শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০০৯

সর্বকালের সবচেয়ে কম লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কুষ্টিয়া চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু


সর্বকালের সবচেয়ে কম লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কুষ্টিয়া চিনিকলের ২০০৯-১০ আখ মাড়াই মৌসুমের যাত্রা শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মিল চত্বরে আনুষ্ঠাানিকভাবে মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেন, চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান রনজিৎ কুমার বিশ্বাস। এসময় তিনি বলেন, আখচাষীদের জন্য টিএসপি সারে এবার ভর্তুকি দেবে সরকার। আখের মূল্যবৃদ্ধির যে দাবি উঠেছে সরকার তা বিবেচনা করেছে। আগামী মৌসুম থেকে বর্ধিত মূল্য কার্যকর হবে। তিনি বলেন, চলতি বছরে একবার আখের দাম বাড়িয়েছে সরকার। একবছরে দুবার দাম বাড়ানো দরীদ্র সরকারের পক্ষে সম্ভব কিনা আপনাদের চিন্তা করতে হবে। তিনি বলেন চিনি শিল্প আজ হুমকির মুখে। আখের প্রতিপক্ষ এ এলাকায় তামাক প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি কৃষকদের নিকট একখন্ড করে আখ ভিক্ষা চান। চেয়ারম্যান রনজিত আহবান বলেন, আপনারা না করলে এ শিল্প আর দাড়াতে পারবে না। কুষ্টিয়া চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ,বি,এম আরশাদ হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান, সহকারি পুলিশ সুপার সিএ হালিমসহ সুগার মিলের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। মাড়াই শুরুর মুহুর্তেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা প্রকাশ করছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ।কুষ্টিয়া চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ,বি,এম আরশাদ হোসেন জানান-গত বছর ১৪ হাজার ৩০ একর জমিতে আখ উৎপাদন হয়। মাড়াই কলে আখ আসার কথা ছিল এক লক্ষ ২১ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এসেছে মাত্র ৭৮৭৩০ মেট্রিক টন আখ। বাকিটুকু গুড় উৎপাদন হয়েছে বলে জানা যায়। এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ৭০হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন হবে ৫৪২৫মেট্রিক টন। যার আহরন ধরা হয়েছে ৭.৭০। যা গত মৌসুমের অর্ধেকে নেমে এসেছে। আর মিল চলবে মাত্র ৩৭ দিন।জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে চাষীরা দ্রুত আখ কেটে সেই আখ দিয়ে অবৈধ পাওয়ার ক্রাশারের মাধ্যমে তৈরী করছে গুড়। মিল প্রশাসন মাঝে একবার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এসব পাওয়ার ক্রাশার জব্দের চেষ্টা করে থাকে। তবে ম্যাজিষ্ট্রেট সংকটের কারনে এসব দুর্গম এলাকায় অভিযান শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মিলের একটি সুত্র জানায়। আখচাষীরা জানান, মাঠের এসব আখের মুল্য গাড়ি প্রতি (৩০ মন) ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা পাচ্ছি। আর মিলে ওই পরিমান আখের মুল্য উনিশ শত টাকা। তারপরও মিলে আখ সরবরাহ করতে ও বিল পেতে নানারকমের বিড়ম্বনায় পড়তে হয় চাষীদের।

কোন মন্তব্য নেই: