শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০০৯

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো গলাকাটা লাশ উদ্ধার, ৩ মাসে উদ্ধার হওয়া ৪টি লাশ ছিল জবাইকরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আবারো গলাকাটা গলিত অজ্ঞাতনামা (২৮) ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৫-২০ দিন আগে নিহত হওয়ায় লাশের আসল চেহারা বিকৃতির কারনে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয় নি। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইবি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
জানা গেছে, আজ শনিবার দুপুর ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয় পাশ্ববর্তী এলাকার কয়েকজন প্রকৌশল ভবনের পিছনে মফিজ লেকের ধারে ঘাস কাটতে যায়। এ সময় তারা গলাকাটা গলিত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের ধারণা ১৫-২০ দিন আগে জবাই করে লাশটি ফেলে রাখা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল পৌনে ৬ টা) নিহতের পরিচয় পাওয়া যায় নি। খবর ই-বাতা’র

উল্লেখ্য, এর আগে ১৫ জুন ক্যাম্পাসের ভিতর ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পাশে পার্শ্ববর্তী শৈলকুপা থানার শের আলী ও আব্দুল আউয়াল নামের দুইজনকে প্রতিপক্ষরা জবাই করে হত্যা করে। ২৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে একই থানার গোলকনগর গ্রামের লিটন নামের এক ব্যক্তির খন্ডিত মস্তক উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে তিন মাসের ব্যাবধানে চারটি জবাই করা লাশ পাওয়া গেছে। এদিকে ক্যাম্পাসে একটার পর একটা হত্যাকান্ডে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই ছাত্রী হল এবং বঙ্গবন্ধু হলসহ আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে ক্যাম্পাসের আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ইবি প্রক্টর মাহবুবুল আরফিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেখানে কুষ্টিয়ায় তিনটি কাটা মাথা পাওয়া যায় সেখানে আমার কোন বক্তব্য নেই।
এ ব্যাপারে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ১৫-২০ দিন আগের লাশ চেহারা আকৃত হয়ে যাওয়ায় পরিচয় উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি। তবে পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

কোন মন্তব্য নেই: