বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় গোয়েন্দা পুলিশের চমক : চারদিনে চার চরমপন্থি মহিলা গ্রেপ্তার

চমকের পর চমক দেখাচ্ছে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ। গতকালও এক মহিলাসহ দুই চরমপন্থিকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। সোমবার রাত থেকে এ নিয়ে তারা মোট ৪ জন মহিলা চরমপন্থিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এদের সাথে গ্রেপ্তার করা হয় আরো ৪ পুরুষ। এদিকে বুধবার গ্রেপ্তার হওয়া মহিলা চরমপন্থি বৈশাখী রহমান ওরফে চুমকিকে বিস্ফোরক, অপহরন ও ছিনতাই মামলায় আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে। আর রিমান্ডে থাকা আওয়ামী লীগ নেত্রী আখিসহ চারজন বিভিন্ন হত্যাকান্ডের বর্ণনাসহ চাঞ্চল্যকর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। বৃহ¯পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের আড়–য়াপাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের বাড়ি থেকে বের হবার সময় নাহিদ পারভীন চম্পাকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এসময় রবিউল ইসলামের ছেলে তুষারকেও (২৮) সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে তারা। এসময় বাড়ির ভেতর থেকে পালিয়ে যায় তুষারের বড় ভাই তুহিন। পুলিশ জানায়, সেও চরমপন্থি দলের সদস্য। চম্পা শহরের আমলাপাড়া এলাকার ডাঃ আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে। বুধবার গ্রেপ্তার হওয়া মহিলা চরমপন্থি বৈশাখী রহমান ওরফে চুমকি পুলিশের নিকট দুই বোন চম্পা ও নাসরিন তাদের সাথে জড়িত বলে জানিয়েছিল। চম্পা গ্রেপ্তার হবার পর নাসরিন উধাও হয়ে গেছে। কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার সদর দপ্তর আলমগীর হোসেন জানান, চম্পা দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের নারী স্কোয়ার্ডের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে আসছিল। আর তুষার একই সংগঠনের জন্য বিভিন্ন এলাকায় চাঁদা তুলতো। জিজ্ঞাসাবাদে চম্পা জানিয়েছে, তার স্বামী আব্দুস সালাম বিশ্বাস দীর্ঘদিন জাপানে ব্যবসা করে। চম্পা সালামের দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই বছর আগে সে জাপান থেকে এসে এই বিয়ে করেছে। সালাম ১৯ বছর ধরে জাপানে আছেন। পুলিশ বলছে, ঢাকার মহম্মদপুর এলাকায় শ্বশুর বাড়ির লোকদের সাথে না থেকে চম্পা বেশিরভাগ সময় কুষ্টিয়ায় অবস্থান করে দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থী দলের নারী স্কোয়ার্ডের সক্রিয় সদস্য হিসেবে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। স্বামী না থাকায় সে অসংলগ্ন চলাফেরা করে থাকে। চরমপন্থিদের হয়ে নানা অপকর্ম করে থাকে। গত দুর্গা পুজার ভীড়ের মধ্যে আমলাপাড়ার এক মন্দিরে এই চম্পা লম্বা ভাঙ্গা কাচের টুকরা দিয়ে ৪/৫ জন ছেলেকে রক্তাক্ত জখম করে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে চম্পা জানান, গ্লাসে আমারই হাত কেটে যায়। আমি কাউকে আঘাত করেনি। তিনি বলেন, ওই হাতকাটার জন্যই গাছ নিতে তুহিনদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এ ব্যাপারে গ্রেপ্তারকৃত তুষার জানান, তাদের বাড়িতে কোন গাছ দেয়া হয়না। এরা দুজনই গ্রেপ্তারের পর থেকে অসংলগ্ন কথা বার্তা বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তুষার একবার চম্পাকে বিয়াইন পরিচয় দেয়। আবার পরক্ষনেই বলেছে তাকে চিনি। আমার কিছুই হয়না।

কোন মন্তব্য নেই: