বুধবার, ২২ জুলাই, ২০০৯

কুষ্টিয়ার গ্রামে পৃথক দু’টি সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ২২


কুষ্টিয়ার কুমারখালি ও সদরে দু’টি গ্রামে পৃথক পৃথক সংঘর্ষে একজন নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছে। সোমবার সন্ধায় কুমারখালি উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামে তুচ্ছ কারনে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, গ্রামের দুই কিশোর মুরাদ ও রাজিব বিকেলে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। রিপন নামের একজন তাদের ঘুড়ি ছিড়ে ফেললে সিরাজ গ্র“প ও বাকাই গ্র“পের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সেসময় লাঠির আঘাতে নাক ও কান দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আবু বক্কর ওরফে বাকাই শেখ(৪৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় আরো ১০ জন। এদের মধ্যে ৫জনকে কুমারখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামে পান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছে মহিলাসহ ১২জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত দু’মহিলাসহ তিন জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন, মজিবর রহমানের স্ত্রী পানুয়ারী (৬০), পরেশ মন্ডলের মেয়ে সাবরীনা খাতুন (২০), ও কোরেশ মন্ডলের পুত্র খাতের আলী (৪৫)। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, খাতের আলীর অবস্থা খুবই আশংকাজনক। ধারালো হাসুয়ার কোপে মারাত্মক জখম খাতের আলী যে কোন সময় মারা যেতে পারে। এ নিয়ে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আহতরা জানান, পূর্বশত্র“তার কারনে গত সোমবার দহকুলা গ্রামের রেজাউল ও বুড়ো মিলে ছানা ও খাতের আলীর বরজ থেকে পান কেটে নিয়ে যায়। তারা পানের গাছও কেটে রেখে যায়। পরদিন গতকাল মঙ্গলবার ভোরে খাতের আলী রেজাউল ও বুড়োকে পান কাটার কথা জিজ্ঞাসা করলে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

কোন মন্তব্য নেই: