রবিবার, ২৮ জুন, ২০০৯

আষাঢ়ের ১৪তম দিনে ক্ষনিকের বৃষ্টি, স্বস্তি মেলেনি



হাসান জাহিদ
ফারাক্কার অশুভ প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলোতে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। এখানকার জলবায়ুর পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশবিদরা যে আশংকার কথা বলে চেচামেচি করে আসছিলেন সেই মরুকরন শুরু হয়েছে এ এলাকায়। আষাঢ়ের ১৪তম দিনে এসে আজ সকালে বিছানায় মুয়েই অনেকে বৃষ্টির দেখা পান। কিন্তু সেও ছিল ক্ষনিকের। না পেরেছে মাটি ভেজাতে, না পেরেছে গরম কমাতে। বরং ১৫/১৬ মিনিটের এ বৃষ্টি মানুষের মনে আরো বৃষ্টির আকাঙ্খা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এবার আকাশের দিকে তাকিয়েও মনে হচ্ছেনা যে এখন বর্ষাকাল চলছে। প্রতিদিনই যেন বাড়ছে গরমের মাত্রা। প্রচন্ড তাপদাহে মানুষের জীবনযাত্রা বিষিয়ে উঠেছে। পদ্মা গড়াই এর তপ্ত বালুচর থেকে আসা লু হাওয়া এ অঞ্চলে মরুর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আগুনের ভল্গা এসে মানুষের শরীরের উপরিত্বক পুড়িয়ে দিচ্ছে। কোথাও যেন শীতল বাতাস নেই। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায় বিঘœ ঘটছে। মাঠের ফসল পুড়ে তামাটে হয়ে গেছে। বারাবার কৃত্তিম সেচ দিয়েও জমি তৈরী করতে পারছেন না কৃষকরা। সেচ দেবার পরক্ষনেই জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ক্ষনিকের এ বৃষ্টি কী স্বস্তি দিতে পারে? প্রয়োজন আষাঢ়ের ঘণঘটা, টানা বৃষ্টি।

কোন মন্তব্য নেই: