শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০০৯

মর্মস্পর্শী বিদ্যুতস্পর্শ, স্ত্রীকে বাচাতে গিয়ে স্বামীরও মৃত্যু


সেই একই মর্মস্পর্শী ঘটনা। বিদ্যুতস্পৃষ্ট স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে স্বামীরও মৃত্যু হয়েছে। কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে গতকাল এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা বলছে পল্লী বিদ্যুতের সার্ভিস লাইনের ছিদ্রই এ দূর্ঘটনার জন্য দায়ী।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ীর বাইরে টানানো রশির সাথে কাপড় নেড়ে দিতে আসেন হাসিনা(৪০)। কাপড় শুকানোর জন্য টানানো ওই রশির পাশ দিয়েই ওই বাড়ির বিদ্যুতের সার্ভিস তার। ক’দিন আগে ঝড়ে তারটি ঝুলে পড়লে ওই বাড়ির লোকজন পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় অফিসে খবর দেয়। বিদ্যুত কর্মিরা এসে খোলা স্টিলের তারের সাথে টানা দিয়ে সার্ভিস তারটি উপরে তুলে দিয়ে যায়। সার্ভিস তারের কোন এক স্থানে ছিদ্র থাকায় ওই খোলা স্টিলের তার বিদ্যুৎতাড়িত হয়ে পড়ে। এদিকে হাসিনা ভেজা কাপড় নাড়া দিতে গিয়ে ওই তারের বিদ্যুতে স্পৃষ্ট হয়ে পড়ে। তারের সাথে স্থির হয়ে তার শরীর কাপতে থাকে। অল্প দুরে থাকা স্বামী গোলাম আলী দৃশ্যটি দেখে স্ত্রীকে বাচাতে ছুটে আসেন। অসচেতন গোলাম আলী(৫০) জাপটে ধরেন তার স্ত্রীকে। তিনিও বিদ্যুতায়িত হয়ে আটকে পড়েন। এরপর ছুটে আসেন তাদের সন্তান মিজানুর(২২) ও আলাউদ্দিন (১৬)। স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের বিদ্যুত থেকে পৃথক করেন। কিন্তু ততক্ষণে বিদ্যুতে পুড়ে মারা যান স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। বেঁচে যান দু সন্তান। কিন্তু মিজানুরের হাতের তিনটি আঙ্গুল পুড়ে গেছে। এদের দু’ভাইকে খোকসা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খোকসা থানার এসআই রবিউল জানান, এ ব্যাপারে ইউডি মামলা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই অঞ্চলের অধিকাংশ বিদ্যুতের সার্ভিস তারই অরক্ষিত অবস্থায় ঝুলে আছে। এভাবে আরো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম (কুমারখালী) দীলিপ কুমার বাইন বলেন, এক্সিডেন্ট ভাল স্থানেও হতে পারে। তিনি বলেন অনেক এলাকায় পিডিবি থেকে পল্লী বিদ্যুতে হস্তান্তরের পর সংস্কার কাজ শেষ হয়নি। কোন কোন স্থান খারাপ আছে। সেগুলো ঠিক করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অডিটের কাজে কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির প্রধান কার্যালয় বারখাদা এসেছি সকালে। সেজন্য রমানাথপুরে কি কারনে দুর্ঘটনা ঘটেছে তার বলতে পারছি না।

কোন মন্তব্য নেই: