বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় এবার জামায়াত নেতাকে জবাই, ১০ দিনে ৭ খুন


এবার কুষ্টিয়ার জগতি সুগার মিলের পাশে রেল লাইনের উপর পাওয়া গেছে তৃণমূল পর্যায়ের এক জামায়াত নেতার গলা কাটা লাশ। গতকাল বুধবার সকালে পোড়াদহ জিআরপি পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। নিহতের নাম কদম আলী (৫৪)। মিরপুর উপজেলার কলাবাড়ি তার বাড়ি। জবাই করে হত্যা করা হলেও অন্যদের মতো কদম আলীর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় কদম আলী বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর অপহরন করে তাকে গলাকেটে হত্যার পর লাশ রেল লাইনের উপর ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে তাদের ধারনা।
মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা আব্দুল গফুর জানান, নিহত কদম আলী জামায়াতের কলাবাড়ি ইউনিট সভাপতি।
এ নিয়ে গত ১০ দিনে কুষ্টিয়ায় মোট ৭জনকে হত্যা করেছে চরমপন্থি সন্ত্রাসীরা। ১০ আগষ্ট শহরের সড়ক ও জনপথ অফিসের গেটে পাওয়া যায় তিন জনের কাটা মাথা। ওইদনই দুপুরে ১৭ কিলোমিটার দুরে সদর উপজেলার সোনাইডাঙ্গা মাঠের মধ্যে তাদের দেহ পাওয়া যায়। ১৫ আগষ্ট রাতে জেলার ভেড়ামারা উপজেলা শহরে সন্ত্রাসীদের এলাপাথারী গুলিবর্ষনে খুন হন কলেজ শিক্ষক বান্দা পাত্তা মোহন, গুলিবিদ্ধ হন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মেহেরুল আলমসহ আরো ৪জন। মেহেরুল এখন জীবনান্মৃত। ওইদনি দুপুরে ইসলামী ভিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লেক থেকে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার হয়। ১৬ তারিখ সকালে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে চড়াইকোলে পাওয়া যায় খাইরুল নামের একজনের কাটা মাথা। পরদিন এর চার কিলোমিটার দুরে একটি ডোবা থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই: