বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভা : বিজয়ের মাসে নানা কর্মসূচী গ্রহণ



স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদেরা এখনো দেশ বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। তারা কখনো এদেশের মঙ্গল চায় না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত শুরু করতে না পারলে শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা হবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করার নির্বাচনী প্রতিশ্র“তি দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতা গ্রহনের এক বছর হতে গেলেও এখনো বিচার শুরু করতে পারেনি তারা। এ ব্যাপারে সরকার তাদের অবস্থান দেশবাসীর নিকট এখনো পরিস্কার করেনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ তরান্বিত করতে সরকারকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। চিহ্নিত রাজাকার-আলবদরদের বিরুদ্ধে আরো সোচ্চার হতে হবে। ৭১’এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কুষ্টিয়া জেলা শাখা এবং জেলা উপদেষ্টা পরিষদের এক যৌথ সভায় উপদেষ্টা ও কার্যকরি পরিষদের নের্তৃবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন। জেলা ইউনিটের সভাপতি এ্যাড. বায়েজীদ আক্কাসের সভাপতিত্বে এ যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, নিমূল কমিটির জেলা উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট প্রবীণ সাংবাদিক আলহাজ্ব ওয়ালিউল বারী চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক অসিত কুমার সিংহ রায়ের পরিচালনায় যৌথ সভায় সভায় বক্তৃতা করেন, জেলা নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন, কুষ্টিয়া বারের সম্পাদক ও পিপি এ্যাড. নুরুল ইসলাম দুলাল, এ্যাড. হারুণ-অর-রশীদ, জাসদ নেতা সাহাবুব আলী, গোলাম মহাসিন। অন্যান্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, জেলা নির্মূল কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নেতা মুন্সী তরিকুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক সাইফুর রহমান সুমন, নির্বাহী সদস্য কুষ্টিয়ার আধুনিক মিডিয়ার জনক মনজুর এহসান চৌধুরী, সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মজিবুল শেখ প্রমুখ। সভায় অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন, জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কারশেদ আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মেনন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক হাসান জাহিদ, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এ্যাডঃ রাজিব আহসান রঞ্জু, দপ্তর সম্পাদক শুব্রত পাল, নির্বাহী সদস্য জিল্লুর রহমান, এনামুল হক বিশ্বাস, সদর উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক সাজ্জাদ রানা, সাংবাদিক শামসুল আলম স্বপন প্রমূখ। জেলা কমিটির এ যৌথ সভায় বিজয়ের মাসে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মুক্ত দিবসে বিকেল ৪টায় মজমপুর গেটে স্থাপিত ঘৃনিত রাজাকার চত্বরে গেজেটে প্রকাশিত জেলার রাজাকারদের নামের তালিকা টাঙ্গানো ও আলোচনা সভা, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যা শহরের স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা চত্বরে মোমবাতি প্রজ্জলন, ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় মহান বিজয় দিবসের র‌্যালী ও আলোচনা সভা, ২৬ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে মজমপুর গেটে স্থাপিত ঘৃনিত রাজাকার চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করার সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যৌথ সভায়। সভায় আরো বক্তারা বলেন, জেলা কমিটিকে অধিকতর শক্তিশালী, গতিশীল ও কার্যকর করতে হবে। এছাড়া সাংগঠনিক কর্মকান্ড বাড়াতে দ্রুত শহর কমিটি গঠন করার ব্যাপারে প্রস্তাবদেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্সী তরিকুল ইসলাম। এছাড়া এ সব কর্মসূচী সফল করতে তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাৎক্ষনিক প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব ওয়ালিউল বারী চৌধুরী ১ হাজার টাকা প্রদান করে তহবিল সংগ্রহের উদ্বোধন করেন। উপস্থিত সবাই এ সময় তহবিলে টাকা জমা দেন।

কোন মন্তব্য নেই: