সোমবার, ২০ জুলাই, ২০০৯

ইবিতে ছাত্রলীগ-শিবির গুলি বিনিময়, ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ




আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার রাতভর ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১০-১২ জন আহত হলেও কারো গুলিবিদ্ধ হবার খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাইকিং করে ক্যাম্পাসে সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে। সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ছাত্ররা জানায়, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাদ্দাম হোসেন ও বঙ্গবন্ধু হলের ভেতরে ছাত্রশিবির ও বাইরে ছাত্রলীগ অবস্থান নিয়ে পাল্টা-পাল্টি গুলিবর্ষণ শুরু করে। প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে থেমে থেমে শতাধিক রাউন্ড গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মিরা ক্যাম্পাসের সবকটি হলে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দিলে শিবির কর্মিরা ভেতরে আটকা পড়ে। সে সময় তারা ভেতর থেকেই গুলি চালাতে থাকে। পরে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহর থেকে বিপুল পরিমান পুলিশ ও র‌্যাব গিয়ে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করে। গতকাল সোমবার ভোর থেকে ক্যাম্পাসের সবক’টি গেট বন্ধ করে দিয়ে পুলিশ হলে হলে তল্লাসী চালিয়েছে। রাতভর গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটলেও তল্লাসীকালে একটি এলজি, ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড ছাড়া তেমন কিছু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশও জানায়, রাতে হলগুলো থেকে ছাত্রশিবির গুলিবর্ষণ করে। ছাত্রলীগের অবস্থান ছিল হলের বাইরে। এ ঘটনায় ৭ শিবির কর্মিকে আটক করেছে পুলিশ।
সাধারন ছাত্ররা জানায়, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবক’টি হল দখলে রেখে নিজেদের কর্মিদের মধ্যে সিটবণ্টন করে আসছে ছাত্রশিবির। আর এ দখলদারিত্ব বজায় রাখতেই তারা সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে থাকে এবং প্রায়ই মহড়া দেয়। অন্যদিকে, ছাত্রলীগ হলগুলো দখলের চেষ্টা চালাতে গেলেই তাদের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে।

কোন মন্তব্য নেই: