সোমবার, ২০ জুলাই, ২০০৯

গুনধর দুই সাংসদ পূত্র




(আজ ২০ জুলাই দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত)
সাজ্জাদ রানা, কুষ্টিয়া
রীতিমতো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন কুষ্টিয়ার দুই সাংসদপুত্র গোলাম মোর্শেদ পিটার ও আরিফ বিশ্বাস। প্রথমজন কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সাংসদ সুলতানা তরুণের, পরের জন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাংসদ আফাজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে। দু'জনই সরকারদলীয় সাংসদ।
ক্ষমতায় আসার মাত্র ৭ মাসের মধ্যেই এই দুই সাংসদপুত্রের বিরুদ্ধে অন্তহীন অভিযোগ। নিয়োগ বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির নামে টাকা আদায়, হাটঘাট-টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, টিআর-কাবিখার চাল ভাগাভাগি, মাদক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী লালন-পালন_ সবই আছে তাদের অভিযোগের প্রোফাইলে। বেপরোয়া এই দুই সাংসদপুত্রের 'কীর্তি'তে এলাকার সাধারণ মানুষ জোট সরকার আমলে কুষ্টিয়ার দুই গডফাদার সাংসদ শহীদুল ইসলাম ও রেজা আহমেদ বাচ্চু মোলল্গার
সাল্ফপ্রতিক অতীতের কর্মকাণ্ডও ভুলতে বসেছেন।
আরিফের কর্মকাণ্ডে বিব্রত তার বাবা আফাজ উদ্দিন আহমেদও। তিনি সমকালকে বলেন, 'আমার কানেও অনেক কথা আসছে। তবে আমি বলে দিয়েছি, অন্যায় যেই করুক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' অবশ্য বিব্রত বাবাকে থোড়াই কেয়ার করে আরিফ।
আরিফকে নিয়ে তার বাবা তবু বিব্রত হচ্ছেন কিন্তু পিটারকে নিয়ে তার মা সুলতানা তরুণের বিন্দুমাত্র দুশ্চিন্তা নেই। কারণ আক্ষরিক অর্থেই মায়ের হয়ে এলাকায় দল থেকে শুরু করে প্রশাসন সবকিছুই পিটার দেখছেন। মনে হয় মা নামেই সাংসদ। সাংসদ মায়ের কান পর্যন্ত সব তথ্য পেঁৗছানোও যায় না। দলের নেতাকর্মীরা কথা বলতে চাইলে বেশিরভাগ সময় তিনি ফোন ধরেন না। ধরলেও কথা না শুনেই সাফ জানিয়ে দেন, পিটারকে বল। এ নিয়ে কুমারখালী ও খোকসা এলাকার দলীয় নেতাকর্মীদেরও ক্ষোভের অন্ত নেই। তবে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না কেউই।
ডিও লেটারপ্রতি আড়াই লাখ : অভিযোগে প্রকাশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সুপারিশ করার নামে অগ্রিম দুই লাখ টাকা করে নিচ্ছেন আরিফ। ইতিমধ্যে দৌলতপুরের ২০টিসহ জেলার ২৫টি কলেজ থেকে তিনি এ টাকা নিয়েছেন। এমপিওভুক্তি করে দেওয়ার কথা বলে নিজেই একসঙ্গে দুটি কলেজের অধ্যক্ষ পদের দায়িত্ব নিয়েছেন। উপজেলার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও ইউনাইটেড কলেজে অধ্যক্ষ পদে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ দুটি কলেজের মধ্যে যেটি আগে এমপিওভুক্ত সেটিতেই তিনি স্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। একজন শিক্ষক জানান, প্রাগপুর ও গোয়ালগ্রাম কলেজ থেকে আড়াই লাখ টাকা করে আরিফ নিয়েছেন। এ ব্যাপারে আরিফ বলেন, 'অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। টাকা দিতে চাচ্ছে। তবে এখনও কোনো টাকা নেইনি।' কুমারখালী ও খোকসায় অন্তত ১৫টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একই কায়দায় টাকা নেওয়া হয়েছে। শালঘর মধুয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ডিমান্ড লেটারে সুপারিশ নিতে হলে দুই লাখ টাকা লাগবে বলে পিটার জানিয়েছেন। কিছু টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছে তাকে। অবশ্য পিটার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রতি টনে ৬ হাজার : ৩ উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের জিম্মি করে টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের পুরো নিয়ন্ত্রণ এখন পিটার ও আরিফের হাতে। খোকসা পিআইও অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, পিটারের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী গত অর্থবছরের কাবিখা ও টিআরের সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এসব কাজের তদারকিরও কোনো সুযোগ ছিল না। তাই কাজের মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তবে ভয়ে কেউ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে সাহস পাননি। এই উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ৩০০ মেট্রিকটন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রথম দফায় আসা বরাদ্দের সবটা দলীয় নেতাদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে নেতারা এ টাকা তুলে নেন। খোকসা উপজেলার মোড়াগাছা, তেবাড়িয়া ও বেতবুনিয়ায় ঈদগাহ সংস্থারের নামে দুই টন করে গম বরাদ্দ দেওয়া হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে। কাজ না করেই পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন এসব নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের একজন জানান, এ গম বিক্রির টাকার অর্ধেক নিয়েছেন পিটার। এছাড়া অন্য প্রকল্প থেকে প্রতি টনে প্রকল্প প্রধানদের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা করে নিয়েছেন তিনি। কুমারখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এহসান ভুয়া প্রকল্পের ব্যাপারে বলেন, 'এমন কথা আমিও শুনেছি।' দৌলতপুর উপজেলায় আরিফ একাই সব কাজের নিয়ন্ত্রণ করেছেন। শতাধিক ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে এখানে। আরিফ তার পছন্দের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের প্রকল্প প্রধান বানিয়ে এসব প্রকল্প থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এছাড়া বরাদ্দ দেওয়ার জন্য আরিফ টনপ্রতি নিয়েছেন সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে। উপজেলার রেফাইতপুর ইউপির লক্ষ্মীকুলা জামে মসজিদের উন্নয়ন করার কথা বলে আরিফ ৪ টন গম বরাদ্দ নেন। আর এ কাজের প্রকল্প প্রধান করা হয় এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা শরিফ উদ্দিনকে। এলাকাবাসীর অগোচরে কাজ না করেই পিআইও অফিসে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল তুলে নেওয়া হয়েছে। মসজিদের মুয়াজ্জিন বলেন, এ বছর তাদের মসজিদে কোনো কাজ হয়নি। গম বরাদ্দের ব্যাপারটিও তারা জানেন না। শরিফ উদ্দিন এ ব্যাপারে বলেন, টাকা খরচ করা হয়নি। কাজের জন্য রাখা হয়েছে। একইভাবে লাউবাড়িয়া জামে মসজিদের কাজের কথা বলে তিন টন গম বরাদ্দ নিয়ে তা বিক্রি করে ভাগ করে নিয়েছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। আরিফ এসব গম ও চাল নিয়ে বিক্রির জন্য রেখেছেন গম ব্যবসায়ী মফিদুলকে। তিনি প্রকল্প প্রধানদের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা প্রতি টন চাল কিনে তা স্থানীয় সরকারি গোডাউনে ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। তবে অভিযোগের ব্যাপারে মফিদুল বলেন, 'আমি ব্যবসায়ী মানুষ, তাই পিআইও অফিসে আসি।' আরিফ টাকা নেওয়ার বিষয় অস্বীকার করলেও বলেন, 'এসব কাজ কখনও একশ' ভাগ ঠিকমতো হয় না।'
