মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০০৯

কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে ছাত্রলীগের তান্ডব ভাংচুর, ক্লাস ভর্তি বন্ধ

ভর্তির জন্য অপেক্ষমান তালিকা পছন্দ না হওয়ায় গতকাল সোমবার কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে তান্ডব চালিয়েছে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। কলেজের ক্যান্টিন, শিক্ষকদের বসার কক্ষে ব্যাপক ভ্াংচুর চালানোর পাশাপাশি শিক্ষকদের ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ কর্মিরা। কলেজ মাঠে চলা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের নবীন বরন অনুষ্ঠানেও হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠান পন্ড করে দেয় তারা। এ সময় জাতীয় পতাকা নামিয়ে তা মাঠে ছুড়ে ফেলে ছাত্রলীগ কর্মিরা। জাতীয় পতাকা অবমাননা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে হামলার প্রতিবাদে শহরে মিছিল বের করে ছাত্রফন্টের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনার পর কলেজে এইচএসরি ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষকরা। কলেজে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কলেজের শিক্ষক ও সাধারন ছাত্ররা জানায়, সকালে ভর্তি কমিটির শিক্ষকরা অপেক্ষামান তালিক টানায়। তালিকায় ছাত্রলীগ নেতাদের পছন্দের প্রার্থীদের নাম না থাকায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে তালিকা ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা অধ্যক্ষের কক্ষে মিটিংরত শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
এদিকে কলেজে ছাত্রলীগের তান্ডবের কারনে ভর্তি বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষকরা। দুপুরে ভর্তি কমিটির শিক্ষক, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাদের নিয়ে অধ্যক্ষ মিটিংয়ে বসেন। তবে ৩ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মিটিং চলছিল।
ছাত্রলীগ নেতারা ভর্তি কমিটির শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, কলেজের কতিপয় শিক্ষক তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভর্তি করতেই এ তালিকা টানিয়েছে। এ তালিকায় সাধারন ছাত্র-ছাত্রীরা কোন স্থান পায়নি।
কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে বিজ্ঞান, মানবিক ও বানিজ্য শাখায় ১৫০ টি করে সর্বমোট ৪৫০ টি আসন ছিলো। বোর্ড এবার কলেজ প্রশাসনের অনুরোধে বিজ্ঞান শাখায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থী, মানবিক ও বানিজ্য শাখায় ৩০০ জন করে শিক্ষার্থীকে ভর্তির অনুমতি দেয়। অভিযোগ উঠেছে বর্ধিত এই আসন নিয়ে ভর্তি বানিজ্যে মেতে ওঠেন আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ নেতাসহ কলেজের উপাধ্যক্ষ হাসানুজ্জামান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক লাল মহম্মদ, গণিত বিভাগের শিক্ষক আবুল কালাম সাজ্জাদ সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক। তারা শিক্ষার্থী প্রতি ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ কাদের হুসাইন জানান, অপক্ষেমান তালিকা নিয়ে কিছূ ঝামেলা হয়েছে। তবে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।

কোন মন্তব্য নেই: