.jpg)
বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
পুলিশ রিমান্ডে কুষ্টিয়ায় দুই মহিলার চাঞ্চল্যকর তথ্য
.jpg)
মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
মিরপুরে র্যাব ও পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত

মঙ্গলবার ভোরে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের অঞ্জনগাছী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে লাশ পাওয়া গেছে সাইদুল হক নামের এক যুবকের। পুলিশের দাবি-র্যাব ও পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিহত সাইদুল নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার ছিলেন। র্যাব বক্তব্যানুযায়ী- একদল চরমপন্থী অঞ্জনগাছী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গোপন বৈঠক করছিল। এ রকম সংবাদ পেয়ে তারা পুলিশকে সাথে নিয়ে ভোর পৌনে ৫টার দিকে সেখানে অভিযান চালায়। সে সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থীরা গুলি বর্ষণ করে। র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ বাধে। এক পর্যায়ে চরমপন্থীরা পিছু হটলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক চরমপন্থীর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ এবং একটি এলজি, ৬ রাউন্ড বন্দুকের গুলি ও ৩টি ককটেল উদ্ধার করে। পরে এলাকাবাসী মৃতদেহটি চরমপন্থী সাইদুল হকের বলে শনাক্ত করে। নিহত সাইদুলের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। সে অঞ্জনগাছী গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে।
সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
বাংলা একাডেমীর সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ড. আবুল আহসান চৌধুরী

বাংলা একাডেমীর সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান ড. আবুল আহসান চৌধুরী। শুক্রবার বিকেলে বাংলা একাডেমী চত্বরে আয়োজিত মাসব্যাপী একুশের বই মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা শেষে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট লোক বিজ্ঞানী অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান এ পুরস্কার ঘোষণা করেন। লালন সাইজির উপর গবেষণার জন্য পাওয়া এ সম্মান ড. আবুল আহসান চৌধুরী বাউল ফকির লালন সাঁইকেই উৎসর্গ করেছেন। প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরী বাংলা একাডেমীর পুরস্কার পাওয়ায় কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের মানুষ আনন্দে-উদ্বেলিত। জানা গেছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমী আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরীর হাতে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুরস্কারটি তিনটি ভাগে বিভক্ত। সম্মাননা পত্র, সম্মাননা প্রতিক ও একটি নির্ধারিত অংকের চেক।
ড. আবুল আহসান চৌধুরী
ড. আবুল আহসান চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকেই লেখা-লেখি শুরু করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তাঙ্গন থেকে প্রকাশিত “স্বাধীন বাংলা” পত্রিকায় তিনি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নানা কবিতা ও গল্প লিখে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করেছেন। এরপর তিনি শিক্ষকতায় আত্মনিয়োগ করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি এপার বাংলা ওপার বাংলার সাহিত্যিক, লেখক ও কবিদের নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তিনি দীর্ঘকাল ধরে অমর কথা সাহিত্যিক বিষাদ সিন্ধু রচয়িতা মীর মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে গবেষণা করে মীর মোশাররফ হোসেন’র সাহিত্য ও শিল্পকর্মের উপর ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। এর পর থেকেই তাঁর গবেষণাধর্মী লেখা-লেখি আরও বৃদ্ধি পায়। তিনি একাধারে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহের জীবন, এই উপমহাদেশের প্রথম গ্রামীণ সাংবাদিকতার প্রবাদ পুরুষ কাঙ্গাল হরিণাথ মজুমদার, জলধর সেন এবং সর্বপরি বাউল সম্রাট লালন ফকিরকে নিয়ে তার গবেষণাধর্মী লেখা বই দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমাদৃত হয়। তাঁর ৫০ বছর পূর্তিতে তাঁকে নিয়ে এপার বাংলা ও ওপার বাংলার প্রখ্যাত লেখক, সাংবাদিক ও গবেষকদের একটি গবেষণাধর্মী ৫শ পৃষ্ঠার বই ‘সুবর্ণ রেখার আল্পনা’ প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরীর বইয়ের সংখ্যা ৭০। এবারও একুশের বই মেলায় ড. চৌধুরীর ৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এ সম্পর্কে ড. আবুল আহসান চৌধুরী মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমীর পুরস্কার পেয়ে আমি বিষ্মিত ও আনন্দিত। বিষ্মিত এ কারণে যে, এতদিন পর বাংলা একাডেমী আমার মত একজন মানুষকে পুরস্কৃত করলো। আর আনন্দিত বাংলা একাডেমী আমাদের ভাষা আন্দোলনের ফসল সেই বাংলা একাডেমী আমাকে পুরস্কৃত করেছে সে জন্য। তিনি আরও জানান, কুষ্টিয়া আমার জেলা আমার এ অর্জণ কুষ্টিয়াবাসীর জন্য তাই এ পুরস্কার আমি বাউল ফকির লালন সাঁইকেই উৎসর্গ করলাম।
ড. আবুল আহসান চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকেই লেখা-লেখি শুরু করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তাঙ্গন থেকে প্রকাশিত “স্বাধীন বাংলা” পত্রিকায় তিনি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নানা কবিতা ও গল্প লিখে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করেছেন। এরপর তিনি শিক্ষকতায় আত্মনিয়োগ করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি এপার বাংলা ওপার বাংলার সাহিত্যিক, লেখক ও কবিদের নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তিনি দীর্ঘকাল ধরে অমর কথা সাহিত্যিক বিষাদ সিন্ধু রচয়িতা মীর মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে গবেষণা করে মীর মোশাররফ হোসেন’র সাহিত্য ও শিল্পকর্মের উপর ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। এর পর থেকেই তাঁর গবেষণাধর্মী লেখা-লেখি আরও বৃদ্ধি পায়। তিনি একাধারে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহের জীবন, এই উপমহাদেশের প্রথম গ্রামীণ সাংবাদিকতার প্রবাদ পুরুষ কাঙ্গাল হরিণাথ মজুমদার, জলধর সেন এবং সর্বপরি বাউল সম্রাট লালন ফকিরকে নিয়ে তার গবেষণাধর্মী লেখা বই দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমাদৃত হয়। তাঁর ৫০ বছর পূর্তিতে তাঁকে নিয়ে এপার বাংলা ও ওপার বাংলার প্রখ্যাত লেখক, সাংবাদিক ও গবেষকদের একটি গবেষণাধর্মী ৫শ পৃষ্ঠার বই ‘সুবর্ণ রেখার আল্পনা’ প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরীর বইয়ের সংখ্যা ৭০। এবারও একুশের বই মেলায় ড. চৌধুরীর ৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এ সম্পর্কে ড. আবুল আহসান চৌধুরী মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমীর পুরস্কার পেয়ে আমি বিষ্মিত ও আনন্দিত। বিষ্মিত এ কারণে যে, এতদিন পর বাংলা একাডেমী আমার মত একজন মানুষকে পুরস্কৃত করলো। আর আনন্দিত বাংলা একাডেমী আমাদের ভাষা আন্দোলনের ফসল সেই বাংলা একাডেমী আমাকে পুরস্কৃত করেছে সে জন্য। তিনি আরও জানান, কুষ্টিয়া আমার জেলা আমার এ অর্জণ কুষ্টিয়াবাসীর জন্য তাই এ পুরস্কার আমি বাউল ফকির লালন সাঁইকেই উৎসর্গ করলাম।
৭টি হাত বোমাসহ দুই জন গ্রেপ্তার
হাবিবুল বাশারের বিদায় কেমন হবে

হাবিবুল বাশার ক্রিকেট থেকে বিদায় নিচ্ছেন। ৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা-চট্টগ্রামের ম্যাচের প্রথম দিন সেঞ্চুরির পর যখন দর্শক অভিনন্দনের জবাব দিতে দিতে বেরিয়ে আসছিল, তখনো হয়তো সিদ্ধান্ত নেননি বিদায়ের। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানান নি। জাতীয় লিগের ওই ম্যাচের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে কথা বলেছেন হাবিবুল। সেখানেই নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। বিসিবি পরিচালক এবং মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন 'সুমন (হাবিবুল বাশার) আমার সঙ্গে কথা বলেছে। জানিয়েছে, সে আর খেলাটি চালিয়ে যেতে চায় না। সে যেহেতু দীর্ঘদিন জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিল, তাকে তাই আমরা মাঠ থেকে বিদায়ের ব্যবস্থা করব। ইংল্যান্ডের সাথে চলতি সিরিজের কোনো একদিন সেই ব্যবস্থা করা হবে।' হাবিবুলও হয়তো অপেক্ষায় আছেন সেই মুহূর্তের। তাই তো এখনই মুখ ফুটে কিছু বলছেন না। তবে আজ থেকে শুরু হওয়া খুলনার ম্যাচটিতে না খেলার কথা ঠিকই জানিয়েছেন তিনি, 'ফিটনেসের কারণে এই ম্যাচটি আমি খেলছি না। আর ক্রিকেটকে বিদায় জানাব কি না, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে ধরে নেয়া হচ্ছে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ১০৩ রান হয়ে থাকছে তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংস। এমন শেষটা আসলে প্রাপ্যই হাবিবুলের। ক্রিকেটকে তো আর কম দেননি তিনি। জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং ব্যাটসম্যান_দুই ভূমিকায়ই দারুণ সফল। ৫০ টেস্টের ৯৯ ইনিংসে করেছেন ৩০২৬ রান। সর্বোচ্চ ১১৩, গড় ৩০.৮৭। সেঞ্চুরি তিনটির পাশাপাশি আছে ২৪টি হাফ সেঞ্চুরি। ফিফটির এই বহরের কারণে তো একসময় হাবিবুলের নামই হয়ে গিয়েছিল 'মিস্টার ফিফটি'। ওয়ানডেতে ১১১ ম্যাচে ২১৬৮ রান করেছেন ২১.৬৮ গড়ে। কোনো সেঞ্চুরি না থাকলেও আছে ১৪টি হাফ সেঞ্চুরি। আর ফার্স্ট কাস ক্রিকেটে ৯১ ম্যাচে সাত সেঞ্চুরি ও ৪১ হাফ সেঞ্চুরির অলংকারে হাবিবুলের রান ৫৫৭১। পরিসংখ্যানে সফল এক ব্যাটসম্যানেরই প্রতিচ্ছবি। একই রকম সফল তিনি অধিনায়কত্বেও। ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের আগে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ পর্যন্ত হাবিবুলের নেতৃত্বে সাকুল্যে ১৮টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে এক জয় ও চার ড্রয়ের বিপরীতে হার ১৩টিতে। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ও সিরিজ জয় এসেছিল হাবিবুলের অধিনায়কত্বেই। ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক তিনি। নেতৃত্ব দেওয়া ৬৯টি ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ২৯টিতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এবড়ো-থেবড়ো পথে চলা একটি দলের জন্য এটি কম তো নয়! শুধু জিম্বাবুয়ে-কেনিয়া নয়, এ সময় ভারত (দুবার), অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও জিতেছে বাংলাদেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপে তো হাবিবুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ উঠে গিয়েছিল সুপার সিক্স পর্বেই! ওই বিশ্বকাপের পর থেকেই আসলে শুরু হয় ব্যাটসম্যান হাবিবুলের অধোগতি। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পর হারান অধিনায়কত্ব। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের পর বাদ পড়েন দল থেকে। একসময় বাংলাদেশের ত্রাণকর্তা ছিলেন যিনি, যাঁর মাঠে নামা মানেই ছিল ফিফটির নিশ্চয়তা, সেই হাবিবুল ৫০ পেরোননি ১৯ ইনিংসে। এসবের সমীকরণে সেই যে বাদ পড়লেন, আর জাতীয় দলে ফিরতে পারেননি।ফিরবেন কী, মাঝে তো নিষিদ্ধ ক্রিকেট লিগ আইসিএলে গিয়ে বনে গিয়েছিলেন খলনায়ক! হয়েছিলেন নিষিদ্ধ। সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে; ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে প্রিমিয়ার লিগে ভালোই রান করেছেন হাবিবুল। আর জাতীয় লিগে তো রীতিমতো দুর্বার। সাত ইনিংসে মাঠে গিয়ে পাঁচটিতেই খেলেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। এই রানের মধ্যে থেকেই বিদায় জানালেন ক্রিকেটকে।ছোটবেলায় ক্রিকেটারই হতে চাননি হাবিবুল। কিভাবে কিভাবে যেন তা হয়ে গেলেন! বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের একাদশে তাঁর থাকার কথা ছিল না। অনেক নাটকের পর সুযোগ পেয়ে খেললেন ৭১ রানের সেই অবিস্মরণীয় ইনিংস। আগে কখনো সেভাবে অধিনায়কত্ব করেননি। জাতীয় দলের নেতৃত্ব পেয়ে হয়ে গেলেন সফলতম অধিনায়ক। কে জানে, দারুণ সফল এক ক্যারিয়ার শেষে নতুন কোনো ভূমিকায় এই সাফল্যকেও ছাড়িয়ে যান কি না হাবিবুল বাশার!
রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের হামলায় দু’সাংবাদিক আহত :এসআই ওবাইদুল ক্লোজড



সাংবাদিক নির্যাতনের সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বেলা সোয়া ৩টায় পুলিশ সুপার শাহাবু্িদ্দন খানের সাথে বৈঠক করেন সাংবাদিকবৃন্দ। এ বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাযহারুল আলম সুমনসহ বক্তব্য রাখেন দৈনিক আন্দোলনের বাজার পত্রিকার সম্পাদক মনজুর এহসান চৌধুরী, প্রেসক্লাব সভাপতি গাজী মাহবুব রহমান, সাধারন সম্পাদক ও যুগান্তর প্রতিনিধি আল মামুন সাগর, আমাদের সময় প্রতিনিধি সামসুল আলম স্বপন, সমকাল প্রতিনিধি সাজ্জাদ রানা, দেশতথ্য পত্রিকার সম্পাদক এস এম হালিমুজ্জামান। এছাড়াও কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত সকল দৈনিক, সাপ্তাহিক, জাতীয় দৈনিক ও টেলিভিশন চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং কর্তব্যে অবহেলার কারণে ঘটনার সময় কলেজে দায়িত্বরত এসআই ওবাইদুলকে ক্লোজড করা ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাযহারুল আলম সুমন ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বহিস্কার এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন।
শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত
কুষ্টিয়ায় পৃথক দুটি সড়ক দূর্ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের খয়েরপুর নামকস্থানে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় চুয়াডাঙ্গা জেলার জয়রামপুর গ্রামের আব্দুল জলিল (৫৪) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আর বেলা ১১টায় শহরতলীর বারখাদা ত্রিমোহনী বিএলটিসি টোব্যাকোর সামনে ট্রাকের চাপায় নিহত হয় অজ্ঞাতনামা এক পথচারী। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
কুষ্টিয়ায় ক্রসফায়ার: হবি কবিরাজ নিহত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চিলমারী চরে র্যাব-পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী পান্না বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডার হবি কবিরাজ (৪০) নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৭রাউন্ড রাইফেলের তাজাগুলি ও ৫ রাউন্ড গুলির খোসা, ৯টি বোমা ও ২টি রামদা উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোসেনাবাদ র্যাব ক্যাম্প ও দৌলতপুর থানা পুলিশ যৌথভাবে চর চিলমারির বাজুমারা খেয়া ঘাটে অভিযান চালায়। সেখানে বৈঠকরত পান্না বাহিনীর সন্ত্রাসীরা র্যাব-পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাব-পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় ক্রসফায়ারে পড়ে হবি কবিরাজ নিহত হলে অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। নিহত হবি কবিরাজের বিরুদ্ধে ৬টি হত্যাসহ ১০টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চাল ব্যবসায়ী আফিল উদ্দিন নিহতের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় চালকল মালিক সমিতি চাল উৎপাদন বন্ধ রেখেছে
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরের ভিআইপি রাইচ মিলের মালিক ও ঢাকার বাবু বাজারের বিশিষ্ট্য চাল ব্যবসায়ী আফিল উদ্দিন ছিনতাইকারীদের গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা বুধবার সকাল থেকে কুষ্টিয়ার প্রায় ৩ শতাধিক চালকল বন্ধ রেখেছে। মঙ্গলবার বেলা ৩টায় চাল বিক্রির অর্থ সংগ্রহ করে ঢাকাস্থ বাবু বাজারের বাসায় ফেরার পথে ৫/৬জনের একদল ছিনতাইকারী তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে আফিল উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় ছিনতাইকারীরা আফিল উদ্দীনের কাছে থাকা নগদ ৩০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এ ঘটনার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ার খাজানগরের চালকল মালিক সমিতি তাদের উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ বাবলু জানিয়েছেন, আফিল উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে কুষ্টিয়ার প্রায় ৩ শতাধিক চালকল বন্ধ রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
শীর্ষ অপহরণকারী ইউপি মেম্বর মুক্তি শাহীন নিহত

কুষ্টিয়ায় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছে জেলার শীর্ষ অপহরণকারী সন্ত্রাসী জাসদ গণবাহিনীর নেতা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শাহীন বেগ ওরফে মুক্তি শাহীন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের সাইবাড়ীয়ার বিলের মাঠ থেকে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। সোমবার রাত ৯টার দিকে পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা রাজিব জাসদ গণবাহিনীর শীর্ষ নেতা শাহীন বেগকে গুলি করে হত্যার দায় স্বীকার করে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে ফোন করে বিবৃতি প্রদান করেন। এ সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে তল¬াশী অভিযান শুরু করলেও গভীর রাত পর্যন্ত লাশ উদ্ধার করতে না পেরে অভিযান সাময়িক বন্ধ রাখে। পরে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আবারও অভিযান চালিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার সময় সাইবাড়ীয়ার বিলের মাঠ থেকে গুলি বিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, নিহত শাহীন বেগ ওরফে মুক্তি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের হাড়–রিয়া গ্রামের ফরিদ উদ্দিন বেগের ছেলে। সে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সদর, পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমাডাঙ্গা থানায় একাধিক হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজীর মামলা রয়েছে।
দৌলতপুর থেকে অস্ত্র, রামদা ও ফেনসিডিলসহ দুই ব্যক্তি আটক
ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার

রুমী ছিলেন ছাত্র রাজনীতির অহংকার

সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন

শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
অসহ্য হাত
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ
অবৈধভাবে ২০০ আসন দাবী করে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষে (সম্মান) ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। সোমবার সকাল ১০টায় প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের মৌখিক পরীক্ষার কার্যক্রম চলাকালে কুষ্টিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে প্রবেশ করে পরীক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা কলেজের ক্যাশবাক্সও দখল করে নেয়। পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়, তবে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
কুষ্টিয়ায় পুলিশের নতুন ইউনিট ‘ধাবমান দল’
কুষ্টিয়ায় পুলিশের নতুন এক ব্যতিক্রমী ইউনিট ‘ধাবমান দল‘র উদ্বোধন করা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে সন্ত্রাস কবলিত এ জেলায় জেলা পুলিশের ওই দল মানুষের অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ধাবমান দল উদ্বোধনকালে এসপি শাহাবুদ্দিন খান বলেন, কুষ্টিয়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে। তারপরও জেলা পুলিশ বিভিন্ন সময়ে কৌশল পরিবর্তন করছে, যার নমুনা এই ধাবমান দল। এরা ৪টি মটরসাইকেলে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে শহরের সব পয়েন্টে টহল দিবে। এসময় তারা ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণে সন্দেহজনকদের চেকিংসহ বিভিন্ন কৌশলে মানুষের অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে। থাকবে নির্দিষ্ট মোবাইল নাম্বার, শহরে বিপদে ফোন করলেই পাওয়া যাবে এদের। উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র শাহা, সদর সাকেল সি এ হালিম।
দৌলতপুরে ১৩ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ১৩ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার দৌলতপুর উপজেলার গাছের দিয়ার গ্রামের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রবজেল হোসেন মালিথা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে একই এলাকার রেজাউল হক, সোনা মিয়া, আতাহারসহ ১৩ জন রবজেল হোসেন মালিথার পিতা মোজাম্মেল হক ও চাচা আকছের আলীকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং বাড়িতে লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)