বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০০৯

কুষ্টিয়া শহরে পুলিশ-সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধে দুই যুবক নিহত


কুষ্টিয়া শহরের পূর্বমজমপুর রেল লাইনের ধারে ডিবি ও সদর থানা পুলিশের টহল দলের সাথে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধে সুমন (২৮) ও সোহেল (২৫) নামের দুই যুবক নিহত হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পূর্বমজমপুর রেল লাইনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে নিহত সুমন তালিকাভূক্ত উঠতি সন্ত্রাসী। আর সোহেল চিহ্নিত মাদক ব্যবাসায়ী ও ছিনতাইকারি।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে পূর্বমজমপুর এলাকার কাজিম মিস্ত্রির ছেলে সুমন ও একই এলাকার মজনুর ছেলে সোহেলসহ কয়েকজন রেল লাইনের পাশে বসে ছিল। সে সময় একদল সন্ত্রাসী এসে তাদের উদ্দেশ্য করে গুলিবর্ষন করে। এদিকে কুষ্টিয়া সদর থানা ও ডিবি পুলিশের টহল দল নিকটে থাকায় সেখানে পৌছালে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও লক্ষ্য করে গুলি বর্ষন করে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে নিহত সুমনের লাশ এবং গুরুতর আহত অবস্থায় সোহেলকে উদ্ধার করে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকেও মৃত ঘোষনা করে। পরে পুলিশ ওই এলাকা তল্লাশী করে একটি এলজি ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।
এদিকে গতরাতে কুষ্টিয়ার একটি সংবাদপত্র অফিসে +৯১৯৭৩৩৮০৮৯১২ নাম্বার থেকে ফোন করে পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি এমএল এর জেলা কমান্ডার পরিচয়ে জনৈক মতিন এদের হত্যার দায়-দায়িত্ব স্বীকার করেন। তিনি বলেন, তাদের গেরিলা কমান্ডার রোকন ও মানিকের নেতৃত্বে সুমন ও সোহেলের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণই ছিলো এদের অপরাধ।

কোন মন্তব্য নেই: