মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০০৯

রাতে ইবির টিএসিতে চরমপন্থীদের বৈঠক : তোলপাড়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি অফিসে গত সোমবার রাতে চরমপন্থী, ছাত্রলীগের সাবেক ক্যাডার বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীরা গোপন মিটিং করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গভীর রাত পর্যন্ত টিএসসি ঘেরাও করে রাখলেও কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে টিএসির কর্মচারি উকিল মোল্লা টিএসসি অফিসের কলাপসিবল গেটে ভেতর থেকে তালা দিয়ে অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসে কর্মচারী শরীফুল, ইবি ছাত্রলীগের একজন সাবেক সেক্রেটারিসহ আরেক ছাত্রলীগ ক্যাডার ও স্থানীয় ১০/১২ জন চরমপন্থী বহিরাগত ক্যাডার নিয়ে গোপন বৈঠক করতে থাকে। খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে পুলিশ একটি দল টিএসসি অফিসের সামনে আসে। এসময় তারা তালাবদ্ধ কলাপসিবল গেটের ভিতরে ৩টি মটর সাইকেল দেখতে পায় এবং অফিসের ভিতরে মানুষের সামাগম বুঝতে পারে। পুলিশ এ সময় ভিতরে প্রবেশ করে তাদের গ্রেফতার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে বার বার অনুমতি চান। প্রক্টর অনুমতি না দিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকে। পুলিশ দফায় দফায় প্রক্টরের কাছে গ্রেফতারের অনুমতি চাইতে থাকে। রাত আড়াইটার দিকে প্রক্টর পুলিশকে নির্দেশ দেয় টিএসসি অফিসের বাইরে থেকে তালা মেরে দেয়ার জন্য। এ সময় পুলিশ চলে যায়।
রাত সাড়ে ৩টার দিকে আবরও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসির নেতৃত্বে আবারও একদল পুলিশ টিএসসি অফিসের সামনে এসে অবস্থান নেয়। এসময় টিএসির কর্মচারি উকিল মোল্লা, এস্টেট অফিসের কর্মচারী শরীফুল, ইবি ছাত্রলীগের একজন সাবেক সেক্রেটারিসহ আরেক ছাত্রলীগ ক্যাডার বেরিয়ে আসে। তখনও পুলিশ গ্রেফতারের অনুমতি না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সিকিউরিটি অফিসার হায়দার আলীর সাথে ইবি থানার ওসি কথা কাটাকাটি করে চলে যায়। পুলিশ চলে গেলে তারা পালিয়ে যায়।
ইবি থানার ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আমারা কিছু করতে পারি না।’
ওদিকে প্রক্টর মাহবুবুল আরফিন উল্টো পুলিশকে দোষারোপ করে বলেন, ‘পুলিশকে যে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।’
ভিসি প্রফেসর ড. এম. আলাউদ্দিন বলেন, ‘টিএসসির পরিচালক অধ্যাপক ড. আ ন ম রেজাউল করিমের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত জানতে চেয়েছি। লিখিত বক্তেব্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

কোন মন্তব্য নেই: