শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দুই চরমপন্থি নিহত

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুই চরমপন্থী নিহত হয়েছে। পুলিশের ভাষ্যমতে শুক্রবার ভোর রাতে মিরপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া বটতলায় ও কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়া জিকে ক্যানেলের পাশে এ দুটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা ইদু (৩৮) ও গণমুক্তি ফৌজের শীর্ষ ক্যাডার আরজ আলী(৩৩)। পুলিশ জানায়, বাঁশবাড়ীয়া বটতলা এলাকায় চরমপন্থীরা গোপন বৈঠক করছে এ সংবাদের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৩টার দিকে সেখানে অভিযান চালায় মিরপুর থানা পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমন্থীরা গুলি বর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। পরে চরমন্থীরা পিছু হটলে পুলিশ সেখান থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা ইফাদ আলী ওরফে ইদু’র গুলিবিদ্ধ লাশসহ একটি রিভলবার ও ৯ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে ৩টি হত্যাসহ ৬টি মামলা রয়েছে। সে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। ইদু মিরপুর উপজেলা কুর্শা গ্রামের মৃত মুল্লুক চাঁদ মন্ডলের ছেলে অপরদিকে একই ধরনের গোপন বৈঠকের খবর শুনে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়া জিকে ক্যানেলের কাছে অভিযান চালায় সদর থানা পুলিশ। সেখানেও বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত গণমুক্তি ফৌজের শীর্ষ ক্যাডার আরজ আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও ৫ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করে। নিহত আরজের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিল হোসেন বাচ্চু ও মেহরেুল আলম হত্যার অভিযোগসহ ৬টি মামলা রয়েছে। আরজ মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কাজীপুরের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। সে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এ ব্লকে ৩৭৫ নং বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো।

কোন মন্তব্য নেই: