সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

বৃষ্টি আর ঈদ মিলেমিশে একাকার

সারাদেশে ঈদের সাথে কোলাকুলি করেছে বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজে নামাজ আদায়, কেউ ভিজে ভিজে করেন প্রিয়জনের কবর জিয়ারত, কেউবা ভিজে ভিজে চালিয়ে যান দেখা সাক্ষাত পর্ব। তবে কুষ্টিয়া শহরে নামাজের সব জামাত শেষ হবার পর ঝমঝমিয়ে নামে বৃষ্টি। সারা দুপুর চলে মুষলধারে। দুপুরের আগে বৃষ্টি না নামায় শহরের মুসল্লিরা ঝরঝরে আবহাওয়ায় নামাজ আদায় করতে পেরেছে। আর দুপুরের পর বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় দেখা সাক্ষাত ও ঘোরাঘুরি পর্বও চলছে ভালমতো। কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহে (মুসলিম হাইস্কুলের নিকটে) ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়। সেখানে জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলীসহ হাজার হাজার মানুষ নামাজ আদায় করেন।
এখানে ইমামতি করেন কুষ্টিয়া জামে মসজিদের ইমাম আ ফ ম নাজমুস সালেহিন। বয়বৃদ্ধ এ ইমাম শেষ রাকায়াতে একবার সিজদা দিয়েই সালাম ফিরিয়ে ফেলেন। পরে অবশ্য ভুল বুঝতে পেরে পুনরায় পুরো নামাজ আবার আদায় করেন। এদিকে কিয়াম ছিরাতুনেচ্ছা মেমোরিয়াল ট্রাষ্টে ঈদের নামাজ আদায় করেন শিল্পপতি মজিবর রহমান। এছাড়াও পৌর মেয়র আনোয়ার আলী নামাজ আদায় করেন হাউজিং ঈদগাহে। হাউজিং ঈদগাহে মহিলাদের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় বেলা ১১টায়। জেলার সর্বত্র ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকেই দেশের অন্যান্য স্থানেই বৃষ্টি ঈদের আনন্দে বাদ সাধে। বৃষ্টি মাথায় করেই অনেক মানুষ ছুটেছেন ঈদগাহ আর মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে। অনেক স্থানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিতই হতে পারেনি এমন খবর পাওয়া গেছে। ঈদগাহ মাঠ থেকে নামাজ মসজিদে স্থানান্তর করতে হয়েছে বিভিন্ন স্থানে।
রাজধানীতে বৃষ্টির মধ্যে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় হাইকোর্ট লাগোয়া জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৯ টায়। এতে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, ঢাকার মেয়র ও মন্ত্রীসভার সদস্য ও কূটনীতিকরাসহ অনেকে অংশ নেন।
বিশিষ্টদের স্থানে মোটা ত্রিপলের আবরণ বৃষ্টি থেকে সুরক্ষা দিলেও সাধারণ কাপড়ের আচ্ছাদনের নিচে থাকা সাধারণ মুসল্লীরা কিছুটা অসুবিধায় পড়েন। মাঠে পানি জমে গিয়ে সৃষ্টি হয় অস্বস্তিকর কাদার।
রোববার সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল ঈদের আমেজ ঘরে ঘরে শুরু হয় ঈদের প্রস্তুতি। বিপণী বিতানগুলোতে শুরু হয় চাঁদ রাতের জমজমাট শেষ কেনাবেচা। কুষ্টিয়া শহরে রাত ৩টা পর্যন্ত চলে কেনাকাটা।
তিন বছর পর এবার ২৯ রোজা শেষে বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। আগের গত তিন বছর ধরেই ৩০ টি রোজা পালন হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই: