বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১০

কুষ্টিয়া হাসপাতালে নার্স তনুশ্রী উপর হামলা, কর্মবিরতি, দূর্ভোগ

সেবিকা তনুশ্রীর উপর শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ও দোষী ব্যক্তির শাস্তি দাবীতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাপসাতালে গত তিনদিন ধরে চলছে সেবিকাদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচী। অবিলম্বে নির্যাতনকারীকে গ্রেফতার না করা হলে তারা হাসপাতালে যোগদান করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সেবিকারা বিক্ষোভ মিছিলও করেছে। ভাংচুর করেছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ও। ঝুলিয়ে দেয় হাসপাতালের অধিকাংশ ওয়ার্ডে তালা। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দূর্ভোগ। ১৫ জানুয়ারী দুপুরে নার্স ডিপোমা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী তনুশ্রী সরকার হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী আনিসের হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। গুরুতর আহত হয় তনুশ্রী সরকার। ওইদিনই কুষ্টিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তনুশ্রী। কিন্তু৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও আসামী গ্রেফতারে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়না। বরং প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় নির্যাতনকারী আনিস। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সেবিকারা। নার্সিং ইনস্টিটিউটের ১৩৮জন ছাত্রী একযোগে কাজে যোগদান না করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘোষনা করে নানা কর্মসূচী। সোমবার বিক্ষোভ মিছিল শেষে সিভিল সার্জনের অফিস ঘেরাও করে উত্তেজিত ছাত্রীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় সিভিল সার্জন সুবোধ কুমার কুন্ডু। এ সময় সিভিল সার্জনকে না পেয়ে ভাংচুর করে তার কার্যালয়। ঝুলিয়ে দেয় তালা। সেখান থেকে মিছিল সহকারে পূনরায় হাসপাতালে এসে বিক্ষোভকারীরা হাসপাতালের অধিকাংশ কক্ষে ঝুলিয়ে দেয় তালা । অবস্থা বেগতিক দেখে ছুটে আসেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান। তাদেরকে অবস্থান থেকে সরে আসার আহবান জানালেও তাতে সাড়া দেয়নি তারা... বরং আরো জোরদারের ঘোষনা দেয় তারা। তনুশ্রীদের সাথে যোগ দিবে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সরাও।এ ব্যাপারে কয়েকজন অপরাধ বিশ্লেষকের মন্তব্য হলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সহজে কোন অন্যায়ের বিচার পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে নামতে হয় আন্দোলনে। এ ক্ষেত্রে তারা আরেকটি অপরাধ করে বসে। হাসপাতালেও হয়েছে তাই। অন্যায় করেছে আনিস,...তার জন্য ভোগান্তি রোগীদের।

কোন মন্তব্য নেই: