শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় মাথা কাটার নেপথ্য নায়ক ‘লাল’ ভারতে খুন

যার নাম শুনলেই পিলে চমকে যায় কুষ্টিয়াবাসীর। ধড় আর মাথা একত্রে থাকবে কি-না তা নিয়ে উদ্বেগের শেষ থাকেনা। সেই ভয়ংকর প্রকৃতির চরমপন্থি মাথা কাটার নেপথ্য নায়ক ওবাইদুল ওরফে লাল ভারতে খুন হয়েছে। খুন হয়েছে নিজের সংগঠন গণবাহিনীরই প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপের গুলিতে। পারিবারিক সূত্রে এ খবর নিশ্চিত করা হলেও পুলিশ কিছুই বলতে পারেনি। তার বলেছে আমরাও খবরটি শুনেছি। একের পর এক মানুষের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নতুন বিভীষিকার জন্ম দিয়েছিল এই লাল। দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে চরম নির্মমতায় তা বাজার করা ব্যাগে ভরে কয়েক কিলোমিটার দুরে আলাদা করে রাখতো। দুঃসাহসিকভাবে কাটা মাথা রেখেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে। কুষ্টিয়া সড়ক ভবনের গেটে একযোগে তিনটি কাটা মাথা রেখে হিম আতঙ্কের জন্ম দেয় লাল। এ বিভৎসতায় সারা দেশ হতবাক হয়ে যায়। কিন্ত চরম ঔধ্যত্ব দেখিয়ে অবলীলায় এসব কাটা মাথার পাশে জাসদ গনবাহিনী (লাল) ও নিজের মোবাইল নাম্বার লেখা চিরকুট রেখে যায়। অল্প ক’দিনেই সে পুলিশ প্রশাসনের মাথা বিগড়ে দেয়। তাকে ধরার জন্য এবং তার বাহিনীকে দমনের জন্য আদাজল খেয়ে নামে পুলিশ। পুলিশ ও র‌্যাবের প্রধানকে আসতে হয় কুষ্টিয়ায়। পরে পুলিশ ও র‌্যাব আক্রমনাত্মক অভিযান চালিয়ে একের পর এক বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থি মারা পড়তে থাকলে লালসহ শীর্ষ চরমপন্থিরা সীমান্ত গলিয়ে চলে যায় ভারতে। সেখানে গিয়েও তারা শান্ত থাকেনি। প্রতিপক্ষকে হত্যার মিশনে লেগে পড়ে। এমনি এক মিশনে লাল অধ্যায়ের যবনিকাপাত ঘটেছে। গণবাহিনীরই প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপের ক্যাডাররাই লালকে হত্যা করেছে বলে নিশ্চিত করেছে তার সহযোগী চরমপন্থিরা।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় ছাপা হওয়া এ সংক্রান্ত খবর।
দেখুন এই ঠিকানায়
আজিবর ও কালুর দায় স্বীকার
ওবাইদুল হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে গণবাহিনীর প্রধান আজিবর চেয়ারম্যান ও সামরিক শাখার প্রধান কালু। ভারত থেকে কুষ্টিয়ার সাংবাদিকদের মোবাইলে শনিবার রাতে ফোন করে তারা এ হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে। এসময় তারা পার্টির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি পড়ে শোনান। এতে বলা হয়, পার্টির নির্দেশ অমান্য করে টেন্ডারবাজি, নিরীহ লোকজনকে ধরে মাথা কেটে হত্যা, সামরিক শক্তি নিজের কাজের ব্যবহার ও অর্থ আত্মসাতের কারনে পার্টির সকল নেতাকর্মির সিদ্ধান্তক্রমে ওবাইদুল ওরফে লালকে সব্বোর্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নির্ধারন করা হয়। সামরিক শাখার কমান্ডার কালুর নের্তৃত্বে পার্টির একদল গেরিলা রাত ৯টায় গুলি করে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। একই সাথে বিবৃতিতে তারা গনবাহিনীর নতুন কমিটির ঘোষনা দেয়। নতুন কমিটিতে আজিবর চেয়ারম্যানকে পার্টির শীর্ষপদ সম্পাদক ও কালুকে পার্টির সামরিক শাখার সম্পাদক পদ দেয়া হয়েছে। লালের শাস্তি কার্যকরের ব্যাপারে পার্টির কর্মিদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য কমিটির পক্ষ থেকে ওই বিবৃতিতে আহবান জানানো হয়।

কোন মন্তব্য নেই: