মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১০
কুষ্টিয়ায় নেশাদ্রব্য পান করে দুই ছাত্রের মৃত্যু
রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১০
এমপির বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় মামলা, আটক-১০

বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০১০
কুষ্টিয়ায় ৭৩ বিডিআরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০১০
ভেড়ামারায় অপরিচিত লাশ উদ্ধার
রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১০
মিরপুরে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১০
কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষ: অনেক আহত
বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০১০
সাধু সঙ্গ সাঙ্গ

বুধবার, ১২ মে, ২০১০
এবার কিলার জীবন নিহত
বুধবার, ৫ মে, ২০১০
এবার আব্দুল আলিম নিহত

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত দেড়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে জাসদ গণবাহিনীর নেতা আলিম সশস্ত্র অবস্থায় তার দলবল নিয়ে মিরপুর উপজেলার কলাবাড়িয়া জিকে ক্যানেল সংলগ্ন আবু বক্করের কলাবাগানে গোপন বৈঠক করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা ও মিরপুর থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। আলিম ও তার দলবল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধাঘন্টা বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আলিম। পালিয়ে যায় তার সহযোগি অন্য সন্ত্রাসীরা। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৫রাউন্ড গুলি, ৪টি ককটেল ও ছোরা উদ্ধার করে। আলিমের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যাসহ ৭টি মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ জানায়। সে মিরপুর উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের নূরুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।
শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১০
দৌলতপুরে জবাই করা লাশ
রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১০
শীর্ষ চরমপন্থী শাহিন ভারতে গ্রেফতার...!

কে এই শাহিন :বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শাহিনের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানা কৃত্তিনগর গ্রামে। তার পিতা কুষ্টিয়া পশু হাসপাতালে চাকুরী করতেন। এই সুবাদে কুষ্টিয়ার শহরের কালিশংকরপুর জামতলা মোড়ে নিজেরা বাড়ি তৈরী করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে শাহিনের পরিবার। এসএসসি পাশ করার পর শাহিন ভর্তি হয় যশোর পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটে। একবছর পর সেখান থেকে বদলী হয়ে আসে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে। পাওয়ার বিভাগের ছাত্র শাহিন ১৯৯৮ সালে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভিপি নির্বাচন করেন। অল্প ভোটের ব্যবধানে পারাজিত হন শাহিন। স্থানীয় সামাজিক দ্বন্দ্ব, তার পরিবারের সদস্যদের ওপর এলাকার সন্ত্রাসীদের নির্মম অত্যাচার শুরু হয়, শাহিনের মায়ের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা, তার বাড়ি ঘর লুটপাটের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ছাত্র থেকে রাতারাতি শীর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে ওঠে শাহিন। এলাকায় গড়ে তোলে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী। একদিকে নসু-শাহিন বাহিনী অপরদিকে সিরাজ বাহিনী। এই দুই বাহিনীর কোন্দলে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটতে হতে থাকে কালিশংকপুর এলাকায়। অল্প দিনের মধ্যে অপরাধ জগতের মুকুটহীন সম্রাট বনে যায় শাহিন। ১৯৯৯ সালে কুষ্টিয়া ষ্টেডিয়ামে তৎকালীন স্বরাষ্টমন্ত্রী নাসিমের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পন করে শাহিন। এরই মধ্যে খুন হয় নসু। নসু খুনের প্রতিশোধ নিতে আবারও মরিয়া হয়ে ওঠে শাহিন রুমী। তাত্ত্বিক কমিউনিষ্ট নেতা মীর ইলিয়াস হোসেন দিলীপের হাত ধরে শাহিন যোগ দেয় শ্রমজীবী মুক্তি আন্দোলনে। কিছুদিনের মধ্যে সামরিক শাখার প্রধান বনে যায়। কালিশংকরপুরের আক্তার, আড়–য়াপাড়ার আল হেলাল মদন, হরিশংকরপুরের রফিক, ভাটা পাড়ার হেরোইন সম্রাজ্ঞী আলেয়া, ঠিকাদার নান্নু, ফয়েজ, জামু, হাবিব, সন্ত্রাসী মানু, সুলতান ,কালিশংকরপুরের শফি, জাসদ নেতা জামাই বাবুসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ খুন হয়েছে শাহিনের নেতৃত্বাধীন গণমুক্তিফৌজ ক্যাডারদের হাতে। অপরাধের তুলনায় শীর্ষ এই চরমপন্থী নেতা নামে মামলার সংখ্যা অনেক কম বলে পুলিশ জানিয়েছে। জামাত বিএনপি জোট সরকারের মাঝামাঝি সময় থেকে এ পর্যন্ত ক্রসফায়ারে শাহিনের প্রায় আাড়াইশ ক্যাডার নিহত হয়েছে। ক্রসফায়ার চালু হলে শাহিন অবস্থা বেগতিক দেখে ভারতে পাড়ি জমায়। সেখান থেকেই তিনি নিয়ন্ত্রন করতেন দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের আন্ডার্রওয়াল্ড। টেন্ডারবাজিকে তিনি একমাত্র অর্থ উপার্জন মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করেন। কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ জেলার সকল সরকারী দপ্তরের টেন্ডার গণমুক্তিফৌজের নিয়ন্ত্রনে। সম্প্রতি গণমুক্তিফৌজের প্রধান আমিনুল ইসলাম মুকুল ভারতে গ্রেফতার হন। বর্তমানে তিনি ভারতের কারাগারে রয়েছেন। মুকুল গ্রেফতারের পর থেকে শাহিন নদীয়া জেলার ওই গ্রামে বসবাস করতো বলে জানা গেছে। এর আগেও গত বছর শাহিনকে ভারতে পশ্চিমবঙ্গের বনগ্রাম থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। অল্পদিনের মধ্যে তিনি সেখান থেকে জামিনে বেরিয়ে যান।
কুষ্টিয়ায় পুলিশের ক্রসফায়ারে একজন নিহত....


বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০১০
কুষ্টিয়ায় ক্রসফায়ারে গণবাহিনীর প্রধান মান্দার নিহত

র্যাব বক্তব্য এমন...বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানাধীন ঝাউদিয়া ইউনিয়নের মধ্য খোর্দ্দ বাখইল গ্রামে একটি মাঠে চরমপন্থী সংগঠন গণবাহিনীর বর্তমান প্রধান মান্দার তার সহযোগিদের নিয়ে বড় ধরনের অপরাধ সংগঠিত করার জন্য বৈঠক করছিল। এমন সংবাদে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। র্যাব সদস্যরা সেখানে পৌছে ঘটনাস্থলের চারিদিক ঘিরে ফেলে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে এবং অবস্থা বেগতিক ভেবে চরমপন্থীরা প্রথমে বেশ কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় র্যাব সদস্যরা মাটিতে শুয়ে নিজেদের রক্ষা করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালাতে চরমপন্থিরা র্যাবকে লক্ষ্য গুলি বর্ষণ শুরু করে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। ২০-২৫ মিনিটের এ বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসীরা টিকতে না পেরে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। গুলি বিনিময় থেমে যাওয়ার পর র্যাব সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে ব্যাপক তল্লাশী চালায়। এ সময় সেখানে একজন গুলিবিদ্ধ লাশ পরে থাকতে দেখা যায়, যা স্থানীয়রা গণবাহিনীর প্রধান চরমপন্থী মান্দার বলে সনাক্ত করে বলে ।
সেখান থেকে র্যাব সদস্যরা চরমপন্থীদের ফেলে যাওয়া একটি পয়েন্ট টুটু বোর রাইফেল, একটি দেশী তৈরী এলজি, ৪টি হাত বোমা, ১২ রাউন্ড গুলি ও বেশ কয়েকটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে বলে দাবি করে। র্যাব-১২ কুষ্টিয়ার মেজর জাকির হোসেন জানান, নিহত চরমপন্থী মান্দার বাখইল গ্রামের আফজাল মন্ডলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ইবি থানায় ৪টি হত্যাসহ মোট ৭টি মামলা ও ১১টি জিডি রয়েছে। মান্দার তার চাচা জাসদ গণবাহিনীর প্রধান আজিবর চেয়ারম্যান ভারতে নিহত হওয়ার পর দলের প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছিল। শারিরীক গড়নে শক্তিশালী মান্দার ওপারেশন ক্লিনহার্টের সময় সেনাবাহিনীর সাথে কাদার মধ্যে লড়াই করে পালিয়ে গিয়েছিল।
মিরপুরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে একজন নিহত
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের আটিগ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৪ জন। নিহতের নাম আসাদুল ইসলাম (৩৫)। গ্রামবাসীর নিকট থেকে শোনা তথ্যমতে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটিগ্রামে একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে তর্কে লিপ্ত সাইদুল-রহিম গ্রুপ ও আসাদুল গ্রুপ। পরে সাইদুল-রহিম গ্রুপ ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে আসাদুলের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে। এসময় আসাদুল ও তার দুই ভাই মুসা, কালু এবং ভাতিজা রাকিবুলসহ ৫ জন আহত হয়। এদেরকে ভর্তি করা হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসাদুলের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তার ভাই মুসা ও কালু। এদিকে, আসাদুলের মৃত্যুর পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী জানায়, যে কোন সময় আবারও ভয়াবহ সংর্ঘষ হতে পারে।
রবিবার, ২১ মার্চ, ২০১০
কুষ্টিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত: পুলিশ বলছে গণমুক্তিফৌজের কমান্ডার

সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০১০
কুষ্টিয়ায় শর্টগান উদ্ধার
কুষ্টিয়ার ভোটার বেড়েছে ৫১ হাজার ৯৪১
দৌলতপুরে কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি, দৌলতপুর
দৌলতপুরের ড. মুহাম্মদ গার্লস কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর উপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শনি ও রোববার ক্লাস বর্জন করে কলেজে বিক্ষোভ করেছে। তার নিপীড়নকারি হিসেবে অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারন দাবি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগোয়ানস্থ ড. মুহাম্মদ ফজলুল হক গার্লস কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের জনৈক শিক্ষক পরীক্ষার সাজেশন দেওয়ার নামে ওই কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী জনৈক ছাত্রীকে কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বিজ্ঞানাগারে নিয়ে যায়। এ সময় শিক্ষক কক্ষের দরজা আটকে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে চুম্বনসহ শরীরের হাত দেয়। ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে কলেজের শিক্ষিকা হাবিবা খাতুন ও শিক্ষার্র্থীরা ছুটে গিয়ে ধস্তাধস্তির দৃশ্য দেখে কলেজ কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। কর্তৃপক্ষ তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌছে দেয়। এ খবর কলেজের সকল ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে শনি ও রোববার তাঁরা ক্লাস বর্জন বিক্ষোভ করে অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারনসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। ঘটনার পর ওই শিক্ষক গাঁ ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ নাসরিন আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গৃহবধূ ধর্ষনের অভিযোগে দৌলতপুরে প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার
স্বামীর অনুপস্থিতিতে ঘরে প্রবেশ করে এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে এক প্রধান শিক্ষক। শনিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মাদাপুর গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লম্পট ওই প্রধান শিক্ষককে আটক করে পুলিশে দিলেও পুলিশ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হেফাজতে দিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেয়। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে স্থানীয় জনগনের চাপে পরে ওই প্রধান শিক্ষককে রোববার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, জয়পুরের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাদাপুর গ্রামের এক গ্রহবধুর ঘরে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ওই গ্রহবধুর রূপালীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে লম্পট শিক্ষককে হাতে নাতে আটক করে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে মথুরাপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ হুমায়ুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লম্পট প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে স্থানীয়দের হেফাজতে সোপর্দ করে। পরে রোববার দুপুরে এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্থ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। এর আগে ওই শিক্ষকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, স্থানীয় কিছু লোক আমাকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লম্পট প্রধান শিক্ষকের বিদ্যালয় থেকে অপসারন দাবি করেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিগত দিনে ্এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
দৌলতপুরে ছেলের হাতে মা খুন
দৌলতপুরে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ছেলের হাতে খুন হয়েছে মা। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মধুগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মধুগাড়ী গ্রামের আলেফ উদ্দীনের ছেলে সেলিম বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছিল। এটি তার বাবা-মা পছন্দ করত না। এ নিয়ে সেলিমের ও তাঁর পরিবারের লোকজনের সাথে মাঝে মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এসব ঘটনা নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় সেলিমের সাথে তাঁর মা হানিফা খাতুনের (৪৬) মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এর এক পর্যায়ে সেলিম ধারালো হাসুয়া দিয়ে তাঁর মায়ের গলা ও বুকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ রাত ৮ টার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০১০
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের সম্মেলন
সোমবার, ৮ মার্চ, ২০১০
কুষ্টিয়ায় পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ একজন নিহত

বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
পুলিশ রিমান্ডে কুষ্টিয়ায় দুই মহিলার চাঞ্চল্যকর তথ্য
.jpg)
মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
মিরপুরে র্যাব ও পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত

সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
বাংলা একাডেমীর সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ড. আবুল আহসান চৌধুরী

ড. আবুল আহসান চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকেই লেখা-লেখি শুরু করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তাঙ্গন থেকে প্রকাশিত “স্বাধীন বাংলা” পত্রিকায় তিনি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নানা কবিতা ও গল্প লিখে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করেছেন। এরপর তিনি শিক্ষকতায় আত্মনিয়োগ করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি এপার বাংলা ওপার বাংলার সাহিত্যিক, লেখক ও কবিদের নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তিনি দীর্ঘকাল ধরে অমর কথা সাহিত্যিক বিষাদ সিন্ধু রচয়িতা মীর মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে গবেষণা করে মীর মোশাররফ হোসেন’র সাহিত্য ও শিল্পকর্মের উপর ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। এর পর থেকেই তাঁর গবেষণাধর্মী লেখা-লেখি আরও বৃদ্ধি পায়। তিনি একাধারে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহের জীবন, এই উপমহাদেশের প্রথম গ্রামীণ সাংবাদিকতার প্রবাদ পুরুষ কাঙ্গাল হরিণাথ মজুমদার, জলধর সেন এবং সর্বপরি বাউল সম্রাট লালন ফকিরকে নিয়ে তার গবেষণাধর্মী লেখা বই দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমাদৃত হয়। তাঁর ৫০ বছর পূর্তিতে তাঁকে নিয়ে এপার বাংলা ও ওপার বাংলার প্রখ্যাত লেখক, সাংবাদিক ও গবেষকদের একটি গবেষণাধর্মী ৫শ পৃষ্ঠার বই ‘সুবর্ণ রেখার আল্পনা’ প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরীর বইয়ের সংখ্যা ৭০। এবারও একুশের বই মেলায় ড. চৌধুরীর ৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এ সম্পর্কে ড. আবুল আহসান চৌধুরী মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমীর পুরস্কার পেয়ে আমি বিষ্মিত ও আনন্দিত। বিষ্মিত এ কারণে যে, এতদিন পর বাংলা একাডেমী আমার মত একজন মানুষকে পুরস্কৃত করলো। আর আনন্দিত বাংলা একাডেমী আমাদের ভাষা আন্দোলনের ফসল সেই বাংলা একাডেমী আমাকে পুরস্কৃত করেছে সে জন্য। তিনি আরও জানান, কুষ্টিয়া আমার জেলা আমার এ অর্জণ কুষ্টিয়াবাসীর জন্য তাই এ পুরস্কার আমি বাউল ফকির লালন সাঁইকেই উৎসর্গ করলাম।
৭টি হাত বোমাসহ দুই জন গ্রেপ্তার
হাবিবুল বাশারের বিদায় কেমন হবে

রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের হামলায় দু’সাংবাদিক আহত :এসআই ওবাইদুল ক্লোজড



শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত
বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
কুষ্টিয়ায় ক্রসফায়ার: হবি কবিরাজ নিহত

চাল ব্যবসায়ী আফিল উদ্দিন নিহতের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় চালকল মালিক সমিতি চাল উৎপাদন বন্ধ রেখেছে
মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
শীর্ষ অপহরণকারী ইউপি মেম্বর মুক্তি শাহীন নিহত

দৌলতপুর থেকে অস্ত্র, রামদা ও ফেনসিডিলসহ দুই ব্যক্তি আটক
ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার

রুমী ছিলেন ছাত্র রাজনীতির অহংকার

সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন

শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১০
অসহ্য হাত
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ
অবৈধভাবে ২০০ আসন দাবী করে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষে (সম্মান) ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। সোমবার সকাল ১০টায় প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের মৌখিক পরীক্ষার কার্যক্রম চলাকালে কুষ্টিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে প্রবেশ করে পরীক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা কলেজের ক্যাশবাক্সও দখল করে নেয়। পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়, তবে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
কুষ্টিয়ায় পুলিশের নতুন ইউনিট ‘ধাবমান দল’
দৌলতপুরে ১৩ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা
শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১০
ইবি ক্যাম্পাস থেকে চরমপন্থী গ্রেপ্তার, আগ্নেআস্ত্র ও বোমা উদ্ধার
বাবা গলাটিপে শিশুকন্যাকে হত্যা করে পুতে রাখে গড়াই’র চরে

কুষ্টিয়া শহরতলীর লালন মাজার সংলগ্ন ছেউড়িয়া মন্ডলপাড়া গ্রামে নেশাখোর বাবা নিজে তার শিশুকন্যাকে গলাটিপে হত্যা করে বস্তাবন্দি করে বালুচরে পুতে রাখে। পচেঁ গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে শিয়াল কুকুর বালু সরিয়ে মৃত শিশুটির পেটের অংশ থেকে খাওয়া শুরু করে। ১৮ জানুয়ারী রাতে হত্যা করা ওই শিশুর লাশ ১০ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিকট গন্ধে মানুষ টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। বাধবাজার এলাকায় গড়াই’র চরে বালুর খুড়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। শুক্রবার শেষ বিকেলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত করে শিশুর লাশ তার নানী বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই মারিয়ার লাশ দাফন করার সময় হৈচৈ পড়ে যায়। নিজ শিশুকন্যার লাশ দেখে মা রুপা খাতুন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। নিহত শিশু কন্যার নাম মারিয়া (দেড় বছর)। এ নিয়ে কুমারখালী থানায় নিহত মারিয়ার মা রুপা খাতুন বাদী হয়ে ঘাতক বাবা মাহাবুল ইসলামের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এর আগেই পাষন্ড বাবা ঘরে তালা দিয়ে আত্মগোপন করেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসি জানিয়েছে, আয়ের সব টাকা নেশা করে শেষ করে এসে নিহত মারিয়ার রিক্সাচালক বাবা প্রায় প্রতিরাতেই স্ত্রী রুপা খাতুনের উপর নির্যাতন চালাতো। মেয়ে বড় হচ্ছে, খেতে দিতে হবে, বিয়ে দিতে হবে এইসব বলে স্ত্রীকে মেয়ে মেরে ফেলার কথা কলতো। ভয়ে স্ত্রী রুপা খাতুন স্থানীয় বড়বাজারে কাজ নেয়া তুলার ফ্যাক্টরিতে যাওয়া বাদ দিয়ে শিশু কন্যাকে পাহারা দিত। গত ১৮ জানুয়ারী ঘরে চাল না থাকায় রুপা কাজে যায়। রাতে ফিরে এসে শিশুকন্যা মারিয়াকে না পেয়ে স্বামীর কাছে জানতে চাইলে শুরু করে মারধর। গভীর রাতে স্বামী তাকে জানায় তোর মেয়েকে গলাটিপে মেরে ফেলেছি, লাশ পুতে রেখেছি। এই খবর স্থানীয় পুলিশিং কমিটির মাধ্যমে পুলিশকে জানালে, পুলিশ প্রমাণ চায়। শেষমেশ রুপা খাতুন নিজেই বালু চরের উচু উচু ঢিবি সরিয়ে লাশ খুজতে শুরু করে। পায় না। প্রতিদিনই সে পাগলের মতো আদরের ধনকে এভাবে খুঁজে বেড়াতো। ১০ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিকট গন্ধে বালু চরে শিশুর লাশ আবিস্কার করে এলাকাবাসি। পরে রুপা এসে তার মেয়ে শনাক্ত করে সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। বাবার হাতে নিহত মারিয়ার লাশ ইতিমধ্যে শিয়াল কুকুরে পেটের অংশ খেয়ে ফেলেছে বলে জানান ময়না তদন্তকারি ডাক্তার। শুক্রবার ময়না তদন্ত শেষে সন্ধায় শিশু মারিয়ার লাশ তার নানী বাড়ি দাফন হয়েছে।
ইবিতে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত-২০, মহাসড়ক অবরোধ

কুষ্টিয়ায় জাগরণের গান
বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১০
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো। বুধবার রাত ১২টার পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা পাঁচ আসামি হলেন লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার), লে. কর্নেল মুহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল সুলতান শাহারিয়ার রশিদ খান। তাঁরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর সাতজনের মধ্যে আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, মোসলেমউদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও আব্দুল মাজেদ বিদেশে পালিয়ে আছেন। তাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের পরোয়ানা রয়েছে। দণ্ডিত অপরজন আব্দুল আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভোর রাতে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে প্রাণ হারান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু-পরিবারের অধিকাংশ সদস্যও সেই নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হন। নিহতরা হলেন, বেগম ফয়জুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল, পারভিন জামাল রোজি, শেখ আবু নাসের, আবদুর সেরনিয়াবত, শেখ ফজলুল হক মনি, বেগম আরজু মনি, বেবি সেরনিয়াবাত, সুকান্ত আবদুল্লাহ, শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নাইন খান রিন্টু ও আরিফ সেরনিয়াবাত। ওই তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরের থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। শেখ হাসিনা বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন হওয়ার পর খন্দকার মোশতাকের সরকার ক্ষমতা গ্রহণ এবং কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। পরে জিয়াউর রহমানের সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটি জাতীয় সংসদে পাস করে। এর ফলে ২১ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ থাকে। একই সঙ্গে কারাগারে জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের বিচারও বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু সরকারের তত্কালীন মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতসহ আট হত্যা এবং কামানের গোলায় মোহাম্মদপুরের শের শাহসুরী রোডের ১৪ জনকে হত্যার বিচার কার্যক্রম।১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল রায় ঘোষণা করেন। এতে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের শুনানি হয় হাইকোর্টে। ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ রায় প্রদান করেন। বিচারপতি মো. রুহুল আমিন ১০ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। অপর বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ১৫ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১০
মিরপুরে টেন্ডার ড্রপিংকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দু’ গ্রুপের সংঘর্ষ
কুষ্টিয়ার মিরপুরে টেন্ডার ড্রপিংকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ক্যাডারদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে একই দলের অপর গ্রুপের এক নেতা। তার নাম আশরাফুল ইসলাম। গতকাল বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মিরপুর পৌরসভা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আশরাফুল এলজিইডি ও পৌরসভার বেশ কয়েকটি সিডিউল ক্রয় করে। যার ড্রপিংয়ের শেষ সময় ছিল দুপুর ১২টা। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মিরপুর পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার তার দলবল নিয়ে আলিফ এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার অপর গ্রুপের যুবলীগ নেতা আশরাফুলকে টেন্ডার ড্রপিং করতে নিষেধ করে এবং তার হেফাজত থেকে সকল সিডিউল ফেরত চায়। এতে আশরাফুল রাজী না হলে ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার ও তার দলবল আশরাফুলের ওপর চড়াও হয় এবং লোহার রড ও লাঠি সোটা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আতংক সৃষ্টি করতে গুলিও ছোড়ে। পরে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে মিরপুরে যুবলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আশরাফুল মিরপুর থানা যুবলীগের সদস্য।
ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা মামলা থেকে সব আসামী খালাস
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলোচিত গোলাম মস্তফা ওরফে মুকুল হত্যা মামলা থেকে ২৪ আসামীই খালাস পেয়েছে। মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার স্পেশাল জজ এজলাসে বিচারক সাজেদুল করিম এই রায় ঘোষনা করেছেন। এসময় আদালত প্রাঙ্গণে অনেক লোকসমাগম হয়। ২০০৪ সালের ২১ এপ্রিল আমবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা গোলাম মস্তফা ওরফে মুকুলকে সন্ত্রাসীরা গুলি ও জবাই করে হত্যা করে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর গতকালের এ রায়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিবর চেয়ারম্যান ও ওবাইদুল ওরফে লালসহ (ভারতে নিহত) সকল আসামীকেই খালাস দিয়েছে আদালত। রায় শোনার পর কোন মন্তব্য করেননি নিহতের পিতা মামলার বাদী গোলাম সরোয়ার। মামলার খালাসপ্রাপ্ত আসামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাবেক বিএনপি দলীয় এমপি শহিদুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলায় মূল সন্ত্রাসীদের বাদ দিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিবর চেয়ারম্যান, ওবাইদুল ওরফে লাল ও কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার নাম জড়িয়ে দেন। সে কারনে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি।
ইউনিয়ন নেই, বরাদ্দ আছে
৯৭ সালের পর সেখানে আর কোন নির্বাচন হয়নি। নিজের পদ টিকিয়ে রাখার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করেন তিনি। এরই মাঝে বিলুপ্ত হয়ে যায় তার ইউনিয়ন পরিষদ। একই সাথে তার চেয়ারম্যান পদটিও। নতুন ইউনিয়ন গঠন করার জন্য গেজেট প্রকাশ করা হয় ৮ মাস আগে। তবে তিনি পদ ছাড়তে নারাজ। নানা কৌশলে এখনো তিনিই চেয়ারম্যান থাকতে চান। আর এ ব্যাক্তিটি হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ইউনিয়ন জগতির চেয়ারম্যান। ওই চেয়ারম্যানের বাধার কারনে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে নতুন এক ইউনিয়ন পরিষদ বাস্তবায়নের কাজ। সরকারি গেজেট প্রকাশ হলেও জেলা প্রশাসন এখন পর্যন্ত কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ কারনে নতুন ইউনিয়নের বাসিন্দারা সব রকমের সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ক্ষমতাধর এ চেয়ারম্যানের কাছে সবাই অসহায়। জগতি নামে কোন ইউনিয়ন না থাকলেও এখনো সরকারি সব বরাদ্দ এ ইউনিয়নের নামেই দেয়া হচ্ছে। এমনকি স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকেও সম্প্রতি ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। খোঁজনিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার সাবেক ৪ নং জগতি ইউনিয়নের অর্ধেক অংশ কুষ্টিয়া পৌরসভার ভিতরে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারনে সরকার জগতি ইউনিয়ন বিলুপ্ত ঘোষণা করে বটতৈল নামে নতুন ইউনিয়ন বাস্তবায়নের গেজেট জারি করে। এদিকে গেজেট জারির ৮ মাস অতিবাহিত হলেও বিলুপ্ত জগতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন সালাউদ্দিন অবৈধ ভাবে বিভিন্ন কৌশলে ক্ষমতা আকড়ে থাকার চেষ্টা করে আসছেন। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে বিলুপ্ত জগতি ইউনিয়নে চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ৪ লাখ ৪১ হাজার টাকার অনুদান দেয়া হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব হাবিবুর রহমান চৌধুরী সাক্ষরিত এ পত্রটি কয়েক সপ্তাহ আগে জেলা পশাসক হাতে পেয়েছেন। চেয়ারম্যান শাহিন এখনো অবৈধ ভাবে টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের মালও উত্তোলন করছেন। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সোয়েব জানান, জগতি ইউনিয়নকে বিলুপ্ত করে বটতৈলকে নতুন ইউনিয়ন করার ব্যাপারে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা এখনো কার্যকর হয়নি। এ সংক্রান্ত কোন চিঠি আমরা হাতে পায়নি। হাতে পাওয়ার আমরা আর কোন নতুন মাল বরাদ্দ দেব না। এখন টিআর ও কাবিখার মাল জগতির নামেই বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এদিকে ইউনিয়ন বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন উন্নয়ন বঞ্চিত বটতৈল ইউনিয়নের বাসিন্দারা। একটি সংগ্রাম কমিটি গঠণ করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। কমিটির সভাপতি শওকত আকবর জানান, বটতৈলকে নতুন ইউনিয়ন ঘোষনা করে সরকার থেকে অনেক আগে গেজেট প্রকাশ করা হলেও ক্ষমতালোভি শাহিন চেয়ারম্যানের কারনে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নতুন ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে কাজ শুরুর দাবি জানান তিনি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম পরিষদের নেতা ডাঃ মিজানুর রহমান জানান, জগতি নামে আর কোন ইউনিয়নের অস্তিত্ব এখন নেই। বটতৈল ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু না করার কারণে সাধারণ মানুষ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জেলা প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ অবস্থায় আন্দোলনে নামা ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই আমাদের সামনে। এদিকে গত সপ্তাহে স্থাণীয় সরকার মন্ত্রানলয় থেকে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকে এক পত্রের মাধ্যমে নতুন বটতৈল ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান জানান, স্থাণীয় সরকার থেকে একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। চিঠি বটতৈল ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশ মোতাবেক আমরা দ্রুত কাজ শুরু করবো। এখন আর বটতৈল ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু করতে কোন বাধা নেই বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শাহিন সালাউদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জগতি ইউনিয়ন বিলুপ্ত হলেও নতুন ইউনিয়ন বাস্তবায়নের কোন চিঠি আমি পায়নি। তাই এখনো আমিই চেয়ারম্যান।
ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা মামলা থেকে সব আসামী খালাস
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলোচিত গোলাম মস্তফা ওরফে মুকুল হত্যা মামলা থেকে ২৪ আসামীই খালাস পেয়েছে। মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার স্পেশাল জজ এজলাসে বিচারক সাজেদুল করিম এই রায় ঘোষনা করেছেন। এসময় আদালত প্রাঙ্গণে অনেক লোকসমাগম হয়। ২০০৪ সালের ২১ এপ্রিল আমবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা গোলাম মস্তফা ওরফে মুকুলকে সন্ত্রাসীরা গুলি ও জবাই করে হত্যা করে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর গতকালের এ রায়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিবর চেয়ারম্যান ও ওবাইদুল ওরফে লালসহ (ভারতে নিহত) সকল আসামীকেই খালাস দিয়েছে আদালত। রায় শোনার পর কোন মন্তব্য করেননি নিহতের পিতা মামলার বাদী গোলাম সরোয়ার। মামলার খালাসপ্রাপ্ত আসামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাবেক বিএনপি দলীয় এমপি শহিদুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলায় মূল সন্ত্রাসীদের বাদ দিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিবর চেয়ারম্যান, ওবাইদুল ওরফে লাল ও কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার নাম জড়িয়ে দেন। সে কারনে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি।
বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১০
কুষ্টিয়া হাসপাতালে নার্স তনুশ্রী উপর হামলা, কর্মবিরতি, দূর্ভোগ
শনিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১০
মহাসড়ক বন্ধ করে কুষ্টিয়ায় বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ
দৌলতপুরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, বোমা বিস্ফোরন আহত-১৫
দৌলতপুরে ডাকাতি ॥ অর্ধলক্ষাধিক টাকার সস্পদ লুট
শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১০
কুষ্টিয়ায় মোবাইল ও বাইসাইকেলের জন্য যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছিনতাইকারীরা

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১০
কুষ্টিয়ায় ডাকাতদলের ৩ সদস্য গ্রেফতার

কুষ্টিয়ায় আরেক নারী চরমপন্থী দাদী নাসরিন গ্রেফতার

সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১০
কুষ্টিয়ায় আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা, সংঘাতের আশঙ্কা
কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভা আহবানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আইনজীবিরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ায় সোমবারের সাধারণ সভায় সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন আইনজীবীরা। বার্ষিক নির্বাচনের মাত্র ১ মাস আগে হঠাৎ করে ট্রেজারার, লাইব্রেরী সেক্রেটারী, কালচারাল সেক্রেটারী, অফিস সেক্রেটারী’র নামে ৪টি নতুন পদ সৃষ্টিসহ গঠনতন্ত্র সংশোধন করার জন্য এ সভা ডাকা হয়েছে। এছাড়াও কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ এক বছরের স্থলে দুই বছর করার প্রস্তাবও দেয়া হতে পারে। সারাদেশের আইনজীবী সমিতির মেয়াদকাল ১ বছর বিদ্যমান থাকলেও নির্বাচনের ঠিক পূর্বে কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির মেয়াদ ২ বছর করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ মতের পক্ষে ও বিপক্ষে দু-ভাগ হয়েছেন আইনজীবিরা। এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. আমিরুল ইসলাম জানান, নিময়তান্ত্রিক ভাবেই সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে। সমিতির সদস্যদের মতামত পেলেই গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হবে। আর যদি মতামত না পাওয়া যায় গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হবে না।
শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১০
দৌলতপুরে ৪০ বিঘা তামাক গাছ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা
দৌলতপুরে শিক্ষককে মারপিট, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ॥ আটক-২
হয়ে গেল প্রথম আলো গণিত উৎসব
শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১০
কুষ্টিয়ায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১০
কুষ্টিয়ায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-৫
সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১০
প্রত্যন্ত গ্রামে ১০ স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান
শনিবার, ২ জানুয়ারী, ২০১০
কুষ্টিয়ায় গণমুক্তিফৌজের খুলনা বিভাগীয় সামরিক প্রধান অরফেন গ্রেফতার
