রবিবার, ১২ জুলাই, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় বাউল সঙ্গীত প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী : মর্মকথা বুঝে লালনের গান সঠিকভাবে পরিবেশন করতে হবে-ড. এম আলাউদ্দিন


‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’এ শ্লোগানের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়ায় শেষ হলো ৫ দিনব্যাপী বাউল সঙ্গীত প্রশিক্ষণ কর্মশালা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও ইউনেস্কো যৌথভাবে আয়োজনে করে এ কর্মশালার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমীতে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণের মধ্য দিয়ে এ প্রশিক্ষণের সমাপনী টানা হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক কামাল লোহানী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. আলাউদ্দিন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের অন্যতম ধারা বাউল সঙ্গীত। আর বাউল সঙ্গীতকে বুকে লালন করে কুষ্টিয়ার মানুষ। কারণ, লালনের তীর্থভূমি এ জেলা। অসাম্প্রদায়ীকতার চেতনার জন্য লালন গান করে গেছেন। তার গানের কথা ও সুর যদি ধারণ করা যায় তাহলে মানুষ হিসেবে মানুষের কাছে যাওয়া যাবে। লালনের গানের মর্মকথা বুঝে ও সঠিকভাবে গান পরিবেশন করতে হবে। কোনভাবেই বিকৃতি ঘটিয়ে গান গাওয়া যাবে না। তাই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও ইউনেস্কো’র আয়োজনে এ জেলার বাউল শিল্পীদের প্রশিক্ষণের যে ব্যবস্থা করেছে তা নিঃসন্দেহে প্রসংশার দাবি রাখে ।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহ-সভাপতি অশোক কুমার দেবনাথ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার বিশিষ্ট লালন গবেষক প্রফেসর ড. আনোয়ারুল করীম, এ্যাকশন প¬্যান ফর দি সেফ গার্ডিং অব বাউল সংস প্রকল্প পরিচালক নজরুল হক, গবেষক ও দলনেতা সাইমুম জাকারিয়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তি, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, বাউল সঙ্গীত গুরু আব্দুল করিম শাহ ও পাগলা বাবলু। এ কর্মসূচীর আওতায় কুষ্টিয়ার ৪টি উপজেলার ১২০ জন শিল্পীকে বাউল সঙ্গীত গুরু আব্দুল করিম শাহ ও পাগলা বাবলু প্রশিক্ষণ দেন। সমাপনি আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে এ কর্মশালায় অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। পরে বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রশিক্ষণার্থী বাউলরা ।

কোন মন্তব্য নেই: