
রবিবার, ২১ মার্চ, ২০১০
কুষ্টিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত: পুলিশ বলছে গণমুক্তিফৌজের কমান্ডার

সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০১০
কুষ্টিয়ায় শর্টগান উদ্ধার
কুষ্টিয়ার ভোটার বেড়েছে ৫১ হাজার ৯৪১
দৌলতপুরে কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি, দৌলতপুর
দৌলতপুরের ড. মুহাম্মদ গার্লস কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর উপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শনি ও রোববার ক্লাস বর্জন করে কলেজে বিক্ষোভ করেছে। তার নিপীড়নকারি হিসেবে অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারন দাবি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগোয়ানস্থ ড. মুহাম্মদ ফজলুল হক গার্লস কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের জনৈক শিক্ষক পরীক্ষার সাজেশন দেওয়ার নামে ওই কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী জনৈক ছাত্রীকে কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বিজ্ঞানাগারে নিয়ে যায়। এ সময় শিক্ষক কক্ষের দরজা আটকে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে চুম্বনসহ শরীরের হাত দেয়। ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে কলেজের শিক্ষিকা হাবিবা খাতুন ও শিক্ষার্র্থীরা ছুটে গিয়ে ধস্তাধস্তির দৃশ্য দেখে কলেজ কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। কর্তৃপক্ষ তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌছে দেয়। এ খবর কলেজের সকল ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে শনি ও রোববার তাঁরা ক্লাস বর্জন বিক্ষোভ করে অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারনসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। ঘটনার পর ওই শিক্ষক গাঁ ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ নাসরিন আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গৃহবধূ ধর্ষনের অভিযোগে দৌলতপুরে প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার
স্বামীর অনুপস্থিতিতে ঘরে প্রবেশ করে এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে এক প্রধান শিক্ষক। শনিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মাদাপুর গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লম্পট ওই প্রধান শিক্ষককে আটক করে পুলিশে দিলেও পুলিশ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হেফাজতে দিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেয়। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে স্থানীয় জনগনের চাপে পরে ওই প্রধান শিক্ষককে রোববার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, জয়পুরের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাদাপুর গ্রামের এক গ্রহবধুর ঘরে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ওই গ্রহবধুর রূপালীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে লম্পট শিক্ষককে হাতে নাতে আটক করে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে মথুরাপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ হুমায়ুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লম্পট প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে স্থানীয়দের হেফাজতে সোপর্দ করে। পরে রোববার দুপুরে এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্থ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। এর আগে ওই শিক্ষকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, স্থানীয় কিছু লোক আমাকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লম্পট প্রধান শিক্ষকের বিদ্যালয় থেকে অপসারন দাবি করেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিগত দিনে ্এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
দৌলতপুরে ছেলের হাতে মা খুন
দৌলতপুরে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ছেলের হাতে খুন হয়েছে মা। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মধুগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মধুগাড়ী গ্রামের আলেফ উদ্দীনের ছেলে সেলিম বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছিল। এটি তার বাবা-মা পছন্দ করত না। এ নিয়ে সেলিমের ও তাঁর পরিবারের লোকজনের সাথে মাঝে মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এসব ঘটনা নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় সেলিমের সাথে তাঁর মা হানিফা খাতুনের (৪৬) মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এর এক পর্যায়ে সেলিম ধারালো হাসুয়া দিয়ে তাঁর মায়ের গলা ও বুকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ রাত ৮ টার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০১০
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের সম্মেলন
সোমবার, ৮ মার্চ, ২০১০
কুষ্টিয়ায় পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ একজন নিহত
