বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

বিশুদ্ধ পানির নামে কি খাচ্ছি আমরা? কুষ্টিয়ায় মাম পানির বোতলে শেওলা পেল ভ্রাম্যমান আদালত




বিশুদ্ধ পানির নামে নামে আমরা কি খাচ্ছি? দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মিনারেল ওয়াটার প্রস্তুকারক পারটেক্স বেভারেজ কোম্পানীর ‘মাম’ পানির কর্ক আটা বোতলে পাওয়া যাচ্ছে সবুজ শেওলা। ভেজাল বিরোধী ভ্রাম্যমান আদালত কুষ্টিয়ার বিভিন্ন দোকান থেকে সবুজ শেওলাযুক্ত এমন কয়েকটি মাম পানির বোতল জব্দ করেছে। বোতলের গায়ে লেখা মাম প্রাকৃতিক খাবার পানি/ ‘হু’ ও ‘বিএসটিআই’র নির্দেশনা অনুসারে প্রস্তুত। এ মাম পানির বোতলে শেওলা দেখে সাধারন মানুষ হতবাক হয়ে যায়। মঙ্গলবার বিকেলে ভেজাল বিরোধী ভ্রাম্যমান আদালত কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোড, রেনউইক গেট ও মাম পানির স্থানীয় পরিবেশকের গুদামে অভিযানকালে চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রস্তুতের তারিখ দেয়া এবং ১০ মাস মেয়াদ থাকা মাম পানির কর্ক আটা এয়ারটাইট বোতলের ভেতরে সবুজ শেওলা ভাসতে দেখে ম্যাজিষ্ট্রেট ২জন দোকানীকে জরিমানা করেন। অভিযানে নেতৃত্বদানিকারি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এহতেশাম রেজা বলেন, এর প্রস্তুতকারক গাজীপুরের পারটেক্স বেভারেজ লিঃ এর নামে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।স্থানীয়রা বলছেন, পথ চলতি মানুষ, স্কুলগামী কোমলমতী ছাত্র-ছাত্রী বা হাসপাতালের বিছানায় শর্য্যাগত রোগীর পিপাসার্ত জীবনকে বাঁচিয়ে তুলতে অন্যকোন দিকে হাত না বাড়িয়ে আমরা বিশ্বাস করে দোকান থেকে এসব মিনারেল ওয়াটার কিনে নিই। কিন্তু বোতলজাত পানিই যদি হয় এমন তাহলে কি উপায় জনসাধারনের এ প্রশ্ন এখন সবার।

চালের দাম বাড়ার কোন কারণ নেই-কুষ্টিয়ায় তদন্ত কমিটির অভিমত

কুষ্টিয়ায় গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গতকাল দেশের বৃহত্তম ধান চালের মোকাম খাজানগর আইলচারার বিভিন্ন রাইস মিল পরিদর্শন করেছেন। কমিটির প্রধান কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ফজলুর রহমান বলেছেন, বড় বড় রাইচ মিলে বিপুল পরিমান ধান মজুদ রয়েছে। মিল মালিকরা চালের দাম বৃদ্ধির জন্য ধানের দাম বাড়ার অজুহাত দেখালেও এসব ধান দাম বাড়ার আগেই কেনা। তিনি বলেছেন, চালের দাম বাড়ার কোন কারনই নেই। অহেতুক দাম বাড়ানোর সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি। তদন্ত কমিটি হঠাৎ চালের দাম বাড়ার পিছনে কোন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সকালেই মাঠে নামে। তারা রশিদ এগ্রো ফুড প্রডাক্টসহ বিভিন্ন চালকলের রেজিষ্টারের সাথে গুদামের স্টক মিলিয়ে দেখেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষন বিশেষজ্ঞ ড. গোলাম মর্তুজা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারি পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সিএ হালিম ও জেলা মার্কেটিং অফিসার মানোয়ার হোসেন। চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরা তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিকট চালের দাম কমাবার প্রতিশ্রুতি দেন। তদন্ত কমিটি চালকলগুলো নিয়মিত মনিটরিং করবে বলে জানানো হয়।কুষ্টিয়া থেকে চালের দাম বাড়ানো হচ্ছে দৈনিক মানবজমিন ও প্রথম আলো পত্রিকায় এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর মঙ্গলবার ৫ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক।ওদিকে কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ বাবলু বলেছেন, এখন ধানের অফ সিজন। দিন যতো যাবে ততই এর দাম বাড়বে। সেই সাথে বাড়বে চালের দাম। সরকার এবার বিপুল পরিমান ধান চাল সংগ্রহ অভিযানের মাধ্যমে সংরক্ষন করেছে। সরকারের প্রতিটা গুদামই ধান চালে ভরা। এগুলির কিছুটা বাজারে ছেডে দিলে যেসব ব্যবসায়ী মজুতদারী করে লাভবান হতে চান তারা ধরা খাবেন। সংকটও কেটে যাবে।ধানের দাম বৃদ্ধি ও মজুতদার সিন্ডিকেটের ইশারায় ঈদের পরপরই হঠাৎ করে চালের দাম বাড়ায় অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে বাজার। অভিযোগ রয়েছে, দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম ধান চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর-আইলচারার কয়েকজন শীর্ষ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান চাল মজুত রেখে কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে বাড়িয়ে দিয়েছে চালের দাম। চিকন চাল বিশেষ করে মিনিকেট চালের জন্য বিখ্যাত কুষ্টিয়ার মোকাম। এখানকার পাঁচশতাধিক রাইচমিলে প্রতিদিন ১হাজার ৫শত থেকে ১হাজার ৮শত টন চাল উৎপাদন হয়ে থাকে।

কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে লাল পতাকার শীর্ষ ক্যাডার আশরাফুল ইসলাম আশা নিহত

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ফয়জুল্লাহ বেড়িবাধে আজ বুধবার ভোররাতে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের সময় নিহত হয়েছে পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি এমএল লালপতাকার শীর্ষ ক্যাডার ও দূর্ধর্ষ পান্না বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড আশারাফুল ইসলাম আশা। র‌্যাব জানায়, ওই বেড়িবাধে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বৈঠক করছিল এমন খবর পেয়ে র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ইউনিটের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বৈঠকে থাকা সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। র‌্যাব পাল্টা গুলি চালালে শুরু হয় গুলিযুদ্ধ। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে সেখান থেকে লালপতাকার শীর্ষ ক্যাডার আশার লাশ ছাড়াও একটি বন্দুক ও চার রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৩টা বোমা ও ২টা তরবারী উদ্ধার করা হয়। নিহত আশার বিরুদ্ধে ভোড়ামারা ও দৌলতপুর থানায় ৯টি হত্যাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে।

মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

চালের দাম কেন বাড়লো খতিয়ে দেখতে কুষ্টিয়ায় তদন্ত কমিটি গঠন

হঠাৎ করে কি কারনে বাড়লো চালের দাম-এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে মঙ্গলবার গঠিত এ কমিটি বুধবারের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষন বিশেষজ্ঞ ড. গোলাম মর্তুজা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারি পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সিএ হালিম ও জেলা মার্কেটিং অফিসার মানোয়ার হোসেন। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ফজলুর রহমান জানান, মঙ্গলবার থেকেই কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। কি কারনে মূলত: হঠাৎ করে চালের দাম বাড়লো? এর পিছনে কোন সিন্ডিকেট বা ব্যবাসায়ীদের হাত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও ওই তদন্ত প্রতিবেদনে সরকারের করনীয় বিষয়ে পরামর্শ দেয়া থাকবে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান বলেন, এসময় সাধারনতঃ একটু ধান চালের দাম বাড়ে। তারপরও জনসাধারনের উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। কারণ সরকারের কাছে বিপুল পরিমান ধান চাল সংগৃহিত আছে। বাজারে সংকট সৃষ্টি হলে সরকার ওইসব ধান চাল বাজারে ছেড়ে দেবে। এদিকে বিভিন্ন পত্রিকা ও মিডিয়ায় ধান চালের সিন্ডিকেট ও কুষ্টিয়া থেকে দাম বাড়ানোর খবর দেখে খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের নিকট ফোন করে খোজ খবর নিয়েছেন। তদন্ত কমিটি গঠনের খবর শুনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জেলা প্রশাসক জানান।
ওদিকে কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ বাবলু বলেছেন, এখন ধানের অফ সিজন। দিন যতো যাবে ততই এর দাম বাড়বে। সেই সাথে বাড়বে চালের দাম। সরকার এবার বিপুল পরিমান ধান চাল সংগ্রহ অভিযানের মাধ্যমে সংরক্ষন করেছে। সরকারের প্রতিটা গুদামই ধান চালে ভরা। এগুলির কিছুটা বাজারে ছেডে দিলে যেসব ব্যবসায়ী মজুতদারী করে লাভবান হতে চান তারা ধরা খাবেন। সংকটও কেটে যাবে।
উল্লেখ্য দৈনিক মানবজমিন ও প্রথম আলো পত্রিকায় গতকাল কুষ্টিয়া থেকে চালের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে।

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

আওয়ামীলীগ-বিএনপির প্রয়োজনেই কুষ্টিয়ায় কথিত চরমপন্থীর সৃষ্টি

আবু বকর সিদ্দীক, সম্পাদক, দৈনিক সময়ের কাগজ
## সঙ্গত কারনেই চরমপন্থী এখন শীর্ষ আলোচিত বিষয়। কুষ্টিয়ার জন্য অপমান, কষ্ট ও ক্ষোভ। ইতিহাস ঐতিহ্যের তীর্থভূমি কুষ্টিয়া মাথা নত করে থাকে, লজ্জায় নীল হয়। হাতে গোনা যায়, মাত্র কয়েকজন বিপথগামীদের জন্য এ বদনাম। সহ্য করতে হয় আপামর কুষ্টিয়াকে। যত্রতত্র কাটা মাথা, প্রতিদিনই ক্রসফায়ার এবং স্বজনদের আহাজারী। কুষ্টিয়ার জন্য এসব খুব পরিচিত দৃশ্য। অথচ এমন হওয়ার কথা নয়। ছিল না। অর্থনৈতিকভাবে কুষ্টিয়ার মাটি উর্বর। সহজে বেশী রোজগার এবং বন্যামুক্ত, শিল্পএলাকা বলে এর সুনাম রয়েছে। যোগাযোগের জন্য দেশের উত্তর-দক্ষিন এবং পূর্ব-পশ্চিমের একটি গুরুত্বপূর্ন সন্তান। স্বাধীনতার পর থেকে এখানে চরমপন্থী দলের কর্মকান্ড চোখে পড়ে। সে সময় বেশ কয়েকটি দল এখানে কর্মকান্ড শুরু করে। মূলতঃ সে সময়ের চরমপনন্থীদলগুলো আদর্শিকভাবে বামধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করত। আদর্শিক, শিক্ষিত ও সম্ভ্রান- নেতারা নেতৃত্ব দিত। তাদের নামে রাজনীতির বাইরে কোন অভিযোগ ছিল না। টেন্ডার, অপহরণ বা ডাকাতি-ছিনতাই এড়িয়ে যেত। পর্যায়ক্রমে সে দলে ভিড়তে থাকে নানা অসামাজিক লোক। শুরু হয় আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব। চলতে থাকে খুন, অপহরণ, টেন্ডারবাজী। শ্রেণী শত্রু খতম এবং সমবন্টন ছিল এসব পার্টির লক্ষ্য। অবস্থানগত কারণে এরা এলাকার পূঁজিবাদীদের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। শুরু হয় প্রভাব বিস্তারের কাজ। অঞ্চল ভেদে এক এক পূঁজিবাদীকে ঘিরে গড়ে ওঠে এক একটি পার্টি। বাম আদর্শ বিসর্জন দিয়ে ঐ পার্টি সে পূঁজিবাদীর সম্পদ রক্ষার লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়। শুরু হয় শ্রেণী ভুলে প্রতিপক্ষ ঘায়েল করার ঘৃণ্য প্রক্রিয়া। পূঁজিবাদী তার প্রতিপক্ষকে দমন করতে বাম আদর্শের শসস্ত্র ক্যাডারদের ইশারা করে। পড়তে থাকে লাশ। ক্যাডারদের জীবনে ঝুঁকি বাড়ে। অস্ত্র আসে, ভারী ভারী, নামী-দামী। বাড়তে থাকে ক্যাডার। অপকর্ম। ব্যক্তি নামে গড়ে ওঠে বাহিনী। লাশ পড়ে, নতুন ক্যাডার আসে, অস্ত্র আসে। পুলিশের বাণিজ্য হয়। ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে পূঁজিবাদী।বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এখন সবার কাছে পরিস্কার। বড় জোর হাজার খানেক সম্পদশালী মানুষ টাকা বিনিয়োগ করে কয়েকশ এমপি নির্বাচন করতে। মানুষ প্রভাবে, লোভে এবং বাধ্য হয়ে ভোট দেয়। গণতন্ত্রের মোড়কে নির্বাচিতরা নির্ভয়ে বিনিয়োগকৃত টাকার কয়েকগুন তুলে নেবার ব্যবসা শুরু করে। তাদের পাহারায় থাকে পোশাক পরা শসস্ত্র পুলিশ, আর্মি, র‌্যাব, বিডিআরসহ নানা রাষ্ট্রীয় বাহিনী। বড় বড় গাড়ীতে চড়ে, আশে-পাশে অস্ত্রধারী রাষ্ট্রীয় গার্ড় নিয়ে এমপি ব্যবসা করেন খাজা নগর ধান চালের চাতাল থেকে জাতীয় সংসদের ক্যান্টিন পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কারও বাড়ীতে মিলাদ মাহফিল কোন হুজুর পড়াবেন থেকে শুরু করে যাত্রা পালায় কোথাকার মেয়ে নাঁচবেন তার জন্য ওনার অনুমতি লাগবে। প্রতিশ্রুতির তকমা বাতাসে ভেসে যায়, দুদিন আগে কাঁদামাখা কৃষককে ভায়ের মমতায় জড়িয়ে ধরত, এখন চোখ জুড়ে টাকা, পাঁচতারা হোটেলের আলো আধারীর বলরুম, পৃথিলা রমনি। ভোটের বাক্সে লাথি মারো, সমাজতন্ত্র কায়েম কর- এ শ্লোগান বামপন্থী-চরমপন্থীদের নিজস্ব সম্পত্তি। জনমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, শক্তিশালী সামাজিক বন্ধন গড়ে তোলা এ আদর্শের মূল ভিত্তি। কথিত গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কুষ্টিয়ার বামপন্থীরা ব্যবহার হচ্ছে। ঘুরে ফিরে ক্ষমতার মসনদে বিএনপি-আওয়ামীলীগ। ১৯৯৬ থেকে বামপন্থীদের ভোটের রাজনীতিতে প্রবেশ চোখে পড়েছে। ২০০১ এবং ২০০৮ এর নির্বাচনে তা স্পষ্ট। বামপন্থীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রতিশ্রুত সাংসদ জিতেছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে। কৃষকের সঙ্গে বামপন্থীদের দেয়া প্রতিশ্রুতিও রাখেনি বিএনপি-আওয়ামীলীগ। নির্বাচনের পরেই শুরু করেছে নিধনচক্র। চলছে। ক্রসফায়ারে সমপ্রতিকালের হত্যাকান্ডগুলো অবাক করে দেয়। আইলচারার মারফত এবং শহরের রাশিদুল। দুজনেই যুবলীগ নেতা। একজন আইলচারা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারী এবং অপরজন শহর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। চরমপন্থী এবং খুনী হিসেবে দুজনেরই রয়েছে বড় ফিরিস্তি। ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ার পরেও ক্রসফায়ার থেকে তারা রক্ষা পায়নি। আওয়ামীলীগ দলীয় পদবী দেয়ার আগে ভালো করেই জানত তারা কারা। হয় বাধ্য হয়ে না হয় চরমপন্থীদের খুশী করতে তাদেরকে আওয়ামী পরিবারের সদস্য করতে হয়েছে। কুষ্টিয়া শহরে এরকম আরো অনেকেই আছেন, যারা ক্রসফায়ারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কিন্তু আওয়ামী পরিবারের নেতা। ঠিক একই ভাবে গতবার বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে বেশ কয়েকজন বিএনপি ও যুবদল নেতা ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছিল। যাদের সঙ্গে আলোচিত চরমপন্থী দলের ছিল গভীর সখ্যতা। মাঠ পর্যায়ের এসব নেতারাই ভোটের রাজনীতির নিয়ামক হয়ে ওঠে। চরমপন্থী আদর্শ বিচ্যুত হয়ে এখন রক্ত নিয়ে খেলছে। রাজনীতিবিদদের হাতের পুতুল। আওয়ামীলীগ-বিএনপি রাতের আধারে চরমপন্থী এবং দিনের আলোয় রাস্ট্রযন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহার করছে। দমন ও শোষন হচ্ছে জনগন। বিগত দিনগুলো এবং সামনের দিনগুলো পরিস্কার। ভোটের নামে দুটি দল দেশকে পাঁচ বছরের জন্য লিজ নেয়। ইচ্ছেমত চাষ করে। কোন বাঁধা নেই। ক্ষমতার দাপটে চালিয়ে যায় লুট। চোখ বন্ধ করে অথবা না দেখার ভান করে। দুদলই নিশ্চিত জানে, চুরি-ডাকাতি করার জন্য নির্দিষ্ট পাঁচ বছর বরাদ্দ। তার পর কিছু দিন আত্মগোপন। আবার রাজপথে। কিন্তু সম্পদের পাহাড় থেকে যে ঝরণা ঝরবে তা দিয়ে আরামে চলে যাবে বাকী জীবন। পরিবারের সুখ-শান্তি।

তিন কারনে বাড়ছে চালের দাম

ই-বার্তা : তিন কারনে হঠাৎ বেড়ে গেছে চালের দাম। কারণ তিনটি হলো-ধানের দাম বৃদ্ধি, মজুতদার সিন্ডিকেটের অশুভ ইশারা ও ঈদ-পুজার ছুটি এবং বিরূপ আবহাওয়া। রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের প্রতি সরকারের বিশেষ নজরদারি থাকায় তারা ওইসময় না বাড়িয়ে ঈদের পরপরই চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে বাজার। দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম ধান চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর-আইলচারা ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।চিকন চাল বিশেষ করে মিনিকেট চালের জন্য বিখ্যাত কুষ্টিয়ার মোকাম। এখানকার পাঁচশতাধিক রাইচমিলে প্রতিদিন ১হাজার ৫শত থেকে ১হাজার ৮শত টন চাল উৎপাদন হয়ে থাকে। এখানকার চিকন চাল দেশের গন্ডি পেরিয়ে ইউরোপে ভাল বাজার সৃষ্টি করেছে। এই মোকামের চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের উপর অনেকাংশেই নির্ভর করে সারাদেশের চালের বাজার। ঈদের পর হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সবার দৃষ্টি পড়ে এই মোকামের দিকে। রোববার বিকেলে এই মোকামে গিয়ে প্রত্যেক ধান চাতাল কর্মব্যস্ত দেখা যায়। ঈদ এবং পুজার ছুটিতে গিয়ে অনেক শ্রমিক এখনো ফিরে আসেনি। এছাড়াও গত সপ্তাহে কয়েকবার বৃষ্টি হয়েছে। যে কারেন ধানের খোলায় কোন কাজই হয়নি। এতে চাল উৎপাদন কিছুটা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। মিথিলা ফুড প্রডাক্ট নামের চালকলের মালিক মাহাবুব রহমান ই-বার্তাকে বলেন, দু-এক দিনের মধ্যেই এটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এবং এ কারনে যে টুকু দাম বেড়েছে তা হয়তো কভার হবে। কিন্তু ধানের দাম এখন বাড়তেই থাকবে। যে কারনে চালের বাজারও উঠতির দিকেই থাকবে। যে কয়েকজন চালকল মালিকের সাথে কথা হয়েছে তাদের সবাই বলেছেন, প্রধানতঃ মৌসুমের শেষের দিকে এসে এ সময় ধানের দাম বৃদ্ধি পায়। সে কারনেই বেড়ে যায় চালের দাম। গত একমাসের মধ্যে ধানের দাম মনপ্রতি ১শ’ টাকার উপরে বেড়েছে। বর্তমানে ধান কিনতে হচ্ছে প্রতিমন (৪০ কেজি) ৭শ’ ৩০ থেকে সাড়ে ৭শ’ টাকায়। এক মাস আগেও ধানের দাম ছিল ৬শ’ থেকে ৬শ’২০ টাকা। রমজান মাসেও মিনিকেট ভাল চাউল প্রতিমন (৪০ কেজি) বিক্রি হয়েছে ১১২০ থেকে ১১৫০ টাকা পাইকারি বিক্রি হয়েছে। ঈদের পর হঠাৎ করে একলাফে এই চালের দাম বাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে ১৩২৫ থেকে ১৩৫০ টাকা। মোটা চালের ক্ষেত্রেও একই অনুপাতে দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে যে চাল ২২ টাকা কেজি বিক্রি হয়ে তা ঈদের পর এসে ২৫ থেকে ২৬টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চালের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী কুষ্টিয়ার আইলচারার রশিদ এগ্রো ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড নামের অটোমেটিক রাইট মিলের মালিক আব্দুর রশিদ ই-বার্তাকে বলেন, সম্প্রতি ধানের দাম বেড়েছে খুব বেশি। যে কারনে চালের বাজারে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন বেশ কিছুদিন ধরেই ধানের দামের সাথে চালের দামের সামঞ্জস্য নেই। রোজার মাসে চালের চাহিদা কম ছিল। প্রোডাকশনও কম হয়েছে। রোজার আগেও ধানের দাম বেশি চাউলের দাম কম এম একটা পর্যায় ছিল। এভাবেতো দীর্ঘদিন চলতে পারে না। হয় ধানের দাম কমবে না হয় চাউলের দাম বাড়বে। রোজার শেষে চাউলের ডিমান্ড বাড়ছে। এ কারনে চালের দামও বেড়ে গেছে। তবে সাধারন ব্যবসায়ী বা ছোট মানের রাইচমিলের মালিকরা জানান, সারাদেশে ৫/৬জন বড় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে ধান-চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কৃষকের হাতে এখন আর ধান নেই, অধিকাংশই কিনে নিয়েছে ওই সিন্ডিকেট। এখন তারা কি পরিমান চাল বাজারে ছাড়বে, আর কি দাম নির্ধারন করবে তার উপর নিভর করছে চালের বাজার। চালকল মালিক শহীদুল ইসলাম, আনোয়ারুল ও শরীফুল ইসলাম বলেন, আর ৩/৪ সপ্তাহ পর থেকেই ধানের অভাবে বন্ধ হতে থাকবে ছোট আকৃতির চালকলগুলো। তখন একক আধিপত্য সৃষ্টি হবে সিন্ডিকেটভূক্ত ব্যবসায়ীদের। চাল সিন্ডিকেটের অন্যতম নেতা কুষ্টিয়ার রশিদ এগ্রো ফুডের মালিক আব্দুর রশিদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। ঈ-বার্তাকে তিনি বলেন, গুদামজাত করে ব্যবসা করার সুযোগ নাই। কারণ সবাই সীমিত পূঁজি নিয়ে ব্যবসা করে। তার মতে কোন ব্যবাসায়ীই মজুদ করে লাভবান হতে পারেনা। কারণ, মজুত করে ব্যবসা করতে হলে যে টাকার মাল আটকা পড়ে থাকে তার ব্যাংক ইন্টারেষ্ট হিসেব করে বাদ দিলে অতিরিক্ত কোন লাভই হয়না। তাছাড়াও মজুদ করে রাখলে মনপ্রতি ৪/৫ কেজি চাল ঘাটতি হয়। সব হিসেব করে দেখা যায়, এভাবে মজুদ করে ধান চালের ব্যবসা করলে লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি। তবে, আমরা মিল সার্বুক্ষনিক রানিং রাখার জন্য ১মাসের ধান মজুত রাখি। তিনি বলেন, এরকম মজুত করে রাখার ক্ষমতা সবার নেই। আপনার বিরুদ্ধে মজুদের অভিযোগ কেন? এ প্রশ্নের জবাবে রশিদ বলেন, আমার বড় ব্যবসা, আমার প্রতিদিন ৩শ থেকে ৪শ টন চাল প্রডাকশন হয়। মাঝারি মিলগুলোর প্রডাকশন মাত্র ৫০টন। আমার গুদাম বেশি, আমার মিলের আকার বড়। গাড়ী লোড হয় বেশি একারনে মানুষের এমন ধারণা। তিনি বলেন, বর্তমানে তার মজুদ ভাল নেই। ৫হাজার টন ধান রয়েছে। কিন্তু খোজ নিয়ে দেখা গেছে রশিদ এগ্রোর আইলচারা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে গুদাম রয়েছে। সব মিলিয়ে তার কাছে দেড় লাখ টন ধান মজুত আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ভবিষ্যতে চালের বাজার কেমন থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রশিদ বলেন, সস্তা চিন্তা করা আদৌ ঠিক না। চাল সস্তা খেতে গেলেতো ধান প্রডাকশনই হবে না। কৃষকরাতো লোকসান দিয়ে ধান আবাদ করবে না। সবদিকেই আমাদের খেয়াল রাখা উচিত। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন মজুতদার ব্যবসায়ীদের উপর নজরদারি থাকায় রমজান মাসে যেমন চালের দাম কম ছিল সরকার উদ্যোগ নিলে তেমনিভাবে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠা চালের বাজারও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এর জন্য সবচেয়ে আগে দরকার ধান চাল মজুতদারদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গা।

ব্যাতিক্রমী ঈদ উৎসব : কুষ্টিয়ায় লাঠিখেলা ও শিশুভোজ


ঈদের পরে বেশ কয়েকদিন অতিক্রান্ত হলেও এখনও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় চলছে নানা উৎসব শনিবার বিকেলে কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগর শিক্ষাপল্লীতে আয়োজন করা হয় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহি প্রাচীন লাঠিখেলা। বর্ণিল পোশাকের খেলোয়াররা বাদ্যের তালে তালে নানা কসরত প্রদর্শন করেন। গ্রাম্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কাইজ্যা (মারামারি) প্রদর্শনী উৎসবকে আনন্দময় করে তোলে। এ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সেখানে শিশু কিশোরদের পেট পুরে খাবারের আয়োজন করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক দানবীর আলহাজ্ব ড. আলাউদ্দিন আহমেদ। শত শত শিশু কিশোর সেখানে তৃপ্তির সাথে খাবার খায়।

আত্মীয়তার সূত্রে হানিফকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের পদ দিয়েছেন শেখ হাসিনা-আব্দুল জলিল

লন্ডনে বাংলা টিভিকে দেয়া আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল জলিলের সাক্ষাতকার নিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও দলের নীতি নির্ধারনের বিরুদ্ধে ও সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সাথে আতাত করে নির্বচনে জয়লাভের কথা বলে রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন জলিল। ওই সাক্ষাতকারে জলিল কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান মাহবুব উল আলম হানিফকে জড়িয়েও নানা কথা বলেছেন। মেধাবী এ রাজনীতিকের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জলিল। এ নিয়ে কুষ্টিয়ার আওয়ামী নেতা-কর্মি ও সমর্থকরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জলিল সাক্ষাতকারে বলেছেন, আমাদেরকে রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে দিয়ে উনার (হাসিনা) নিজস্ব লোক প্রেসিডিযাম ও ওয়ার্কিং কমিটিতে নিয়ে এসে আমাদের সাথে অবিচার করা হয়েছে এবং আইওয়াশ করা হযেছে। উপদেষ্ঠা পরিষদের কোন ফাংশন নেই, ৬মাসে একটা মিটিং হতে পারে, সেখানে দিয়ে আমাদের মতো একটিভিষ্ট লোককে ইনেক্টিভ করে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার চক্রান্ত করা হয়েছে। এটা খুব খারাপ। আমাদের এই পদে আসতে লেগেছে ৫০ বছর। ৭৯ তে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির মেম্বার হই। ৮১ তে হই আন্তর্জাতিক সম্পাদক, ৮২ তে হই যুগ্ম সম্পাদক, তারপর আবার যুগ্ম সম্পাদক, তৃতীয়বার আবার যুগ্ম সম্পাদক হই। তারপর আমাকে প্রেসিডিয়াম মেম্বার করা হয়। তারপর আরেকবার প্রেসিডিয়াম মেম্বার করে। তারপর আমাকে সেক্রেটারী করে। বর্তমান কমিটিতে যারা আসছে তারা অভিজ্ঞ নন। অভিজ্ঞতা খুবই দরকার উল্লেখ করে আব্দুল জলিল ওই সাক্ষাতকারে মাহবুব উল আলম সম্পর্কে বলেন, যেমন ধরেন আমাদের হানিফ জয়েন্ট সেক্রেটারী, তার অভিজ্ঞতা টা কোথায়? সে একজন থানার নেতা। থানা থেকে এসে পার্টির সেকেন্ডে পজিশন পেয়েছেন। সেক্রেটারীর পরেই তো সে। তার অভিজ্ঞতা টা কোথায়? সে অরগানাইজেশন সম্পর্কে কি জানে? অরগানাইজেশন সম্পর্কে কি বোঝে? আত্মীয়তার সূত্র ছাড়া তাকে ওই পদে বসানোর কোন কারণ তো দেখিনা। নতুন এ কমিটি কোন কাজই শুরু করেনি এখনো। উল্লখ্যে, জরুরি অবস্থা জাররি পর ২০০৭ সালরে ২৮ মে জললিকে গ্রফেতার করা হয়। ২০০৮ সালরে ২ র্মাচ প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর চকিৎসার জন্য সিংগাপুর যান তিনি। ছয় মাস পর ৩১ আগস্ট দেশে ফেরেনে। এরপর অবৈধভাবে সম্পত্তি অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনরে অভিযোগে র্দুনীতি দমন কমশিনরে করা মামলায় ২০ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে জলিলকে জামিন দেয়া হয়। জামিন পাওয়ার পর আদালত চত্ত্বরে বসেই সাধারণ সম্পাদকরে পদে দায়ত্বি পালনের ঘোষণা দিলে এ নিয়ে দলের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এর কারণ, জলিল গ্রেফতার অবস্থায় নিজের স্বাক্ষর করা একটি চিঠিতে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েচিলেন। কারামুক্তরি পর আব্দুল জলিল চিঠির সব বক্তব্য অস্বীকার করনে। এরপর থেকে তাকে দলরে পদে রাখা হলেও দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি কাউন্সিলের কোনও কাজে তাকে যুক্ত করা হয়ন। ওই ক্ষোভ থেকেই গত জুলাইয়ে দলের জাতীয় কাউন্সলিরে মাত্র তিনদিন আগে পদত্যাগ করেন আব্দুল জলিল। তিনি র্বতমানে সপরিবারে ব্যতক্তিগত সফরে লন্ডন রয়েছেন।
সরকার ও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়ে বারবার বিরূপ মন্তব্য করায় এবার বহিষ্কার হতে চলছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাংসদ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল। দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আগামী ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে প্রথমে বিষয়টি তোলা হবে। এরপর দলের প্রেসিডিয়াম সভা, প্রয়োজনে উপদেষ্টা পরিষদের সভা করে সর্বসম্মতিক্রমে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বা সুপারিশ করা হবে। চূড়ান্ত দায়িত্ব দলীয় সভানেত্রীর ওপরও দেয়া হতে পারে। আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব খবর জানা গেছে। সূত্রটি আরো জানান, যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে আব্দুল জলিল মিডিয়ায় যেসব বক্তব্য দিয়েছেন সেটা সত্য হলে তাকে দল থেকে বাদ দেয়া ছাড়া আর বিকল্প কিছু থাকবে না। কারণ তার বক্তব্য দলের শৃঙ্খলাবিরোধী। তার বক্তব্য দলের কার্যনির্বাহী কমিটির কেউই গ্রহণ করেননি। সবাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় লাল পতাকার আঞ্চলিক নেতা মোহন নিহত

কুষ্টিয়া, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯
কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি এমএল-লাল পতাকার আঞ্চলিক নেতা মোহন মালিথা (৪৫) নিহত হয়েছে। গত রাতে দৌলতপুর লালনগর বাজারের পাশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।র‌্যাব কুষ্টিয়া ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর জাকির জানান, লালনগর বাজারের পাশে একদল চরমপন্থি বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে র‌্যাবের দুইট টহল দল সেখানে অভিযান চালায়। রাত আড়াইটার দিকে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমন্থীরা গুলি বর্ষণ শুরু করে। র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। পরে চরমন্থিরা পিছু হটলে সেখান থেকে মোহন মালিথা’র গুলিবিদ্ধ লাশসহ একটি পাইপগান, ৩টি তাজা বোমা, ২টা হাসুয়া ও ৪ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করে র‌্যাব। র‌্যাব জানায়, দৌলতপুর ও ভেড়ামারা থানায় তার বিরুদ্ধে ৭টি হত্যাসহ ১০টি মামলা রয়েছে। সে ভারত থেকে অস্ত্র চোরাচালান করতো। বেশিরভাগ সময় ভারতেই অবস্থান করতো।

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দুই চরমপন্থি নিহত

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুই চরমপন্থী নিহত হয়েছে। পুলিশের ভাষ্যমতে শুক্রবার ভোর রাতে মিরপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া বটতলায় ও কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়া জিকে ক্যানেলের পাশে এ দুটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা ইদু (৩৮) ও গণমুক্তি ফৌজের শীর্ষ ক্যাডার আরজ আলী(৩৩)। পুলিশ জানায়, বাঁশবাড়ীয়া বটতলা এলাকায় চরমপন্থীরা গোপন বৈঠক করছে এ সংবাদের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৩টার দিকে সেখানে অভিযান চালায় মিরপুর থানা পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমন্থীরা গুলি বর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। পরে চরমন্থীরা পিছু হটলে পুলিশ সেখান থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা ইফাদ আলী ওরফে ইদু’র গুলিবিদ্ধ লাশসহ একটি রিভলবার ও ৯ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে ৩টি হত্যাসহ ৬টি মামলা রয়েছে। সে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। ইদু মিরপুর উপজেলা কুর্শা গ্রামের মৃত মুল্লুক চাঁদ মন্ডলের ছেলে অপরদিকে একই ধরনের গোপন বৈঠকের খবর শুনে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়া জিকে ক্যানেলের কাছে অভিযান চালায় সদর থানা পুলিশ। সেখানেও বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত গণমুক্তি ফৌজের শীর্ষ ক্যাডার আরজ আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও ৫ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করে। নিহত আরজের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিল হোসেন বাচ্চু ও মেহরেুল আলম হত্যার অভিযোগসহ ৬টি মামলা রয়েছে। আরজ মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কাজীপুরের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। সে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এ ব্লকে ৩৭৫ নং বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো।

কুষ্টিয়ার ১৮৬টি মন্ডপে দূর্গাপূজা শুরু

কুষ্টিয়া জেলায় এবার রেকর্ডসংখ্যক ১৮৬টি পূজা মন্ডপে সাবজনিন দুর্গাপূজা শরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বোধন পূজার মাধ্যমে ষষ্ঠীর কাজ শুরু হয়। রাতে বসে আসন। ২৮ সেপ্টেম্বর বিসর্জনের মাধ্যমে দূর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটবে। সরকারি তরফ থেকে জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান এবার মন্ডপপ্রতি রেকর্ডসংখ্যক ৬শ ৫২ কেজি করে চাল অনুদান দিয়েছেন। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, সরকারি এ সহযোগিতায় এবার পূজা মন্দিরগুলো সহজে উতসব পার করতে পারবে। তিনি বলেন, সদরে ৬০, খোকসায় ৪৭, কুমারখালীতে ৪০, মিরপুরে ১৯, দৌলতপুরে ২৬ ও ভেড়ামারা উপজেলায় ৪টি মন্দিরে পূজা পালন হচ্ছে।

দূর্গাপূজা সার্বজনীন করতে কুষ্টিয়ায় বস্ত্র বিতরন


শারদিয়া দূর্গাপূজার আনন্দ সবার সাথে ভাগ করে নিতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখা গরীবদের মাঝে শাড়ী, ধুতি ও শার্ট বিতরন করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শ্রী শ্রী গোপিনাথ জিওর মন্দিরে ১৫০ জন দরীদ্রের মাঝে এসব বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থেকে জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান বলেন, বিন্দু বিন্দু জল থেকেই সাগর তৈরি হয়। একদিন এ ক্ষুদ্র আয়োজন মন্দির পেরিয়ে রাস্তায় নেমে যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ঐতিহ্যবাহি সম্প্রীতির দেশ। এখানে ঈদ-পূজা একই সাথে পালিত হয়। তিনি বলেন, বিশ্বে আমরা একদিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেলে পরিনত হবো। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, দূর্গাপূজার শিক্ষা হলো অসুরকে পরাস্ত করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের সমাজে অসুরের মতো কিছু মানবরূপী দানব রয়েছে যাদেরকে দমন করতে পারলে শান্তির কুষ্টিয়া গড়া যাবে। আমরা এদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছি, আপনারা আমাদের সহযোগিতা ও সমর্থন করবেন। আর পুজা সার্বজনিন করতে হলে বস্ত্রদানের মতো অনুষ্টান আরো বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট অনুপ কুমার নন্দরি সভাপতিত্বে এ বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী, অধ্যাপক সুদিন লাহেড়ি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক নরেন্দ্র নাথ সাহা, হিন্দু, বৈধ্য, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডভোকেট সুধীর কুমার শর্মা। শেষে দরীদ্রদের মাঝে ৮০পিস শাড়ী, ২৫ পিস ধুতি ও ৪৫ পিস শার্ট বিতরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ার খোকসায় নৌকাবাইচ, ঈদ আনন্দে নতুন মাত্রা

ঈদ উৎসবে আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে হয়ে গেল তিনদিনের নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। এলাকার ৮টি বাইচ দল বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে স্বতঃস্ফুর্তভাবে এ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফাইনাল বাইচের মাধ্যমে এ প্রতিযোগিতার সমাপ্তি ঘটে। ফাইনালে কোমরভোগের উলকাকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে একই গ্রামের বাইচদল উড়ন্তপাখি। বেতবাড়িয়া গ্রামবাসী এ ব্যয়বহুল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আবহমান গ্রামবাংলার অতিপ্রাচীন ঐতিহ্য এ নৌকাবাইচ দেখতে গড়াই’র দু’পাড়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। প্রখর রোদ্র ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে নদীতীরে দাড়িয়ে থাকা দর্শকদের মুহমুহ হাততালি ও হর্ষধ্বণিতে বাইচ লড়াই আরো জোড়দার হয়ে ওঠে।ঈদের পরদিন মঙ্গলবার দুপরে বিচিত্র সাজের নৌকা আর বর্ণিল জার্সি পরা খেলোযার নিয়ে গড়াই নদীর বুকে এসে জড়ো হয় এলাকার ৮টি বাইচ দল। জারী গানের তালে তালে নেচে গেয়ে গা গরম করে নেন খেলোয়াড়রা। সাথে চলে বিভিন্ন ঢঙের নাচ। দুপুরে খোকসা জানিপুর বাজার ঘাটে নদীর মাঝে রণসাজের দু’টি করে বাইচ নৌকা দাড় করিয়ে বাঁশি বাজিয়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। হেইয়া হো হেইয়া হো চিৎকার আর পানির ছলাৎ ছলাৎ শব্দে ভরা গড়াই’র বুকে দীর্ঘ পানিপথ প্রানপনে পাড়ি দেয় একেকটি বাইচ দল। চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই শেষ হয় প্রায় দেড় কিলোমিটার ভাটিতে কমলাপুর শ্বশানঘাটে এসে। দীর্ঘ একযুগ পর অনুষ্ঠিত হওয়া এ বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে আসতে ভুল করেনি কেউ। দুর দুরান্ত থেকেও আসেন আনন্দমোদি দর্শকরা। দীর্ঘ নদীর দু কুলে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। অনেকেই আবার নদীর বুকে ভেসে ভেসে প্রতিযোগিতা দেখতে ভাড়া করে ছোট-বড় নৌকা। ফাইনালে অংশ নেয়া খোকসা কোমরভোগের উলকা বাইচ দলের নেতা জিন্দার ই-বার্তাকে জানান, যুবক বয়স থেকেই বাইচ খেলছি। তখন প্রতিবছরই বাইচ প্রতিযোগিতা হতো। বাইচ খেলতে খুবই মজা পাই। খুবই আনন্দের। দীর্ঘদিন প্রতিযোগিতা না হওয়ায় অনেক বাইচ দল ভেঙ্গে গেছে। এবছর আবার নতুন করে দল গঠন করা হয়েছে। নতুন করে বাইচ নৌকা বানানো হয়েছে। এখন আবার এলকার যুবক ছেলেদের মনে উদ্্যম এসেছে। নৌকার মাঝি আলিম জানান, নৌকা চালানো একধরনের মজার কাজ। আর বাইচে অংশ নেয়া আরো বেশি মজার। এবারও তিনি একটি দলের হয়ে বাইচে অংশ নিযেছেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জনি ঈদের ছুটিতে এলাকায় এসেছেন। সারাদিন নদীর ধারে থেকে তাকে বাইচ প্রতিযোগিতা তদারকি করতে দেখা যায়। নরসিংদী জজ কোর্টে চাকরি করেন ডালিম। তার বাড়িও ওই এলাকায়। তাকেও দেখা গেল বন্ধুদের সাথে বাইচ প্রতিযোগিতার তদারকি করতে। ই-বার্তাকে তারা জানান, আগামী প্রজন্মের জন্য এ ঐতিয্যবাহি প্রতিযোগিতা আমাদেরকেই ধরে রাখতে হবে। তা না হলে দু-একটি প্রজন্ম পরেই নৌকাবাইচ হারিয়ে যাবে। কেউ জানতেই পারবেনা এরকম একটি মজার খেলা ছিল। ঈদের ছুটিতে গ্রামে আসা অনেকেরই স্বার্থক হয়েছে যারা এর আগে এ ধরনের নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা সরাসরি দেখেননি। ইভা হাসান নামের এক সুন্দরী গৃহবধূ এই প্রথম দেখার সুযোগ পেয়েছেন। তার কাছে ঈদ আনন্দের চেয়ে এটি বড় আনন্দের। ই-বার্তাকে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় টিভিতে এ প্রতিযোগিতা দেখেছি। বাস্তবে দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। এবার সে ইচ্ছা পূরণ হলো।দর্শনার্থী ও খেলোয়ারদের উৎসাহ উদ্দীপনা দেখে আগামী বছর আরো বড় পরিসরে বাইচ প্রতিযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন আয়োজকরা। খোকসা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আমজাদ হোসেন এ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি ই-বার্তাকে বলেন, নতুন করে নৌকা বানিয়ে গ্রামের ছেলেদের যে উদ্যম দেখেছি। তাতে মনে হচ্ছে আগামীতে আরো বড় পরিসরে আয়োজন করতে হবে। সন্ধায় সুর্য্যরে লাল আভা যখন আছড়ে পড়ে ভরা গড়াই’র বুকে, তখন শেষ হয়ে আসে এ আয়োজন। বিদায়ের সুর বাজে, যেন শেষ হয়ে যায় ঈদের আনন্দও। তবে সাথে থাকে আগামী প্রজন্মের জন্য এ ঐতিয্য ধরে রাখার দৃঢ় প্রত্যয়।

বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ার শীর্ষ মাদক সম্রাট যুবলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে

নিজের ও ভায়ের নামে গঠিত ‘হা-রা’ (হামিদুল-রাশেদুল) নামের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান কুষ্টিয়ার শীর্ষ মাদক সম্রাট রাশেদুল ইসলাম পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ দলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোররাতে কুষ্টিয়া শহরতলীর উত্তর লাহিনীর হাজী বজলার রহমানের তালতলা মাঠে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত রাশেদুল সম্প্রতি শহর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।পুলিশ জানায়, সোমবার গভীর রাতে ওই তালতলা মাঠে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বৈঠক করছিল এমন খবর পেয়ে কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশ ও র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ইউনিটের যৌথ টিম সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশ ও র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বৈঠকে থাকা সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশ ও র‌্যাব পাল্টা গুলি চালালে শুরু হয় গুলিযুদ্ধ। চলে আধাঘন্টা ধরে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে সেখান থেকে পুলিশ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ‘হা-রা’ বাহিনীর প্রধান রাশেদুল ইসলাম-এর লাশ ছাড়াও একটি সাটার গান ও তিন রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করে। নিহত রাশেদুলের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী থানায় ৪টি হত্যাসহ ১৮টি মামলা ও ২৬টি জিডি আছে।পুলিশ জানায়, নব্বই’র দশকের গোড়ার দিকে শহরের মিলপাড়া এলাকার রুস্তম আলীর দুই ছেলে হামিদুল ও রাশেদুল রেল কোয়ার্টার, অফিস ওই এলাকার বিভিন্ন সরকারি কলোনী দখল করে মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। এজন্য তারা বেতনভুক্ত শতাধিক সন্ত্রাসী ক্যাডার ও মাদক বিক্রেতা নিয়োগ করে। এই বাহিনীর বিরোধীতা করলেই তাকে হামলা ও হত্যার শিকার হতে হতো। ওই এলাকায় শহরে যে কেউ বাড়ি তুলতে হলেও এদের চাঁদা দিতে হতো। দোর্দান্ড প্রতাপশালী এই বাহিনীর সদস্যরা ফেন্সিডিল ও হেরোইন ওই সময় পুরো শহরে প্রকাশ্যেই বিক্রি করতো। চোখের সামনে নিক্তিতে মেপে বিক্রি হতো হেরোইন। পাইকারি ও খুচরা উভয় লেভেলের বিক্রেতা ছিল। ২০০১ সালে মিলপাড়া পুলিশ ফাড়ি আক্রমন করে এই বাহিনী। পুলিশ সদস্যদের আহত করে অস্ত্র লুট করে তারা। ২০০৪ সালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রাশেদুল পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে অস্ত্রসহ ধরা পড়ে। এরপর থেকে দীর্ঘ কারাভোগের পর গত ৫ মাস আগে সে জামিনে মুক্ত হয়। বের হয়েই সে সরকারি সরকারি দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় আবার বাহিনীর ক্যাডারদের সংগঠিত করতে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, জেলা আওযামী লীগের সহ-সভাপতি প্রভাবশালী নেতা হাজী রবিউল ইসলাম আগামী পৌরসভা নির্বাচনে ব্যবহার করার জন্য জেল থেকে বের করে এনেছেন। এ ব্যাপারে বক্তব্য নেবার জন্য মোবাইল ফোনে কল করা হলে হাজী রবিউল ইসলাম ফোন ধরেন নি। আরো অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের আরেক প্রভাবশালী নেতাও পৌর নির্বাচনের স্বার্থে রাশেদুলকে মদত দিয়ে আসছে। সরকারি দলের এসব নেতার ছত্রছায়ায় সে আবার তার সাম্রাজ্য বিস্তার শুরু করেছিল। রাশেদুলের ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী ই-বার্তাকে বলেন, শুনেছি সে যুবলীগের শহর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, কিন্তু আমি নিশ্চিত নই। তবে আমাদের দলে কোন সন্ত্রাসীর স্থান নেই। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন ব্যক্তির সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাবার সুযোগ নেই। কারণ সন্ত্রাসী যেই দলেরই হোক আইন-প্রয়োগকারি সংস্থা কাউকে ছাড় দেবে না। করে তাকে কুষ্টিয়া শহর যুবলীগের সংগঠনিক সম্পাদক পদ দিয়েছেন। জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান লালন ই-বার্তাকে বলেন, আমাদের দলের লোক সন্ত্রাসী হলেও তার বিচার করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে দলের ভেতর থেকে যদি কেউ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে তার জন্য তিনিই দায়ি থাকবেন দল নয়। তিনি বলেন, আমরা জানতাম রাশেদুল অন্যায়কারি সন্ত্রাসী তারপরও আমাদের কিছুই করার ছিল না। কারণ দলের শীর্ষ নেতাদের ইচ্ছাই তাকে দলে পদ দিতে হয়েছে।এদিকে ‘হা-রা’ বাহিনীর আরেক নেতা রাশেদুলের ভাই হামিদুল তিন মাস আগে এনকাউন্টারের ভয়ে আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। সে বর্তমানে কারাগারে।

মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুমারখালীতে টিক্কা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ফজু অস্ত্রসহ গ্রেফতার

কুমারখালী অঞ্চলের ত্রাস টিক্কা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ফজলুর রহমান ওরফে ফজলু ওরফে ফজু পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। গত রাতে যদুবয়রা ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামের আব্দুর রশিদের বাড়ি থেকে কুমারখালী থানা ও চৌরঙ্গী ক্যাম্প পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এসময় ফজুর সহযোগি ওই বাড়িওয়ালা আব্দুর রশিদ ও তার ছেলে শামীমকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাড়ির অদুরে মাটি খুড়ে পলিথিনে মোড়ানো একটি এলজি গান ও দুই রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত হোসেন জানান, খোকসা থানায় অপহরন ও লাশ গুম মামলার আসামী এই ফজু। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বেশকটি মামলা রয়েছে। ফজু যদুবয়রা ইউনিয়নের এতমামপুর গ্রামের মৃত শাহাজউদ্দিনের ছেলে।
একযুগ আগে কুমারখালী-খোকসা এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে টিক্কা বাহিনী। ক্রসফায়ারে নিহত হবার আগ পর্যন্ত টিক্কা ছিল এক মূর্তিমান আতঙ্ক। টিক্কার গডফাডার খোকসার এক সরকারদলীয় শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধি এখনও টিক্কা বাহিনীকে মদত দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

বৃষ্টি আর ঈদ মিলেমিশে একাকার

সারাদেশে ঈদের সাথে কোলাকুলি করেছে বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজে নামাজ আদায়, কেউ ভিজে ভিজে করেন প্রিয়জনের কবর জিয়ারত, কেউবা ভিজে ভিজে চালিয়ে যান দেখা সাক্ষাত পর্ব। তবে কুষ্টিয়া শহরে নামাজের সব জামাত শেষ হবার পর ঝমঝমিয়ে নামে বৃষ্টি। সারা দুপুর চলে মুষলধারে। দুপুরের আগে বৃষ্টি না নামায় শহরের মুসল্লিরা ঝরঝরে আবহাওয়ায় নামাজ আদায় করতে পেরেছে। আর দুপুরের পর বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় দেখা সাক্ষাত ও ঘোরাঘুরি পর্বও চলছে ভালমতো। কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহে (মুসলিম হাইস্কুলের নিকটে) ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়। সেখানে জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলীসহ হাজার হাজার মানুষ নামাজ আদায় করেন।
এখানে ইমামতি করেন কুষ্টিয়া জামে মসজিদের ইমাম আ ফ ম নাজমুস সালেহিন। বয়বৃদ্ধ এ ইমাম শেষ রাকায়াতে একবার সিজদা দিয়েই সালাম ফিরিয়ে ফেলেন। পরে অবশ্য ভুল বুঝতে পেরে পুনরায় পুরো নামাজ আবার আদায় করেন। এদিকে কিয়াম ছিরাতুনেচ্ছা মেমোরিয়াল ট্রাষ্টে ঈদের নামাজ আদায় করেন শিল্পপতি মজিবর রহমান। এছাড়াও পৌর মেয়র আনোয়ার আলী নামাজ আদায় করেন হাউজিং ঈদগাহে। হাউজিং ঈদগাহে মহিলাদের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় বেলা ১১টায়। জেলার সর্বত্র ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকেই দেশের অন্যান্য স্থানেই বৃষ্টি ঈদের আনন্দে বাদ সাধে। বৃষ্টি মাথায় করেই অনেক মানুষ ছুটেছেন ঈদগাহ আর মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে। অনেক স্থানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিতই হতে পারেনি এমন খবর পাওয়া গেছে। ঈদগাহ মাঠ থেকে নামাজ মসজিদে স্থানান্তর করতে হয়েছে বিভিন্ন স্থানে।
রাজধানীতে বৃষ্টির মধ্যে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় হাইকোর্ট লাগোয়া জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৯ টায়। এতে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, ঢাকার মেয়র ও মন্ত্রীসভার সদস্য ও কূটনীতিকরাসহ অনেকে অংশ নেন।
বিশিষ্টদের স্থানে মোটা ত্রিপলের আবরণ বৃষ্টি থেকে সুরক্ষা দিলেও সাধারণ কাপড়ের আচ্ছাদনের নিচে থাকা সাধারণ মুসল্লীরা কিছুটা অসুবিধায় পড়েন। মাঠে পানি জমে গিয়ে সৃষ্টি হয় অস্বস্তিকর কাদার।
রোববার সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল ঈদের আমেজ ঘরে ঘরে শুরু হয় ঈদের প্রস্তুতি। বিপণী বিতানগুলোতে শুরু হয় চাঁদ রাতের জমজমাট শেষ কেনাবেচা। কুষ্টিয়া শহরে রাত ৩টা পর্যন্ত চলে কেনাকাটা।
তিন বছর পর এবার ২৯ রোজা শেষে বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। আগের গত তিন বছর ধরেই ৩০ টি রোজা পালন হয়েছে।

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

সোমবার ঈদ হবার সম্ভাবনা বেশি


আগামীকাল সোমবার ঈদুল ফিতর পালিত হবার সম্ভাবনা বেশি। কারন আজ রোববার বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যেতে পারে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। স্থায়ী ক্যালেন্ডার বিশ্লেষণ করে তারা বলছে, দেশের আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে রোববার চাঁদ দেখা যাবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আর্জুমান্দ হাবিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, কোথাও কোথাও মেঘ থাকলেও তা সর্বত্র নেই। সে অনুসারে দেশের কোথাও না কোথাও চাঁদ দেখা যাবে।
আবহাওয়াবিদদের হিসেব মতে, রোববার সূর্যাস্ত বা গোধুলির পর চাঁদের স্থায়িত্ব হবে ২৬ মিনিটের মতো। এ ছাড়া দেশের আকাশে চাঁদের অ্যালটিচ্যুড (সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা) হচ্ছে ১০ ডিগ্রী ৩০ মিনিট। সাধারণত ৭/৮ ডিগ্রী হলেই চাঁদ দেখা যায়। এজন্য আমরা মনে করছি, আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে রোববারই চাঁদ দেখা যাবে। দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিচের টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরের মাধ্যমে চাঁদ দেখা কমিটিকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। টেলিফোন নম্বরগুলো হচ্ছে : ৯৫৫৬৪০৭, ৯৫৫৫৯৫১, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৯৬৪৩, ৯৫৫৮৩৩৭ এবং ফ্যাক্স নম্বর হচ্ছে : ০২-৯৯৫৬৩৩৯৭।

শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

ঈদে সংবাদপত্রে ছুটি, ই-বার্তা চলবে

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২০, ২১ ও ২২শে সেপ্টেম্বর ছুটি থাকবে। ওই তিনদিন সকল পত্রিকা অফিস বন্ধ থাকবে। ফলে আগামী ২১, ২২ ও ২৩শে সেপ্টেম্বর কোন পত্রিকা প্রকাশিত হবে না। ঈদুল ফিতর যদি ২২শে সেপ্টেম্বর উদযাপিত হয় তাহলে ২৩শে সেপ্টেম্বরও পত্রিকা অফিস বন্ধ থাকবে। সে ক্ষেত্রে আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বরও কোন পত্রিকা প্রকাশিত হবে না। নোয়াব-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে। তবে আপনাদের খবরের ক্ষুধা মেটাতে নিরবিচ্ছিন্ন সংবাদ সরবরাহ করবে ই-বার্তা।

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

মহাজোট সরকারের ছাতার তলে কোন বিশৃংখলা প্রশ্রয় দেয়া হবে না.. ভেড়ামারায় ইফতার মাহফিলে হাসানুল হক ইনু এমপি


জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, সন্ত্রাস-দুর্নীতি দমনের প্রতিশ্র“তি দিয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। মহাজোট সরকারের ছাতার তলে কোন বিশৃংখলা প্রশ্রয় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কার্যকরভাবে দমন করতে হলে তারা কোনদলের নেতা-কর্মি তা বাছ-বিচার না করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। তা না হলে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব নয়। গতকাল সন্ধায় ভেড়ামারা উপজেলা অডিটোরিয়ামে কুষ্টিয়ার দুই বিশিষ্ট চিকিৎসক দম্পতি ডাঃ এস এম মুসতানজীদ ও ডাঃ ফাতেমা আশরাফ এর আয়োজনে এক ইফতার মাহফিলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডাঃ এস এম মুসতানজীদ ছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যাঞ্চেলর ডঃ এম আলাউদ্দিন। এতে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন।

মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

আজ চরমপন্থিদের বৈঠক হয়নি, হয়নি বন্দুকযুদ্ধও

পুলিশের সাড়াসি অভিযানে ও একের পর এক বন্দুকযুদ্ধে মারা যাবার পর চরমপন্থি-সন্ত্রাসীরা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। তারা গর্তে লুকাতে শুরু করেছে। অধিকাংশই পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতে অবস্থান নিয়েছে। পালাতে গিয়েও অনেকেই ধরা পড়ছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর হাতে। এ কারনে চরমপন্থিদের কর্মকান্ডও থেমে গেছে। গতরাতে কোন চরমপন্থি গ্রুপ গোপন বৈঠক করেনি। যে কারণে অতি চৌকস পুলিশ অফিসারদের নিকট গোপন সংবাদও আসেনি। ঘটেনি কোন বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা। পাওয়া যায়নি কোন লাশ বা আগ্নেয়াস্ত্র। রমজানে টিভি সাংবাদিকদের সেহেরী খেয়েই মোটর সাইকেল নিয়ে ছুটতে হয়নি। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটলে ভিডিও করে এনে তাদের সকালের খবর ধরাতে হতো। বিরতি পেয়েছে তারা। সেহেরী খেয়ে আরেকদফা ঘুমাতেও পেরেছে।
গতমাসে আইন-শৃংখলার চরম অবনতিতে কুষ্টিয়া সফরে আসে পুলিশ প্রধান নুর মোহাম্মদ ও র‌্যাবের প্রধান হাসান মাহমুদ খন্দকার। চরমপন্থিদের দমনে কঠোর হবার নির্দেশ দেবার পর থেকে শুরু হয় র‌্যাব ও পুলিশের সাড়াসি অভিযান। চলতি মাসে এ অভিযান আরো জোরদার হয়। প্রতিদিনই গোপন বৈঠকের খবর চলে আসতে থাকে পুলিশ ও র‌্যাবের হাতে। ঘটতে থাকে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা। ০৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার কয়া এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় জাসদ গণবাহিনী (লাল) এর হরিপুর ইউনিটের অন্যতম ক্যাডার মুরাদ হোসেন ওরফে ভোলা ডাকাত নিহত হয়। ৬ সেপ্টেম্বর মিরপুরের আমবাড়িয়ায় গণবাহিনীর সিরাজ গ্রুপের নেতা আব্দুল হান্নান ওরফে হানা পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। ৭ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার দুর্বাচারায় জাসদ গণবাহিনী (লাল) এর অন্যতম ক্যাডার আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশা নিহত হয়। একদিন বিরতি দিয়ে ০৯ সেপ্টেম্বর মিরপুর উপজেলার আমলা-মহদীপুরে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল-লাল পতাকা)’র শীর্ষ নেতা আনোয়ার হোসেন ওরফে কালো আনোয়ার নিহত নিহত হয়। ১০ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি মিস্ত্রিপাড়ার একটি বাগানে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ দলের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় গণমুক্তিফৌজের ক্যাডার সোহেল আহম্মেদ ওরফে টোকন নিহত হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া এলাকার জিকে ক্যানেলের কাছে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথদলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ এলাকার দুর্ধর্ষ কিলার জিকো পারভেজ ওরফে সম্রাট নিহত হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর শহরতলীর বাড়াদিতে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয় ডাকাত রেজাউল। ১৩ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার আইলচারা স্টিল ব্রিজের নিকটে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় গণবাহিনীর আঞ্চলিক নেতা মারফত বিশ্বাস। এদিনই শহরের হাউজিং ঈদগাহ’র পাশে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় গণমুক্তিফৌজের শীর্ষ ক্যাডার বিপ্লব। ১৪ সেপ্টেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার বেড়বাড়াদী জিকে ক্যানেলের ধারে পুলিশের সংগে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে জাসদ গণবাহিনীর সামরিক কমান্ডার সমির উদ্দিন ওরফে সমির মন্ডল। আর গতরাতে চরমপন্থিদের কোন বৈঠকের খবর জানতে পারেনি আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী।

পুলিশ-র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা বাড়লে কমে খুনের ঘটনা

অপরাধ প্রতিবেদক
কুষ্টিয়ায় পুলিশ ও র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা বাড়লে কমে হত্যাকান্ড। আর আইন প্রয়োগকারি সংস্থার সাথে বন্দুকযুদ্ধ থেমে গেলে বেড়ে যায় খুনোখুনির ঘটনা। গত ২৫ দিনে পুলিশ ও র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা পড়েছে ১৪ চরমপন্থি-সন্ত্রাসী। গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো এক ডাকাত। এসময় খুন হয়েছে মাত্র একজন। আর আগের ২৫ দিনে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে ২ জন, এসময় চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের হাতে খুনের সংখ্যা ১৩। গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো একজন।পুলিশ ও র‌্যাব প্রধান গত ২০ আগষ্ট কুষ্টিয়া ঘুরে যাবার পর শুরু হওয়া সাড়াসি অভিযান ও বন্দুকযুদ্ধের সময় একের পর এক চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের মৃত্যুর ঘটনায় কুষ্টিয়ার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আইন প্রয়োগকারি সংস্থাগুলো কঠোর অবস্থান নেয়ায় আবার গর্তে ঢুকে পড়েছে চরমপন্থি-সস্ত্রাসীরা। কমে এসেছে হত্যাকান্ডের ঘটনা। অন্যান্য এলাকা থেকে ধরে এনে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটায় শীর্ষ চরমপন্থিরা শেষ মেষ ভারতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। এরপরও সাধারন মানুষের ভেতর থেকে এখনো আতংক কাটেনি। তাদের আশংকা আইন প্রয়োগকারি সংস্থাগুলো একটু ছাড় দিলেই আবার জেকে বসবে ওইসব মুর্তিমান আতংক। ঈদের সামনে করে তার বড় ধরনে দুর্ঘটনাও ঘটাতে পারে বলে সাধারন মানুষের আশংকা। তবে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান অভয় দিয়েছেন। ই-বার্তাকে তিনি বলেছেন আমরা প্রস্তুত আছি যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে গত ২০ আগষ্ট কুষ্টিয়া আসেন পুলিশের মহাপরিদর্শক নুর মোহাম্মদ ও র‌্যাবের মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার। তারা এখানে এক সুধী সমাবেশ করেন। আইজি ঘোষনা দেন, সন্ত্রাসীরা একটি গুলি করলে পুলিশের ৫০টি করতে বাধা কোথায়। র‌্যাব প্রধান বলেন, চরমপন্থি-সন্ত্রাসীদের মদতদাতাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না, তিনি যে দলেরই হোক না কেন। কুষ্টিয়া অঞ্চলে পুলিশ ও র‌্যাবের শক্তি বৃদ্ধিসহ তারা একযোগে কাজ করবে বলে ঘোষনাও দেয়া হয় ওই সভায়। এরপরই শুরু হয় পুলিশ র‌্যাবের সাড়াসি অভিযান। তাদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে একের পর এক চরমপন্থি সন্ত্রাসীরা মারা পড়তে থাকে। পালানো শুরু করে বাকীরা। পুলিশ ও র‌্যাব প্রধানের কুষ্টিয়া সফরের আগের ২৫ দিনে অর্থাত ২৫ জুলাই থেকে ২০ আগষ্ট পর্যন্ত জেলায় চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয় ১৩ জন। এর মধ্যে চরম বিভৎসভাবে দেহ থেকে মাথা কেটে ফেলে আলাদা স্থানে রেখে দেয়া হয় ৪ জনের। ২৫ জুলাই চরমপন্থিদের গুলিতে খুন হন কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জামিল হোসেন বাচ্চু। ২৮ জুলাই আইলচারা থেকে চালক কাজিবুল ইসলাম দৌলতকে হত্যা মাইক্রো নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ২৯ আগষ্ট শহরের রাজাহাট এলাকায় প্রকাশ্যে দোকানে ঢুকে কমান্ডো স্টাইলে রাজু নামের এক যুবককে মাথায় গুলি করে চরমপন্থিরা। ভাগ্যক্রমে বেচে আচে রাজু। ১ আগষ্ট মিরপুরের সদরপুরে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে যুবলীগ নেতা টিপুকে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয় আরো দুজন। ৭ আগষ্ট রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের রিফায়েতপুরে গলার ভেতরে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে নয়ন ওরফে ফিকার নামের এক যুবককে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ১০ আগষ্ট কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ অফিসের প্রধান ফটকের দুই গজ ভেতরে তিনটি কাটা মাথা পাওয়া যায়। নিহত তিনজনই বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টির ক্যাডার। এরা হলো-বরইটুপি গ্রামের আইয়ুব, বংশীতলা গ্রামের জোয়াদ ও ভবানীপুরের কাইয়ুম শকাতি। কাটা মাথা থেকে ১৭ কিলোমিটার দুরে সদর উপজেলার সোনাইডাঙ্গা গ্রাম সংলগ্ন মাঠে একটি শসার ক্ষেতে দেহের সন্ধান পাওয়া যায়। জানা গেছে, ওই এলাকা থেকেই প্রতিপক্ষ চরমপন্থিরা তাদের ধরে ওই মাঠের মধ্যে জবাই করে। ১৫ আগষ্ট ভেড়ামারায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে কলেজ শিক্ষক বান্দা ফাত্তাহ মোহন নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মেহেরুল আলম পরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ১৬ কুমারখালী-রাজবাড়ী সড়কের কুমারখালীর আলাউদ্দিন নগরে সকালে পাওয়া যায় খাইরুল নামের এক ব্যবসায়ীর কাটা মাথা। পরদিন ৪ কিলোমিটার দুরে শিলাইদহের একটি ডোবায় পাওয়া যায় তার দেহ। এদিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক থেকে গলাকাটা গলিত অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার হয়। ১৯ আগষ্ট শহর থেকে অপহরন করে নিয়ে হত্যার পর পদ্মা নদীতে লাশ ফেলে রাখা হয় শাওন ও লিটন নামের দুই যুবকের। একই দিনে জগতি সুগার মিলের নিকটে রেল লাইনের উপর জবাই করে হত্যা করা হয় কদম আলী নামের এক জামায়াত নেতাকে। সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দরদপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের জন্যই কুষ্টিয়া অঞ্চলে শক্তিধর দুটি চরমপন্থি সংগঠন গণমুক্তিফৌজ ও গণবাহিনী এসব নৃশংসতা চালাতে থাকে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত খুনের ঘটনা ঘটেছে ৬৯টি। এর অধিকাংশই চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছে। এদিকে ২০ আগষ্ট পুলিশ ও র‌্যাব প্রধানের কুষ্টিয়া সফরের পর থেকে গত ২৫দিনে চরমপন্থি-সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছে মাত্র ১জন। ৩০ আগষ্ট মিরপুর উপজেলার কালিনাথপুরে আব্দুর রহিম নামের এক ভ্যানচালককে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। তবে নিহত ব্যক্তির শরীরে কোথাও আঘাতের কোন চিহ্ন ছিলনা। স্থানীয় একজন ঠিকাদার বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ক্রসফায়ার থেমে যাওয়ায় সন্ত্রাসীরা গর্ত থেকে বের হয়ে এসে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। দিনদিন অশান্ত করে তোলে এই জনপদ। তিনি বলেন, দেশের অন্য অঞ্চলের সাথে এ অঞ্চলের চিত্রের মিল নেই। তাই এখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতিও অন্য রকম। আমরা মনে করি সাধারন মানুষের অধিকার রক্ষা করাই হলো মানবাধিকার। যে পদ্ধতিতে আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা পাবো সেটাই আমাদের কাছে কাম্য। আর এর জন্য ক্রসফায়ারের কোন বিকল্প নেই। কথা হয় একজন শিশু সংগঠক ও ব্যবসায়ী নেতার সাথে। তিনি বলেন, বন্দুকযুদ্ধ অব্যাহত রেখে চাপে ফেলে চরমপন্থিদের আত্মসমর্পন করাতে পারলে একটা স্থায়ী সমাধান হয়। তবে গত ৩০ আগষ্ট স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থিদের আত্মসমর্পনের আহবান জানালেও এখনো কেউ সাড়া দেয়নি। ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টার শুরুর পর থেকে কুষ্টিয়া জেলায় এ পদ্ধতিতে মৃত্যু হযেছে মোট ৩০২ জনের। চলতি বছরে এর সংখ্যা মাত্র ১৮। যে সময়টুকু সবচেয়ে অশান্ত চিল অর্থাৎ পুলিশ ও র‌্যাব প্রধানের কুষ্টিয়া সফরে আসার আগের ২৫ দিনে বন্দুকযুদ্ধে ২ জন চরমপন্থি নিহত হয়। ০২ আগস্ট মিরপুরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় জনযুদ্ধের ক্যাডার জাহাঙ্গীর ও ইয়ারুল। আর তারা ঘুরে যাবার পরের ২৫ দিনে অর্থাৎ ২১ আগষ্ট থেকে গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ পদ্ধতিতে নিহত হযেছে ১৪জন চরমপন্থি সন্ত্রাসী। গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো একজন। ২২ আগষ্ট দৌলতপুর উপজেলার জগন্নাথপুরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে পূর্ব বাংলার কমিউিনিষ্ট পার্টি(এমএল জনযুদ্ধ) ক্যাডার নাহারুল নিহত হয়। ২৫ আগষ্ট কুষ্টিয়া শহর সংলগ্ন মহাশ্বশান এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় জাসদ গণবাহিনী (লাল) এর হরিপুর ইউনিটের কমান্ডার শাহীনুর রহমান ডাবলু নামের এক চরমপন্থি নিহত হয়। পুলিশ জানায়, ২৬ আগষ্ট শহরের মজমপুরে সন্ত্রাসীদের দুইপক্ষ ও পুলিশের ত্রিমুখী বন্দুকযুদ্ধে সুমন ও সোহেল খুন হয়। পরে ভারত থেকে ফোন করে পূর্ব বাংলার কমিউিনিষ্ট পার্টির কুষ্টিয়া জেলা কমান্ডার পরিচয়ে সাংবাদিকদের নিকট এ হত্যার দায় স্বীকার করা হয়। ২৯ আগষ্ট সদর উপজেলার ঝাউদিয়া বামনগ্রামে পুলিশ ও র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গণবাহিনীর কমান্ডার বাউল মেম্বার নিহত হয়। ০৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার কয়া এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় জাসদ গণবাহিনী (লাল) এর হরিপুর ইউনিটের অন্যতম ক্যাডার মুরাদ হোসেন ওরফে ভোলা ডাকাত নিহত হয়। ৬ সেপ্টেম্বর মিরপুরের আমবাড়িয়ায় গণবাহিনীর সিরাজ গ্র“পের নেতা আব্দুল হান্নান ওরফে হানা পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। ৭ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার দুর্বাচারায় জাসদ গণবাহিনী (লাল) এর অন্যতম ক্যাডার আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশা নিহত হয়। ০৯ সেপ্টেম্বর মিরপুর উপজেলার আমলা-মহদীপুরে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল-লাল পতাকা)’র শীর্ষ নেতা আনোয়ার হোসেন ওরফে কালো আনোয়ার নিহত নিহত হয়। ১০ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি মিস্ত্রিপাড়ার একটি বাগানে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ দলের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় গণমুক্তিফৌজের ক্যাডার সোহেল আহম্মেদ ওরফে টোকন নিহত হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া এলাকার জিকে ক্যানেলের কাছে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথদলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ এলাকার দুর্ধর্ষ কিলার জিকো পারভেজ ওরফে সম্রাট নিহত হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর শহরতলীর বাড়াদিতে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয় ডাকাত রেজাউল। ১৩ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার আইলচারা স্টিল ব্রিজের নিকটে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় গণবাহিনীর আঞ্চলিক নেতা মারফত বিশ্বাস। এদিনই শহরের হাউজিং ঈদগাহ’র পাশে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় গণমুক্তিফৌজের শীর্ষ ক্যাডার বিপ্লব। ১৪ সেপ্টেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার বেড়বাড়াদী জিকে ক্যানেলের ধারে পুলিশের সংগে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে জাসদ গণবাহিনীর সামরিক কমান্ডার সমির উদ্দিন ওরফে সমির মন্ডল।এছাড়াও জোরদার করা হয়েছে নানামুখী অভিযান। গত ২৬ আগষ্ট রাতভর কুষ্টিয়ার হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ গ্রামে ব্যাপক তল্লাশ করেছে শতাধিক পুলিশ ও র‌্যাবের বিশাল বাহিনী। এ অভিযানে কোন অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। গ্রেফতার হয় বাউই ও জহুরুল নামের দুজন। ধারণা করা হচ্ছে পুলিশ যাবার খবর আগেই পৌছে যাওয়ায় অভিযানে বড় কোন সফলতা আসেনি। চারিদিকে নদী বেষ্টিত হরিপুর ইউনিয়নে অবস্থানকারি চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের নদী ঘাটে সোর্স বসানো আছে। আইন প্রয়োগকারি সংস্থার লোক নদী পার হলেই তাদের কাছে খবর পৌছে যায়। ২৮ আগষ্ট কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রাম থেকে একটি দোনলা ও দুইটি একনলা বিদেশী বন্দুকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ। ৩ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশ পোড়াদহ্ এলাকা থেকে ৪জনকে গ্রেফতার করে। এদের নিকট থেকে উদ্ধার হয় রাইফেল, বন্দুক, রিভলভার ও সাটার গান। ৪ সেপ্টেম্বর র‌্যাব শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকা থেকে বিদেশী পিস্তলসহ দুজনকে গ্রেফতার করে। কুষ্টিয়া অঞ্চলের অপরাধ বিশ্লেষন করতে গিয়ে পুলিশের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, এ অঞ্চলে আইন প্রয়োগকারি সংস্থা যখন চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের দমনে কোন বিশেষ ব্যবস্থা (ক্রসফায়ার) গ্রহণ করে তখন হত্যাকান্ডের ঘটনা কমে আসে। আবার পরিস্থিতি শান্ত হবার পর কিছুটা ঢিলাভাব চলে আসলে সক্রিয় হয়ে ওঠে চরমপন্থিরা। তিনি সরকারকে পরামর্শ দেন বন্দুকযুদ্ধ চালিয়ে যাবার।

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সংগে বন্দুকযুদ্ধে সমির নামের এক চরমপন্থি নিহত



কুষ্টিয়ায় আরো এক চরমপন্থি পুলিশের সংগে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।এবার নিহত হয়েছে জাসদ গণবাহিনীর সামরিক কমান্ডার সমির উদ্দিন ওরফে সমির মন্ডল। পুলিশ জানায়, আজ ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার বেড়বাড়াদী জিকে ক্যানেলের ধারে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। চরমপন্থি একটি দল ওই ক্যানেলের উপর দিয়ে যাবার সময় থানার টহল পুলিশের সামনে পড়ে। পুলিশ দেখে তারা গুলি চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় আধাঘন্টা বন্দুকযুদ্ধ চলে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরে চরমপন্থিরা গুলি করতে করতে চলে গেলে পুলিশ সমিরের লাশ, একটি এলজি ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। সমিরের লাশ দেখতে ওই এলাকায় শত শত মানুষের ঢল নামে।
নিহত সমির ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার মহিষাডাংগা গ্রামের গনি মন্ডলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৪টি হত্যাসহ ৬টি মামলা রয়েছে।

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় চিনি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ইচ্ছামতো বাড়াচ্ছে দাম






কুষ্টিয়ার একটি শক্তিশালী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ইচ্ছামতো বাড়িয়ে দিচ্ছে চিনির দাম। গতকাল রোববার চিনি খুচরা বিক্রি হয়েছে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এরা ইচ্ছামাফিক কেনা বেচা করছে এ রকম অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাজার মনিটরিং এর জেলা কমিটি গতকাল দুপুরে বের হয় বাজার মনিটরিং-এ। অতিরিক্ত জেলা ম্যজিষ্ট্রেট ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মল্লিক সাঈদ মাহমুদ, ম্যাজিষ্ট্রেট এহতেশামুল হক, বিপুল পরিমান পুলিশ ও র‌্যাবের সমন্বয়ে ওই মনিটরিং দল সিন্ডিকেটের নেতা চিত্তরঞ্জন পাল, সুনীল সুরেকা ও সুবল চন্দ্রসাহার গুদামসহ শহরের বেশ কয়েকটি চিনির গুদাম পরিদর্শন করেন। তারা চিনি কেনা বেচায় নানা অনিয়মের সন্ধান পান। খবর ই-বার্তার। কোনরূপ রেজিষ্টার মেইনটেইন হয়না এসব গুদামে। যাদের কাছে বিক্রি করা হয় ভাউচারে তাদের নাম ঠিকানা ঠিকমতো লেখা হয়না। বিক্রয়কেন্দ্রে ক্রয় বিক্রয়ের তালিকা টানানো থাকলেও তার ঘরগুলো ফাকা পাওয়া যায়। আবার অনেক স্থানে তালিকা থাকলে সে মোতাবেক বিক্রি হয়না। গুদামে চিনি মজুদ রাখা হয় ইচ্ছামতো। এসব গুদামে অন্তত ৫হাজার বস্তা চিনি মজুদ আছে বলে মনিটিরিং কমিটি নিশ্চিত হয়েছে। মজুদের যে তালিকা টানানো হয়েছে তার সাথে গুদামের মিল নেই। চিনির আমদানী বা ক্রয় স্লিপে দর উল্লেখ না থাকায় ব্যবাসায়ীরা কেজিপ্রতি কত টাকা লাভ করছে তা নিরুপন করতে পারেনি মনিটরিং দল জেলা চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন পাল এর গুদামে পরিদর্শনে গেলে ব্যবসায়ীরা মনিটরিং দলের নেতৃবৃন্দর উপর চড়াও হয়। এসময় কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ই্ন্ডাষ্ট্রির সভাপতি আশরাফ উদ্দিন নজু ও অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতা এবং পুলিশ র‌্যাবের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে জেলা চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন পাল হুমকি দেন, বেশি কড়াকড়ি আরোপ করা হলে ব্যবাসায়ীরা চিনি কেনা-বেচা বন্ধ করে দেবে। ই-বার্তার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, সিন্ডিকেটের নেতারা ক্রয় স্লিপে মূল্য উল্লেখ না করে যোগসাজসের মাধ্যমে ৪২-৪৪টাকা দরে চিনি কিনে এনে ইচ্ছামতো ৫৬-৫৮টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। এছাড়াও কুষ্টিয়া সুগার মিলের ডিলার এখানকার অনেক প্রভাবশালী ব্যবাসায়ী ৩৩টাকা কেজি দরে চিনি ক্রয় করে বিপুল পরিমান লাভে মিল গেটেই বিক্রি করে দিচ্ছেন। আবার অনেকেই ডিও (ক্রয় অর্ডার) বিক্রি করে দিচ্ছেন।
এদিকে গতকাল বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাজার মনিটরিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় পরবর্তিতে ঠিকমতো রেজিষ্টার মেইনটেইন না করলে বা কেজিপ্রতি ১ টাকার বেশি লাভ করলে সেইসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এছাড়াও দর যাচাইএর জন্য মনিটরিং কমিটির একটি দল আজ খুলনার নওয়াপাড়ায় পরিদর্শনে যাবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যজিষ্ট্রেট ফজলুর রহমান ই-বার্তাকে বলেন, কয়েকদিন আগে এসব ব্যবাসায়ীদের চিনি ক্রয় বিক্রয়ের ব্যাপারে সরকারি নীতিমালা মেনে চলার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়। কিন্তু তারা ইচ্ছামতো ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় ঈদের সামনে করে চিনির বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে গণমুক্তি ফৌজের ও গণবাহিনীর আরো দুই চরমপন্থি নিহত




কুষ্টিয়া, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯কুষ্টিয়ায় আইন প্রয়োগকারি সংস্থার সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় একের পর এক নিহত হচ্ছে চরমপন্থিরা। উদ্ধার হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশ ও র‌্যাবের সাড়াসি অভিযানে প্রতিদিন ভোর রাতেই এ ধরনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ ও র‌্যাব প্রধান গতমাসে কুষ্টিয়া সফরে এসে চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমনের ঘোষনা দেবার পর থেকে তিন সপ্তাহে এ ধরনের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় শীর্ষ দুই চরমপন্থি সংগঠন গণমুক্তি ফৌজ ও গণবাহিনীর ১৩ সদস্য নিহত ও ১জন আহত হয়েছে। আজ ভোররাতেও পৃথক দুটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় নিহত হয়েছে গণমুক্তি ফৌজের দুর্ধর্ষ ক্যাডার বিপ্লব ও গণবাহিনীর আঞ্চলিক নেতা মারফত বিশ্বাস। পুলিশ জানায়, কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ঈদগাহ’র পাশের মাঠে একদল চরমপন্থী বৈঠক করছে এ সংবাদ পেয়ে ডিবি ও সদর থানা পুলিশের একটি টিম আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সেখানে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। এক পর্যায়ে গণমুক্তি ফৌজের শীর্ষ ক্যাডার বিপ্লব গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পুলিশ সেখান থেকে দুটি এলজি ও ৯ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করে। বিপ্লবের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৯টি মামলা রয়েছে। বিপ্লব শহরের কালিশংকরপুরের ড. তোফাজ্জলের ছেলে।
এদিকে সদর উপজেলার আইলচারা ষ্টীল ব্রীজের কাছে সাগরখালী নদীর তীরে একদল চরমপন্থী গোপন বেঠক করছে এ খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশের অপর একটি টিম ভোর ৪টার দিকে সেখানে হানা দেয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থীরা গুলি বর্ষণ শুরু করে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ বাধে। এক পর্য়ায়ে চরমপন্থীরা পিছু হটলে পুলিশ জাসদ গণবাহিনীর আঞ্চলিক নেতা মারফত বিশ্বাসের গুলিবিদ্ধ লাশ এবং একটি সাটার গান ও ৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করে। মারফতের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা ও ২টি অপহরণসহ ৬টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। সে বড় আইলচারার মৃত ইসাহক আলীর ছেলে।

কুষ্টিয়ায় গুলি বিনিময়ের পর গুলিবিদ্ধ এক ডাকাত আটক, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার


কুষ্টিয়ায় পুলিশের সাথে ডাকাত দলের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রেজাউল হক নামে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে আটকের পর হাসাপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শনিবার ভোর রাত ৪টার দিকে শহরতলীর বাড়াদি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, একদল ডাকাত বাড়াদি এলাকার একটি বাড়িতে বসে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এ সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে রেজাউল গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৫ রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ ও একটি রাম দা উদ্ধার করেছে।

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ার বালিয়াপাড়ায় পুলিশ-র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গণমুক্তিফৌজের দুর্ধর্ষ কিলার সম্রাট নিহত

কুষ্টিয়ায় পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথদলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ এলাকার দুর্ধর্ষ কিলার জিকো পারভেজ ওরফে সম্রাট নিহত হয়েছে। শুক্রবার ভোর রাতে সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া এলাকার জিকে ক্যানেলের কাছে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহে কুষ্টিয়ায় আইন প্রয়োগকারি সংস্থার সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১১ চরমপন্থি নিহতের ঘটনা ঘটলো। পুলিশ জানায়, সম্রাটের নেতৃত্বে একদল চরমপন্থী বালিয়াপাড়া এলাকার জিকে ক্যানেলের কাছে গোপন বৈঠক করছে এ খবর পেয়ে কুষ্টিয়া সদর থানা, ডিবি পুলিশ ও র‌্যাব-১২ এর সমন্বয়ে গঠিত যৌথদল ভোর রাত ৪টার দিকে সেখানে অভিযান চালায়। চরমপন্থিরা র‌্যাব-পুলিশ দেখেই গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। একপর্যায়ে চরমপন্থিরা পিছু হটলে পুলিশ সম্রাটের গুলিবিদ্ধ লাশ, একটি সাটার গান, একটি এলজি, ৪ রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ ও ৩ রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করে।পুলিশ জানায়, সম্রাট বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আজিজ বিশ্বাসের ছেলে। সেনাবাহিনীর চাকরী পেলেও পরে ট্রেনিং চলাকালে পালিয়ে এসে সে চরমপন্থী সংগঠনে যোগ দেয়। নিখুতভাবে হত্যাকান্ড চালাতে পারতো বলে তাকে কিলার সম্রাট বলা হতো। তার বিরুদ্ধে ৩টি হত্যাসহ ৫টি মামলা আছে।

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় পুলিশ-র‌্যাবের যৌথ দলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গণমুক্তিফৌজের ক্যাডার টোকন নিহত

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি মিস্ত্রিপাড়ার একটি বাগানে গত রাতে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ দলের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় গণমুক্তিফৌজের ক্যাডার সোহেল আহম্মেদ ওরফে টোকন (২৭) নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, টোকন সম্প্রতি আলোচিত চরমপন্থি সংগঠন গণমুক্তিফৌজে যোগ দিয়েছিল। এর আগে সে পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল জনযুদ্ধ)-এর সক্রিয় ক্যাডার ছিল। তার বিরুদ্ধে ৫টি হত্যা মামলাসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে।পুলিশ জানায়, খলিসাকুন্ডি মিস্ত্রিপাড়ার একটি বাগানে চরমপন্থিরা বৈঠক করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে পুলিশ ও র‌্যাবের একটি যৌথদল সেখানে অভিযান চালায়। এদের দেখতে পেয়ে চরমপন্থিরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশ ও র‌্যাব পাল্টা গুলি চালালে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় টোকন। চরমপন্থিরা পিছু হটলে র‌্যাব সেখান থেকে তার মৃতদেহসহ একটি এলজি, ৫রাউন্ড গুলি ও একটি হাসুয়া উদ্ধার করে।নিহত কালো টোকন দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডির মনির উদ্দিনের ছেলে।

বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থি সংগঠন লাল পতাকার শীর্ষ নেতা কালো আনোয়ার নিহত

কুষ্টিয়া, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯
কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার আমলা-মহদীপুরে আজ সকালে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল-লাল পতাকা)’র শীর্ষ নেতা আনোয়ার হোসেন ওরফে কালো আনোয়ার(৩০) নিহত নিহত হয়েছে। র‌্যাব জানায়, আনোয়ার বর্তমানে আলোচিত চরমপন্থি সংগঠন গণমুক্তিফৌজের প্রধান সমন্বয়কারি হিসেবেও কাজ করছিলো। তার বিরুদ্ধে ভেড়ামারার আওয়ামী লীগ নেতা মেহেরুল আলম ও কলেজ শিক্ষক বান্দা ফাত্তাহ মোহন হত্যা মামলাসহ অন্ততঃ এক ডজন হত্যা মামলা রয়েছে। র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে র‌্যাবের একটি দল ঢাকা থেকে আনোয়ারকে গ্রেফতার করে। পরে কুষ্টিয়া ক্যাম্পে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার অস্ত্রভান্ডার সম্পর্কে তথ্য দেয়। সেই সূত্রে তাকে নিয়ে আজ সকালে অভিযানে বের হয় র‌্যাবের একটি দল। আমলা মহদীপুর গ্রামে পৌছালে আনোয়ারের অনুসারী চরমপন্থিরা তাকে ছাড়িয়ে নেবার জন্য র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এই বন্দুকযুদ্ধের সময় র‌্যাব হেফাজত থেকে পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় আনোয়ার। চরমপন্থিরা পিছু হটলে র‌্যাব সেখান থেকে আনোয়ারের মৃতদেহসহ একটি সাটার গান, রাউন্ড গুলি ও ৪টি হাতবোমা উদ্ধক্ষ করে।নিহত কালো আনোয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা খামারপাড়া গ্রামের আমান মালিথার ছেলে। ১৯৯৭-৯৮ সালে সে আমলা সরকারি ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলো। এইচএসসি পাশ করার পর সে পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল জনযুদ্ধ) নামের চরমপন্থি সংগঠনে যোগ দেয়। পরে সেখান থেকে ভেঙ্গে সে গঠন করে পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল-লাল পতাকা)।

সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গণবাহিনী ক্যাডার আশা নিহত

কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গণবাহিনীর লাল গ্রপের ক্যাডার আশরাফৃুল আলম ওরফে আশা নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোররাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার দুর্বাচারা-করিমপুর সড়কের ব্রীজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। র‌্যাব-এর ভাষ্যমতে, চরমপন্থীদের গোপন বৈঠকের সংবাদ পেয়ে কুষ্টিয়ার র‌্যাব ১২ এর সদস্যরা সেখানে অভিযান চালায়। এসময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। জবাবে র‌্যাব পাল্টা গুলি ছুড়লে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। এক পর্যায়ে চরমপন্থীরা পিছু হটলে র‌্যাব আশরাফুলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ২ রাউন্ড বন্দুকের গুলি এবং ২টি তরবারী উদ্ধার করা হয়। নিহত আশরাফুল দুর্বাচারা গ্রামের মৃত মোনাব্বর মন্ডলের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে।

রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থী নেতা হান্নান নিহত

কুষ্টিয়ার মিরপুরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে চরমপন্থী নেতা আব্দুল হান্নান ওরফে হানা। সে নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর সিরাজ গ্র“পের সেকেন্ড ইন কমান্ড। গতকাল রোববার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে মিরপুর উপজেলার আমবাড়ীয়া ইউনিয়নের আনন্দনগর এলাকার একটি ইটভাটায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, আনন্দনগর এলাকার একটি ইটভাটায় চরমপন্থীরা গোপন বৈঠক করছে এ সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুর থানা পুলিশ ভোর রাতে সেখানে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থীরা তাদের উপর গুলি বর্ষণ শুরু করে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে উভয় পরে মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ বাধে। এক পর্যায়ে চরমপন্থীরা পিছু হটলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হান্নানের গুলিবিদ্ধ লাশ ও একটি পাইপগান এবং ৫ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করে। নিহত হান্নানের বিরুদ্ধে একটি ফোর মার্ডার মামলাসহ অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে। সে মিরপুর উপজেলার আমবাড়ীয়া গ্রামের মৃত শাহাদত মন্ডলের ছেলে।
পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে কুষ্টিয়ায় একের পর এক চরমপন্থি সন্ত্রাসীর মৃত্যু ও কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

পুলিশের সাথে বন্দুকযযুদ্ধে হরিপুরের ভোলা চোর নিহত


কুষ্টিয়ার কয়া এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় মুরাদ হোসেন ওরফে ভোলা চোর (৪০) নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, ভোলা গণবাহিনী (লাল) এর হরিপুর ইউনিটের অন্যতম ক্যাডার। গত (শুক্রবার) রাতে স্থানীয় ও বহিরাগত একদল চরমপন্থির সাথে সে কয়া চাইল্ড হ্যাভেন স্কুল প্রাঙ্গনে বৈঠক করছিলেন। এ খবর পেয়ে কুষ্টিয়া ডিবি ও কুমারখালী থানা পুলিশ রাত ৩টার দিকে ওই এলাকায় অভিযান চালায়। চরমপন্থিরা পুলিশ দেখেই গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। একপর্যায়ে চরমপন্থিরা পিছু হটলে পুলিশ ভোলার লাশ, একটি সাটার গান ও ২ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত ভোলা সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের পুরাতন কুষ্টিয়া গ্রামের মৃত মঙ্গল আলীর ছেলে। সে নদীতে ডাকাতি, অপহরন, চাঁদাবাজি, ট্রাক ডাকাতি, গরু চুরি, মোটরসাইকেল ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলো। ইউপি চেয়ারম্যান এম মোস্তাক হোসেন মাসুদের বডিগার্ড বলেই পরিচিত ছিলো ভোলা। এলাকাবাসী জানায়, বেশিরভাগ সময়ই সে চেয়ারম্যানের সাথেই থাকতো। কেউ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বললেই অস্ত্র নিয়ে ছুটে আসতো, মহড়া দিত। পুলিশ জানায়, ভোলার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া ও পাবনা জেলার বিভিন্ন থানায় ৫টি হত্যাসহ অন্তত এক ডজন মামলা আছে।

শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়া র‌্যাব বিদেশী পিস্তলসহ দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে

কুষ্টিয়া শহরের কোর্ট ষ্টেশন এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে একটি বিদেশী পিস্তলসহ দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এরা হলো শহরের কোর্টপাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে তুফান ও চর মিলপাড়ার আব্দুল মোতালেবের ছেলে সুজন। র‌্যাব জানায়, এরা ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। ই-বার্তা। রাতে ষ্টেশনের নিকটে দাড়িয়ে তারা কোন অপকর্মের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল তাদের গ্রেফতার করে। তাদের নিকট থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, দুটি ছোরা ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মামলা দিয়ে কুষ্টিয়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থীদের মদদদাতাদের তালিকা করা হয়েছে-র‌্যাবের ডিজি


র‌্যাব মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থীদের মদদদাতাদের তালিকা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার র‌্যাবের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, চরমপন্থীদের মদদদাতা বা যারা পরোক্ষভাবে তাদের হয়ে কাজ করছে তাদের অনেকের পরিচয় পাওয়া গেছে। অন্যদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এছাড়া চরমপন্থীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে রাখতে র‌্যাবের কার্যক্রম বেগবান করা হয়েছে।
হাসান মাহমুদ বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চরমপন্থীদের মাধ্যমে যেসব ঘটনা ঘটছে, তার পেছনের অন্যতম কারণ টেন্ডারবাজি আর চাঁদাবাজি। তবে সেখানে এখন চরমপন্থীদের তৎপরতা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবপ্রধান বলেন, চরমপন্থী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার চিন্তা-ভাবনা করা যেতে পারে।
প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ পাঁচ বছর চলার পথে র‌্যাবের কাজে কিছু ব্যত্যয়, কিছু বিচ্যুতি ঘটতে পারে মন্তব্য করেন র‌্যাবপ্রধান। তিনি বলেন, এসব ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি। আমরা এসব থেকে পরবর্তী পথ চলার শিক্ষা নেব।
সাংবাদিকদের মতবিনিময় শুরুর আগে র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ র‌্যাবের পক্ষ থেকে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকায় ৬২৪ জন র‌্যাব সদস্যকে বিভিন্নভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩১৪ জনকে গুরুদণ্ড এবং অন্যদর লঘুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এছাড়া নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয় ১৩২ জনকে। জলে, স্থলে ও আকাশপথে র‌্যাবের ত্রিমাত্রিক সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে মহাপরিচালক জানান, এ বছরের মধ্যে র‌্যাবে দুটি হেলিকপ্টার যুক্ত হতে যাচ্ছে। র‌্যাবের পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়, ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ কার্যক্রম চালু হওয়ার পর থেকে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৪৭২টি ঘটনায় ৫৭৭ জন ক্রস ফায়ারে মারা গেছে। দীর্ঘ এ প্রায় পাঁচ বছরে র‌্যাব প্রায় সাড়ে ৫২ হাজার অপরাধী-সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ৪৬১ জন জেএমবি সদস্য। এ সময়ে ছয় হাজার অবৈধ অস্ত্র এবং প্রায় ৫৩ হাজার রাউন্ড বিভিন্ন অস্ত্রের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এই পাঁচ বছরে এক লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৬০ কেজিরও বেশি হেরোইন এবং ১০ লাখ ৯৮ হাজার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। একই সময়ে ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা জরিমানা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা করেছে র‌্যাব।
এছাড়া টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরী কমিশনের (বিটিআরসি) র‌্যাবের সহায়তায় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় জড়িত অভিযোগে বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানির কাছ থেকে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে বলেও পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় ৪টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৪জন গ্রেপ্তার


কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশ মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের কলাবাড়ীয়া এলাকা থেকে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। মিরপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন ই-বার্তাকে জানান, বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৫টায় করাবাড়ীয়া গ্রামের আবেদের নার্সারী ও সাত্তার মোল্লার পুকুরের পাশ থেকে ১টি পয়েন্ট টুটু বোর রাইফেল, একটি একনলা বন্দুক, একটি রিভলবার ও একটি শার্টারগান এবং ৪ রাউন্ড রিভলবারের গুলি উদ্ধার করে। এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রাখার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে উপজেলার আহাম্মদপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন পাঞ্জের, তার দুই ছেলে টুটুল ও মিতুল এবং একই উপজেলার কলাবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল আলিমকে। এর আগে বুধবার দুপুরে এদের মুক্তির দাবিতে জেলা প্রশাসকের দপ্তর ঘেরাও করে ওই এলাকার লোকজন। তাদের দাবি গ্রেপ্তারকৃতরা নিরীহ প্রকৃতির।

তারেকের কারামুক্তি দিবসে উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় পাল্টাপাল্টি আলোচনা সভা


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় পাল্টাপাল্টি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ই-বার্তা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় শহরের মজমপুর গেটে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রিয় সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। সোহরাব উদ্দিন বলেন, মারবো এখানে লাশ পড়বে শ্বশানে ভারতের সিনেমার এ ডায়লগের মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে কুষ্টিয়ায়। অথচ এই র‌্যাব এই পুলিশ দিয়েই বিএনপির আমলে কুষ্টিয়ার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে ছিল।

অপরদিকে বেলা ১১টায় কোর্টপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান আলোর সভাপতিত্বে আলোচন সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফিরোজ আফতাব উদ্দিন, শহর বিএনপির আহ্বায়ক এমএ শামীম আরজুসহ অন্যান্যরা। আলোচনা শেষে তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

দৌলতপুরে হত্যা মামলার ভিকটিম জীবিত উদ্ধার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অপহরন করে হত্যার পর লাশ গুম মামলার ভিকটিমকে একমাস পর জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার এসআই বিপ্লব অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকার নায়াগ্রা গার্মেন্টস-এ কর্মরত অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় ভিকটিম মজনুর রহমানকে উদ্ধার করে। ,দৌলতপুর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান ই-বার্তাকে জানান, জানায়, গত ১লা আগষ্ট ভিকটিম মজনুর পিতা আনারুল বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা (নং-৩) দায়ের করেন। মামলায় ৭জনকে আসামী করে বাদী উল্লেখ করেন, তার ছেলেকে চাঁদার দাবিতে ৭মাস আগে অপহরন করে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার লাশ গুম করা হয়। উল্লেখ্য ৭মাস আগে সে অপহরনের অভিযোগে থানায় জিডিও করেছিলেন। মিথ্যা এ গুম মামলায় গ্রেফতারকৃত পলান শাহ নামের এক মুক্তিযোদ্ধা হাজতবাস করছেন। ভিকটিম মজনুর বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার তেলেগাংদিয়া গ্রামে।

বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম সম্পাদককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও


কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আহাম্মদপুর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জাসদ কর্মি ইসমাইল হোসেন পাঞ্জেরসহ ৪ জনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে তার এলাকার ৩/৪শ’ নারী-পুরুষ। তারা এসময় গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবীতে স্লোগান দেয়। পরে তারা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি দিতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্য করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আন্দোলনকারীরা জানায়, বুধবার ভোর রাতে সেহেরী খাওয়ার সময় ইসমাইল হোসেন পাঞ্জের, তার দুই ছেলে টুটুল ও মিটুল এবং কাজের লোক আলিমকে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। আন্দোলনকারীদের দাবী গ্রেফতারকৃতরা নিরীহ লোক। তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অভিযোগ নেই। তবে স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ করেন, ইসমাইল হোসেন পাঞ্জের নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর সক্রিয় ক্যাডার। গত ৪দলীয় জোট সরকারে আমলে সেই সময়ের স্থানীয় এমপি শহীদুল ইসলামের হাত ধরে সে বিএনপিতে যোগ দেয়। এরপর তিনি আহাম্মদপুর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। ওয়ার ইলেভেনের পর পাঞ্জের জাসদে যোগ দেয়। জেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন ই বার্তাকে জানান, পাঞ্জের জাসদের কর্মি। সে গত নির্বাচনে হাসানুল হক ইনুর পক্ষে ভোট করেছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের কোন অভিযোগ নেই।
এদিকে এ গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশ। পুলিশ এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় মোবাইল কোর্ট পুলিশের দুঃব্যবহারে ব্যবসায়ীদের থানা ঘেরাও


ডিলিং লাইসেন্স আছে কি না পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়ার দোকানে দোকানে মোবাইল কোর্টের অভিযান চলছিল গতকাল দুপুরে। এসময় জরিমানা দিতে না চাওয়া এক দোকানীকে কলার ধরে টেনে পুলিশের গাড়ীতে তুলতে গেলে ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে মোবাইল কোর্টের কেউ আহত না হলেও তারা ব্যবসায়ীদের ধাওয়া খেয়ে অভিযান বন্ধ করে দ্রুত কুষ্টিয়া থানায় অবস্থান নেয়। ব্যবসায়ীকে অপমানের প্রতিবাদে মুহুর্তের মধ্যে শহরের সমস্ত দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা কুষ্টিয়া থানা ঘেরাও করে রাখে।
জানা গেছে, বেবী ফুড, কাপড়, লৌহজাত দ্রব্য, সিমেন্ট, সোনা, সুতা ও টিনজাতীয় দ্রব্য বিক্রির জন্য জেলা প্রশাসকের ডিলিং লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। এ লাইসেন্স আছে কিনা পরীক্ষার জন্য আজ দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টের অভিযান শুরু হয়। কয়েকটি দোকানে তারা এক হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করে।ই বার্তার নিকট ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কোথাও তারা ডিসিআর কেটে জরিমানার টাকা আদায় করছিলেন আবার কোথাও সাদা কাগজে লিখে রসিদ দিচ্ছিলেন। এনএস রোডের লালন শাহ বিপনী বিতানের ঝলক ক্লথ স্টোর এর মালিকের নিকট থেকে সাদা কাগজে লেখা স্লিপ দিয়ে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করতে গেলে বিপত্তি বাধে। ওই দোকানের মালিক ইকবাল হোসেন ডিসিআর ছাড়া টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মোবাইল কোর্টের সদস্য এএসআই মাসুদ তাকে কলার ধরে টানা হেচরা করে পুলিশের গাড়ীতে তুলতে যান। এসময় ব্যবসায়ীরা উত্তেজিত হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে মোবাইল কোর্ট বন্ধ করে ওই ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে থানায় অবস্থান নেয় ম্যাজিষ্ট্রেটসহ সবাই। এরপর সকল ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান প্রতিষ্টান বন্ধ করে থানা ঘেরাও করে। পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থানায় এসে ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করেন। আলোচনা চলাকালে ব্যবাসায়ীরা থানা ঘেরাও করে রাখে। এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ফজলুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) গিয়াস উদ্দিন, এনডিসি জালাল সাইফুর রহমান, পুলিশের পক্ষে ছিলেন সহকারি পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন আর ব্যবসায়ীদের পক্ষে ছিলেন জেলা দোকান মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি পারভেজ মাজমাদার ও সাধারন সম্পাদক মকবুল হোসেন। আলোচনা শেষে সাদা রসিদে টাকা নেবার কারনে পেশকার আব্দুল মোতালিবকে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘোষনা দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ফজলুর রহমান। ব্যবসায়ীকে টানা হেছড়া করার অভিযোগে এএসআই মাসুদকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করার ঘোষনা দেন এএসপি আলমগীর হোসেন। এরপর ব্যবসায়ীরা তাদের ঘেরাও কর্মসূচী ও ধর্মঘট তুলে নেন।
এ ব্যাপারে এনডিসি জালাল সাইফুর রহমান ই-বার্তাকে জানান, কয়েকদিন আগে দোকানীদের ডিলিং লাইসেন্স এর ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও তারা এ লাইসেন্স-এর ব্যাপারে আগ্রহ দেখান নি। কুষ্টিয়ায় হাজার হাজার দোকান থাকলেও মাত্র তিনশ জনের মতো এ লাইসেন্স আছে বলে তিনি জানান। সাদা কাগজে লিখে টাকা আদায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, একজন দোকানী পাচশত টাকা দিয়ে বাকী টাকা পরে দেবার কথা বললে তাকে সাদা কাগজে লিখে দিয়ে টাকা নেয়া হয়। বলা হয় পরে অফিসে এসে বাকী ৫শত টাকা দিয়ে ডিসিআর নিয়ে যাবেন। তবে তিনি একজন ব্যবাসাযীর সাথে পুলিশের অসদাচরন করার কথা স্বীকার করেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে কুষ্টিয়ায় পাল্টাপাল্টি অনুষ্টান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপ পাল্টাপাল্টি আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল করেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে জেলা বিএনপির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রিয় সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, একেএম তৌহিদুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।


এছাড়া কুষ্টিয়া ‘ল’ কলেজে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান আলোর নেতৃত্বে পৃথক অনুরূপ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা এমএ শামীম আরজুসহ বিএনপির অপর অংশের নেতা-কর্মীরা।