সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০০৯

কয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে গণমুক্তিফৌজের আঞ্চলিক নেতা আজবাহার

কুষ্টিয়া, ১২ অক্টোবর ২০০৯
কুষ্টিয়ার কয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের আঞ্চলিক নেতা আজবাহার ওরফে বাহার। আজ রোববার ভোরে কুমারখালী উপজেলার কয়া কলেজ মাঠে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়ার সহকারি পুলিশ সুপার সিএ হালিম জানান, কয়া কলেজ মাঠে একদল চরমপন্থী বৈঠক করছিল। এ খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুষ্টিয়া ডিবি ও কুমারখালী থানা পুলিশের যৌথ টিম সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থিরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এক পর্যায়ে চরমপন্থিরা পিছু হটলে পুলিশ সেখান থেকে আজবাহারের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহসহ ২টি সার্টারগান এবং ৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করে। নিহত আজবাহার কয়ার চরবানিয়াপাড়ার আজিল বিশ্বাস ওরফে আজিমুদ্দিনের ছেলে। নব্বই’র দশকের গোড়ার দিকে পদ্মা-গড়াই নদীতে নৌ ডাকাতি শুরু করে অপরাধ জগতে পা বাড়ান আজবাহার। এরপর অপহরন, চাঁদাবাজি শুরু করেন। ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহার হতো আজবাহার। তার নামে চাঞ্চল্যকর বাচ্চু চেয়ারম্যান হত্যাসহ ৩টি হত্যা মামলা, ১টি অপহরন, ২টি বিস্ফোরক, ২টি দাঙ্গা, ২টি জিডিসহ অন্তত: ১২টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই: