মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০০৯

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থি ডাবলু নিহত


কুষ্টিয়া শহর সংলগ্ন মহাশ্বশান এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় শাহীনুর রহমান ডাবলু (৩৮) নামের এক চরমপন্থি নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, ডাবলু জাসদ গণবাহিনী (লাল) এর হরিপুর ইউনিটের সামরিক কমান্ডার। সোমবার রাতে তার নেতৃত্বে একদল ক্যাডার গড়াই নদী পেরিয়ে শহরে প্রবেশ করবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া ডিবি ও সদর থানা পুলিশ মহাশ্বশান এলাকায় অবস্থান নেয়। রাত ৪টার দিকে ওই দলটি মহাশ্বশান এলাকা দিয়ে শহরে প্রবেশ করার সময় পুলিশ দেখে গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। একপর্যায়ে চরমপন্থিরা পিছু হটলে পুলিশ ডাবলুর লাশ, একটি এলজি গান ও ১১ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত ডাবলু সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ গ্রামের মৃত আকমল হোসেনের ছেলে। ডাবলু নদীতে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ট্রাক ডাকাতি, মোটরসাইকেল ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলো। ইউপি চেয়ারম্যান এম মোস্তাক হোসেন মাসুদের সাথে তার ঘনিষ্টতা ছিল বলে এলাকাবাসী জানায়। গত ২০ আগষ্ট কুষ্টিয়ায় আইজিপির সুধী সমাবেশে চেয়ারম্যান মাসুদ ঘোষনা দেন তার ইউনিয়নে কোন সন্ত্রাসী নেই। যে ইউনিয়নকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্য বলা হয় সেখানকার চেয়ারম্যানের এ ঘোষনার পর হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। চেয়ারম্যানের হয়ে রিলিফের চাল বিতরন, হুমকি প্রদান, অস্ত্র দেখিয়ে মহড়া দেয়া ছিল ডাবলুর কাজ। গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যানের হয়ে ডাবলু সশস্ত্র অবস্থায় কাজ করেছে। অভিযোগ রয়েছে ডাবলুর সহযোগি হিসেবে কাজ করে ভোলা, ছোট মাসুদ ও মনির হোসেন মনুসহ বেশ কয়েকজন। এরা সবাই এলাকায় ওপেন ঘুরে বেড়ায়। বিভিন্ন এলাকার চরমপন্থি সন্ত্রাসীরা অপকর্ম করে এসে হরিপুরে আশ্রয় নেয়। এর অন্যতম কারণ হলো যেদিক দিয়েই হোক হরিপুরে পৌছাতে হলে পুলিশকে নদী পার হতে হবে। আর নদী পার হলেই মোবাইলে খবর চলে যেত ডাবলুর কাছে। যখন যে চরমপন্থী দলের সদস্যরা হরিপুরে অবস্থান নেয় ডাবলু তাদের লোক হয়ে যেত। এর আগে সে অন্য দল করলেও বেশ কিছুদিন হলো সে গণবাহিনীতে যোগ দেয়। আর এরপরই সে চেয়ারম্যানের আরো ঘনিষ্ট হয়ে পড়ে।
ডাবলু ৬মাস আগে একবার চুরিকরা নতুন পালসার মোটর সাইকেলসহ মিরপুর থানা পুলিশের নিকট ধরা পড়ে। তিনমাস হাজত বাস করে সে জামিনে মুক্ত হয়। পুলিশ জানায়, সম্প্রতি কুষ্টিয়া শহরের দুই যুবককে হত্যা করে পদ্মা নদীতে লাশ ফেলে রাখা হয়। এদের হরিপুর দিয়ে পাবনা পার করে দিয়েছিলেন এই ডাবলু। পুলিশ এ ঘটনার পর থেকে তাকে হন্যে হয়ে খুজছিল।

কোন মন্তব্য নেই: