রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০০৯

কুমারখালীর কয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চু খুন



কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিল হোসেন বাচ্চু (৪৮) অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মটরসাইকেলে যাবার সময় কয়া ইউনিয়নের হাতিসাকো নামক স্থানে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত চেয়ারম্যান বাচ্চু কয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের জেহের আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, চেয়ারম্যান বাচ্চু ঢাকা থেকে বাসযোগে এসে কুমারখালীতে নেমে একটি মোটর সাইকেলে চেপে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। বাচ্চুর সার্বক্ষনিক সহচর অশোক মটর সাইকেল চালাচ্ছিলেন। মাঝে বসে ছিলেন চেয়ারম্যান বাচ্চু। আর পিছনে ছিলেন কুমারখালী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট নিজামউদ্দিন চুন্নু। হাতিসাকো নামক স্থানে পৌছালে সেখানে আগে থেকে অবস্থান নিয়ে থাকা তিনজন বন্দুকধারী সন্ত্রাসী তাদের গতিরোধ করে। তারা জামিল হোসেন বাচ্চুর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। আহত হয় মটর সাইকেল আরোহী বাকী দুজন। এদিকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে একটি মোটর সাইকেলে চেপে পালিয়ে যায়। যাবার সময় পথচারী স্কুলছাত্রী রীমা তাদের মটর সাইকেলের ধাক্কায় আহত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা দলীয় কোন্দল অথবা কয়া ঘাট দখলকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে কোন প্রতিপক্ষ গ্র“প এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।
কুষ্টিয়ার কয়া ইউনিয়ন অধিক সন্ত্রাস কবলিত। ইউনিয়ন পরিষদসহ যে কোন নির্বাচনের সময় এখানকার মানুষ আওয়ামী লীগ-বিএনপি দু’টি দলে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে থাকে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় আওয়ামী সমর্থিত জামিল হোসেন বাচ্চু ও তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত বেলাল সমর্থকদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ ও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতো। পরবর্তিতে বেলাল ক্রসফায়ারে নিহত হয়। তবে তার সমর্থকদের এখনো শক্ত অবস্থান রয়েছে কয়ায়। সেই চিরন্তন বিরোধের জের ধরেও এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
প্রসঙ্গত: ১৯৯৫ সালে এই ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আমির হোসেন আমু কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজের সামনে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়।
চেয়ারম্যান বাচ্চু হত্যাকান্ডের পর কয়া ইউনিয়ন ও কুমারাখালী শহরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বত্র অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই: