
পুলিশ জানিয়েছে, কোরবান অপহরণ এবং হত্যাসহ অন্তত ৬টি মামলার পলাতক আসামি। সে আলমডাঙ্গা থানার মোস্ট ওয়ানটেড তালিকাভূক্ত চরমপন্থি। ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান, ১০ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত বন্দুকের গুলির খোসা ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। নিহত চরমপন্থি নেতা কোরবানের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার বিনোদপুরে। সে ওই এলাকার মৃত ভাদু মণ্ডলের ছেলে।
অপরদিকে ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডুর বিরামপুর গ্রামের জিনারুল ওরফে জানে আলম গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ধরা পড়েছে। সোমবার দেড়টার দিকে গোবরাপাড়া ব্রিজের নিকট পুলিশের সাথে গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ধরা পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডুর বিরামপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে জিনারুল (৩০) এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে বোমাবাজ হিসেবে পুলিশের মোস্টওয়ানটেড ছিলো। পুলিশ বলেছে, গতরাত দেড়টার দিকে দৌলতপুর ইউনিয়নের গোবরাপাড়া বেলি ব্রিজের নিকট একদল সন্ত্রাসী গোপন বৈঠক করছে খবর পেয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে থানার একদল পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি বর্ষণ করে। পুলিশও চালায় পাল্টা গুলি। গোলা-গুলির এক পর্যায়ে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জিনারুল ধরা পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ জিনারুলকে ঝিনাইদহ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। জিনারুল বোমা হামলা মামলায় বেশ কিছুদিন জেলহাজতে থাকার পর মুক্ত হয়ে আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন