সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০০৯

গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসী মামলার বাদী হয়ে থানা থেকে মুক্তি লাভ!



http://kushtianews.blogspot.com/
দু’টি শক্তিশালী তাজা হাত বোমা, বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, পর্ণ সিডি এবং ৪টি মোবাইলসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া চরমপন্থী সন্ত্রাসী আসামী আনোয়ার হোসেন এখন নিজেই ওই মামলার বাদী। এ্ই ঘটনায় ভেড়ামারায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুলিশের এহেন কর্মকাণ্ডকে ধিক্কার দিচ্ছে এলাকাবাসী। তাদের ধারণা মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে রাতারাতিই ভোল পাল্টে ফেলেছে ভেড়ামারা পুলিশ।
শনিবার সকালে পুলিশ শহরের কাচারীপাড়া এলাকার থেকে দু’টি শক্তিশালী তাজা হাত বোমা, বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, পর্ণ সিডি এবং ৪টি মোবাইলসহ গ্রেপ্তার করে আনোয়ার হোসেন'কে (৩৫)। সে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুমারগাড়া গ্রামের আবুল কালাম’র পুত্র। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী আনোয়ার’র দু’সহযোগী শরিফুল (৩০) ও রায়হান’ কে (২৪) গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার দিন ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরওয়ার হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিশ্বস্ত সূত্রে সংবাদ পেয়ে শহরের কাচারীপাড়া এলাকার তরুণ ব্যবসায়ী সৈকত মজুমদার’র বসতবাড়ীতে অভিযান চালায়। প্রায় দু’ঘণ্টা তল¬াশী অভিযান চালিয়ে পুলিশ দু’টি তাজা হাত বোমা, বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, পর্ণ সিডি, ধারালো চাকুসহ চারটি মোবাইল সেট উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ ঐ বাসা থেকে সন্ত্রাসী আনোয়ার কে (৩৫) গ্রেপ্তার করে। এরপর আনোয়ারের দু’সহযোগিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, তাদের গ্রেপ্তারের পরপরই একটি বিশেষ মহল তাদের ছাড়িয়ে নিতে তদবিরে নামে। দিনভর দরকষাকষির এক পর্যায়ে গভীর রাতে এর পরিসমাপ্তি ঘটে। বোমা মামলার প্রধান আসামী সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন হয়ে যায় ওই মামলার বাদী। এরপর ছেড়ে দেয়া হয় তার দুই সহযোগী শরিফুল ও রায়হান কে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ভেড়ামারায় তোলপাড় শুরু হয়। পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। চরমপন্থী কানেক্টেড আনোয়ার হোসেন থানা হাজতে বসেই পাতানো এজাহারে সে উলে¬খ করেছে, পূর্ব পরিচিত চুমকি নামের এক মেয়ের ডাকে শুক্রবার সন্ধ্যায় সে ওই বাড়ীতে আসে। চক্রটি পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে আটকিয়ে তার পরিবারের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। পরদিন শনিবার ভোররাতে সে ঐ বাসা থেকে কৌশলে পালিয়ে আসে। আনোয়ার চুমকিসহ অজ্ঞাত নামা তিনজনকে আসামী করে ভেড়ামারা থানায় ৪২০/৩৪২/৩২৩/৩২৪/৩৮৫/ ৩৮৬/৩৭৯/৫০৬ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ধারায় যে মামলা দায়ের করেছে তার নং-১৭, তারিখ ঃ ২৫/০৭/০৯ ইং। এ ব্যাপারে গতকাল রবিবার সকালে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরওয়ার হোসেন’র মুখোমুখি হলে তিনি পূর্বের দেয়া তথ্য স্বীকার করে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে আসামী আনোয়ার কেই মামলার বাদী করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই: