শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১০

ইবিতে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত-২০, মহাসড়ক অবরোধ

মূর্তজা খসরু নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর প্রতিবাদে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জুড়ে সৃষ্টি হয় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এ পরিস্থিতি শেষ মেষ সংঘর্ষে রূপ নেয়। ছাত্রলীগ নেতা আলী মূর্তজা খসরুর মুক্তির দাবীতে ভোর ৬টা থেকে ক্যাম্পাস ভাংচুর শুরু করে তার পক্ষের ছাত্রলীগ নেতারা। তালা ঝুলিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও প্রশাসনিক ভবনে। এতেও কাজ না হলে শেষে বিক্ষুব্ধ ওইসব ছাত্রলীগ নেতারা অবরোধ করে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক। এতে প্রায় দু’ ঘন্টা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অচল হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি শান্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মোতায়েন করা হয় কয়েক প্লাটুন পুলিশ। সকাল ৯টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ ছাত্রদেরকে সড়ক অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করে। ছাত্ররা না মানলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে। থেমে থেমে সংঘর্ষে আহত হয় পুলিশসহ অন্ততপক্ষে ২০জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের দাবী, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কাউন্সিল। এ কাউন্সিলে খসরু সভাপতি প্রার্থী। খসরু বঙ্গবন্ধু হল শাখার আহবায়ক। গ্রেপ্তারকৃত খসরু পক্ষের ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, কাউন্সিলে যাতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা না করতে পারে সেই জন্যই প্রতিপক্ষ একটি মহল পরিকল্পিতভাবে খসরুকে গ্রেপ্তার করিয়েছে।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, ছাত্রলীগ নামধারী খসরু এ অঞ্চলের ত্রাস জাসদ গনবাহিনীর শীর্ষ নেতা কালু’র ভাই। এছাড়াও খসরুর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই: