রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১১

কি দোষ ছিল ফেলানীর?

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে তাকে হত্যা করে বিএসএফ। সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে জানা গেছে সীমান্ত পেরিয়ে বাবার সাথে দেশে ফেরার সময় এই কিশোরীর কাপড় আকটে যায় কাটা তারে। এরপর চিৎকার দিলে দূর থেকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। ৪ঘন্টা ঝুলে ছিল তার দেহ। অনেকক্ষণ হয়তো বেচেও ছিল। পেরিয়ে আসা বাবা নুরু মিয়া দূর থেকে দেখেছে নিজের মেয়ের এই করুণ পরিণতি। ধরলাম অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছিল তারা। এই অপরাধে কি তাকে গুলি করে হত্যা করতে হবে। বিএসএফকে ধিক্কার জানাবার ভাষা আমার জানা নেই। ফেলানী যদি আমার বোন হতো তাহলে কেমন লাগতো। উফ! ভাবতেও পারিনা। এরকম ভাবনা কি বিএসএফ বা ভারত সরকারের হয় না। না কি তারা বাংলাদেশীদের মানুষই মনে করে না। ১২ বছর বয়সী এই ফেলানীই নয় প্রায়ই সীমান্তে বিএসএফ বাংলাদেশী নাগকিকে গুলি করে হত্যা করে। অথচ প্রায়ই তারা ভাল ভাল কথা বলে বৈঠকে। সরকারি সিদ্ধান্তে যদি তারা এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে থাকে তাহলে ভারত সরকারকে কোন অবস্থাতেই মানবিক বলা যেতে পারে না। আর যেসব বিএিসএফ সদস্য এ ঘৃণিত কাজ করে চলেছে তাদেরকে মানুষ বলা যায় না। এরা পশু। যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ হত্যা করার মধ্যে বীরত্ব আছে সৈনিকের। কিন্ত এই ধরনের হত্যাকান্ডকে কি বলবেন?

কোন মন্তব্য নেই: