শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

পুলিশের সাথে বন্দুকযযুদ্ধে হরিপুরের ভোলা চোর নিহত


কুষ্টিয়ার কয়া এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় মুরাদ হোসেন ওরফে ভোলা চোর (৪০) নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, ভোলা গণবাহিনী (লাল) এর হরিপুর ইউনিটের অন্যতম ক্যাডার। গত (শুক্রবার) রাতে স্থানীয় ও বহিরাগত একদল চরমপন্থির সাথে সে কয়া চাইল্ড হ্যাভেন স্কুল প্রাঙ্গনে বৈঠক করছিলেন। এ খবর পেয়ে কুষ্টিয়া ডিবি ও কুমারখালী থানা পুলিশ রাত ৩টার দিকে ওই এলাকায় অভিযান চালায়। চরমপন্থিরা পুলিশ দেখেই গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। একপর্যায়ে চরমপন্থিরা পিছু হটলে পুলিশ ভোলার লাশ, একটি সাটার গান ও ২ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত ভোলা সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের পুরাতন কুষ্টিয়া গ্রামের মৃত মঙ্গল আলীর ছেলে। সে নদীতে ডাকাতি, অপহরন, চাঁদাবাজি, ট্রাক ডাকাতি, গরু চুরি, মোটরসাইকেল ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলো। ইউপি চেয়ারম্যান এম মোস্তাক হোসেন মাসুদের বডিগার্ড বলেই পরিচিত ছিলো ভোলা। এলাকাবাসী জানায়, বেশিরভাগ সময়ই সে চেয়ারম্যানের সাথেই থাকতো। কেউ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বললেই অস্ত্র নিয়ে ছুটে আসতো, মহড়া দিত। পুলিশ জানায়, ভোলার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া ও পাবনা জেলার বিভিন্ন থানায় ৫টি হত্যাসহ অন্তত এক ডজন মামলা আছে।

কোন মন্তব্য নেই: