রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে গণমুক্তি ফৌজের ও গণবাহিনীর আরো দুই চরমপন্থি নিহত




কুষ্টিয়া, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯কুষ্টিয়ায় আইন প্রয়োগকারি সংস্থার সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় একের পর এক নিহত হচ্ছে চরমপন্থিরা। উদ্ধার হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশ ও র‌্যাবের সাড়াসি অভিযানে প্রতিদিন ভোর রাতেই এ ধরনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ ও র‌্যাব প্রধান গতমাসে কুষ্টিয়া সফরে এসে চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমনের ঘোষনা দেবার পর থেকে তিন সপ্তাহে এ ধরনের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় শীর্ষ দুই চরমপন্থি সংগঠন গণমুক্তি ফৌজ ও গণবাহিনীর ১৩ সদস্য নিহত ও ১জন আহত হয়েছে। আজ ভোররাতেও পৃথক দুটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় নিহত হয়েছে গণমুক্তি ফৌজের দুর্ধর্ষ ক্যাডার বিপ্লব ও গণবাহিনীর আঞ্চলিক নেতা মারফত বিশ্বাস। পুলিশ জানায়, কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ঈদগাহ’র পাশের মাঠে একদল চরমপন্থী বৈঠক করছে এ সংবাদ পেয়ে ডিবি ও সদর থানা পুলিশের একটি টিম আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সেখানে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। এক পর্যায়ে গণমুক্তি ফৌজের শীর্ষ ক্যাডার বিপ্লব গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পুলিশ সেখান থেকে দুটি এলজি ও ৯ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করে। বিপ্লবের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৯টি মামলা রয়েছে। বিপ্লব শহরের কালিশংকরপুরের ড. তোফাজ্জলের ছেলে।
এদিকে সদর উপজেলার আইলচারা ষ্টীল ব্রীজের কাছে সাগরখালী নদীর তীরে একদল চরমপন্থী গোপন বেঠক করছে এ খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশের অপর একটি টিম ভোর ৪টার দিকে সেখানে হানা দেয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থীরা গুলি বর্ষণ শুরু করে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ বাধে। এক পর্য়ায়ে চরমপন্থীরা পিছু হটলে পুলিশ জাসদ গণবাহিনীর আঞ্চলিক নেতা মারফত বিশ্বাসের গুলিবিদ্ধ লাশ এবং একটি সাটার গান ও ৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করে। মারফতের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা ও ২টি অপহরণসহ ৬টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। সে বড় আইলচারার মৃত ইসাহক আলীর ছেলে।

কোন মন্তব্য নেই: