রেজা আহমেদ বাচ্চু মোলল্গার
সাল্ফপ্রতিক অতীতের কর্মকাণ্ডও ভুলতে বসেছেন।
আরিফের কর্মকাণ্ডে বিব্রত তার বাবা আফাজ উদ্দিন আহমেদও। তিনি সমকালকে বলেন, 'আমার কানেও অনেক কথা আসছে। তবে আমি বলে দিয়েছি, অন্যায় যেই করুক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' অবশ্য বিব্রত বাবাকে থোড়াই কেয়ার করে আরিফ।
আরিফকে নিয়ে তার বাবা তবু বিব্রত হচ্ছেন কিন্তু পিটারকে নিয়ে তার মা সুলতানা তরুণের বিন্দুমাত্র দুশ্চিন্তা নেই। কারণ আক্ষরিক অর্থেই মায়ের হয়ে এলাকায় দল থেকে শুরু করে প্রশাসন সবকিছুই পিটার দেখছেন। মনে হয় মা নামেই সাংসদ। সাংসদ মায়ের কান পর্যন্ত সব তথ্য পেঁৗছানোও যায় না। দলের নেতাকর্মীরা কথা বলতে চাইলে বেশিরভাগ সময় তিনি ফোন ধরেন না। ধরলেও কথা না শুনেই সাফ জানিয়ে দেন, পিটারকে বল। এ নিয়ে কুমারখালী ও খোকসা এলাকার দলীয় নেতাকর্মীদেরও ক্ষোভের অন্ত নেই। তবে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না কেউই।
ডিও লেটারপ্রতি আড়াই লাখ : অভিযোগে প্রকাশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সুপারিশ করার নামে অগ্রিম দুই লাখ টাকা করে নিচ্ছেন আরিফ। ইতিমধ্যে দৌলতপুরের ২০টিসহ জেলার ২৫টি কলেজ থেকে তিনি এ টাকা নিয়েছেন। এমপিওভুক্তি করে দেওয়ার কথা বলে নিজেই একসঙ্গে দুটি কলেজের অধ্যক্ষ পদের দায়িত্ব নিয়েছেন। উপজেলার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও ইউনাইটেড কলেজে অধ্যক্ষ পদে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ দুটি কলেজের মধ্যে যেটি আগে এমপিওভুক্ত সেটিতেই তিনি স্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। একজন শিক্ষক জানান, প্রাগপুর ও গোয়ালগ্রাম কলেজ থেকে আড়াই লাখ টাকা করে আরিফ নিয়েছেন। এ ব্যাপারে আরিফ বলেন, 'অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। টাকা দিতে চাচ্ছে। তবে এখনও কোনো টাকা নেইনি।' কুমারখালী ও খোকসায় অন্তত ১৫টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একই কায়দায় টাকা নেওয়া হয়েছে। শালঘর মধুয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ডিমান্ড লেটারে সুপারিশ নিতে হলে দুই লাখ টাকা লাগবে বলে পিটার জানিয়েছেন। কিছু টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছে তাকে। অবশ্য পিটার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রতি টনে ৬ হাজার : ৩ উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের জিম্মি করে টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের পুরো নিয়ন্ত্রণ এখন পিটার ও আরিফের হাতে। খোকসা পিআইও অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, পিটারের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী গত অর্থবছরের কাবিখা ও টিআরের সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এসব কাজের তদারকিরও কোনো সুযোগ ছিল না। তাই কাজের মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তবে ভয়ে কেউ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে সাহস পাননি। এই উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ৩০০ মেট্রিকটন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রথম দফায় আসা বরাদ্দের সবটা দলীয় নেতাদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে নেতারা এ টাকা তুলে নেন। খোকসা উপজেলার মোড়াগাছা, তেবাড়িয়া ও বেতবুনিয়ায় ঈদগাহ সংস্থারের নামে দুই টন করে গম বরাদ্দ দেওয়া হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে। কাজ না করেই পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন এসব নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের একজন জানান, এ গম বিক্রির টাকার অর্ধেক নিয়েছেন পিটার। এছাড়া অন্য প্রকল্প থেকে প্রতি টনে প্রকল্প প্রধানদের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা করে নিয়েছেন তিনি। কুমারখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এহসান ভুয়া প্রকল্পের ব্যাপারে বলেন, 'এমন কথা আমিও শুনেছি।' দৌলতপুর উপজেলায় আরিফ একাই সব কাজের নিয়ন্ত্রণ করেছেন। শতাধিক ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে এখানে। আরিফ তার পছন্দের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের প্রকল্প প্রধান বানিয়ে এসব প্রকল্প থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এছাড়া বরাদ্দ দেওয়ার জন্য আরিফ টনপ্রতি নিয়েছেন সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে। উপজেলার রেফাইতপুর ইউপির লক্ষ্মীকুলা জামে মসজিদের উন্নয়ন করার কথা বলে আরিফ ৪ টন গম বরাদ্দ নেন। আর এ কাজের প্রকল্প প্রধান করা হয় এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা শরিফ উদ্দিনকে। এলাকাবাসীর অগোচরে কাজ না করেই পিআইও অফিসে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল তুলে নেওয়া হয়েছে। মসজিদের মুয়াজ্জিন বলেন, এ বছর তাদের মসজিদে কোনো কাজ হয়নি। গম বরাদ্দের ব্যাপারটিও তারা জানেন না। শরিফ উদ্দিন এ ব্যাপারে বলেন, টাকা খরচ করা হয়নি। কাজের জন্য রাখা হয়েছে। একইভাবে লাউবাড়িয়া জামে মসজিদের কাজের কথা বলে তিন টন গম বরাদ্দ নিয়ে তা বিক্রি করে ভাগ করে নিয়েছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। আরিফ এসব গম ও চাল নিয়ে বিক্রির জন্য রেখেছেন গম ব্যবসায়ী মফিদুলকে। তিনি প্রকল্প প্রধানদের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা প্রতি টন চাল কিনে তা স্থানীয় সরকারি গোডাউনে ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। তবে অভিযোগের ব্যাপারে মফিদুল বলেন, 'আমি ব্যবসায়ী মানুষ, তাই পিআইও অফিসে আসি।' আরিফ টাকা নেওয়ার বিষয় অস্বীকার করলেও বলেন, 'এসব কাজ কখনও একশ' ভাগ ঠিকমতো হয় না।'
টেন্ডার হাট-ঘাট সমাচার : 'আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর একটি ঠিকাদারি কাজও আরিফের অনুগত লোক ছাড়া অন্য কারও কপালে জোটেনি। অনেকেই টেন্ডার জমা দিতে পারেনি। আর কাজ নিতে হলে আরিফকে টাকা দিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় সাধারণ ঠিকাদাররা যাবে কোথায়?' দৌলতপুর উপজেলার প্রবীণ এক ঠিকাদার এভাবেই প্রশ্ন রাখলেন। সমকালের অনুসন্ধানে জানা যায়, এলজিইডির একটি প্রকল্পের আওতায় দৌলতপুর উপজেলায় ৯০টি প্রাইমারি স্কুল সংস্কারের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরিফের ডানহাত হিসেবে পরিচিত শশীধরপুরের বেলাল হোসেন ও তারাগুনিয়া এলাকার ফারুক হোসেন কাজটি বাগিয়ে নিয়েছেন। আরিফ এ কাজ তদারকির দায়িত্ব দিয়েছেন দৌলতখালী প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ উদ্দিনকে। ফিরোজ উদ্দিন প্রত্যেক প্রকল্প থেকে ৪ হাজার টাকা করে আদায় করছেন। এ টাকার দুই হাজার যাচ্ছে আরিফের পকেটে। এক হাজার উপজেলা চেয়ারম্যান হারিজ উদ্দিনের পকেটে। এলাকার কয়েকটি ঘাট ও বড় হাট জোর করে ডেকে নিয়েছেন আরিফ। তারাগুনিয়া হাট, মুথরাপুর হাট, আলল্গারদর্গা বাজার আরিফ তার লোকজনকে দিয়ে পরিচালনা করছেন। এছাড়া উপজেলার বড় দুটি ঘাট বৈরাগীরচর ও ফিলিপনগর আবেদের ঘাট নিজের কব্জায় নিয়ে লোক দিয়ে পরিচালনা করছেন। পিটারের নিজের নামে কোন ঠিকাদারি লাইসেন্স নেই। চাচা শামসুজ্জামান অরুণের লাইসেন্সে কাজ করছেন বেনামে। কুমারখালী পৌর বাস টার্মিনালের ৩ কোটি টাকার কাজ এই কায়দায় নেওয়া। কুমারখালী প্রধান সড়কের কাজটি না পাওয়ায় পিটার ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজনকে দিয়ে কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। পরে ৭ লাখ চাঁদা নিয়ে ওই ঠিকাদারকে কাজ করতে দেওয়া হয়।
মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ : দৌলতপুরে চাচা ফারুক চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন আরিফ। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিমাসে কয়েক লাখ টাকা মাসোহারা দেয় আরিফকে। উপজেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মহিষকুণ্ডি গ্রামের আশরাফুল, বিলকচুয়া গ্রামের করিম, বৈরাগীচর গ্রামের শফি, ধর্মদহ গ্রামের নিজামের সঙ্গে আরিফের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। উপজেলার সন্ত্রাসীদেরও পৃষ্ঠপোষকতা করছেন তিনি। বিএনপি-জামায়াত আমলের ক্যাডারদেরও দলে ভিড়িয়ে তাদের দিয়ে নানা অপকর্ম করানো হচ্ছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের কর্মীরা জানান। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর পান্না বাহিনীর ক্যাডার হবি কবিরাজ ও ওরস এলাকায় ফিরে এসে নানা অপকর্ম শুরু করেছে। আরিফের দাপট দেখিয়ে তারা এসব অপকর্ম করছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। এছাড়া সন্ত্রাসী শখা, তেলেগাংদিয়ার কাজল শাহিন ওরফে ফাজিল, আওয়াল, সাদুল মেম্বার শেহালার টুকু, বোয়ালিয়ার মহির এখন আরিফের কাছের লোক। বিএনপির ক্যাডার জয়রামপুরের স্বপন ট্যারা, দৌলতখালির কাজল এখন আরিফের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। খোকসা এলাকার সন্ত্রাসী একদিলের (ক্রসফায়ারে নিহত) অন্যতম সহযোগী ফরিদ বাহিনীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাংসদপুত্র পিটার। ফরিদের মাধ্যমেই পিটার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন বলে জানিয়েছেন ঠিকাদাররা ও এলাকাবাসী।
এসবের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আরিফ থানায় তার অনুগত ৬ জনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তারাই ঠিক করেন কাকে কোন মামলায় চালান দেওয়া হবে, কাকে ছেড়ে দিতে হবে। তাদের কথায় গত এক মাসে ২ জন ফেনসিডিল ব্যবসায়ীকে ধরেও ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আওয়ামী লীগের প্যাডে থানাকে না জানিয়ে বিভিন্ন শুরুত্বপূর্ণ মামলার সালিশ ডাকা হচ্ছে থানা চত্বরেই। আরিফ এ ব্যাপারে বলেন, 'কিছু বিচার সালিশ থানায় করা হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। পুলিশ সমস্যার সমাধান না করতে পারলে তা সালিশের মাধ্যমে সমাধান করা হয়ে থাকে।'
নিয়োগ বাণিজ্য : কুমারখালী ডিগ্রি কলেজে মাস দুয়েক আগে নয়া অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগ নিয়ে ঘটে যায় নানা তুলকালাম। এমপি সুলতানা তরুণ ও পিটারকে না জানিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করায় সে সময় পিটারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ইউএনও নূরুজ্জামানের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। পরে এ ঘটনায় কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ইউএনও। পরিণতি শাস্তিমূলক বদলি। ৮ লাখ টাকা নিয়ে শফিকুল ইসলাম নামে পিটারের ঘনিষ্ঠ এক শিক্ষককে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ৫ জনের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা করে নিয়েছেন পিটার। আরিফও পিছিয়ে নেই। দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিষয়ে একজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় প্রথম স্থান পেয়েছেন খালিদ হাসান। আরিফের সাংসদ পিতা কোনো রকম টাকা-পয়সা না নিয়ে পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারীকে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু আরিফ বাগড়া বাধিয়েছেন। তাকে টাকা না দিলে কোনো নিয়োগ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে নিজেদের দলেই রয়েছে ক্ষোভ।
৪০ লাখ টাকার ইকোপার্ক : আরিফ তার দৌলতপুরের বাড়ির সামনের জায়গায় ইকোপার্ক তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। শাহিন ফাজিল নামের এক ঠিকাদারকে এ কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। বাড়ির সামনের পুকুরের ঘাটকে টাইলস দিয়ে মোড়ানো হয়েছে। চলছে ফোয়ারা তৈরির কাজ। কাজের ঠিকাদার ফাজিল বলেন, 'আমি ঠিক ঠিকাদার নই। আরিফ ভাই ভালোবেসে আমাকে কাজের দায়িত্ব দিয়েছে।' আরিফ এ ব্যাপারে বলেন, 'ঠিক ইকোপার্ক নয়, বাড়ির সামনের পুকুর ও বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কিছু কাজ করা হচ্ছে।'
এবং সেই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব : সবগুলো অভিযোগ নিয়ে দুই সাংসদপুত্রের সঙ্গে কথা বলা হলে তারা সেই পুরনো 'ষড়যন্ত্র তত্ত্বেরই' আশ্রয় নেন। আরিফ বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে কিছু লোক অপপ্রচারে নেমেছে। তারা ষড়যন্ত্র করছে। যে কাজ আমি করছি না সেটাও বলা হচ্ছে।' কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা তরুণের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন করা হলেও তিনি যথারীতি রিসিভ করেননি। তবে তার ছেলে পিটার বলেন, 'আমার কাছে অনেকেই আসেন নানা কাজের জন্য। আমি যতদূর পারি তাদের সাহায্য করি। আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ কিছু করে থাকলে তার দায়ভার আমার নয়। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

ইবিতে ছাত্রলীগ-শিবির গুলি বিনিময়, ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ




আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার রাতভর ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১০-১২ জন আহত হলেও কারো গুলিবিদ্ধ হবার খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাইকিং করে ক্যাম্পাসে সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে। সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ছাত্ররা জানায়, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাদ্দাম হোসেন ও বঙ্গবন্ধু হলের ভেতরে ছাত্রশিবির ও বাইরে ছাত্রলীগ অবস্থান নিয়ে পাল্টা-পাল্টি গুলিবর্ষণ শুরু করে। প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে থেমে থেমে শতাধিক রাউন্ড গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মিরা ক্যাম্পাসের সবকটি হলে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দিলে শিবির কর্মিরা ভেতরে আটকা পড়ে। সে সময় তারা ভেতর থেকেই গুলি চালাতে থাকে। পরে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহর থেকে বিপুল পরিমান পুলিশ ও র‌্যাব গিয়ে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করে। গতকাল সোমবার ভোর থেকে ক্যাম্পাসের সবক’টি গেট বন্ধ করে দিয়ে পুলিশ হলে হলে তল্লাসী চালিয়েছে। রাতভর গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটলেও তল্লাসীকালে একটি এলজি, ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড ছাড়া তেমন কিছু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশও জানায়, রাতে হলগুলো থেকে ছাত্রশিবির গুলিবর্ষণ করে। ছাত্রলীগের অবস্থান ছিল হলের বাইরে। এ ঘটনায় ৭ শিবির কর্মিকে আটক করেছে পুলিশ।
সাধারন ছাত্ররা জানায়, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবক’টি হল দখলে রেখে নিজেদের কর্মিদের মধ্যে সিটবণ্টন করে আসছে ছাত্রশিবির। আর এ দখলদারিত্ব বজায় রাখতেই তারা সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে থাকে এবং প্রায়ই মহড়া দেয়। অন্যদিকে, ছাত্রলীগ হলগুলো দখলের চেষ্টা চালাতে গেলেই তাদের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে।

কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে তালা

রোববার সকালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর পরই ছাত্রলীগের কয়েকশ কর্মি ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে সকল কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে বিজ্ঞান, মানবিক ও বানিজ্য শাখায় ১৫০ টি করে সর্বমোট ৪৫০ টি আসন ছিলো। বোর্ড এবার কলেজ প্রশাসনের অনুরোধে কলেজে বিজ্ঞান শাখায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থী, মানবিক ও বানিজ্য শাখায় ৩০০ জন করে শিক্ষার্থীকে ভর্তির অনুমতি দেয়। এই আসন নিয়ে ভর্তি বানিজ্যে মেতে ওঠে ছাত্রলীহ সহ কলেজের উপাধ্যক্ষ হাসানুজ্জামান, পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক লাল মহম্মদ, গণিত বিভাগের শিক্ষক আবুল কালাম সাজ্জাদ সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক। রবিবার পর্যন্ত বিজ্ঞান শাখায় ৫১ টি, মানবিক শাখায় ৫২ টি ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ৪১ টি আসন শূণ্য ছিলো। এই আসনগুলোতে ছাত্রলীগ নিজেদের পছন্দের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানোর জন্য সকাল থেকেই তৎপরতা শুরু করে। ছাত্রলীগ কর্মীরা জানায়, দলীয় সিটের দাবীতেই তারা কলেজের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। ভর্তি বানিজ্যের সাথে তার কোন শিক্ষক জড়িত কিনা কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর কাদের হুসাইন চৌধুরী এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান।

আজ কাঙ্গাল হরিণাথের জন্ম বার্ষিকী




আজ ২০ জুলাই। গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃত কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ১৭৬ তম জন্ম জয়ন্তী। ১৮৩৩ সালের আজকের এই দিনে তিনি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি পৌর এলাকার কুন্ডুপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। দেড় শতাব্দী আগে কাঙ্গাল কুমারখালী শহর থেকে হাতে লিখে পত্রিকা প্রকাশ করতেন। পরে প্রেসেও তার পত্রিকা ছাপা হয়েছে। গ্রামবার্তা প্রকাশিকা নামে তার ওই পত্রিকায় হরিণাথ বৃটিশ ও জমিদারদের প্রজাপীড়নের বিরুদ্ধে সাহসী কলম ধরতেন। তিনি কখনো আপষ করতেন না। তার সে আদর্শ আজো সাহসী সাংবাদিকদের উৎসাহ দেয়। কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ১৭৬ তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি ট্রাস্ট ও কুমারখালি প্রেস ক্লাব যৌথভাবে আগামি ২২ জুলাই এর পরিবর্তে ৩০ জুলাই সকাল ১০ টায় কুমারখালি পাবলিক লাইব্রেরি হলে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে।

আজ পবিত্র শবেমিরাজ

আজ দিবাগত রাতে পবিত্র শবেমিরাজ। মিরাজ অর্থ সিঁড়ি বা সোপান। মিরাজ শব্দটি আরবি উরুজ শব্দ থেকে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ ঊর্ধ্বে আরোহণ করা। হযরত মুহম্মদ (সাঃ)-এর বোরাকযোগে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা ভ্রমণ এবং ‘রফরফ’ যোগে ঊর্ধ্বলোকে পরিভ্রমণের মাধ্যমে সৃষ্টির অলৌকিক নিদের্শনাবলী অবলোকন আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য অর্জনকে মিরাজ বলা হয়। বেশির ভাগ আলেমের মতে, একাদশ বা দ্বাদশ নববী সালের ২৬ রজব দিবাগত রাতে মিরাজের ঘটনা ঘটে। তাফসিরবিদরা মহানবী (সাঃ)-এর মিরাজ গমনকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। কা’বা শরীফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত ভ্রমণকে ইসরা এবং ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণকে মিরাজ বলেছেন। মুসলিম জীবনের তিনটি পবিত্র ও তাৎপর্যপূর্ণ রজনীর মধ্যে লায়লাতুল মিরাজ অন্যতম। মিরাজের মাধ্যমেই নবীজী (সা.) তার উম্মতদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে এসেছিলেন।

কুমারখালিতে শুরু হয়েছে ফলদ বৃক্ষমেলা




বাবলু জোয়ারদার : রোববার হতে কুমারখালিতে শুরু হয়েছে পাঁচ দিন ব্যাপি ফলদ বৃক্ষ মেলা । উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে মেলা উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ। কুমারখালি উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি প্রশিক্ষন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, কুমারখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মানিকহার রহমান, কুমারখালি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জমসের আলী, কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মহম্মদ আলি প্রমুখ।

ভেড়ামারা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক’র কূলখানি অনুষ্ঠিত




জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল : রোববার ভেড়ামারার সদ্য প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক’র কূলখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাহাদুরপুর ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়াস্থ ইউপি কার্যালয় সংলগ্ন বিজেএম কলেজ মাঠে এই কূলখানি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জাসদ সভাপতি জননেতা হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক এমপি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আহসান হাবীব লিংকন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বাহিরচর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান (ভাইস চেয়ারম্যান) শাজাহান আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুন নেছা রুনু, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরুল ইসলাম, ভেড়ামারা থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরওয়ার হোসেন কূলখানি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

কুমারখালিতে ফেনসিডিল উদ্ধার

কুমারখালি প্রতিনিধি : রোববার কুমারখালিতে ট্রেনে অভিযান চালিয়ে কুমারখালি থানা পুলিশ ৯০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে । গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খুলনা-দৌলতদিয়া গামি ট্রেনে থানার এসআই তরিদুল ও জাফরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে। ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহি বগিতে চাউলের কুড়া ভর্তি বস্তায় ফেনসিডিল পাওয়া যায়।

শবে মিরাজ-এর শিক্ষা ও গুরুত্ব -মোঃ ইব্রাহিম খলিল




শব অর্থ রাত্রি। মিরাজ এর অর্থ সিঁড়ি, উর্ধগমন, আরোহন। ইসলামী পরিভাষায় আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ)-এর পবিত্র মক্কা শরীফ হতে বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেম) পর্যন্ত এবং সেখান থেকে সপ্ত আকাশ ভ্রমন করে মহান আল্লাহ পাকের সাথে একান্ত সান্নিধ্য (বা বৈঠক) লাভ করার ঘটনাকে মিরাজ বলা হয়। নবুয়তের ১০ বছর ও ৫০ বছর বয়সে আরবী রজব মাসের ২৭ তারিখে রাতে পবিত্র মিরাজ শরীফ নামক এই মহা ঘটনা সংঘটিত হয়। ২৪ জন পুরুষ এবং ৪ জন মহিলা সাহাবী উক্ত মিরাজের ঘটনা বর্ণনা করেছেন এবং সাক্ষী প্রদান করেছেন। পবিত্র কুরআনে বর্ণনা করা হয়েছে-পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তাঁর
বান্দাকে (বন্ধুকে) রজনীযোগে ভ্রমন করিয়েছিলেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাঁকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য (সূরা বানী ইসরাঈল আয়াত-১)। বুখারী, মুসলিম ও মিশকাত শরিফসহ অন্যান্য হাদিস গ্রন্থে মিরাজ এর বর্ণনা রয়েছে। সংক্ষেপে ঘটনাটি এ রকম-রাসুল (সাঃ) এর চাচা আবুতালেব এর গিরি সংকটের সময় উম্মে হানি (রাঃ) এর ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রজনী দ্বিপ্রহরে জিবরাঈল (আঃ) সহ তিন জন ফেরেশতা তাঁর কাছে আগমন করেন এবং তাঁকে কাবাঘরে নিয়ে যান। এর পর তাঁরা আলোর গতির চেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন বোরাক নামক যানবাহনে যাত্রা শুরু করেন। প্রথমে তাঁরা বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদে উপস্থিত হন। সেখানে তাঁরা দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। তাঁর পর সেখান থেকে তাঁরা প্রথম আকাশে হযরত আদম (আঃ) এভাবে আরো উপরের আকাশে হযরত ঈসা (আঃ), হযরত ইদ্রিস (আঃ) হযরত মূসা (আঃ) হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর সাথে তাদের সাক্ষাত লাভ হয়। এরপর হযরত জিবরাইল (আঃ) হুজুর (সাঃ) কে ত্যাগ করে চলে যান। রফরফ নামক আর একটি যানবাহনে চড়ে আমাদের বিশ্বনবী মহান আল্লাহ্ তায়ালার একান্ত সান্নিধ্যে পৌছে যান। অনেক বিষয়ে মত বিনিময় হয়। আমাদের বিশ্বনবীকে এই শবেমিরাজ রাত্রিতে অনেক কিছু ঘুরে দেখানো হয়। বিশেষ করে জান্নাত ও জাহান্নাম পরিদর্শন করেন। জাগ্রত অবস্থায় শবেমিরাজ ঘটেছিল। কাফের, মোশরেক, বেঈমানরা স্বশরীরে মেরাজ হয়েছিল এটা বিশ্বাস করতে চায় না। হযরত আবুবকর(রাঃ) যখন শুনলেন যে, আমাদের নবী আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করেছেন তখন তিনি এক বাক্যে এটা বিশ্বাস করলেন। এজন্য তাঁকে ছিদ্দিক উপাধি দেয়া হয়। মেরাজে যাবার কারণে আমাদেরকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও এক মাস রোজা রাখা ফরয করা হয়। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা উপহার মুমিন বান্দাদের জন্য। মিরাজ থেকে ফিরে আমাদের নবী ঘোষনা করলেন যে, যে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করবে তাঁর সাথে আল্লাহর দিদার হবে। মিরাজের ঘটনা থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই তা হচ্ছে আল্লাহ দিদার লাভ করতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে প্রত্যেক দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ অবশ্যই আদায় করতে হবে। ইসলাম ধর্ম যে, একটি বিজ্ঞান সম্মত ধর্ম তা প্রমাণিত হয়েছে। যেমন আজকে বিজ্ঞানীরা আকাশে যেয়ে রকেট পাঠাতে পেরেছে তা এই বোরাক ও রফরফ যানবাহন থেকে তারা জ্ঞান অর্জন করে আবিষ্কার করেছেন। শবেমিরাজ যে স্বশরীরে সংঘটিত হয়েছিল আজ তা একে বারে সত্য প্রমানিত হয়েছে। মহানবী হযরত (সাঃ) বেহেশত ও দোজখ পরিদর্শন করে দেখতে পেলেন যে, পূণ্য কাজ করলে পুরুষ্কার পাওয়া যাবে এবং পাপ কাজ করলে শাস্তি পেতে হবে। বাস্তব অবস্থা চোখে দেখে তিনি উম্মতদেরকে হেদায়েতের পথ দেখিয়েছেন। ২৭শে রজব একটি রোজা রাখলে অনেক সওয়াব পাওয়া যাবে। তাই আসুন আমরা পবিত্র শবেমিরাজ থেকে শিক্ষা গ্রহন করে সহজ সরল পথে চলি। আমিন॥

লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ।
E-mail - gazzalisus@gmail.com

রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০০৯

পাঠশালার কৃতি শিক্ষার্থীদের চেক প্রদান



কুষ্টিয়ার অপ্রতিদ্বন্দ্বী শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠশালা কোচিং সেন্টারে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে চেক বিতরন অনুষ্ঠান গতকাল কোচিং-এর নিজ অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী রেজিষ্টার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতের দার্জিলিংয়ে নর্থ বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি গবেষনারত বিশিষ্ট সাংবাদিক আমানুর আমান, সভাপতিত্ব করেন “পাঠশালা”র পরিচালক আলী আহসান মুজাহিদ। অনুষ্ঠানে পাঠশালা কোচিং-এ অধ্যায়নরত কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন স্কুলে বিভিন্ন ক্লাসের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে চেক প্রদান করা হয়।

দৌলতপুর থেকে পুলিশ ১২০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মাদাপুর গ্রামের শফিউল আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২৪টি কার্টুনে রাখা ১২০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। শনিবার বেলা পৌনে একটায় পুলিশ এ অভিযান চালায়। এ অভিযানে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

ভেড়ামারায় ওপেন হাউজ ডে : মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত থানা গড়ে তোলার প্রতিজ্ঞা



জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল : থানার দুয়ার খোলা আজিকো আসিতে নাহি মানা এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার উদ্দেগ্যে শনিবার থানা চত্বরে ওপেন হাউজডে উপলক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভেড়ামারা থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরওয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার সাহাবুদ্দিন খাঁন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ,আর,এন আলিফ, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম, ভেড়ামারা সার্কেল আলমঙ্গীর হোসেন, বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন তরফদার, বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন, সহ-সভাপতি এমদাদুল ইসলাম আতা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বাহিরচর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক, সহ-সভাপতি আবুল হোসেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক মেহেরুল আলম, ভেড়ামারা উপজেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি দৈনিক আজকের আলোর ষ্টাফ রিপোর্টার জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল। প্রতি মাসের ১৮ তারিখে ওপেন হাউজডে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষনা দেন। প্রধান অতিথি কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার সাহাবুদ্দিন খান বলেন, ভেড়ামারাকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত থানা গড়ে তোলা হবে। সকলকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করতে হলে সর্বস্তরের জনগনকে এগিয়ে আসতে হবে।

মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার মৃত্যুবার্ষিকীতে কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে স্মরণ সভা


যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা মিন্টুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণ সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন দৈনিক আজকের সূত্রপাত পত্রিকার সম্পাদক ও কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য আক্তার হোসেন ফিরোজ, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি দৈনিক আজকের আলো পত্রিকার সম্পাদক গাজী মাহাবুবুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি ও প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মজিবুল শেখ, দিনের খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য সোহেল রানা, দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নুরুল কাদের, কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আল আরেফিন বাবু। সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তরুন হাসান, হোসাইন ইমরান, নজরুল ইসলাম, শরিফ আহাম্মেদ, রাজু আহাম্মেদ, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের ফটো সাংবাদিক জালাল উদ্দিন খোকন, পাঠশালার পরিচালক আলী আহসান মুজাহিদ প্রমুখ। প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন যে, ২০০২ সালের ১৮ জুলাই দৈনিক আজকের সূত্রপাত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরলোকগমন করেন। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন স্বক্রিয় যোদ্ধা ছিলেন। যুদ্ধাকালীন সময়ে পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে নড়াইল সাবডিভিশনে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি আহত হন।

শনিবার, ১৮ জুলাই, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত




কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় 3 জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো দুজন। কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার নওদা খাদিমপুরে শনিবার ভোরে দুটি ট্রাকের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা গেছে দুজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়কের নওদা খাদিমপুরে দাড়িয়ে থাকা একটি বালিভর্তি ট্রাককে (গাজীপুর ট-০২-০০৬৬) মাছের পোনা বাহী দ্রুতগামী আরেকটি ট্রাক (বরিশাল অ-১১-০০১৯) নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এসময় ঘটনাস্থলেই মারা যায়, ট্রাকের হেলপার শহীদুল(২৫) ও জামালপুরের টেষ্টি ফিস কোম্পানীর ম্যানেজার হুজুর আলী(৫০)| এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ট্রাকচালক শহীদকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতদের বাড়ি জামালপুর জেলায়। জামালপুর থেকে পোনা নিয়ে কুষ্টিয়ার অভিমুখে যাচ্ছিল এরা।
এদিকে রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একই সড়কের পুরাতন আলফার মোড়ে একটি নন কাভার্ড ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আব্দুল গফুর (৩৫) নামের ওই শ্রমিক ছিটকে পড়ে গেলে অপর একটি ট্রলি তার শরীরের উপর দিয়ে চলে যায়। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেবার পথেই তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় আহত হয় ড্রাইভার আফজাল হোসেন (৩৮)| নিহত আব্দুল গফুরের বাড়ী ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রামে।

কুষ্টিয়ায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সম্বর্ধনা দেবে প্রথম আলো, নিবন্ধন চলছে

প্রথম আলো প্রতি বছর এসএসসির কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা দিয়ে থাকে। এ বছরও সারা দেশে সব জেলায় এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা দেয়া হচ্ছে। কুষ্টিয়াতে জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের সম্বর্ধনা দেয়া হবে আগামী ২১ জুলাই । ওই দিন সকাল ১০টায় কুষ্টিয়ার লালন অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান শুরু হবে।
সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে হলে আগে থেকে নাম রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। কুষ্টিয়া জেলায় নাম নিবন্ধন চলছে প্রথম আলো কুষ্টিয়া আঞ্চলিক অফিসে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৮ টা পর্যন্ত নাম নিবন্ধন করা যাবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের টেবুলেশন সীট নিয়ে উপস্থিত হয়ে নাম নিবন্ধন করতে বলা হচ্ছে। এবার মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরও সম্বর্ধনা দেয়া হবে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্যে প্রথম আলো আঞ্চলিক অফিস, ৯২, এন এস রোড, কুষ্টিয়া এই ঠিকানায় অথবা ০১৭১৭৪৪৫৫০৪ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।

কুমারখালির গ্রামে মৎস্য হ্যাচারীতে বিষ প্রয়োগ ॥ অল্পের জন্য রক্ষা




বাবলু জোয়ারদার :রাতের অন্ধকারে কুমারখালির এক মৎস্য হাচারীর ট্যাংকিতে গোপনে কৃষি জমিতে ব্যবহৃত ফুরাডান মেশানো হয়। উপজেলার সদকী ইউনিয়নের দক্ষিণ রাম কৃষ্ণপুরপুর গ্রামের মা মৎস্য হ্যাচারিতে এ ঘটনা ঘটে। হ্যাচারি মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন মামুদ জানান, সকালে হ্যাচারি কর্মচারিরা ট্যাংকি পরিস্কার করতে গেলে এ বিষয় ধরা পড়ে। ফুরাডান যখন মিশানো হয় সে সময় রেনু পোনা ছিলো লক্ষাধীক টাকার। কিন্তু পলিথিনে করে ফুরাডান দেয়ায় তা না গলার কারনে রেনু মরেনি। অন্যদিকে হ্যাচারি কর্মচারিরা এই ট্যাংকির পানি খাওয়াসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করে। এব্যাপারে মামুদ বাদী হয়ে কুমারখালি থানায় সাধারন ডায়েরি দায়ের করেছে।

সাহিত্য একাডেমি, কুষ্টিয়ার নতুন কমিটি ঘোষণা

সাহিত্য একাডেমি, কুষ্টিয়া গত বুধবার নতুন মেয়াদের কমিটি ষোঘণা করেছে। কুষ্টিয়া গণউন্নয়ন গ্রন্থাগার মিলানায়তনে সাহিত্য একাডেমির অন্যতম উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ জমির উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এই কমিটির ঘোষণা সম্পন্ন হয়। সাহিত্য একাডেমির ২০০৯-১০ ও ২০১০-১১ মেয়াদের জন্য কবি মতিউল আহসানকে পুনরায় সভাপতি এবং কবি বিলু কবিরকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

ইবি শিক্ষক সমিতি সভাপতির দরজা ভেঙ্গে ফেলেছে উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র

শুক্রবার সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.এ.কে.এম মতিনুর রহমানের বিভাগীয় ব্যাক্তিগত কক্ষের দরোজায় কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র আঘাত করে। এত দরোজার একটা অংশ ভেঙ্গে যায় এবং পর্দা ছিঁড়ে যায়। এ ঘটনার পর উপার্চায অধ্যাপক ড. এম আলাউদ্দিন-এর তাৎক্ষনিক নির্দেশে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহজাহান আলী এবং প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাদের নির্দেশে তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ দরজা মেরামত করা হয়। এঘটনায় উপার্চায অধ্যাপক ড. এম.আলাউদ্দিন দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ট্রেজারার মহোদয়কে আহ্বায়ক করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০০৯

খোকসায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী উদ্বোধন করলেন হাবিবুল বাশার



বৃহষ্পতিবার কুষ্টিয়ার খোকসা ও রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সোসাইটি অফ গ্রীণ বাংলা কোয়ালিশন এর উদ্যোগে ফলজ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষের এক হাজার গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। সকালে শতবর্ষী সেনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, সেনগ্রাম আলীম মাদ্রাসা, সেনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর বীর বিক্রম খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়, কন্ঠগজরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির আহবায়ক সামসুল মোমেন পলাশ, জেলা কো-অর্ডিনেটর ওবায়দুল মাসুদ, পরিবেশ কর্মী এ্যাডঃ উম্মে ছালমা, সদস্য গাজী আল আমিন, মতিউর রহমান, আল মামুন কাওছার, মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আওয়াবুল্লাহ ইব্রাহিম, প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ, মোঃ আবুল কাশেম, রুমানা সুলতানা প্রমুখ। বৃক্ষ রোপন অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গাছের বিকল্প নেই। তাই আমাদের সবার উচিত গাছের চারা রোপন করা। তিনি এ সময় বলেন, রোপনের পাশাপাশি চারার যতœ নিতে হবে। কেননা একমাত্র গাছই পারে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদের রক্ষা করতে। সংস্থার আহবায়ক জানান, দি মিলিয়ন চাইল্ড ফরেস্ট ক্যাম্পেইন এর অংশ হিসেবে ২০১১ সালের মধ্যে সারা দেশে ১০ লক্ষ শিশুকে নিয়ে ১০ লক্ষ গাছের চারা রোপন করা হবে।
খোকসা প্রেসক্লাবে হাবিবুল বাশার
বৃহষ্পতিবার জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন খোকসা প্রেসক্লাব পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খোকসা প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনসী লিটন, সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইদুল ইসলাম প্রবীন, সহ-সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, প্রথম আলোর কুমারখালি প্রতিনিধি দীপু মালিক, লায়ন নাছিম উদ্দিন স্বপন, খোকসা যুব সংঘ ও পাঠাগারের সম্পাদক নাফিজ আহম্মেদ রাজু, সাংবাদিক ফারুক আহমেদ, মাহবুবুর রহমান ফরিদ প্রমূখ। পরে প্রেসক্লাব চত্বরে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপন করেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক।

কুমারখালিতে ফেনসিডিল উদ্ধার

বুধবার রাতে কুমারখালিতে ৬০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে থানা পুলিশ। গোপন সুত্রে সংবাদ পেয়ে কুমারখালি থানার এসআই আতিক ও এসআই মোতলেবুরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এ ফেনসিডিল উদ্ধার করে। রংপুর থেকে রাজবাড়ি গামি বিআরটিসি বাস যার নং-পাবনা-ব-১১-০০৩৩ থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। বাস কুমারখালি ষ্ট্যান্ডে পৌঁছানো মাত্র পুলিশ বাসটি ঘিরে ফেলে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ফেনসিডিল বাহক সাধারন যাত্রীদের সঙ্গে নেমে যায়।

খরায় মরিচের ফল বিপর্যয়, কেজি ১৫০ টাকা



হাসান জাহিদ: হঠাৎ করে কুষ্টিয়া এলাকায় মরিচে চরম ঝাল বেড়েছে। কয়েক লাফে মরিচের কেজি বেড়ে দাড়িয়েছে ১৫০টাকায়। কয়েকদিন আগের প্রচন্ড খরায় মরিচ গাছ থেকে ফুল ও মরিচ ঝরে পড়ার প্রভাবে বাজারে এ আগুন লেগেছে। বারবার সেচ দিয়েও কুষ্টিয়া অঞ্চলের অনেক কৃষকই তাদের মরিচ গাছ ও মরিচ বাঁচাতে পারেনি। মরিচ চাষীদের অভিযোগ কৃষি অফিস থেকে এ ব্যাপারে কোন সহযোগিতাই পাননি তারা। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, খরার কারনে এক ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমনে মরিচ গাছের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হয়েছে। পাতা কুচকে গেছে। আসেনি পর্যাপ্ত ফুল।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের হিসেব মতে এবার কুষ্টিয়া জেলায় ৪৪০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু গতবার ভাল ফলন ও ভাল দাম পেয়ে এবার জেলার কৃষকরা এ চাষে ঝুকে পড়ে। লক্ষ্যমাত্রা টপকে এবার মরিচের চাষ করা হয় ৬৯০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু সময়মত বৃষ্টিপাত না হওয়া এবং আষাঢ় মাসেও প্রচন্ড খরা থাকার কারনে অনেকেরই মরিচ গাছ পুড়ে গেছে। পাতা শুকিয়ে কুচকে গেছে। সেসব গাছে কোন ফুলই ধরেনি। আর যেসব চাষী আগাম মরিচ রোপন করেছিল তারা বারবার সেচ দিয়েও গাছ থেকে ফুল ও মরিচ বাচাতে পারেনি। ঝরে গেছে সব।
মিরপুর উপজেলার আহাম্মদপুর গ্রামের কৃষক আজগর আলী এবার দুই বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। তার মরিচের গাছ দেখতে ভাল হলেও গত একমাসে গাছের ফুল ধরে রাখতে পারেন নি। তিনি বলেন, প্রচন্ড খরার কারনে মরিচের ফুল আসে আর পড়ে যায়। অনেক সেচ দিয়ে শেষ পর্যন্ত ফুল রাখতে পারলেও মরিচ ধরে রাখতে পারিনি। তিনি বলেন, জৈষ্ঠ মাসের শেষের দিকে ও আষাঢ়ের শুরুতে যে পরিমান খরা হয় তাতে সেচ দেবার পরক্ষণেই জমি শুকিয়ে গেছে। মরিচ পোক্ত হবার আগেই গাছ থেকে ঝরে গেছে। এর কারনে এবার আমাদের মরিচ চাষে ব্যাপক লোকসান গুনতে হবে। আজগর আলীর পাশের জমিতে দেরী করে মরিচ রোপন করা হয়েছে। সে জমিতে মরিচ গাছ আছে বলে মনে হচ্ছে না। দু’একটি গাছ কোন মতে দাড়িয়ে আছে ভগ্ন স্বাস্থ্য নিয়ে। এ জমির মরিচ গাছ রোদে পুড়ে একেবারেই মরে গেছে। তবে যে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে তা যদি ঠিকমতো হয় তাহলে এখন যেসব গাছে ফুল আসছে তা ঠিক থাকলে কিছু পয়সা পাওয়া যাবে বলে কৃষকরা আশা প্রকাশ করেন।
কৃষকদের অভিযোগ এ দুরাবস্থার পরও মরিচ চাষীরা কৃষি কর্মকর্তাদের নিকট থেকে পরামর্শ বা কোনরূপ সহযোগিতা পাননি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম শামসুল আনোয়ার বলেন, শুধুমাত্র খরার কারনে এবার মরিচের ফল বিপর্যয় নয়। ভাইরাসজনিত এক ধরনের রোগ হয়েছে খরার কারনে যার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এ ভাইরাসই এবার এ অঞ্চলের কৃষকদের মরিচ গাছ বাড়তে দেয়নি। কৃষকদের অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন প্রত্যেক এলাকায় কৃষি অফিসার আছে। কৃষকদের সাথে তাদের যোগাযোগ থাকার কথা। উদ্ভিদ সংরক্ষন বিশেষজ্ঞ ড. গোলাম মর্তুজা বলেন, খরার কারনে পোকামাকড়ের আক্রমনে মরিচ গাছ ঠিকমতো হযনি। যেহেতু কৃষকরা মরিচ চাষে সেচ দেয়না সেহেতু খরায় তারা কি করবে বুঝতে পারেনি। অনেকেই সেচ দিয়েছেন কিন্ত খরার মাত্রা এতো বেশি ছিল যে তাতেও কোন কাজ হয়নি। এবার জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে মরিচ চাষ হলেও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবেনা বলে আশংকা করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা। ৪ হাজার ১শ’ ৪০ মেট্রিকটন কাঁচা মরিচ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও পূরন হবেনা বলে তাদের আশংকা।
এদিকে মাঠের এ পরিস্থিতির কারনে আগুন লেগেছে মরিচের বাজারে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকা কেজি থেকে মরিচের দাম কয়েক লাফে বেড়ে দাড়িয়েছে ১৫০ টাকায়। কৃষকরা এখন ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করলেও দু-তিনটি হাত বদল হয়ে খুচরা বাজারে এসে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০টাকায়। বুধবার সকালে কথা হয় কুষ্টিয়া পৌর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আল-আমীন। তিনি বলেন, আজ পাইকারীদের নিকট থেকে মরিচ কিনেছি ১২১টাকা কেজি দরে। খুচরা বিক্রি করছি ১৫০টাকা। হঠাৎ করে প্রয়োজনীয় এ পন্য মরিচের দাম বাড়ায় চরম অসুবিধায় পড়েছে ভোক্তারা। তারা পরিমানে কম কিনছেন মরিচ। খরা অব্যাহত থাকলে মরিচের ঝাল আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

এফকে জুয়েলার্সে চুরি

শহরের এনএস রোডের এফকে জুয়েলার্সে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।এর অন্যতম মালিক আরিফ আহমেদ করিম জানান, বুধবার রাতের কোন এক সময় চোরের দল জু্য়েলার্সের সাইড দেয়াল হাইড্রোলিক জ্যাক ও শাবল দিয়ে ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ২৫০ ভরি সোনার অলংকার, নগদ আড়াই লাখ টাকা নিয়ে শাবল ও জ্যাক ফেলে চলে যায়। চুরি যাওয়া মালামালের আনুমানিক মূল্য ৮০ লাখ টাকা । জানা গেছে দোকানের মালামাল ইন্সুরেন্সভূক্ত।

দৌলতপুরে এটিএন বাংলার যুগপূর্তি পালন



দৌলতপুর প্রতিনিধি : দেশের প্রথম বেসরকারী জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দৌলতপুরে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি ও প্রেসক্লাবে কেক কেটে গৌরবময় একযুগ পূর্তি পালন করা হয়। এটিএন বাংলা দর্শক ফোরাম আয়োজিত একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। আনন্দ র‌্যালিতে শিক্ষক, সূধী ও উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়।
দুপুরে দৌলতপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দৌলতপুরের সাংবাদিক বৃন্দ কেক কেটে এটিএন বাংলার গৌরবময় একযুগ পূর্তি ও জন্মদিন পালন করেন। দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারেজ উদ্দিন ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হেনা মোঃ মুসতফা কামাল কেক কেটে একে অপরের মুখে তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত সকল সাংবাদিক বৃন্দ করতালি দিয়ে অতিথিদের অভিনন্দন জানান এবং সেই সাথে এটিএন বাংলার দীর্ঘায়ু ও শুভ কামনা করেন।

বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০০৯

দৌলতপুরে এক বৃদ্ধার বাড়ি লূট করেছে দূর্বৃত্তরা

দৌলতপুর প্রতিনিধি : দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর দফাদার পাড়া গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে জমি নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে মরিয়ম খাতুন নামে এক বৃদ্ধার বাড়িঘর লূট করেছে এবং কেটে নিয়েছে ঝাড়ের বাঁশ। বৃদ্ধার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মরিয়ম খাতুনের অনুপস্থিতিতে একই এলাকার জলিল, জরিনা, খেদু, রিয়াজ, ছারেজান ও জহুরা সংঘবদ্ধ হয়ে মরিয়ম খাতুনের ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে লূটপাট করে এবং প্রকাশ্য দিবালকে তার ঝাড়ের শতাধিক বাঁশ কেটে নেয়। বৃদ্ধা মরিয়ম বাড়ি ফিরে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই সকল প্রভাবশালী দূর্বৃত্তরা তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

পশ্চিমাঞ্চলের ৫৮৯ কিলোমিটার সীমান্ত গলিয়ে বানের জলের মত ঢুকছে মাদক দ্রব্য

লায়েকুজ্জামান : দক্ষিনে সুন্দরবন থেকে উত্তরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর পাড়। ৫শ’ ৮৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত। মাদক চোরাকারবারীদের অভয়ারন্য। বানের জলের মত ঢুকছে নানা পদের মাদক। সীমান্ত এলাকার মানুষ জানিয়েছে বিডিআর বিদ্রোহের পর মাদক প্রবেশের গতি বেড়েছে বহুগুন। সীমান্ত পেরিয়ে বিশেষভাবে তৈরি যানে মাদকের চালান প্রবেশ করছে দেশের ভেতরে, ঢুকছে রাজধানী শহর ঢাকাতে। মাদকের নীল ছোবলে এখন আক্রান্ত হয়ে পড়ছে স্কুলের কোমলমতি কিশোররাও এমন ভয়াবহ খবর পাওয়া গেছে কুষ্টিয়া, যশোর এবং মাগুরা জেলাতে। দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে নেশার নতুন সংযোজন টিডি জেসিক ইনজেকশন। ভারতে ঘোড়া অচেন করার কাজে ব্যাবহার হওয়া ওই ইনজেকশন এখন দেশের যুব সমাজের কাছে এক মরন নেশা।
পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ এবং কুষ্টিয়া জেলার সঙ্গে ভারতের বিশাল সীমান্ত। ওই সকল জেলার মধ্যে সবচে বেশী এলাকা জুড়ে সীমান্ত সাতক্ষীরা জেলার সঙ্গে। সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত ২৩৮ কিলোমিটার। সুন্দরবনের জলসীমা থেকে স্থল ভাগ পর্যন্ত প্রায় গোটা সীমান্ত এলাকা জুড়েই চলে মাদকের চোরাকারবার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিশাল ওই সীমান্তের প্রায় সর্বত্র দিয়েই মাদক প্রবেশ করলেও বড় আকারে মাদকের চালান আসে ১৫ টি পয়েন্ট দিয়ে। জলসীমা দিয়ে দেশে মাদক প্রবেশের সবচে বড় পয়েন্ট সুন্দরবন। ভারতের কালিন্দি নদী হয়ে নৌপথে বাংলাদেশের রায়মঙ্গল নদী দিয়ে মাদক প্রবেশ করে। ওই মাদক দ্রব্যের একটি অংশ থাকে সাতক্ষীরায় বাকী অংশ নৌ পথে আসে খুলনায়। খুলনা থেকে বাগেরহাট হয়ে সে নেশা দ্রব্য ছড়িয়ে পড়ে দেশের দক্ষিনের জেলাগুলোতে। সাতক্ষীরা সীমান্তে দিয়ে মাদক প্রবেশের অন্যান্য পয়েন্টগুলো হচ্ছে বসন্তপুর, দেবহাটা, থানজিয়া, টাউন শ্রীপুর, ভোমরা, বৈচারী, তুষখালী, তলইগাছা, কাকডাংগা, কেরাগাছী, ভাটিয়ারী, মাদরা, চানদা, হিজলদী এবং চান্দুরিয়া।
নদী পথে মাদক পাচারের জন্য ব্যাবহার করা হয় বিশেষভাবে নির্মিত নৌযান। মাছ ধরা নৌকার আদলে তৈরি ওই সকল নৌযানের তলদেশে বিশেষভাবে মাদক রাখার কক্ষ নির্মান করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বেশী আসে ফেনসিডিল, হেরোইন এবং ভারতীয় এইট পিএম মদ।
সীমান্ত প্রহরীসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিভিন্ন সময়ে কুষ্টিয়া এবং সাতক্ষীরা এলাকায় যে নেশাদ্রব্য আটক হয়েছে সে হিসেবে দেখা যায়, গত এক বছরে এখানে কেবলমাত্র ফেনসিডিল আটক হয়েছে প্রায় এক কোটি বোতল। জানা যায়, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের পর কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে মাদক প্রবেশের পরিমান আরো বেড়েছে এবং বর্তমান সময়েও সে ধারাও অব্যহত রয়েছে। গত এক মাসে কুষ্টিয়ায় আটক হয়েছে ১০ হাজার বোতল ফেনসিডিল।
যশোরের সীমান্ত এলাকা ১৭৫ কিলোমিটার। প্রায় পুরো সীমান্ত দিয়েই প্রবেশ করে মাদক দ্রব্য। এ সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করে ফেনসিডিল, হোরেইন, ভারতীয় বিভিন্ন মদ, এবং বিভিন্ন ধরনের যৌনউত্তেজক ট্যাবলেট। পরিমল, টেন হর্স, ইডিগার এবং বস নামের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটে সয়লাব এ এলাকার হাট বাজার। যশোর সীমান্ত দিয়ে আসা মাদক দ্রব্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌছে দিতে এখানকার মাদক ব্যাবসায়ীরা ট্রাক, মাইক্রোবাস এবং প্রাইভেট কার কেটে তাদের মত করে যান তৈরি করে নিয়েছে। মাইক্রোবাস এবং প্রাইভেট কারের দরজা কেটে ভেতরে ফাকা জায়গা করে সেখানে রাখা হয় ফেনসিডিলের বোতল এবং হেরোইন। গাড়ীর নীচে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ খোল সেখানে রাখা হয় মাদক দ্রব্য। যশোর সীমান্তের বাশগাছা, রঘুনাথপুর, তাজগুলাট, গোগা রুদ্রপুর, হাদিপুর, চৌগাছা, পুড়াপাড়া, কাশিপুর, শিকড়ি পয়েন্ট দিয়ে এখন অবাধে মাদকের চোরাচালান পার হয়।
যশোর সীমান্ত দিয়ে অন্যান্য মাদক আসলেও যশোর চোরচালানের জগতে নামকরা হেরোইনের জন্য। দেশব্যাপি পরিচিত যশোরের এক চোরাচালানী নিয়ন্ত্রন করে এখানকার হেরোইন ব্যাবসা। জানা যায়, রাজধানী শহরে বিক্রিত হেরোইনের প্রায় আশি ভাগের সরবরাহ আসে যশোরের ওই চোরাকারবারীর মাধ্যমে। হেরোইনের নামে বিক্রি করা ভারত থেকে আনা সাদা ওই পাউডার যশোরে বিক্রি হয় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা কেজি দূরে। ঢাকাতে বিক্রয় মুল্য দশ লাখ টাকা কেজি।
মেহেরপুরে সীমান্ত এলাকা ১৮ কিলোমিটার। মেহেরপুরে বেশীর ভাগ মাদক প্রবেশ করে গাংনী সীমান্ত দিয়ে। এখানে মাদক প্রবেশের বড় দু’টি পয়েন্ট তেতুলবাড়িয়া এবং নাজিরা কোলা।
ঝিনাইদহ জেলায় সীমান্ত ৩৪ কিলোমিটার। মহেশপুর, কোটচাদপুর এবং মহেশপুরের বাগদা সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করে মাদকের বিশাল বিশাল চালান। মাদকের ওই সকল চালান চোরাচালানীরা এনে জমা করে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে। সেখান থেকে পাইকারীভাবে ক্রয় করে আনে অন্যান্য জেলার মাদক ব্যবসায়ীরা।
কুষ্টিয়া জেলার সীমান্ত ৪৬ কিলোমিটার, এর মধ্যে ১৮ কিলোমিটার জুড়ে ভারত কাটাঁ তারের বেড়া নির্মান করেছে বাকী ২৮ কিলোমিটার উন্মুক্ত। কুষ্টিয়ার ধর্মদহ থেকে চিলমারী পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মুনসীগঞ্ছ, টোটাপাড়া, সলিমের চর, চরপাড়া, এবং চিলমারী ইউনিয়নের চিলমারী এবং উদয় নগর পয়েন্টে মাদকের চোরাচালান হয় অবাধে-প্রকাশ্যে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার এ সীমান্ত এলাকাটি পদ্মা নদী বেষ্টিত। দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের দু’পাশ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদী, মাঝে বালু চর, যাতায়াত ব্যবস্থা একেবারে দুর্গম। এ সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন দেশে প্রবেশ করে লাখ লাখ বোতল ফেনসিডিল। পদ্ম্ নদী দিয়ে ওই সকল ফেনসিডিল সহজে প্রবেশ করে ঢাকার মাদক বাজারে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার ৭৮ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়েই মাদকের কারবার চলছে দেদারসে। বিডিআর বিদ্রোহের পর মাদক চোরাকারবারের যে অবাধগতি শুরু হয়েছিলো এখনো সে রকমই আছে বলে জানালেন দর্শনার সাধারন মানুষ। দর্শনায় এখন এক বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায় ১শ টাকায়। এক বছর আগে ছিলো প্রায় তিনগুন। সে সময় কড়াকড়ি ছিলো সীমান্তে। চুয়াডাঙ্গা জেলার ধোপাখালী, চ্যাং মারী, উথলী, দশর্না, দামুড়হুদা, কার্পাস ডাঙ্গী, বেনী নগর, জয়নগর এবং নিমতলা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন দেশে প্রবেশ করে মাদকের বড় বড় চালান। চুয়াডাঙ্গা জেলার ওই সকল সীমান্ত গলিয়ে আসছে টিডি জেসিক নামের এক ধরনের ইনজেকশন। নেশার ওই নতুন উপকরন দ্রত ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অভ্যন্তরে, লুফে নিচ্ছে যুব সমাজ। বিশাল এই সীমান্ত এলাকা গলিয়ে প্রতিদিন দেশে প্রবেশ করছে নানা কিসিমের মাদক দ্রব্য। ছিটে ফোট ধরা পড়ছে দেশের অভ্যন্তরে, আর সিংহ ভাগ পৌছে যাচ্ছে নেশাখোরদের হাতে।

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে এক মহিলার মৃত্যু

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের রাতুলপাড়া গ্রামে রোজিনা নামের এক গৃহবধুর অকাল মৃত্যু হয়েছে। রোজিনার স্বামী কৃষক ইজ্জত আলী জানান, বুধবার বেলা ৩টার দিকে বাড়ীর সাধারন মানের একটি বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে থাকা ভেল্লা গাছের পাতা সরাতে গিয়ে রোজিনা বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়। তিনি বলেন, তারটির কোন স্থানে হয়তো ছিদ্র ছিল তাই পাতার সাথেও বিদ্যুত হয়েছিল। রোজিনাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০০৯

বিএটিবি’র চারা বিতরণ শুরু : গ্লোবাল ওয়ার্মিং থেকে রক্ষা পেতে হলে বৃক্ষ রোপন করে বাচিয়ে রাখতে হবে-প্রতিমন্ত্রী


বিএটিবি কুষ্টিয়া মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ বছরের চারা বিতরণ কর্মসূচী শুরু করেছে। চেচুয়া লিফ রিজোনে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান এমপি। তিনি বলেন, শুধু গাছ লাগালেই চলবে না , পরিচর্যা করে বড় করতে হবে। গাছের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলা আজ অর্থহীন। সবাই জানে পরিবেশ ও জীবনের জন্য গাছের কোন বিকল্প নেই। আমাদের আগামী প্রজন্মের স্স্থ্যুতার জন্য, সুরক্ষার জন্য অধিকহারে গাছ লাগাতেই হবে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর হাত থেকে আমাদের বাচতে হলে বৃক্ষের কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বিশ্বের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বৃক্সের অভাব। নদী ধবংশ হয়ে যাচ্ছে, বন উজাড় হচ্ছে। মানুষই হচ্ছে গাছের বড় শত্র“। মানুষ যত বেড়েছে বন তত কমেছে। আমরা ধীরে ধীরে বিপর্যয়ের মুখে এসে দাড়িয়েছে। গ্রীণ হাউজ গ্যাস যেভাবে বাড়ছে, আমরা সাগরে তলিয়ে যাবো।
বিএটিবি’র ডিভিনাল লীফ ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারি স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান, পুলিশ শাহাবুদ্দিন খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তর কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক এস এম শামসুল আনোয়ার, কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম গোলাম মওলা। বিএটিবি’র হেড অব লিফ জহুরুল হক সরকার অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

কুষ্টিয়ায় এক ঠিকাদারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা

১৪-০৭-০৯
কুষ্টিয়ায় শ্রমিক সরবরাহকারি এক ঠিকাদারকে হাত-পা ও মুখ বেধে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহতের নাম সিরাজুল ইসলাম। তার বাড়ি কুমারখালী উপজেলার শানপুকুরিয়া গ্রামে। সে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় একটি কনস্ট্রাকশন ফার্মে শ্রমিক সরবরাহ করে। আজ মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার স্বস্তিপুরের একটি আটামিলের নিকটে রাস্তার পাশে তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনগন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয় জনগনের ধারনা অন্য কোথাও তাকে হত্যা করে লাশ ওই স্থানে ফেলে রাখা হয়।

সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০০৯

রমজান সামনে রেখে কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ীদের আশংকা



রমজান সামনে রেখে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও চুরি-ডাকাতি বাড়ার আশংকা করেছেন কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ীরা। গতকাল বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের সাথে চেম্বার ভবনে অনুষ্ঠিত মত-বিনিময়কালে এ আশকাংকার কথা জানান তারা। ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের একমাত্র দাবি ব্যবসায়িক নিরাপত্তা। ব্যবসায়ীরা বলেন, বিভিন্ন দফায় আমাদের উপর করের মাত্রা বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু সে অনুপাতে আমাদের ব্যবসায়িক নিরাপত্তা প্রদান করা হচ্ছে না। উল্টো চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের কাছে আমরা পরাধীন। চেম্বার সভাপতি আশরাফ উদ্দিন নজুর সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, আগামী দিনে আপনারা আইন-শৃ্খংলার যে অবনতির আশংকা করছেন তা মোকাবেলা করার জন্য পুলিশকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, জনগন সহযোগিতা করলে পুলিশের যে সক্ষমতা আছে তা দিয়েই সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা সম্ভব।

বন্ধ হয়ে গেল কুষ্টিয়া বানিজ্য মেলা

অবশেষে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বন্ধ হয়ে গেল কুষ্টিয়ায় চলমান শিল্প ও বানিজ্য মেলা। কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টির আয়োজনে গত ২৫ জুন বরিশালের শিকদার প্রডাক্ট কুষ্টিয়া হাইস্কুল মাঠে এ মেলা শুরু করে। একমাসের অনুমতি থাকলেও নানা অনিয়মের কারনে নির্ধারিত সময়ের দুই সপ্তাহ আগেই মেলা বন্ধ করে দিল জেলা প্রশাসন। মেলার শুরুতেই শুরু হয় নানা রকম জুয়া খেলার আয়োজন। যা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়ে চেম্বার অব কমার্স মেলার উপর থেকে তাদের সমর্থন তুলে নেন। এরপরও গত এক সপ্তাহ ধরে নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে মেলা চলে আসছিল। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার শামসুদ্দিন খান বলেন, জেলা প্রশাসকের চিঠি পেয়েছি সকালেই। এরপর সদর থানার ওসিকে মেলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি।

ইটালিয়ান আর্মির ব্যবহৃত পিস্তলসহ কুষ্টিয়ায় এক চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

কুষ্টিয়া, ১৩ জুলাই ২০০৯ সকাল কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশ গত রাতে অভিযান চালিয়ে শহরের থানাপাড়া থেকে ইটালিয়ান আর্মির ব্যবহৃত একটি ৭.৬৫ অটোমেটিক পিস্তলসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত নজরুল ইসলাম মানিক একজন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী। সে শহরের থানাপাড়ার শেখ আব্দুল গফুরের ছেলে। তার নামে এর আগেও সদর থানায় চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। সদর থানার ওসি বাবুল উদ্দিন সরদার জানান, মানিক জেলা পরষিদসহ বিভিন্ন দপ্তরে টেন্ডারবাজিও করে থাকে। প্রায়ই সে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। গতরাতেও সে জিআরপি পুলিশকে অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি প্রদর্শন করে। এরপর সদর থানা পুলিশ তার সন্ধান শুরু করে। শেষে গতরাত সাড়ে ৩টায় থানাপাড়া থেকে এসআই হুসাইন তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করে পুলিশ। পিস্তলের উপর লেখা আছে শুধুমাত্র ইটালিয়ান আর্মির জন্য বরাদ্দককৃত।

রবিবার, ১২ জুলাই, ২০০৯

সাংবাদিক আলমগীরের মৃত্যুবার্ষিকী পালন


সাংবাদিক আলমগীরের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে রোববার বিকেলে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দসহ আলমগেিরর পরিবারের সদস্য ও তার পরিচিতজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক এম আলমগীর ২০০৬ সালের ১২ জুলাই ঢাকায় স্ট্রোক করে মারা যান। কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক গ্রামের ডাক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তিনি অসুস্থ্য হয়ে যাবার পর পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানেও ওই পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ রয়েছে। আলমগীর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বড় ছেলে তারিকুল আলম তাকে ঢাকায় নিয়ে যান। তারিকুল সেখানে ব্যবসা করেন।

ব্যাংক এশিয়ার সহযোগিতায় দিশা তে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মানি ট্রান্সফার সার্ভিস উদ্বোধন


বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মানি ট্রান্সফার কোম্পানী ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সাথে মানি ট্রান্সফার সার্ভিস প্রক্রিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হলো দিশা এনজিও। গতকাল বিকেলে কুষ্টিয়া পৌরসভা অডিটোরিয়ামে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। ব্যাংক এশিয়ার সহযোগিতায় দেশজুড়ে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সার্ভিস পৌছে দিতে দিশা সম্প্রতি ব্যাংক এশিয়ার সাব-এজেন্ট হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর করে। দিশা এনজিও প্রাথমিকভাবে ৩৫টি শাখায় মানি ট্রান্সফার কার্যক্রম শুরু করেছে।
সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়ার দিশা এনজিও-এর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দীন খান, ব্যাংক এশিয়া লিঃ’র ইভিপি এন্ড হেড অব ফরেন রেমিটেন্স সৈয়দ নাজিমুদ্দিন, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন রিজিওনাল অপারেশন ম্যানেজার এম. ডি. আহসানুল হক বাসার, ব্যাংক এশিয়া লিঃ এর এফএভিপি আকমল হোসেন, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ষ্পেশালিষ্ট নাসরাত আহমেদ খাঁন, দিশার নির্বাহী পরিচালক রবিউল ইসলাম, এছাড়াও ব্যাংক এশিয়া ও দিশার অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সরকারি জমি দখল করে মুরগী খামার করার অভিযোগে পৌর কাউন্সিলর গ্রেফতার


কুষ্টিয়ায় সরকারি জায়গা দখল করে রাতারাতি মুরগী খামার গড়ে তোলার অভিযোগে পুলিশ আটক করেছে এক পৌর কাউন্সিলরকে। শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া সদর এসআই সাব্বির শহরের হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে বহুল আলোচিত এ পৌর কমিশনার আল্লেককে গ্রেফতার করে। হাউজিং এলাকায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জমি দখল করে এ ফার্ম তৈরি করছিল কুষ্টিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল্লেক মাহমুদ। গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বাধা উপেক্ষা করে ওই কাউন্সিলর প্রভাব খাটিয়ে এ ফার্ম তৈরির কাজ চালিয়ে আসছিল। এদিকে সরকারি এ জমি দখল মুক্ত করতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কুষ্টিয়া সদর থানায় গত ৪ জুলাই একটি অভিযোগ দায়ের করে। এ ঘটনায় আল্লেক কমিশনার গ্রেফতার হলেও অন্যরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানগেছে, হাউজিং এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে তাদের বেশ কিছূ জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী কুষ্টিয়া পৌরসভার ৭ং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল্লেক মাহমুদ তার ক্যাডর বাহিনী দিয়ে দখল করা জমিতে গত জুন মাসের শেষের দিকে অবৈধভাবে একটি মুরগী ফার্ম তৈরির কাজ শুরু করে। ফার্ম তৈরির কাজে বাঁধা দিলে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের লোকজনকে নানা ভয়ভীতি দেখানো হয়। বাধা উপেক্ষা করেই ফার্ম তৈরির কাজ চালিয়ে আসছিল ওই কাউন্সলির। কাউন্সিলরসহ ফার্ম তৈরির সাথে জড়িত ৫ জনকে অভিযুক্ত করে গত ৪ জুলাই সদর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জুন মাসের শেষের দিকে শহরের হাউজিং এষ্টেটের ডি ব্লকের (নিশান মোড়) জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ফাঁকা বাণিজ্যিক এলাকায় জোরপূর্বক দখল করা জমিতে একটি বিশাল মুরগী ফার্ম তৈরির কাজ শুরু করেন আল্লেক ও তার লোকজন। দখল করা জমিতে বালু ফেলে আনুমানিক ১৫০ ফিট লম্বা ও ৩০ ফিট চওড়া জমির উপর বাঁশের খুঁটি ও উপরে টিন দিয়ে ফার্ম তৈরির কাজ শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ কাজও শেষ করেছে তারা।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল উদ্দিন সরদার জানান জমি দখল করে ফার্ম তৈরির অভিযোগে ৭ং ওয়ার্ড কমিশনার আল্লেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়াও তার নামে আরও অভিযোগ রয়েছে। শহরের কালিশংকপুর এলাকার মৃত জালু কসাইয়ের পুত্র আল্লে¬ক কাউন্সিলরসহ ৫/৭ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি এ কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। তবে বর্তমানে ফার্ম তৈরির কাজ বন্ধ রয়েছে বলে তিনি জানান।
কাউন্সিলর আল্লেক দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সম্প্রতি এলাকায় ফিরে জমিদখল, চাঁদা আদায়সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।

কুষ্টিয়ায় বাউল সঙ্গীত প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী : মর্মকথা বুঝে লালনের গান সঠিকভাবে পরিবেশন করতে হবে-ড. এম আলাউদ্দিন


‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’এ শ্লোগানের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়ায় শেষ হলো ৫ দিনব্যাপী বাউল সঙ্গীত প্রশিক্ষণ কর্মশালা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও ইউনেস্কো যৌথভাবে আয়োজনে করে এ কর্মশালার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমীতে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণের মধ্য দিয়ে এ প্রশিক্ষণের সমাপনী টানা হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক কামাল লোহানী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. আলাউদ্দিন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের অন্যতম ধারা বাউল সঙ্গীত। আর বাউল সঙ্গীতকে বুকে লালন করে কুষ্টিয়ার মানুষ। কারণ, লালনের তীর্থভূমি এ জেলা। অসাম্প্রদায়ীকতার চেতনার জন্য লালন গান করে গেছেন। তার গানের কথা ও সুর যদি ধারণ করা যায় তাহলে মানুষ হিসেবে মানুষের কাছে যাওয়া যাবে। লালনের গানের মর্মকথা বুঝে ও সঠিকভাবে গান পরিবেশন করতে হবে। কোনভাবেই বিকৃতি ঘটিয়ে গান গাওয়া যাবে না। তাই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও ইউনেস্কো’র আয়োজনে এ জেলার বাউল শিল্পীদের প্রশিক্ষণের যে ব্যবস্থা করেছে তা নিঃসন্দেহে প্রসংশার দাবি রাখে ।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহ-সভাপতি অশোক কুমার দেবনাথ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার বিশিষ্ট লালন গবেষক প্রফেসর ড. আনোয়ারুল করীম, এ্যাকশন প¬্যান ফর দি সেফ গার্ডিং অব বাউল সংস প্রকল্প পরিচালক নজরুল হক, গবেষক ও দলনেতা সাইমুম জাকারিয়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তি, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, বাউল সঙ্গীত গুরু আব্দুল করিম শাহ ও পাগলা বাবলু। এ কর্মসূচীর আওতায় কুষ্টিয়ার ৪টি উপজেলার ১২০ জন শিল্পীকে বাউল সঙ্গীত গুরু আব্দুল করিম শাহ ও পাগলা বাবলু প্রশিক্ষণ দেন। সমাপনি আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে এ কর্মশালায় অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। পরে বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রশিক্ষণার্থী বাউলরা ।

শনিবার, ১১ জুলাই, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের উপর গ্রামবাসীর হামলা, র‌্যাবের পাল্টা লাঠিচার্জে আহত অর্ধশত

অপহরনের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে এসে এলাকাবাসীর হামলার শিকার হয়েছে র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা। হামলার ঘটনা আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন র‌্যাব সদস্য। পরে র‌্যাবের পাল্টা লাঠিচার্জে আহত হয়েছে অর্ধশত গ্রামবাসী। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। অপহরনের সাথে জড়িত সন্দেহে র‌্যাব সদস্যরা মহিলাসহ ৩ জনকে আটক করে নিয়ে গেছে।
র‌্যাব-৬ এর কমান্ডিং অফিসার মেজর তারিক জানান, কুমারখালী উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের কয়েক যুবক সম্প্রতি ঝিনাইদহে ঘটে যাওয়া কয়েকটি অপহরনের সাথে জড়িত বলে জানতে পারি। তথ্য সুত্রের ভিত্তিতে র‌্যাবের সাদা পোষাকধারী একটি দল শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে কাঞ্চনপুর গ্রামে যায়। আমাদের সদস্যরা সাদা পোষাকে থাকায় গ্রামবাসীরা সন্দেহ করে ঘীরে ধরে। পরিচয় দেয়ার পরও তারা র‌্যাব সদস্যদের গালিগালাজ করতে থাকে।
কাঞ্চনপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, সিভিল ড্রেসে আসায় র‌্যাব সদস্যদের অপহরনকারী চক্রের সদস্য মনে করে গ্রামবাসীরা ঘীরে ফেলে। র‌্যাব সদস্যরা অপহরনের সাথে জড়িত সন্দেহে, গ্রেফতার করে এলাকার তহশিলদার কামরুজ্জামানের ছেলে নাজিমকে। নাজিমের স্বীকারোক্তিতে পরে একই গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে বিল্লালের স্ত্রী সাইদাকে। পরে সোহাগ নামের আরেক জনকে গ্রেফতার করে তারা। তাদের নিয়ে র‌্যাব চলে যেতে চেষ্টা করলে গ্রামবাসী সন্ত্রাসী ভেবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে । মসজিদের মাইক থেকে গ্রামবাসীদের ডাক দেয়া হয়। মাইকে বলা হয়,সন্ত্রাসীরা গ্রাম থেকে দু’জনকে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিরোধের মুখে র‌্যাব সদস্যরা আইডি কার্ড দেখালেও গ্রাম্য অস্ত্র নিয়ে সাধারণ জনতা র‌্যাবের উপর আক্রমণ করে। এ সময় গ্রামবাসীর ছোড়া ইটপাটকেলে আহত হয় দুই র‌্যাব সদস্য। খবর পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশের একটি দল সেখানে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে র‌্যাবের মেজর তারিক জানান, গ্রামবাসীরা আমাদের উপর চড়াও হলেও কোন সদস্য আহত হয়নি। এদিকে, খবর পেয়ে মুহুর্তেই ঝিনাইদহ থেকে অতিরিক্ত র‌্যাব এসে গ্রামবাসীর উপর অচমকা লাঠিচার্জ শুরু করে। ঘটনাস্থল কাঞ্চনপুৃর গাম ছাড়াও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়নপুর বাজারের লোকজনের উপরও লাঠিচার্জ করে তারা। এ সময় র‌্যাবের লাঠিচার্জে স্থাণীয় ক্যাম্প পুলিশের কয়েকজন সদস্য, মসজিদের মুয়াজ্জিন, পশু চিকিৎসক, ফোন ব্যবসায়ীসহ আহত হয় অর্ধশত গ্রামবাসী। আহতদের মধ্যে আশরাফুল, দুলাল হোসেন, জিল্লুর রহমান, হান্নান, পরজ আলী, হবি শেখ, আনিচুর ও আবদুল্লাহকে স্থাণীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
রাতে র‌্যাবের অভিযানের ভয়ে পুরো এলাকা পুরুষ শুন্য হয়ে পড়ে। গতকাল শনিবার দিনের বেলাতেও একই অবস্থা বিরাজ করছিল এলাকায়। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ খালেদ হোসেন জানান, র‌্যাব-৬ এর সদস্যদের সাথে কাঞ্চনপুর গ্রামের লোকজনের সামান্য সংঘর্ষ হয়েছে। সিভিল পোষাক থাকায় ভুল বোঝাবুঝির কারনে এমনটা হয়েছে। কয়েকজন অপহরনকারীকে গ্রেফতার করতে এসে এ ঘটেছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত।

কুষ্টিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে জামিরুল ইসলাম নামে (২৬) এক মটর সাইকেল আরোহী নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। শনিবার সকালে উক্ত সড়কের আলামপুর বাসষ্ট্যান্ডে এ র্দূঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জামিরুল নিজ বাড়ী ই’বি থানার গজনবীপুর এলাকা থেকে মোটর সাইকেল যোগে কুষ্টিয়া শহরের আসার পথে আলামপুর বাসষ্ট্যান্ডে পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপর পড়ে যায়। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। জামিরুল ইসলাম ই’বি থানার উজানগ্রাম ইউনিয়নের গজনবীপুর এলাকার জামাল মন্ডলের ছেলে। সে দুই মাস আগে সাইপ্রাস থেকে ছুটিতে দেশে এসেছে।

কুষ্টিয়া চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনারের মত বিনিময়



দি কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ই্ন্ডাষ্টি মিলনায়তনে কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন ভারতের সহকারি হাই কমিশনার শ্রী কে পি মুন্সি। কুষ্টিয়া চেম্বারের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন নজুর সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ভারতে গমনের সময় ব্যবসায়ীদের ভিসা, কাষ্টমস, অ্যামবেসি ও ভারতে যাবার পর আবাসন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। জবাবে কে পি মুন্সি বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু প্রতীম দেশ। ভারত গমনে আপনাদের যে সকল সমস্যা রয়েছে তা দু দেশের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি।

কুষ্টিয়ায় নবীন ক্রিকেটারদের দুই দিনের বিশেষ ট্রেনিং শুরু, ট্রেনিং দিচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও দুই ক্রিকেটার



কুষ্টিয়ায় বাশার একাডেমীর উদ্যোগে নবীন প্রতিভাবান ২ শতাধিক নবীন ক্রিকেটারকে প্রশিক্ষন দিচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার, পেস বোলার মঞ্জুরুল ইসলাম ও স্পিনার মোশারফ হোসেন রুবেল। আজ শনিবার সকালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে দুই দিনের এ বিশেষ ট্রেনিং শুরু হয়েছে। বাছাই করা ২শতাধিক নবীন সম্ভাবনাময় এ ক্রিকেটারদের বোলিং ও ব্যাটিং-এর বিশেষ টিপস ছাড়াও হাতে নাতে অনেক কৌশল শেখাবেন এ অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। নবীন এ ক্রিকেটারদের মধ্যেও অনেক সম্ভাবনাময় খেলোয়ার আছে যাদের ভালোমতো দেকভাল করলে আগামী দিনে জাতীয় দলে খেলতে পারবে-এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রশিক্ষকগন।

শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০০৯

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ট্রেন তল্লাসী করে ভারতীয় শাড়ী, থ্রি-পিস, চুরি ও ঔষধ উদ্ধার করেছে র‌্যাব



কুষ্টিয়া, ১০ জুলাই ২০০৯
আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা কুষ্টিয়ার মিরপুর রেল ষ্টেশনে রূপসা আন্তনগর ট্রেন তল্লাসী করে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ভারতীয় পন্য উদ্ধার করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ৮৭ পিস ভারতীয় জর্জেট শাড়ী, ২৯ পিস থ্রি পিস, ৬ কেজি জিরা, ১০ হাজার পিস মোটাতাজাকরন ট্যাবলেট এবং ২ হাজার পিস চুরিসহ অলিউর রহমান ও শাহাদত হোসেনকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে পোড়াদহ জিআরপি থানায় মামলা দেযা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার অজ পাড়াগায়ে ফ্রি চিকিৎসা ও ঔষধ পেলেন ১০০০ দুস্থ্য রোগী



কুষ্টিয়া, ১০ জুলাই ২০০৯
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম আহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শুত্রবার সকালে শুরু হয়েছে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প। স্থানীয় জিবুন, হাবিব, নান্নু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গতকাল দিনভর ১০০০ রোগীর ফ্রি চিকিৎসা ও ফ্রি ঔষধ প্রদান করা হয়। এতে সহযোগিতা করেন পাবনা পাউওনিয়ার ক্লাব ও আহাম্মদপুরের কৃতি সন্তান ঢাকার শিপুলী ট্রেড এর চেয়ারম্যান সেলিমুর রহমান। ৫ জন সার্জন দন্ত বিশেষজ্ঞ ডা. মনোয়ারুল আজীজ, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. তাহসীন আজীজ, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. দিলরুবা সিদ্দিক, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আমিনুল ইসলাম হেলাল ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবুল বাশার এ ক্যাম্পে চিকিৎসা প্রদান করেন। এ জন্য গত তিনদিন ধরে দন্ত, গাইনী, শিশু. চক্ষু ও ডেন্টাল বিভাগে ২০০ জন করে মোট ১০০০ হাজার দুস্থ্য রোগীর রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। এলাকায় চালানো হয় ব্যাপক প্রচার প্রচারণা। এ ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প উপলক্ষে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্দমাক্ত রাস্তা মাড়িয়ে স্কুল মাঠে জমায়েত হয় হাজার হাজার মানুষ।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় একজনের লাশ উদ্ধার

কুষ্টিয়া, ১০ জুলাই ২০০৯
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা শহরের দক্ষিণ রেল গেটের নিকটে রেল লাইনের উপর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে স্থানীয় জনগন লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ভেড়ামারা থানার ওসি আব্দুল মান্নান তরফদার জানান, লাশের পায়ে ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার পরিচয় জানাতে পারেনি কেউ। পুলিশের ধারণা অন্য স্থানে হত্যা করে কেউ রাতে লাশটি এনে এখানে ফেলে যেতে পারে।