বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

চালের দাম বাড়ার কোন কারণ নেই-কুষ্টিয়ায় তদন্ত কমিটির অভিমত

কুষ্টিয়ায় গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গতকাল দেশের বৃহত্তম ধান চালের মোকাম খাজানগর আইলচারার বিভিন্ন রাইস মিল পরিদর্শন করেছেন। কমিটির প্রধান কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ফজলুর রহমান বলেছেন, বড় বড় রাইচ মিলে বিপুল পরিমান ধান মজুদ রয়েছে। মিল মালিকরা চালের দাম বৃদ্ধির জন্য ধানের দাম বাড়ার অজুহাত দেখালেও এসব ধান দাম বাড়ার আগেই কেনা। তিনি বলেছেন, চালের দাম বাড়ার কোন কারনই নেই। অহেতুক দাম বাড়ানোর সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি। তদন্ত কমিটি হঠাৎ চালের দাম বাড়ার পিছনে কোন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সকালেই মাঠে নামে। তারা রশিদ এগ্রো ফুড প্রডাক্টসহ বিভিন্ন চালকলের রেজিষ্টারের সাথে গুদামের স্টক মিলিয়ে দেখেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষন বিশেষজ্ঞ ড. গোলাম মর্তুজা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারি পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সিএ হালিম ও জেলা মার্কেটিং অফিসার মানোয়ার হোসেন। চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরা তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিকট চালের দাম কমাবার প্রতিশ্রুতি দেন। তদন্ত কমিটি চালকলগুলো নিয়মিত মনিটরিং করবে বলে জানানো হয়।কুষ্টিয়া থেকে চালের দাম বাড়ানো হচ্ছে দৈনিক মানবজমিন ও প্রথম আলো পত্রিকায় এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর মঙ্গলবার ৫ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক।ওদিকে কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ বাবলু বলেছেন, এখন ধানের অফ সিজন। দিন যতো যাবে ততই এর দাম বাড়বে। সেই সাথে বাড়বে চালের দাম। সরকার এবার বিপুল পরিমান ধান চাল সংগ্রহ অভিযানের মাধ্যমে সংরক্ষন করেছে। সরকারের প্রতিটা গুদামই ধান চালে ভরা। এগুলির কিছুটা বাজারে ছেডে দিলে যেসব ব্যবসায়ী মজুতদারী করে লাভবান হতে চান তারা ধরা খাবেন। সংকটও কেটে যাবে।ধানের দাম বৃদ্ধি ও মজুতদার সিন্ডিকেটের ইশারায় ঈদের পরপরই হঠাৎ করে চালের দাম বাড়ায় অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে বাজার। অভিযোগ রয়েছে, দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম ধান চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর-আইলচারার কয়েকজন শীর্ষ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান চাল মজুত রেখে কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে বাড়িয়ে দিয়েছে চালের দাম। চিকন চাল বিশেষ করে মিনিকেট চালের জন্য বিখ্যাত কুষ্টিয়ার মোকাম। এখানকার পাঁচশতাধিক রাইচমিলে প্রতিদিন ১হাজার ৫শত থেকে ১হাজার ৮শত টন চাল উৎপাদন হয়ে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই: