মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

আজ চরমপন্থিদের বৈঠক হয়নি, হয়নি বন্দুকযুদ্ধও

পুলিশের সাড়াসি অভিযানে ও একের পর এক বন্দুকযুদ্ধে মারা যাবার পর চরমপন্থি-সন্ত্রাসীরা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। তারা গর্তে লুকাতে শুরু করেছে। অধিকাংশই পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতে অবস্থান নিয়েছে। পালাতে গিয়েও অনেকেই ধরা পড়ছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর হাতে। এ কারনে চরমপন্থিদের কর্মকান্ডও থেমে গেছে। গতরাতে কোন চরমপন্থি গ্রুপ গোপন বৈঠক করেনি। যে কারণে অতি চৌকস পুলিশ অফিসারদের নিকট গোপন সংবাদও আসেনি। ঘটেনি কোন বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা। পাওয়া যায়নি কোন লাশ বা আগ্নেয়াস্ত্র। রমজানে টিভি সাংবাদিকদের সেহেরী খেয়েই মোটর সাইকেল নিয়ে ছুটতে হয়নি। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটলে ভিডিও করে এনে তাদের সকালের খবর ধরাতে হতো। বিরতি পেয়েছে তারা। সেহেরী খেয়ে আরেকদফা ঘুমাতেও পেরেছে।
গতমাসে আইন-শৃংখলার চরম অবনতিতে কুষ্টিয়া সফরে আসে পুলিশ প্রধান নুর মোহাম্মদ ও র‌্যাবের প্রধান হাসান মাহমুদ খন্দকার। চরমপন্থিদের দমনে কঠোর হবার নির্দেশ দেবার পর থেকে শুরু হয় র‌্যাব ও পুলিশের সাড়াসি অভিযান। চলতি মাসে এ অভিযান আরো জোরদার হয়। প্রতিদিনই গোপন বৈঠকের খবর চলে আসতে থাকে পুলিশ ও র‌্যাবের হাতে। ঘটতে থাকে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা। ০৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার কয়া এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় জাসদ গণবাহিনী (লাল) এর হরিপুর ইউনিটের অন্যতম ক্যাডার মুরাদ হোসেন ওরফে ভোলা ডাকাত নিহত হয়। ৬ সেপ্টেম্বর মিরপুরের আমবাড়িয়ায় গণবাহিনীর সিরাজ গ্রুপের নেতা আব্দুল হান্নান ওরফে হানা পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। ৭ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার দুর্বাচারায় জাসদ গণবাহিনী (লাল) এর অন্যতম ক্যাডার আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশা নিহত হয়। একদিন বিরতি দিয়ে ০৯ সেপ্টেম্বর মিরপুর উপজেলার আমলা-মহদীপুরে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল-লাল পতাকা)’র শীর্ষ নেতা আনোয়ার হোসেন ওরফে কালো আনোয়ার নিহত নিহত হয়। ১০ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি মিস্ত্রিপাড়ার একটি বাগানে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ দলের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় গণমুক্তিফৌজের ক্যাডার সোহেল আহম্মেদ ওরফে টোকন নিহত হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া এলাকার জিকে ক্যানেলের কাছে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথদলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ এলাকার দুর্ধর্ষ কিলার জিকো পারভেজ ওরফে সম্রাট নিহত হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর শহরতলীর বাড়াদিতে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয় ডাকাত রেজাউল। ১৩ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার আইলচারা স্টিল ব্রিজের নিকটে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় গণবাহিনীর আঞ্চলিক নেতা মারফত বিশ্বাস। এদিনই শহরের হাউজিং ঈদগাহ’র পাশে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় গণমুক্তিফৌজের শীর্ষ ক্যাডার বিপ্লব। ১৪ সেপ্টেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার বেড়বাড়াদী জিকে ক্যানেলের ধারে পুলিশের সংগে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে জাসদ গণবাহিনীর সামরিক কমান্ডার সমির উদ্দিন ওরফে সমির মন্ডল। আর গতরাতে চরমপন্থিদের কোন বৈঠকের খবর জানতে পারেনি আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী।

কোন মন্তব্য নেই: