বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০০৯

একে-৪৭ লেডি আওয়ামী লীগ নেত্রীর আখির গল্প

একটি একে ফোরটি সেভেন, একটি শর্টগান ও ৮২ রাউন্ড গুলি নিয়ে কুষ্টিয়া শহর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদিকা তাসলিমা খান আখিসহ মোট ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত পৌনে ১১টায় কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়কের ত্রিমোহনী নামক স্থানে পুলিশ চেক পোষ্টে তাদের বহনকারি সাদা রঙের মাইক্রোবাস তল্লাশ করলে এ অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়া যায়। সাদা রঙের ওই মাইক্রোবাসে করে তারা কুষ্টিয়া শহরের দিকে আসছিল। পুলিশ জানায়, অত্যাধুনিক এ অস্ত্র দুটি বোরখা পরিহিত তাসলিমা খান আখি (৪২)র কোমরে আটকানো ছিল। এ সময় ওই গাড়িতে থাকা আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অন্য তিনজন হলো পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং সি/২ এলাকার চরমপন্থী গুড় সোহেলের স্ত্রী রানী খাতুন (২২), কালিশংকরপুরের জামাল উদ্দিনের ছেলে রাজ্জাক (৩৫) ও মাইক্রোবাসের চালক ইবি থানার মহিষডাঙ্গা গ্রামের উমেদ আলীর ছেলে শাহীন (৩২)। এদের নিকট থেকে মোট ৬টি মোবাইল ফোনও জব্দ করে পুলিশ। পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাদের সাথে নিয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে দৌলতপুরের ডাংমড়কা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে এসব অস্ত্রের সরবরাহকারি আক্কাস আলী (৪৫)কে গ্রেফতার করেছে। আক্কাস আলী ওই গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। পুলিশ বলেছে, গ্রেফতারকৃতরা চরমপন্থি সংগঠন গণমুক্তিফৌজের সদস্য। পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের নিয়ে আরো অস্ত্র উদ্ধারের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ ও অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
কে এই আখি
কুষ্টিয়া পৌরসভার সাবেক কমিশনার আওয়ামী লীগ নেতা ওমর হায়দার খান কোহিনুরের স্ত্রী এই আখি। কোহিনুর কুষ্টিয়ার ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। নাম আখি হলেও জš§গতভাবে তার একটি চোখ খারাপ। সে কারনে সে ছোটবেলা থেকেই কালো চশমা পরে থাকে। বেশ ফিটফাট পোশাক পড়ে সে চলাফেরা করে। কোহিনুরের সাথে বিয়ে হবার পরই সে আওয়ামী লীগের কর্মি হিসেবে কাজ শুরু করে। বিভিন্ন মিছিল মিটিংএ চশমা পরা আখির সরব উপস্থিতি দেখেছে শহরবাসী। ১৯৯৩ সালে কোহিনুর যখন পৌরসভার কমিশনার পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা শুরু করে তখন এই আখি একটু খোলামেলা পোশাক পড়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইতে নামে। সে সময়ই প্রথম আলোচনায় আসে কোহিনুর। তার পরিচিতিও ঘটে বেশ।
আখির রাজনৈতিক উত্থান
মিছিল মিটিংসহ দলীয় কার্যক্রমে সরব উপস্থিতির কারনে আওয়ামী লীগের ৮ নং ওয়ার্ডে ানচের অবস্তান শক্ত করে ফেলে আখি। সেসময় তার স্বামী কোহিনুর খান যুবলীগের নেতা হবার সুবাধে একটু বাড়তি সুবিধা হয় তার। নির্বাচনে স্বামী কমিশনার পদে জয়লাভ করলে আখির আরো বাড়তি সুবিধা হয়। জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বেগম নুরজাহান মীনা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উদ্দেশ্যে ২০০৩ সালের দিকে কুষ্টিয়ার রাজনীতিতে ব্যারিষ্টার আমীর উল ইসলাম সক্রিয় হলে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক পৌর ষাবার চেয়ারম্যান আনোয়ার আলীর সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এসময় র‌্যারিষ্টার আমীর নতুন করে আওয়ামী লীগকে চাঙ্গা করেন। তিনি বিভিন্ন কমিটি সক্রিয় করতে থাকেন। এরই অংশ হিসেবে ২০০৫ সালে মহিলা আওয়ামী লীগের শহর ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। মীনা বেগম বলেন, এসময়ও আমি আখিকে চিনতাম না। সে সময় সে ৮ নং ওয়ার্ড মহিলা আওযামী লীগের সদস্য ছিলো। এসময় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন রওশন আরা মজিদ ও সাধারন সম্পাদক ছিলেন পৌর কমিশনার সালমা রহমান যুথিকা। এই কমিটি ঠিকমতো সক্রিয় না থাকা ও আমাদের সহযোগিতা না করায় নাজমা খুররমকে আহবায়ক করে শহর মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ২০০৫ সালে মাজামাঝি কুষ্টিয়া শিল্পকলায় শহর মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বনিবনা না হওয়ায় আনোয়ার আলী গ্রপের নেত্রীরা উঠে চলে আসেন। তারা পাশে পৌরসভার বিজয় উল্লাস চত্বরে পাল্টা সমাবেশ করে। র‌্যারিষ্টার আমীরের পক্ষে সেলিনা হক আয়নাকে সভানেত্রী ও এই তাসলিমা খান আখি হন সাধারন সম্পাদক। পাল্টা কামটিতে সভানেত্রী হন আলম আরা জুই আর সাধারন সম্পাদক হন সালমা রহমান যুথিকা। এই দুটি কমিটিই অন্য কমিটিকে মানেন না। এদিকে এই কমিটিতে থেকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য দল গোছানোর কাজ করার কারনে আখি র‌্যারিষ্টারের বেশ ঘনিষ্ট হযে যান। পরে ব্যারিষ্টার নির্বাচনে পরাজিত হন। এবং এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি কুস্টিয়ার রাজনীতি থেকে দুরে সরে যান। এসময় আখি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদ আজগর আলীর বিশ্বস্থ হয়ে ওঠেন। দলীয় সকল কর্মকান্ডে সবসময়ই তাকে সক্রিয় দেখা গেছে। আজগর আলীর গ্রুপে কাজ করার কারনে জেলা আওযামী লীগের বর্তমান সভাপতি সদর আসনের এমপি খন্দকার রশীদুজ্জামান দুদুর বেশ ঘনিষ্ট হয়ে পড়েন আখি। কুষ্টিয়ায় প্রচার রয়েছে এমপি দুদুর সাথে তার শ্যালিকা দুলাভাই সম্পর্ক। তবে গতকাল গ্রেফতারের পর সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অস্বীকার করেন। তবে এমপি সাহেব কুষ্টিয়া আসলে আখি ও তার বরকে সবসময় কাছাকাছি থাকতে দেখা গেছে। এমপির সাথে ভাল সম্পর্কের কারনে সে দলে বেশ শক্ত অবস্থান সৃষ্টি করেছিল।
বহিস্কার হতে পারেন
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বেগম নুরজাহান মীনা বলেন, আখি যে কাজ করেছে। সে অস্ত্রসহ ধরা পড়েছে। দলের শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজের জন্য সে বহিস্কার হতে পারেন। আমার কাছে এরকম প্রস্তাব দিয়েছেন অনেকেই। শহর কমিটির সভানেত্রী সেলিনা হক আয়না জানান আমরা ইতোমধ্যেই আলোচনা করেছি। আখির বহিস্কারের বিষয়ে চুডান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।
যুবলীগ নেতা জামু হত্যার সাথে জড়িত
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত আখি জেলা যুবলীগ নেতা জামিরুল ইসলাম জামু হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী ছিলেন। গত ২০০৬ সালের ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় জামু আঁখির বাসায় বেড়াতে যায়। এ সময় জামুর কাছে মোবাইলে ফোন আসে। সে আখিঁর বাসার নিচে রাস্তায় নেমে,মোটর সাইকেলে ওঠার সাথে সাথে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। দুইটি ঠিকাদারি কাজ নিয়ে সেসময় জামুর সাথে একটি চরমপন্থি দলের সদস্যদের বিরোধ চলছিল। এ হত্যার সাথে আঁখি জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ তখনই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে জামূ হত্যা মামলার আসামী করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। দীর্ঘদিন হাজতবাস করার পর সে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পায়। আখিকে ১ নং আসামী রেখে ওই মামলার চার্জশীট হয়ে গেছে।
অবৈধ সম্পর্ক
আখির অসংলগ্ন চলাফেরা ও অবৈধ সম্পর্কের কথা মানুষের মুখে মুখে। কুষ্টিয়ার সবাই জানে জামুর সাথে আখির খুব ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। আখির বাসায় জামুর যাতায়াত ছিল। এছাড়াও একটি রেডিওর দোকানকে কেন্দ্র করে আখির সাথে ব্যবাসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্টতার খবরও কুষ্টিয়াবাসীর মুখে মুখে।
পুলিশ সুপারের বক্তব্যকুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, অস্ত্রবাহী একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসযোগে দৌলতপুর থেকে কুষ্টিয়া শহর অভিমুখে আসছিল। এএসপি হেডকোয়ার্টার আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ টিম আগে থেকেই বারখাদা ত্রিমোহনীতে চেক পোষ্ট বসিয়ে ছিল। গত আড়াই মাস কুষ্টিয়া পুলিশে বিশেষ অভিযান শুরুর পর এরকম চেকপোষ্ট প্রায়ই বসানো হয়। রাত ১১টার দিকে ত্রিমোহনীতে পৌছামাত্র মাইক্রোটিকে চ্যালেঞ্জ করে ডিবি’র ওই টিম। এ সময় গাড়ীর আরোহীদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তাদের দেহে তল¬াশী চালানো হয়। এসময় আখির কোমরে গুজে রাখা একটি একে-৪৭ রাইফেল ও একটি শর্টগান উদ্ধার করা হয়। কাপড় দিয়ে অতি সুরক্ষিতভাবে আগ্নেয়াস্ত্র দুটি মুড়িয়ে রাখা হয়েছিল। এরপর অস্ত্রবহনকারীদের ঘটনাস্থলেই ব্যাপক জিজ্ঞসাবাদ করে পুলিশ। আঁখির দেয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে অভিযানে বের হয়। এএসপি হেডকোয়ার্টার আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, কুষ্টিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে মহিলারা চরমপন্থি ক্যাডার হিসেবে কাজ করছে। মহিলা ক্যাডারদের একটি তালিকাও করেছি আমরা। গ্রেফতারকৃতরা চরমপন্থি সংগঠন গনমুক্তিফৌজের ক্যাডার। তারা শহরে বড় কোন অপরাধ ঘটানোর জন্য এইসব আধুনিক অস্ত্র নিয়ে আসছিল।
অস্ত্র দুটি যেখানে ছিল
পুলিশের বিশেষ দলটি গ্রেফতারকৃতদের সাথে নিয়ে জেলার দৌলতপুর উপজেলার ডাংমড়কা গ্রামে অভিযানে যায়, যেখান থেকে অস্ত্রগুলো আনা হয়েছিল। গভীর রাতে পুলিশ ডাংমড়কা গ্রামের আক্কাস আলী মোল্ল¬ার বাড়ীতে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। পুলিশ চারিদিক থেকে বাড়ী ঘিরে ফেলে। এ সময় আক্কাস আলী মোল্ল¬া বাড়ীতেই অবস্থান করছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে শেষ রক্ষা হয়নি তার, গ্রেফতার হয় পুলিশের হাতে। সেখান থেকে তাকে কুষ্টিয়ায় আনা হয়। আক্কাস আলী জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে কুষ্টিয়া শহরের এক দূর্ধর্ষ কিলার পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হবার আগে এ অস্ত্র তার কাছে রেখে যায়। আক্কাস সেগুলো তার বাড়ীর পাশে একটি বাগানের মধ্যে মাটি নিচে পুতে রেখেছিল। সে আরো জানায়, গণমুক্তিফৌজের ওই কিলার নিহত হওয়ার আগে অস্ত্র গোলাবারুদগুলো আঁখিকে দিতে বলে যায়।
অস্ত্রের ব্যাপারে আখি যা বলেন
আখি বলেন ভিন্ন কথা। তার বক্তব্য আক্কাস তাকে ফোন করে দৌলতপুর নিয়ে যায়। এজন্য সে আখির ছেলেকে অপহরনের হুমকি দেয়। সেখানে গেলে তাকে ভয় দেখিয়ে অস্ত্রগুরো শহরে নিয়ে যেতে বলে। বলে আপনি নিয়ে গেলে কেউ চেক করবে না। কুষ্টিয়া নিয়ে গেলেই আপনাকে ফোন করে আমার লোক অস্ত্র ও গুলি নিয়ে নেবে।
আখির চরমপন্থি কানেকশন
যুবলীগ নেতা জামু হত্যাকান্ডের পরই আখির চরমপন্থি কানেকশনের বিষয়টি চাউর হয়ে যায়। সে চরমপন্থি নেতাদের সাথে সম্পর্ক রেখে ঠিকাদারী কাজ ভাগ করে দিত বলেও অভিযোগ রয়েছে। একারনে চরমপন্থি কানেক্টেড ঠিকাদারদের তার বাসায় যাতায়াত ছিল। পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, সে অন্য কারো জন্য অস্ত্র বহন করছিলো এমন ভাবা ঠিক হবে না। সে নিজে চরমপন্থি দলের সদস্য। নিজেও এটা কোন নাশকতামূলক কাজে ব্যবহার করতে পারতো। গ্রেপ্তার অভিযানে অংশ নেয়া এক মহিলা পুলিশ সদস্য জানান, যে ভাবে তার কোমরে দুটি ভারি আগ্নেয়াস্ত্র রাখা ছিল এবং তা নিয়ে যে যেভাবে গাড়ী থেকে নেমেছে তাতে মনে হয়েছে সে এসবের ব্যবহার জানে। এছাড়া তার সাথে গ্রেফতার হওয়া চরমপন্থি গুড় সোহেলের স্ত্রী রানীও এ ব্যাপারে বেশ পারদর্শী বলে মনে হয়েছে। গুড় সোহেল পুলিশের সাথে এনকাউন্টারে নিহত হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য
জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম বলেন, এ খবরে আমার বিষ্মিত হয়েছি। তার মধ্যে যে এতোবড় অপরাধ মানুষ লুকিয়ে ছিল তা আমরা কখনই টের পাইনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাসী হলে আমার দলের লোককে আগে গ্রেফতার করবেন। বর্তমান সরকার যে প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দিচ্ছে এটা তার প্রমান। তিনি বলেন, আখির এ অবৈধ কারবারের সাথে আওয়ামী লীগের কোন সম্পর্ক নেই। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী বলেন, আমাদের সাথে আখি রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিল। রাজনীতির মাঠের বাইরে সে কি করেছে তা আমাদের জানা থাকার কথা নয়।

কোন মন্তব্য নেই: