বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০০৯

হরিপুরে গুরুর ১০ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে এক শিষ্য

হরিপুরে গুরুর ১০ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে এক শিষ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুষ্টিয়ার হরিপুরে এক কথিত পীর (গুরুর) পঞ্চম শ্রেণী পড়–য়া ১০ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে তার শিষ্য। ২ দিন পর গত ১৬ জুন মঙ্গলবার রাত ১০টার সময় মেয়েকে তার বাবার কাছে ফেরত দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে মামলা বা কোন সালিশ বৈঠকও হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, সম্মান ও মেয়ের ভবিষ্যত চিন্তা করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মেয়ের বাবা ওই কথিত পীর বিষয়টি ধামা চাপা ও ঘটনাটি ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুন রবিবার কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের পান বিড়ির দোকানদার কথিত পীর আতিয়ারের পঞ্চম শ্রেণী পড়–য়া মেয়ে সর্নালী(১০) কে একই গ্রামের জালালের পুত্র মেয়ের পিতা ওই পীরের ভক্ত মহিদুল (২২) নিয়ে চলে যায়। একটি বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ‘ নতুন সূর্য শিক্ষানিকেতন স্কুল শেষে বাড়ী যাওয়ার সময় পথিমধ্যে সর্নালীকে পদ্মা নদী দেখার কথা বলে ভুলিয়ে অথবা তার সম্মতিতে মহিদুল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে মহিদুল তার দুজন বন্ধুর সহযোগিতায় সর্নালীকে নিয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করে।
এলাকাবাসির দাবী, ভক্ত মহিদুল সর্ম্পকের খাতিরে অল্প বয়সী নাবালিকা সর্নালীকে ভুলিয়ে নিয়ে তার বন্ধুদের সহযোগিতায় আত্মগোপন করে থাকে। অনেক খোজাখুজির পরও তাদের সন্ধান না পেয়ে মেয়ের পিতা কথিত পীর আতিয়ার শিষ্য মহিদুলের বাড়িতে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মামলার ভয় দেখালে শিষ্য মহিদুলের ভাই শহিদুল জানায়, মহিদুল মেয়ে সর্নালীকে নিয়ে ঢাকায় চলে গেছে।
এরপর এলাকাবাসির চাপে মেয়ের পিতা ওই শিষ্যের সাথে মেয়ের বিবাহ দিতে রাজী হয়ে তাদেরকে ফিরে আসতে বলে। এবাদেও আরো বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ সৃষ্টির ফলে ঘটনার ২ দিন পর শিষ্য মহিদুল গত ১৬ জুন মঙ্গলবার রাত ১০টার সময় মেয়েকে তার বাবার কাছে ফেরত দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হলেও কথিত পীর অর্থলোভী আতিয়ার বিষয়টি নিয়ে কোন মামলা বা কোন সালিশ বৈঠকও করেননি। অভিযোগ উঠেছে, সম্মান ও মেয়ের ভবিষ্যতের বুলি আওড়িয়ে পেছন থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মেয়ের বাবা বিষয়টি চেপে গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, শিষ্য মহিদুল এলাকায় চুতুর ও লম্পট প্রকৃতির ছেলে হিসাবে পরিচিত। বিয়ে না করেও নাবালিকা মেয়েকে ভূলিয়ে ২ দিন আত্মগোপনে থাকার পরও বিষয়টি মেয়ের অর্থলোভী পিতাকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে আছেন। অভিযোগ উঠেছে, চতুর ওই শিষ্য মহিদুল মেয়ের বাবাকে দিয়ে দেড়শত টাকার ষ্টাম্পে অঙ্গিকার নামা লিখিয়ে নিয়েছে যাতে কোন প্রকার আইনগত ঝামেলায় না পড়ে।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহল বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা অথবা সালিশ বৈঠক না হওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের মাধ্যমে সঠিক সুরাহা করার দাবী তুলেছে। যাতে সামনের দিনগুলোতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।

কোন মন্তব্য নেই: