শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থীদের মদদদাতাদের তালিকা করা হয়েছে-র‌্যাবের ডিজি


র‌্যাব মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থীদের মদদদাতাদের তালিকা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার র‌্যাবের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, চরমপন্থীদের মদদদাতা বা যারা পরোক্ষভাবে তাদের হয়ে কাজ করছে তাদের অনেকের পরিচয় পাওয়া গেছে। অন্যদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এছাড়া চরমপন্থীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে রাখতে র‌্যাবের কার্যক্রম বেগবান করা হয়েছে।
হাসান মাহমুদ বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চরমপন্থীদের মাধ্যমে যেসব ঘটনা ঘটছে, তার পেছনের অন্যতম কারণ টেন্ডারবাজি আর চাঁদাবাজি। তবে সেখানে এখন চরমপন্থীদের তৎপরতা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবপ্রধান বলেন, চরমপন্থী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার চিন্তা-ভাবনা করা যেতে পারে।
প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ পাঁচ বছর চলার পথে র‌্যাবের কাজে কিছু ব্যত্যয়, কিছু বিচ্যুতি ঘটতে পারে মন্তব্য করেন র‌্যাবপ্রধান। তিনি বলেন, এসব ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি। আমরা এসব থেকে পরবর্তী পথ চলার শিক্ষা নেব।
সাংবাদিকদের মতবিনিময় শুরুর আগে র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ র‌্যাবের পক্ষ থেকে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকায় ৬২৪ জন র‌্যাব সদস্যকে বিভিন্নভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩১৪ জনকে গুরুদণ্ড এবং অন্যদর লঘুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এছাড়া নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয় ১৩২ জনকে। জলে, স্থলে ও আকাশপথে র‌্যাবের ত্রিমাত্রিক সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে মহাপরিচালক জানান, এ বছরের মধ্যে র‌্যাবে দুটি হেলিকপ্টার যুক্ত হতে যাচ্ছে। র‌্যাবের পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়, ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ কার্যক্রম চালু হওয়ার পর থেকে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৪৭২টি ঘটনায় ৫৭৭ জন ক্রস ফায়ারে মারা গেছে। দীর্ঘ এ প্রায় পাঁচ বছরে র‌্যাব প্রায় সাড়ে ৫২ হাজার অপরাধী-সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ৪৬১ জন জেএমবি সদস্য। এ সময়ে ছয় হাজার অবৈধ অস্ত্র এবং প্রায় ৫৩ হাজার রাউন্ড বিভিন্ন অস্ত্রের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এই পাঁচ বছরে এক লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৬০ কেজিরও বেশি হেরোইন এবং ১০ লাখ ৯৮ হাজার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। একই সময়ে ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা জরিমানা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা করেছে র‌্যাব।
এছাড়া টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরী কমিশনের (বিটিআরসি) র‌্যাবের সহায়তায় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় জড়িত অভিযোগে বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানির কাছ থেকে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে বলেও পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই: