সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০০৯

ডিভি-২০১১ : আবারও আমেরিকা যাওয়ার সুযোগ

কুষ্টিয়া নিউজ : বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশীদের জন্য আমেরিকা যাওয়ার সুযোগ এসেছে আবারও। গ্রিনকার্ড হিসেবে খ্যাত ডাইভারসিটি ইমিগ্রেশন ভিসা প্রোগ্রাম (ডিভি-২০১১) ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। গত ২রা অক্টোবর থেকে অনলাইনে বা ইন্টারনেটে ভিসা প্রার্থীদের আবেদনপত্র জমা নেয়া হচ্ছে। চলবে ৩০শে নভেম্বর আমেরিকার সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এবার আবেদন করা যাবে শুধু ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ইন্টারনেটে আবেদনপত্র পাওয়া যাবে www.dvlottery.state.gov/application.aspx এই ওয়েবসাইটে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.dvlottery.state.gov/-এ এসব কথা বলা হয়েছে। জানা গেছে, অন্যবারের মতো এবারও বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, বাহরাইন, ভুটান, ব্রুনেই, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, পূর্ব তিমুর, বিশেষভাবে প্রশাসিত হংকং, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, ইসরাইল, জাপান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, নেপাল, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, বেনিন, বতসোয়ানা, ক্যামেরুন, মিশরসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশের মানুষকে সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার ডিভি ভিসা দেয়া হবে। এবার বাংলাদেশ পেতে পারে প্রায় ৩ হাজার ৮৫০টি ভিসা।
যারা ইতিমধ্যে আমেরিকার নাগরিকত্ব বা স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন তারা এতে আবেদন করতে পারবেন না। আবেদনকারিকে অবশ্যই কমপক্ষে (আমেরিকান মানের) হাইস্কুল পর্যায়ের বা তার সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে আপনার প্রাথমিক পর্যায় এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ১২ বছরের কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন থাকতে হবে। অথবা গত ৫ বছরের মধ্যে দুই বছরের কোন পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে যা যাচাই-বাছাই করবে সংশ্লিষ্টরা।
ডিভি-২০১১ আবেদন জমা দেয়ার পদ্ধতি
একই ব্যক্তি একাধিক আবেদন করলে, তিনি যেই হোন না কেন, তার আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যাবে। আপনি আবেদনপত্র জমা দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সফলভাবে জমা দেয়া আবেদনের জন্য কম্পিউটারের মনিটরে আপনাকে একটি কনফার্মেশন রেজাল্ট দেবে। তাতে আপনার নাম এবং একটি কনফার্মেশন নম্বর দেয়া থাকবে। মনিটরের পর্দায় দেখানো এই তথ্যগুলো আপনাকে প্রিন্ট নিয়ে রাখতে হবে।
আপনি যে আবেদন ফর্ম পাবেন সেখানে অতি সাবধানে নিজের, প্রয়োজনে স্ত্রীর, ২১ বছরের নিচে বয়সের অবিবাহিত সন্তানের ছবি যোগ করতে হবে। তবে যে শিশু ইতিমধ্যে আমেরিকার নাগরিকত্ব, আইন অনুযায়ী আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছে তার ছবি সংযুক্ত করতে হবে না। গ্রহণযোগ্য হবে না কোন গ্র“প ছবি। আবেদনপত্রের সঙ্গে আপনার, আপনার স্ত্রীর, প্রতিটি সন্তানের আলাদা আলাদা ডিজিটাল ছবি ইন্টারনেটে পাওয়া ফর্মের নির্ধারিত স্থানে সংযুক্ত করতে হবে। এ ছবি তোলা যেতে পারে নতুন ডিজিটাল ফটো ব্যবস্থায় বা ডিজিটাল স্ক্যানারে স্ক্যান করা ছবি যোগ করতে হবে।
ডিজিটাল ছবি কেমন হবে
সরাসরি ডিজিটাল ক্যামেরায় তোলা ছবি বা ডিজিটাল স্ক্যানারে স্ক্যান করা ছবি আবেদনের সঙ্গে জমা দেয়া যাবে। আবেদনকারীদের ছবিগুলো হতে হবে ক্যামেরার দিকে সোজা মুখ করা। মাথা কোনভাবে ডানে-বামে, ওপরে-নিচে অবস্থান করানো যাবে না। চশমাপরা ছবি অগ্রহণযোগ্য হবে যদি চশমার ওপর আলো প্রতিফলিত হয়, চশমার ফ্রেমের ছাপ পড়ে চোখের ওপর। মাথার ওপরে চুল থেকে শুরু করে থুঁতনির ঠিক নিচ পর্যন্ত অংশের পরিমাপ হতে হবে মোট ছবির শতকরা ৫০ ভাগ থেকে ৬৯ ভাগের মধ্যে। মোট ছবির উচ্চতার শতকরা ৫৬ থেকে ৬৯ ভাগের মধ্যে হতে হবে দুচোখের উচ্চতা। ছবির পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে হালকা রঙের। তবে ছবির সামনে থেকে কোন কালার ব্যবহার করা যাবে না। যদি ব্যাকগ্রাউন্ড কালো হয়, অস্পষ্ট হয়, কম্পোজিশন করা হয়, রেজুলুশন খুব কম হয় তাহলেও আবেদনপত্র অযোগ্য হতে পারে।
ছবির মাপ কি হবে
প্রথমত ডিজিটাল ছবির ক্ষেত্রে ছবি হতে হবে Joint Photographic Experts Group (JPEG) ফর্মেটের। এর সর্বনিম্ন মাপ হতে হবে ৬০০ বাই ৬০০ পিক্সেল। ছবির ফাইল সাইজ হতে হবে ২৪০ কিলোবাইটস। ২৪-বিটের রঙিন ছবি হতে হবে। তবে সাদা-কালো, ২-বিটের কালার, ৮-বিটের কালার বা ৮-বিটের সাদা-কালো ছবিও গ্রহণযোগ্য হবে না। অন্যদিকে ছবি যদি স্ক্যান করে পাঠান তাহলে স্ক্যানারের রেজুলুশন কমপক্ষে ১৫০ ডট প্রতি ইঞ্চিতে (dpi) থাকতে হবে। এক্ষেত্রেও ছবি হতে হবে JPEG ফরমেটের। ইমেজ ফাইল সাইজ হতে হবে ২৪০ কিলোবাইটস। ইমেজ রেজুলুশন থাকতে হবে কমপক্ষে ৬০০ বাই ৬০০ পিক্সেল। অন্যান্য শর্ত আগের মতোই। এক্ষেত্রে নির্দেশনা দেখতে ব্রাউজ করতে পারেন www.dvlottery.state.gov/photo.aspx এই ঠিকানায়।
সব ঠিকঠাক মতো গুছিয়ে নিয়ে বসে পড়ুন ইন্টারনেটে
কম্পিউটারে বসে চলে যান www.dvlottery.state.gov/application.aspএই ঠিকানায়। আপনার সামনে খুলে যাবে ইলেক্ট্রনিক ডাইভারসিটি ভিসা এন্ট্রি ফর্ম (ই-ডিভি ইন্ট্রি ফর্ম)। এই ফর্মটি যথাযথভাবে পূরণ ও জমা দিতে ব্যর্থ হলে আপনার আবেদনপত্র অযোগ্য হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে নিজের ফর্ম নিজেকে পূরণ করতে উৎসাহিত করেছে আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইন্টারনেটে ওপরের ঠিকানায় ব্রাউজিং করলেই কম্পিউটারের মনিটরে ভেসে উঠবে ফর্ম। সেখানে যেসব তথ্য চাওয়া হবে তা অনেকটা এরকম-
1. FULL NAME- Last/family name, First name, Middle name.
2. DATE OF BIRTH- Day, Month, Year.
3. GENDER-Male or Female
4. CITY WHERE YOU WERE BORN-
5. COUNTRY WHERE YOU WERE BORN-
6. COUNTRY OF ELIGIBILITY OR CHARGEABILTY FOR THE DV PROGRAM-
7. ENTRY PHOTOGRAPH(S)-
8. MAILING ADDRESS-
9. COUNTRY WHERE YOU LIVE TODAY
10. PHONE NUMBER (optional)
11. E-MAIL ADDRESS-
12. WHAT IS THE HIGHEST LEVEL OF EDUCATION YOU HAVE ACHIVED, AS OF TODAY?- (1) Primary school only, (2) High school, no degree, (3) High school degree, (4) Vocational school, (5) Some university courses, (6) University degree, (7) Some graduate level courses, (8) Master degree, (9) Some doctorate level courses, and (10) Doctorate degree.
13. MARITAL STATUS- Unmarried, Divorced, Widowed, or Legally Separated.
14. NUMBER OF CHILDREN-
15. SPOUSE INFORMATION-
16. CHILDREN INFORMATION-
এখানে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেয়ার মতো তথ্য উপাত্ত ফর্মেই দেয়া আছে। সেখান থেকে শুধু প্রযোজ্যটি নির্বাচন করে দিতে হবে কম্পিউটারের কার্সরের সাহায্যে। ডিভি আবেদনের ফর্মে দুটি ভাগ আছে। ওপরে দেয়া হলো এর প্রথম অংশ। এই অংশটি ঠিকঠাক মতো পূরণ করে ফর্মের শেষে Continue বাটনে চাপ দিলে এই অংশ জমা হয়ে যাবে। তখন কম্পিউটারের মনিটরে ভেসে উঠবে ফর্মের দ্বিতীয় অংশ। একই পদ্ধতিতে তা পূরণ করে Submit বাটনে চাপ দিলে চূড়ান্তভাবে জমা হয়ে যাবে আবেদনপত্র। এ সময় মনিটরের স্ক্রিনে ভেসে উঠবে আপনার নাম ও কনফার্মেশন নম্বর। এটি প্রিন্ট নিয়ে নিজের কাছে খুব যত্ন সহকারে রেখে দিতে হবে।
সফলভাবে পূরণ করা ফর্ম যাচাই-বাছাই শেষে কম্পিউটারের মাধ্যমে চূড়ান্ত ড্র করা হবে। এতে যারা বিজয়ী হবেন তাদেরকে ফর্মে দেয়া ই-মেইল এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে আমেরিকার কোন দূতাবাস বা কনসুলেটসে বিজয়ীদের তালিকা পাওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বার্ষিক এই ডিভি লটারির জন্য কোন চার্জ বা ফি নেয়া হবে না। আমেরিকা নিয়োজিত কোন কর্মচারী, বাইরের কোন কনসালটেন্ট অথবা বেসরকারি কোন সংস্থা ডিভি লটারি কর্মসূচি পরিচালনা করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে সফলভাবে জমা দেয়া আবেদনকারীদের সবারই জেতার সম্ভাবনা সমান।
নিজে পূরন করতে না পারলে কোথায় যাবেন
নিজে ফরম পুরণের ব্যাপারে কনফিডেন্ট না থাকলে বা প্রয়োজনীয় উপকরন যেমন কম্পিউটার, ডিজিটাল ক্যামেরা, স্কানার বা ইন্টারনেট লাইন না থাকলে অন্যের সহযোগিতা নিতে পারেন। এরজন্য কুষ্টিয়া শহরেই রয়েছে বেশকিছু বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের বাইরে সাইনবোর্ড লাগিয়ে তারা দৃষ্টি আকর্ষন করছে। খেয়াল রাখবেন দক্ষ অপারেটর ছাড়া ফরম পূরণ করলে আপনার কষ্ট, টাকা ও সময় সবই নষ্ট হবে। আর একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন সেটি হলো-কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে হাতে লেখা ফরম পূরণ করে দিয়ে আসবেন না যারা পরে আপনাকে কনফার্মেশন লেটার দিবে। সে কেমন করে আপনার ফরম পূরন করলো, ঠিকমতো ছবি দিলো কিনা বুঝতে পারবেন না। সেজন্য অবশ্যই আপনি বসে থেকে আপনার সামনেই ফরম পূরন করতে বলবেন। আরো খেয়াল রাখবেন আপনার নিজের ঠিকানা না দিয়ে অনেকেই অন্য ঠিকানা বা মেইল ব্যবহার করতে চাইবে। তাহলে বিজয়ী হলে আপনি জানতেই পারবেন না। তারা জানবে আগে। তাই নিজে বসে থেকে অবশ্যই আপনার লটারী ফরম পূরন করবেন। এক্ষেত্রে কুষ্টিয়া নিউজ এর কার্যালয়ে (মিডিয়া জোন, থানার সামনে, কুষ্টিয়া) যোগাযোগ করতে পারেন। এখানেও ফরম পূরন করে দেয়া হচ্ছে।
বাদ পড়ছে যেসব দেশ
আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এবার ডিভি লটারিতে অংশ নিতে পারছে না বেশকিছু দেশ। সেগুলো হলো- ভারত, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, কলম্বিয়া, ডোমিনিক প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েডর, এল সালভাদর, গুয়াতেমালা, হাইতি, জামাইকা, মেক্সিকো, পাকিস্তান, পেরু, ফিলিপাইনস, পোল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর আয়ারল্যান্ড বাদে যুক্তরাজ্য এবং এর উপর নির্ভরশীল অঞ্চল এবং ভিয়েতনাম।

1 টি মন্তব্য:

নামহীন বলেছেন...

Thank you For your Sacrificing mind
That you publish this Important news for kushtia people So that they Would be benefited .


Moon