টেন্ডার হাট-ঘাট সমাচার : 'আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর একটি ঠিকাদারি কাজও আরিফের অনুগত লোক ছাড়া অন্য কারও কপালে জোটেনি। অনেকেই টেন্ডার জমা দিতে পারেনি। আর কাজ নিতে হলে আরিফকে টাকা দিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় সাধারণ ঠিকাদাররা যাবে কোথায়?' দৌলতপুর উপজেলার প্রবীণ এক ঠিকাদার এভাবেই প্রশ্ন রাখলেন। সমকালের অনুসন্ধানে জানা যায়, এলজিইডির একটি প্রকল্পের আওতায় দৌলতপুর উপজেলায় ৯০টি প্রাইমারি স্কুল সংস্কারের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরিফের ডানহাত হিসেবে পরিচিত শশীধরপুরের বেলাল হোসেন ও তারাগুনিয়া এলাকার ফারুক হোসেন কাজটি বাগিয়ে নিয়েছেন। আরিফ এ কাজ তদারকির দায়িত্ব দিয়েছেন দৌলতখালী প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ উদ্দিনকে। ফিরোজ উদ্দিন প্রত্যেক প্রকল্প থেকে ৪ হাজার টাকা করে আদায় করছেন। এ টাকার দুই হাজার যাচ্ছে আরিফের পকেটে। এক হাজার উপজেলা চেয়ারম্যান হারিজ উদ্দিনের পকেটে। এলাকার কয়েকটি ঘাট ও বড় হাট জোর করে ডেকে নিয়েছেন আরিফ। তারাগুনিয়া হাট, মুথরাপুর হাট, আলল্গারদর্গা বাজার আরিফ তার লোকজনকে দিয়ে পরিচালনা করছেন। এছাড়া উপজেলার বড় দুটি ঘাট বৈরাগীরচর ও ফিলিপনগর আবেদের ঘাট নিজের কব্জায় নিয়ে লোক দিয়ে পরিচালনা করছেন। পিটারের নিজের নামে কোন ঠিকাদারি লাইসেন্স নেই। চাচা শামসুজ্জামান অরুণের লাইসেন্সে কাজ করছেন বেনামে। কুমারখালী পৌর বাস টার্মিনালের ৩ কোটি টাকার কাজ এই কায়দায় নেওয়া। কুমারখালী প্রধান সড়কের কাজটি না পাওয়ায় পিটার ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজনকে দিয়ে কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। পরে ৭ লাখ চাঁদা নিয়ে ওই ঠিকাদারকে কাজ করতে দেওয়া হয়।
মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ : দৌলতপুরে চাচা ফারুক চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন আরিফ। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিমাসে কয়েক লাখ টাকা মাসোহারা দেয় আরিফকে। উপজেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মহিষকুণ্ডি গ্রামের আশরাফুল, বিলকচুয়া গ্রামের করিম, বৈরাগীচর গ্রামের শফি, ধর্মদহ গ্রামের নিজামের সঙ্গে আরিফের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। উপজেলার সন্ত্রাসীদেরও পৃষ্ঠপোষকতা করছেন তিনি। বিএনপি-জামায়াত আমলের ক্যাডারদেরও দলে ভিড়িয়ে তাদের দিয়ে নানা অপকর্ম করানো হচ্ছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের কর্মীরা জানান। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর পান্না বাহিনীর ক্যাডার হবি কবিরাজ ও ওরস এলাকায় ফিরে এসে নানা অপকর্ম শুরু করেছে। আরিফের দাপট দেখিয়ে তারা এসব অপকর্ম করছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। এছাড়া সন্ত্রাসী শখা, তেলেগাংদিয়ার কাজল শাহিন ওরফে ফাজিল, আওয়াল, সাদুল মেম্বার শেহালার টুকু, বোয়ালিয়ার মহির এখন আরিফের কাছের লোক। বিএনপির ক্যাডার জয়রামপুরের স্বপন ট্যারা, দৌলতখালির কাজল এখন আরিফের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। খোকসা এলাকার সন্ত্রাসী একদিলের (ক্রসফায়ারে নিহত) অন্যতম সহযোগী ফরিদ বাহিনীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাংসদপুত্র পিটার। ফরিদের মাধ্যমেই পিটার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন বলে জানিয়েছেন ঠিকাদাররা ও এলাকাবাসী।
এসবের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আরিফ থানায় তার অনুগত ৬ জনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তারাই ঠিক করেন কাকে কোন মামলায় চালান দেওয়া হবে, কাকে ছেড়ে দিতে হবে। তাদের কথায় গত এক মাসে ২ জন ফেনসিডিল ব্যবসায়ীকে ধরেও ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আওয়ামী লীগের প্যাডে থানাকে না জানিয়ে বিভিন্ন শুরুত্বপূর্ণ মামলার সালিশ ডাকা হচ্ছে থানা চত্বরেই। আরিফ এ ব্যাপারে বলেন, 'কিছু বিচার সালিশ থানায় করা হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। পুলিশ সমস্যার সমাধান না করতে পারলে তা সালিশের মাধ্যমে সমাধান করা হয়ে থাকে।'
নিয়োগ বাণিজ্য : কুমারখালী ডিগ্রি কলেজে মাস দুয়েক আগে নয়া অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগ নিয়ে ঘটে যায় নানা তুলকালাম। এমপি সুলতানা তরুণ ও পিটারকে না জানিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করায় সে সময় পিটারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ইউএনও নূরুজ্জামানের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। পরে এ ঘটনায় কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ইউএনও। পরিণতি শাস্তিমূলক বদলি। ৮ লাখ টাকা নিয়ে শফিকুল ইসলাম নামে পিটারের ঘনিষ্ঠ এক শিক্ষককে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ৫ জনের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা করে নিয়েছেন পিটার। আরিফও পিছিয়ে নেই। দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিষয়ে একজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় প্রথম স্থান পেয়েছেন খালিদ হাসান। আরিফের সাংসদ পিতা কোনো রকম টাকা-পয়সা না নিয়ে পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারীকে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু আরিফ বাগড়া বাধিয়েছেন। তাকে টাকা না দিলে কোনো নিয়োগ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে নিজেদের দলেই রয়েছে ক্ষোভ।
৪০ লাখ টাকার ইকোপার্ক : আরিফ তার দৌলতপুরের বাড়ির সামনের জায়গায় ইকোপার্ক তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। শাহিন ফাজিল নামের এক ঠিকাদারকে এ কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। বাড়ির সামনের পুকুরের ঘাটকে টাইলস দিয়ে মোড়ানো হয়েছে। চলছে ফোয়ারা তৈরির কাজ। কাজের ঠিকাদার ফাজিল বলেন, 'আমি ঠিক ঠিকাদার নই। আরিফ ভাই ভালোবেসে আমাকে কাজের দায়িত্ব দিয়েছে।' আরিফ এ ব্যাপারে বলেন, 'ঠিক ইকোপার্ক নয়, বাড়ির সামনের পুকুর ও বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কিছু কাজ করা হচ্ছে।'
এবং সেই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব : সবগুলো অভিযোগ নিয়ে দুই সাংসদপুত্রের সঙ্গে কথা বলা হলে তারা সেই পুরনো 'ষড়যন্ত্র তত্ত্বেরই' আশ্রয় নেন। আরিফ বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে কিছু লোক অপপ্রচারে নেমেছে। তারা ষড়যন্ত্র করছে। যে কাজ আমি করছি না সেটাও বলা হচ্ছে।' কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা তরুণের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন করা হলেও তিনি যথারীতি রিসিভ করেননি। তবে তার ছেলে পিটার বলেন, 'আমার কাছে অনেকেই আসেন নানা কাজের জন্য। আমি যতদূর পারি তাদের সাহায্য করি। আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ কিছু করে থাকলে তার দায়ভার আমার নয়। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

কোন মন্তব্য নেই: