মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

চালের দাম কেন বাড়লো খতিয়ে দেখতে কুষ্টিয়ায় তদন্ত কমিটি গঠন

হঠাৎ করে কি কারনে বাড়লো চালের দাম-এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে মঙ্গলবার গঠিত এ কমিটি বুধবারের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষন বিশেষজ্ঞ ড. গোলাম মর্তুজা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারি পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সিএ হালিম ও জেলা মার্কেটিং অফিসার মানোয়ার হোসেন। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ফজলুর রহমান জানান, মঙ্গলবার থেকেই কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। কি কারনে মূলত: হঠাৎ করে চালের দাম বাড়লো? এর পিছনে কোন সিন্ডিকেট বা ব্যবাসায়ীদের হাত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও ওই তদন্ত প্রতিবেদনে সরকারের করনীয় বিষয়ে পরামর্শ দেয়া থাকবে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান বলেন, এসময় সাধারনতঃ একটু ধান চালের দাম বাড়ে। তারপরও জনসাধারনের উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। কারণ সরকারের কাছে বিপুল পরিমান ধান চাল সংগৃহিত আছে। বাজারে সংকট সৃষ্টি হলে সরকার ওইসব ধান চাল বাজারে ছেড়ে দেবে। এদিকে বিভিন্ন পত্রিকা ও মিডিয়ায় ধান চালের সিন্ডিকেট ও কুষ্টিয়া থেকে দাম বাড়ানোর খবর দেখে খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের নিকট ফোন করে খোজ খবর নিয়েছেন। তদন্ত কমিটি গঠনের খবর শুনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জেলা প্রশাসক জানান।
ওদিকে কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ বাবলু বলেছেন, এখন ধানের অফ সিজন। দিন যতো যাবে ততই এর দাম বাড়বে। সেই সাথে বাড়বে চালের দাম। সরকার এবার বিপুল পরিমান ধান চাল সংগ্রহ অভিযানের মাধ্যমে সংরক্ষন করেছে। সরকারের প্রতিটা গুদামই ধান চালে ভরা। এগুলির কিছুটা বাজারে ছেডে দিলে যেসব ব্যবসায়ী মজুতদারী করে লাভবান হতে চান তারা ধরা খাবেন। সংকটও কেটে যাবে।
উল্লেখ্য দৈনিক মানবজমিন ও প্রথম আলো পত্রিকায় গতকাল কুষ্টিয়া থেকে চালের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে।

কোন মন্তব্য নেই: